অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া

প্রশ্ন: যখন ডিপ্রেশনে থাকি, তখন আমার মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। মিষ্টিসহ সব ধরনের মিষ্টি খাবার খেতে থাকি। একটা লম্বা সময় ধরে মানসিক চাপে আছি, কিন্তু রাতে বেঘোরে ঘুমাই। অনেক আগে ঘুমের সমস্যাও ছিল, এখন নেই। খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে, ফলে মেদও হচ্ছে, ওজন বাড়ছে। আমি আর স্বামী ছাড়া বাসায় কেউ নেই। দুজনেই চাকরিজীবী।
দিনা আফরোজ, চট্টগ্রাম
আমরা যখন মানসিক চাপের মধ্যে থাকি, তখন মস্তিষ্কের ১২ শতাংশ বেশি এনার্জি দরকার হয়। এর জন্য শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কারও কারও ক্ষেত্রে বেড়ে যায়। এতে কিছুটা ভালো লাগে। কিছুটা হলেও কাজের গতি বাড়ে।
গবেষণা বলছে, মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার সঙ্গে মুড ভালো হওয়ার সম্পর্ক নেই। বরং খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকলে সেটা মুড ডিজঅর্ডার তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বয়স যদি ষাটের ওপরে হয়, তাহলে এটা দুশ্চিন্তা আরও বাড়ায়। যদিও চিনি মস্তিষ্কের হরমোন তৈরির ওপর কাজ করে কিছুটা অবসাদ কমায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল তৈরিতে কিছুটা বাধা দেয়, যেটি আপনার ক্ষেত্রে হচ্ছে। কিন্তু এটা সাময়িক মুক্তি। এর পরিণতি স্থূলতা।
বেশি মাত্রায় চিনি সেরোটোনিন নামের একটি কেমিক্যাল তৈরি বাড়িয়ে দেয়, যেটা মানুষের ক্ষুধা, স্মৃতি ও সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে। কাজেই বেশি চিনি মানে বেশি সেরোটোনিন, মানে সাময়িক আনন্দ। গবেষণায় দেখা গেছে, এটা একটা দূষিত চক্র। এই উচ্চমাত্রার চিনি মস্তিষ্কের কিছু কেমিক্যালকে ভারসাম্যহীন করে বিষণ্নতা তৈরি করছে এবং দীর্ঘ মেয়াদে মেন্টাল হেলথ ডিজঅর্ডারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
দেখা গেছে, একজন মানুষ, যিনি দৈনিক ৬৭ গ্রাম বা তার বেশি চিনি ব্যবহার করেন, তাঁর ২৩ শতাংশ বেশি ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভোগার আশঙ্কা আছে পরবর্তী পাঁচ বছরে। হঠাৎ করে বেশি চিনি খাওয়ার অভ্যাস থেকে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে দুশ্চিন্তা, খিটখিটে মেজাজ, কনফিউশন ও ক্লান্তি তৈরি হতে পারে। খেয়াল করে দেখুন, এই উইথড্রয়ালের লক্ষণগুলো অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য ছেড়ে দেওয়ার সময় যে লক্ষণ দেখা যায়, তার সঙ্গে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভয়ংকর কথা হলো, উচ্চমাত্রার চিনিযুক্ত পানীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। তাই ধীরে ধীরে চিনি খাওয়া কমাতে হবে, যাতে মস্তিষ্ক টের না পায়।
বিষণ্ন থাকলে প্রক্রিয়াজাত মাংস, ভাজাপোড়া, সিরিয়াল, চকোলেট, পেস্ট্রি, উচ্চ ননিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, মদ, জাংক খাবার ইত্যাদি খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে হবে। খেতে হবে গাজর, লেটুস, কলা, আনারস, বাতাবিলেবু, শসা, বাদাম, দুধ, পনির, মুরগি, টার্কির মাংস, ডিম, গাঢ় সবুজ শাক আর স্বল্পমাত্রায় কফি।
