ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম
মেয়েদের শরীরে লোম থাকতে পারে। কিন্তু তা অতি দ্রুত ও মোটা হয়ে পুরুষের লোমের মতো মুখ, পিঠ, বুক এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উঠলে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের লোমকেই হারসুটিজম বা অবাঞ্ছিত লোম বলে।
কী কী কারণে হতে পারে
মেয়েদের শরীরে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন বেড়ে যাওয়া এর অন্যতম কারণ। এ ছাড়া আরও যেসব কারণে মেয়েদের মুখে অবাঞ্ছিত লোম হতে পারে, সেগুলোর মধ্যে আছে, পিসিও এস বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম। এটি সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের হতে থাকে। এটি হলে মুখসহ শরীরের অন্য জায়গায়ও অবাঞ্ছিত লোম, অনিয়মিত মাসিক, ব্রণ, অতিরিক্ত ওজন, ওভারিতে সিস্ট এবং গর্ভধারণে সমস্যা হয়ে থাকে।
টিউমারের মতো এড্রেনাল গ্রন্থির কিছু রোগের কারণে বেশি পরিমাণে এড্রোজেন হরমোন নিঃসরণ হলে মেয়েদের শরীরে ছেলেদের মতো লোম গজাতে পারে। এ ছাড়া আরও কিছু বিরল রোগেও এমন হতে পারে।
কুসিং সিনড্রোম নামক রোগে শরীরের কর্টিসল হরমোন বেড়ে যায়। এতে এ রোগ হতে পারে।
এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বিভিন্ন রং ফরসাকারী ক্রিম অথবা ইনজেকশনের মতো স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ গ্রহণেও মুখে ও শরীরে অতিরিক্ত লোম গজাতে পারে। এই রোগের আরও একটি লক্ষণ হচ্ছে মুখ অথবা শরীর ফুলে যাওয়া, শরীরে লাল দাগ দেখা দেওয়া।
বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অবাঞ্ছিত লোম উঠতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মিনক্সিডিল, ডানাজল, টেস্টোস্টেরন সেবন করলেও লোম গজাতে পারে।
এ ছাড়া থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য, প্রোলাক্টিন হরমোন বেশি থাকার কারণেও অবাঞ্ছিত লোম দেখা দিতে পারে মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায়।
কাদের বেশি হয়
» যাদের এ রোগের পারিবারিক ইতিহাস আছে।
» যাদের ওজন বেশি, তাদের শরীরে ইনসুলিন কাজ করতে পারে না।
কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে
» এ লোমের জন্য সামাজিকভাবে হেয় হওয়ায় মানসিক দুশ্চিন্তা হতে পারে।
» এর সঙ্গে যাদের পিসিওডি থাকে, তাদের পরবর্তী সময়ে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে।
» অতিরিক্ত ওজন থাকলে পরে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে।
প্রতিকার ও চিকিৎসা
অবাঞ্ছিত লোম সাধারণত প্রতিরোধ করা যায় না। তবে ওজন কমালে এটা হওয়ার আশঙ্কা
কমে যায়।
» যে কারণে অবাঞ্ছিত লোম হচ্ছে, তার চিকিৎসা করলে লোম স্থায়ীভাবে ওঠা বন্ধ হতে পারে।
» পুরুষ হরমোন নিঃসরণ বন্ধ করার জন্য বিশেষ কিছু ওষুধ দেওয়া হয়।
» লেজার প্রযুক্তিও সাময়িক মুক্তি দিতে পারে অবাঞ্ছিত লোম থেকে।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
মেয়েদের শরীরে লোম থাকতে পারে। কিন্তু তা অতি দ্রুত ও মোটা হয়ে পুরুষের লোমের মতো মুখ, পিঠ, বুক এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উঠলে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের লোমকেই হারসুটিজম বা অবাঞ্ছিত লোম বলে।
কী কী কারণে হতে পারে