প্রশ্ন: আমি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ফাইনাল ইয়ারে পড়ছি। আমার বন্ধুর সংখ্যা দু-তিনজন। আমার বাবা সব সময় আমার বন্ধুদের কাছ থেকে আমার খোঁজখবর নেন। তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমি ক্লাসে কী করি, প্রেম করি কি না ইত্যাদি। যারা বাবাকে এসব খোঁজখবর দেয়, তারা বাবার খুব প্রিয়। কিন্তু আমার যে বন্ধুরা আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে এসব খোঁজখবর বাবাকে জানায় না, তাদের বাবা একেবারেই সহ্য় করতে পারেন না। এক বছর আগে আমার এক ছেলেবন্ধুকে আমার খোঁজখবর জানানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু বাবা জানতেনই না যে সেই ছেলেবন্ধু আমাকে প্রপোজ করেছে। সেই বন্ধু বাবার আহ্লাদে আমার প্রতি পজিটিভ হয়ে ওঠে। আমার গতিবিধি সবকিছু তাৎক্ষণিক বাবাকে জানাতে শুরু করে। এটা আমি টের পেয়েছি বহু পরে। বাবাও সেই বন্ধুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। একপর্যায়ে সেই বন্ধুর সঙ্গে আমি যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। এটা অনেক কঠিন ছিল। কারণ, আমরা একই ক্লাসে পড়ি। এই স্পাইয়িং প্রক্রিয়াটা গ্রহণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমি তো কারও ক্ষতি করি না, অপরাধ করি না। তবু ভয়ে থাকতে হয়। আমি ভয় পাই বাবার সন্দেহকে। এখন আর কোনো বন্ধুকেই বিশ্বাস করতে পারি না! আমি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চাই। কী করণীয়?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
আপনার বাবা আপনাকে নিয়ে ইনসিকিউরিটিতে ভোগেন। এর কারণ হয়তো তাঁর অতীত অভিজ্ঞতা অথবা আপনার নির্দিষ্ট কোনো আচরণ। তিনি মনে করছেন, এভাবে আপনার খোঁজখবর রেখে আসলে আপনারই ভালো করছেন। খোলামেলা স্বচ্ছ আলোচনায় বাবাকে জানান যে আপনি কেমন বোধ করছেন তাঁর এই আচরণে। সঙ্গে এটাও বলবেন, বাবা যে দুশ্চিন্তা থেকে এটা করছেন, সেটা আপনি বুঝতে পারছেন। তার পরে আপনি জানতে চান যে বাবার এই ভয়ের জায়গাটা কমাতে আপনার কাছ থেকে কেমন আচরণ তিনি প্রত্যাশা করেন। আপনি কোন ধরনের আচরণ তাঁর কাছ থেকে আশা করেন, সেটাও জানান। কথা লম্বা সময় টেনে নেওয়ার দরকার নেই। প্রথম দিন অল্প কিছুক্ষণ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আগেই কথা বন্ধ করবেন। তারপর আবার কিছুদিন পরে অনুকূল পরিস্থিতিতে এই আলাপ চালিয়ে যাবেন। বাবা আপনার কাছ থেকে কীভাবে তথ্যগুলো জানতে চান এবং সেভাবে দেওয়াটা আপনার জন্য কতটুকু সুবিধাযুক্ত, সেটা খোলামেলা আলাপ করে নিন নিজেদের মধ্যে।
প্রশ্ন: আমার বিয়ে হয়েছে চার বছর। শুরু থেকেই চেয়েছিলাম, সন্তান একটু দেরিতে নেব। সিদ্ধান্ত দুজনেরই ছিল। কিন্তু এক বছর ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হচ্ছি না। এটা মানসিক পীড়া দিচ্ছে। অন্যদিকে আমার শাশুড়ির ধারণা, আমার সমস্যা। তাই সন্তান নিতে পারছি না। প্রচণ্ড মানসিক চাপে আছি। আসলে আমার নানামুখী মানসিক চাপও আছে। এ কারণেও কি কনসিভ করায় সমস্যা হচ্ছে?
তুষি পাল চৌধুরী, ঢাকা
সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এক থেকে দুই বছর নিজেরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন। জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ছাড়া এক বছরের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সন্তান ধারণের ব্যর্থতাকে বন্ধ্যত্ব বলা হয়। বন্ধ্যত্ব দুই ধরনের। প্রাইমারি, কখনোই সন্তান হয়নি। আর সেকেন্ডারি, আগে গর্ভধারণ হয়েছে, কিন্তু পরে আর হচ্ছে না। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ দম্পতি প্রথম বছরেই গর্ভধারণে সমর্থ হন। ১০ শতাংশ দ্বিতীয় বছরে। বাকি ১০ শতাংশের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
বন্ধ্যত্ব ৪০ শতাংশ নারী, ৪০ শতাংশ পুরুষ, বাকি ২০ শতাংশ উভয়ের সমস্যার জন্য হয়। কাজেই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে। আপনি বলেছেন, আপনার মানসিক চাপ আছে। মানসিক চাপ কিন্তু ডিম্বাণুর প্রস্ফুটন দাবিয়ে রাখে। অস্থির হওয়ার কিছু নেই। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আছে। শুধু অন্যের কথায় কান দিয়ে নিজেকে অস্থির করা থেকে বিরত থাকুন।
পরামর্শ দিয়েছেন, অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক ও কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা

প্রশ্ন: যখন ডিপ্রেশনে থাকি, তখন আমার মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। মিষ্টিসহ সব ধরনের মিষ্টি খাবার খেতে থাকি। একটা লম্বা সময় ধরে মানসিক চাপে আছি, কিন্তু রাতে বেঘোরে ঘুমাই। অনেক আগে ঘুমের সমস্যাও ছিল, এখন নেই। খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে, ফলে মেদও হচ্ছে, ওজন বাড়ছে। আমি আর স্বামী ছাড়া বাসায় কেউ নেই। দুজনেই চাকরিজীবী।
দিনা আফরোজ, চট্টগ্রাম
আমরা যখন মানসিক চাপের মধ্যে থাকি, তখন মস্তিষ্কের ১২ শতাংশ বেশি এনার্জি দরকার হয়। এর জন্য শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কারও কারও ক্ষেত্রে বেড়ে যায়। এতে কিছুটা ভালো লাগে। কিছুটা হলেও কাজের গতি বাড়ে।
গবেষণা বলছে, মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার সঙ্গে মুড ভালো হওয়ার সম্পর্ক নেই। বরং খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকলে সেটা মুড ডিজঅর্ডার তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বয়স যদি ষাটের ওপরে হয়, তাহলে এটা দুশ্চিন্তা আরও বাড়ায়। যদিও চিনি মস্তিষ্কের হরমোন তৈরির ওপর কাজ করে কিছুটা অবসাদ কমায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল তৈরিতে কিছুটা বাধা দেয়, যেটি আপনার ক্ষেত্রে হচ্ছে। কিন্তু এটা সাময়িক মুক্তি। এর পরিণতি স্থূলতা।
বেশি মাত্রায় চিনি সেরোটোনিন নামের একটি কেমিক্যাল তৈরি বাড়িয়ে দেয়, যেটা মানুষের ক্ষুধা, স্মৃতি ও সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে। কাজেই বেশি চিনি মানে বেশি সেরোটোনিন, মানে সাময়িক আনন্দ। গবেষণায় দেখা গেছে, এটা একটা দূষিত চক্র। এই উচ্চমাত্রার চিনি মস্তিষ্কের কিছু কেমিক্যালকে ভারসাম্যহীন করে বিষণ্নতা তৈরি করছে এবং দীর্ঘ মেয়াদে মেন্টাল হেলথ ডিজঅর্ডারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
দেখা গেছে, একজন মানুষ, যিনি দৈনিক ৬৭ গ্রাম বা তার বেশি চিনি ব্যবহার করেন, তাঁর ২৩ শতাংশ বেশি ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভোগার আশঙ্কা আছে পরবর্তী পাঁচ বছরে। হঠাৎ করে বেশি চিনি খাওয়ার অভ্যাস থেকে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে দুশ্চিন্তা, খিটখিটে মেজাজ, কনফিউশন ও ক্লান্তি তৈরি হতে পারে। খেয়াল করে দেখুন, এই উইথড্রয়ালের লক্ষণগুলো অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য ছেড়ে দেওয়ার সময় যে লক্ষণ দেখা যায়, তার সঙ্গে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভয়ংকর কথা হলো, উচ্চমাত্রার চিনিযুক্ত পানীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। তাই ধীরে ধীরে চিনি খাওয়া কমাতে হবে, যাতে মস্তিষ্ক টের না পায়।