মেয়েদের শরীরে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন বেড়ে যাওয়া এর অন্যতম কারণ। এ ছাড়া আরও যেসব কারণে মেয়েদের মুখে অবাঞ্ছিত লোম হতে পারে, সেগুলোর মধ্যে আছে, পিসিও এস বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম। এটি সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের হতে থাকে। এটি হলে মুখসহ শরীরের অন্য জায়গায়ও অবাঞ্ছিত লোম, অনিয়মিত মাসিক, ব্রণ, অতিরিক্ত ওজন, ওভারিতে সিস্ট এবং গর্ভধারণে সমস্যা হয়ে থাকে।
টিউমারের মতো এড্রেনাল গ্রন্থির কিছু রোগের কারণে বেশি পরিমাণে এড্রোজেন হরমোন নিঃসরণ হলে মেয়েদের শরীরে ছেলেদের মতো লোম গজাতে পারে। এ ছাড়া আরও কিছু বিরল রোগেও এমন হতে পারে।
কুসিং সিনড্রোম নামক রোগে শরীরের কর্টিসল হরমোন বেড়ে যায়। এতে এ রোগ হতে পারে।
এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বিভিন্ন রং ফরসাকারী ক্রিম অথবা ইনজেকশনের মতো স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ গ্রহণেও মুখে ও শরীরে অতিরিক্ত লোম গজাতে পারে। এই রোগের আরও একটি লক্ষণ হচ্ছে মুখ অথবা শরীর ফুলে যাওয়া, শরীরে লাল দাগ দেখা দেওয়া।
বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অবাঞ্ছিত লোম উঠতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মিনক্সিডিল, ডানাজল, টেস্টোস্টেরন সেবন করলেও লোম গজাতে পারে।
এ ছাড়া থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য, প্রোলাক্টিন হরমোন বেশি থাকার কারণেও অবাঞ্ছিত লোম দেখা দিতে পারে মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায়।
কাদের বেশি হয়
» যাদের এ রোগের পারিবারিক ইতিহাস আছে।
» যাদের ওজন বেশি, তাদের শরীরে ইনসুলিন কাজ করতে পারে না।
কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে
» এ লোমের জন্য সামাজিকভাবে হেয় হওয়ায় মানসিক দুশ্চিন্তা হতে পারে।
» এর সঙ্গে যাদের পিসিওডি থাকে, তাদের পরবর্তী সময়ে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে।
» অতিরিক্ত ওজন থাকলে পরে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে।
প্রতিকার ও চিকিৎসা
অবাঞ্ছিত লোম সাধারণত প্রতিরোধ করা যায় না। তবে ওজন কমালে এটা হওয়ার আশঙ্কা
কমে যায়।
» যে কারণে অবাঞ্ছিত লোম হচ্ছে, তার চিকিৎসা করলে লোম স্থায়ীভাবে ওঠা বন্ধ হতে পারে।
» পুরুষ হরমোন নিঃসরণ বন্ধ করার জন্য বিশেষ কিছু ওষুধ দেওয়া হয়।
» লেজার প্রযুক্তিও সাময়িক মুক্তি দিতে পারে অবাঞ্ছিত লোম থেকে।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
১ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
১ দিন আগেপেটের ফ্লু, যাকে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়, এটি পেটের এক ধরনের সংক্রমণ। এই সমস্যায় বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটব্যথা এবং ক্র্যাম্পের (পেটে মোচড় দেওয়া) মতো লক্ষণ দেখা যায়। এটি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়। সাধারণত বেশির ভাগ পেটের ফ্লু–এর জন্য দায়ী নরোভাইরাস।
১ দিন আগেপেস্তাবাদাম। পুরো পৃথিবীতে এই বাদাম বেশ জনপ্রিয়। দুবাইয়ে পেস্তাবাদামের চকলেট বারও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মিষ্টান্ন, আইসক্রিম, বিশেষ ডিশ সাজাতে পেস্তাবাদামের ব্যবহার বেড়েছে। খাবারের সৌন্দর্য আর পুষ্টি—দুটিরই পাওয়ারহাউস এই বাদাম। অল্প খেলেই পাওয়া যায় অনেক পুষ্টি।
৩ দিন আগে