বিষণ্ন থাকলে প্রক্রিয়াজাত মাংস, ভাজাপোড়া, সিরিয়াল, চকোলেট, পেস্ট্রি, উচ্চ ননিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, মদ, জাংক খাবার ইত্যাদি খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে হবে। খেতে হবে গাজর, লেটুস, কলা, আনারস, বাতাবিলেবু, শসা, বাদাম, দুধ, পনির, মুরগি, টার্কির মাংস, ডিম, গাঢ় সবুজ শাক আর স্বল্পমাত্রায় কফি।
প্রশ্ন: আমি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ফাইনাল ইয়ারে পড়ছি। আমার বন্ধুর সংখ্যা দু-তিনজন। আমার বাবা সব সময় আমার বন্ধুদের কাছ থেকে আমার খোঁজখবর নেন। তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমি ক্লাসে কী করি, প্রেম করি কি না ইত্যাদি। যারা বাবাকে এসব খোঁজখবর দেয়, তারা বাবার খুব প্রিয়। কিন্তু আমার যে বন্ধুরা আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে এসব খোঁজখবর বাবাকে জানায় না, তাদের বাবা একেবারেই সহ্য় করতে পারেন না। এক বছর আগে আমার এক ছেলেবন্ধুকে আমার খোঁজখবর জানানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু বাবা জানতেনই না যে সেই ছেলেবন্ধু আমাকে প্রপোজ করেছে। সেই বন্ধু বাবার আহ্লাদে আমার প্রতি পজিটিভ হয়ে ওঠে। আমার গতিবিধি সবকিছু তাৎক্ষণিক বাবাকে জানাতে শুরু করে। এটা আমি টের পেয়েছি বহু পরে। বাবাও সেই বন্ধুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। একপর্যায়ে সেই বন্ধুর সঙ্গে আমি যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। এটা অনেক কঠিন ছিল। কারণ, আমরা একই ক্লাসে পড়ি। এই স্পাইয়িং প্রক্রিয়াটা গ্রহণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমি তো কারও ক্ষতি করি না, অপরাধ করি না। তবু ভয়ে থাকতে হয়। আমি ভয় পাই বাবার সন্দেহকে। এখন আর কোনো বন্ধুকেই বিশ্বাস করতে পারি না! আমি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চাই। কী করণীয়?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
আপনার বাবা আপনাকে নিয়ে ইনসিকিউরিটিতে ভোগেন। এর কারণ হয়তো তাঁর অতীত অভিজ্ঞতা অথবা আপনার নির্দিষ্ট কোনো আচরণ। তিনি মনে করছেন, এভাবে আপনার খোঁজখবর রেখে আসলে আপনারই ভালো করছেন। খোলামেলা স্বচ্ছ আলোচনায় বাবাকে জানান যে আপনি কেমন বোধ করছেন তাঁর এই আচরণে। সঙ্গে এটাও বলবেন, বাবা যে দুশ্চিন্তা থেকে এটা করছেন, সেটা আপনি বুঝতে পারছেন। তার পরে আপনি জানতে চান যে বাবার এই ভয়ের জায়গাটা কমাতে আপনার কাছ থেকে কেমন আচরণ তিনি প্রত্যাশা করেন। আপনি কোন ধরনের আচরণ তাঁর কাছ থেকে আশা করেন, সেটাও জানান। কথা লম্বা সময় টেনে নেওয়ার দরকার নেই। প্রথম দিন অল্প কিছুক্ষণ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আগেই কথা বন্ধ করবেন। তারপর আবার কিছুদিন পরে অনুকূল পরিস্থিতিতে এই আলাপ চালিয়ে যাবেন। বাবা আপনার কাছ থেকে কীভাবে তথ্যগুলো জানতে চান এবং সেভাবে দেওয়াটা আপনার জন্য কতটুকু সুবিধাযুক্ত, সেটা খোলামেলা আলাপ করে নিন নিজেদের মধ্যে।
প্রশ্ন: আমার বিয়ে হয়েছে চার বছর। শুরু থেকেই চেয়েছিলাম, সন্তান একটু দেরিতে নেব। সিদ্ধান্ত দুজনেরই ছিল। কিন্তু এক বছর ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হচ্ছি না। এটা মানসিক পীড়া দিচ্ছে। অন্যদিকে আমার শাশুড়ির ধারণা, আমার সমস্যা। তাই সন্তান নিতে পারছি না। প্রচণ্ড মানসিক চাপে আছি। আসলে আমার নানামুখী মানসিক চাপও আছে। এ কারণেও কি কনসিভ করায় সমস্যা হচ্ছে?
তুষি পাল চৌধুরী, ঢাকা
সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এক থেকে দুই বছর নিজেরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন। জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ছাড়া এক বছরের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সন্তান ধারণের ব্যর্থতাকে বন্ধ্যত্ব বলা হয়। বন্ধ্যত্ব দুই ধরনের। প্রাইমারি, কখনোই সন্তান হয়নি। আর সেকেন্ডারি, আগে গর্ভধারণ হয়েছে, কিন্তু পরে আর হচ্ছে না। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ দম্পতি প্রথম বছরেই গর্ভধারণে সমর্থ হন। ১০ শতাংশ দ্বিতীয় বছরে। বাকি ১০ শতাংশের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
বন্ধ্যত্ব ৪০ শতাংশ নারী, ৪০ শতাংশ পুরুষ, বাকি ২০ শতাংশ উভয়ের সমস্যার জন্য হয়। কাজেই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে। আপনি বলেছেন, আপনার মানসিক চাপ আছে। মানসিক চাপ কিন্তু ডিম্বাণুর প্রস্ফুটন দাবিয়ে রাখে। অস্থির হওয়ার কিছু নেই। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আছে। শুধু অন্যের কথায় কান দিয়ে নিজেকে অস্থির করা থেকে বিরত থাকুন।
পরামর্শ দিয়েছেন, অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক ও কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া

প্রশ্ন: যখন ডিপ্রেশনে থাকি, তখন আমার মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। মিষ্টিসহ সব ধরনের মিষ্টি খাবার খেতে থাকি। একটা লম্বা সময় ধরে মানসিক চাপে আছি, কিন্তু রাতে বেঘোরে ঘুমাই। অনেক আগে ঘুমের সমস্যাও ছিল, এখন নেই। খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে, ফলে মেদও হচ্ছে, ওজন বাড়ছে। আমি আর স্বামী ছাড়া বাসায় কেউ নেই। দুজনেই চাকরিজীবী।
দিনা আফরোজ, চট্টগ্রাম
আমরা যখন মানসিক চাপের মধ্যে থাকি, তখন মস্তিষ্কের ১২ শতাংশ বেশি এনার্জি দরকার হয়। এর জন্য শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কারও কারও ক্ষেত্রে বেড়ে যায়। এতে কিছুটা ভালো লাগে। কিছুটা হলেও কাজের গতি বাড়ে।
গবেষণা বলছে, মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার সঙ্গে মুড ভালো হওয়ার সম্পর্ক নেই। বরং খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকলে সেটা মুড ডিজঅর্ডার তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বয়স যদি ষাটের ওপরে হয়, তাহলে এটা দুশ্চিন্তা আরও বাড়ায়। যদিও চিনি মস্তিষ্কের হরমোন তৈরির ওপর কাজ করে কিছুটা অবসাদ কমায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল তৈরিতে কিছুটা বাধা দেয়, যেটি আপনার ক্ষেত্রে হচ্ছে। কিন্তু এটা সাময়িক মুক্তি। এর পরিণতি স্থূলতা।
বেশি মাত্রায় চিনি সেরোটোনিন নামের একটি কেমিক্যাল তৈরি বাড়িয়ে দেয়, যেটা মানুষের ক্ষুধা, স্মৃতি ও সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে। কাজেই বেশি চিনি মানে বেশি সেরোটোনিন, মানে সাময়িক আনন্দ। গবেষণায় দেখা গেছে, এটা একটা দূষিত চক্র। এই উচ্চমাত্রার চিনি মস্তিষ্কের কিছু কেমিক্যালকে ভারসাম্যহীন করে বিষণ্নতা তৈরি করছে এবং দীর্ঘ মেয়াদে মেন্টাল হেলথ ডিজঅর্ডারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
দেখা গেছে, একজন মানুষ, যিনি দৈনিক ৬৭ গ্রাম বা তার বেশি চিনি ব্যবহার করেন, তাঁর ২৩ শতাংশ বেশি ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভোগার আশঙ্কা আছে পরবর্তী পাঁচ বছরে। হঠাৎ করে বেশি চিনি খাওয়ার অভ্যাস থেকে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে দুশ্চিন্তা, খিটখিটে মেজাজ, কনফিউশন ও ক্লান্তি তৈরি হতে পারে। খেয়াল করে দেখুন, এই উইথড্রয়ালের লক্ষণগুলো অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য ছেড়ে দেওয়ার সময় যে লক্ষণ দেখা যায়, তার সঙ্গে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভয়ংকর কথা হলো, উচ্চমাত্রার চিনিযুক্ত পানীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। তাই ধীরে ধীরে চিনি খাওয়া কমাতে হবে, যাতে মস্তিষ্ক টের না পায়।
বিষণ্ন থাকলে প্রক্রিয়াজাত মাংস, ভাজাপোড়া, সিরিয়াল, চকোলেট, পেস্ট্রি, উচ্চ ননিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, মদ, জাংক খাবার ইত্যাদি খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে হবে। খেতে হবে গাজর, লেটুস, কলা, আনারস, বাতাবিলেবু, শসা, বাদাম, দুধ, পনির, মুরগি, টার্কির মাংস, ডিম, গাঢ় সবুজ শাক আর স্বল্পমাত্রায় কফি।
প্রশ্ন: আমি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ফাইনাল ইয়ারে পড়ছি। আমার বন্ধুর সংখ্যা দু-তিনজন। আমার বাবা সব সময় আমার বন্ধুদের কাছ থেকে আমার খোঁজখবর নেন। তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমি ক্লাসে কী করি, প্রেম করি কি না ইত্যাদি। যারা বাবাকে এসব খোঁজখবর দেয়, তারা বাবার খুব প্রিয়। কিন্তু আমার যে বন্ধুরা আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে এসব খোঁজখবর বাবাকে জানায় না, তাদের বাবা একেবারেই সহ্য় করতে পারেন না। এক বছর আগে আমার এক ছেলেবন্ধুকে আমার খোঁজখবর জানানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু বাবা জানতেনই না যে সেই ছেলেবন্ধু আমাকে প্রপোজ করেছে। সেই বন্ধু বাবার আহ্লাদে আমার প্রতি পজিটিভ হয়ে ওঠে। আমার গতিবিধি সবকিছু তাৎক্ষণিক বাবাকে জানাতে শুরু করে। এটা আমি টের পেয়েছি বহু পরে। বাবাও সেই বন্ধুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। একপর্যায়ে সেই বন্ধুর সঙ্গে আমি যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। এটা অনেক কঠিন ছিল। কারণ, আমরা একই ক্লাসে পড়ি। এই স্পাইয়িং প্রক্রিয়াটা গ্রহণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমি তো কারও ক্ষতি করি না, অপরাধ করি না। তবু ভয়ে থাকতে হয়। আমি ভয় পাই বাবার সন্দেহকে। এখন আর কোনো বন্ধুকেই বিশ্বাস করতে পারি না! আমি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চাই। কী করণীয়?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
আপনার বাবা আপনাকে নিয়ে ইনসিকিউরিটিতে ভোগেন। এর কারণ হয়তো তাঁর অতীত অভিজ্ঞতা অথবা আপনার নির্দিষ্ট কোনো আচরণ। তিনি মনে করছেন, এভাবে আপনার খোঁজখবর রেখে আসলে আপনারই ভালো করছেন। খোলামেলা স্বচ্ছ আলোচনায় বাবাকে জানান যে আপনি কেমন বোধ করছেন তাঁর এই আচরণে। সঙ্গে এটাও বলবেন, বাবা যে দুশ্চিন্তা থেকে এটা করছেন, সেটা আপনি বুঝতে পারছেন। তার পরে আপনি জানতে চান যে বাবার এই ভয়ের জায়গাটা কমাতে আপনার কাছ থেকে কেমন আচরণ তিনি প্রত্যাশা করেন। আপনি কোন ধরনের আচরণ তাঁর কাছ থেকে আশা করেন, সেটাও জানান। কথা লম্বা সময় টেনে নেওয়ার দরকার নেই। প্রথম দিন অল্প কিছুক্ষণ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আগেই কথা বন্ধ করবেন। তারপর আবার কিছুদিন পরে অনুকূল পরিস্থিতিতে এই আলাপ চালিয়ে যাবেন। বাবা আপনার কাছ থেকে কীভাবে তথ্যগুলো জানতে চান এবং সেভাবে দেওয়াটা আপনার জন্য কতটুকু সুবিধাযুক্ত, সেটা খোলামেলা আলাপ করে নিন নিজেদের মধ্যে।
প্রশ্ন: আমার বিয়ে হয়েছে চার বছর। শুরু থেকেই চেয়েছিলাম, সন্তান একটু দেরিতে নেব। সিদ্ধান্ত দুজনেরই ছিল। কিন্তু এক বছর ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হচ্ছি না। এটা মানসিক পীড়া দিচ্ছে। অন্যদিকে আমার শাশুড়ির ধারণা, আমার সমস্যা। তাই সন্তান নিতে পারছি না। প্রচণ্ড মানসিক চাপে আছি। আসলে আমার নানামুখী মানসিক চাপও আছে। এ কারণেও কি কনসিভ করায় সমস্যা হচ্ছে?
তুষি পাল চৌধুরী, ঢাকা
সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এক থেকে দুই বছর নিজেরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন। জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ছাড়া এক বছরের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সন্তান ধারণের ব্যর্থতাকে বন্ধ্যত্ব বলা হয়। বন্ধ্যত্ব দুই ধরনের। প্রাইমারি, কখনোই সন্তান হয়নি। আর সেকেন্ডারি, আগে গর্ভধারণ হয়েছে, কিন্তু পরে আর হচ্ছে না। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ দম্পতি প্রথম বছরেই গর্ভধারণে সমর্থ হন। ১০ শতাংশ দ্বিতীয় বছরে। বাকি ১০ শতাংশের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
বন্ধ্যত্ব ৪০ শতাংশ নারী, ৪০ শতাংশ পুরুষ, বাকি ২০ শতাংশ উভয়ের সমস্যার জন্য হয়। কাজেই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে। আপনি বলেছেন, আপনার মানসিক চাপ আছে। মানসিক চাপ কিন্তু ডিম্বাণুর প্রস্ফুটন দাবিয়ে রাখে। অস্থির হওয়ার কিছু নেই। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আছে। শুধু অন্যের কথায় কান দিয়ে নিজেকে অস্থির করা থেকে বিরত থাকুন।
পরামর্শ দিয়েছেন, অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক ও কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা

প্রশ্ন: যখন ডিপ্রেশনে থাকি, তখন আমার মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। মিষ্টিসহ সব ধরনের মিষ্টি খাবার খেতে থাকি। একটা লম্বা সময় ধরে মানসিক চাপে আছি, কিন্তু রাতে বেঘোরে ঘুমাই। অনেক আগে ঘুমের সমস্যাও ছিল, এখন নেই। খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে, ফলে মেদও হচ্ছে, ওজন বাড়ছে। আমি আর স্বামী ছাড়া বাসায় কেউ নেই। দুজনেই চাকরিজীবী।
দিনা আফরোজ, চট্টগ্রাম
আমরা যখন মানসিক চাপের মধ্যে থাকি, তখন মস্তিষ্কের ১২ শতাংশ বেশি এনার্জি দরকার হয়। এর জন্য শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কারও কারও ক্ষেত্রে বেড়ে যায়। এতে কিছুটা ভালো লাগে। কিছুটা হলেও কাজের গতি বাড়ে।
গবেষণা বলছে, মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার সঙ্গে মুড ভালো হওয়ার সম্পর্ক নেই। বরং খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকলে সেটা মুড ডিজঅর্ডার তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বয়স যদি ষাটের ওপরে হয়, তাহলে এটা দুশ্চিন্তা আরও বাড়ায়। যদিও চিনি মস্তিষ্কের হরমোন তৈরির ওপর কাজ করে কিছুটা অবসাদ কমায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল তৈরিতে কিছুটা বাধা দেয়, যেটি আপনার ক্ষেত্রে হচ্ছে। কিন্তু এটা সাময়িক মুক্তি। এর পরিণতি স্থূলতা।
বেশি মাত্রায় চিনি সেরোটোনিন নামের একটি কেমিক্যাল তৈরি বাড়িয়ে দেয়, যেটা মানুষের ক্ষুধা, স্মৃতি ও সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে। কাজেই বেশি চিনি মানে বেশি সেরোটোনিন, মানে সাময়িক আনন্দ। গবেষণায় দেখা গেছে, এটা একটা দূষিত চক্র। এই উচ্চমাত্রার চিনি মস্তিষ্কের কিছু কেমিক্যালকে ভারসাম্যহীন করে বিষণ্নতা তৈরি করছে এবং দীর্ঘ মেয়াদে মেন্টাল হেলথ ডিজঅর্ডারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
দেখা গেছে, একজন মানুষ, যিনি দৈনিক ৬৭ গ্রাম বা তার বেশি চিনি ব্যবহার করেন, তাঁর ২৩ শতাংশ বেশি ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভোগার আশঙ্কা আছে পরবর্তী পাঁচ বছরে। হঠাৎ করে বেশি চিনি খাওয়ার অভ্যাস থেকে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে দুশ্চিন্তা, খিটখিটে মেজাজ, কনফিউশন ও ক্লান্তি তৈরি হতে পারে। খেয়াল করে দেখুন, এই উইথড্রয়ালের লক্ষণগুলো অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য ছেড়ে দেওয়ার সময় যে লক্ষণ দেখা যায়, তার সঙ্গে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভয়ংকর কথা হলো, উচ্চমাত্রার চিনিযুক্ত পানীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। তাই ধীরে ধীরে চিনি খাওয়া কমাতে হবে, যাতে মস্তিষ্ক টের না পায়।
বিষণ্ন থাকলে প্রক্রিয়াজাত মাংস, ভাজাপোড়া, সিরিয়াল, চকোলেট, পেস্ট্রি, উচ্চ ননিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, মদ, জাংক খাবার ইত্যাদি খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে হবে। খেতে হবে গাজর, লেটুস, কলা, আনারস, বাতাবিলেবু, শসা, বাদাম, দুধ, পনির, মুরগি, টার্কির মাংস, ডিম, গাঢ় সবুজ শাক আর স্বল্পমাত্রায় কফি।
প্রশ্ন: আমি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ফাইনাল ইয়ারে পড়ছি। আমার বন্ধুর সংখ্যা দু-তিনজন। আমার বাবা সব সময় আমার বন্ধুদের কাছ থেকে আমার খোঁজখবর নেন। তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমি ক্লাসে কী করি, প্রেম করি কি না ইত্যাদি। যারা বাবাকে এসব খোঁজখবর দেয়, তারা বাবার খুব প্রিয়। কিন্তু আমার যে বন্ধুরা আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে এসব খোঁজখবর বাবাকে জানায় না, তাদের বাবা একেবারেই সহ্য় করতে পারেন না। এক বছর আগে আমার এক ছেলেবন্ধুকে আমার খোঁজখবর জানানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু বাবা জানতেনই না যে সেই ছেলেবন্ধু আমাকে প্রপোজ করেছে। সেই বন্ধু বাবার আহ্লাদে আমার প্রতি পজিটিভ হয়ে ওঠে। আমার গতিবিধি সবকিছু তাৎক্ষণিক বাবাকে জানাতে শুরু করে। এটা আমি টের পেয়েছি বহু পরে। বাবাও সেই বন্ধুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। একপর্যায়ে সেই বন্ধুর সঙ্গে আমি যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। এটা অনেক কঠিন ছিল। কারণ, আমরা একই ক্লাসে পড়ি। এই স্পাইয়িং প্রক্রিয়াটা গ্রহণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমি তো কারও ক্ষতি করি না, অপরাধ করি না। তবু ভয়ে থাকতে হয়। আমি ভয় পাই বাবার সন্দেহকে। এখন আর কোনো বন্ধুকেই বিশ্বাস করতে পারি না! আমি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চাই। কী করণীয়?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
আপনার বাবা আপনাকে নিয়ে ইনসিকিউরিটিতে ভোগেন। এর কারণ হয়তো তাঁর অতীত অভিজ্ঞতা অথবা আপনার নির্দিষ্ট কোনো আচরণ। তিনি মনে করছেন, এভাবে আপনার খোঁজখবর রেখে আসলে আপনারই ভালো করছেন। খোলামেলা স্বচ্ছ আলোচনায় বাবাকে জানান যে আপনি কেমন বোধ করছেন তাঁর এই আচরণে। সঙ্গে এটাও বলবেন, বাবা যে দুশ্চিন্তা থেকে এটা করছেন, সেটা আপনি বুঝতে পারছেন। তার পরে আপনি জানতে চান যে বাবার এই ভয়ের জায়গাটা কমাতে আপনার কাছ থেকে কেমন আচরণ তিনি প্রত্যাশা করেন। আপনি কোন ধরনের আচরণ তাঁর কাছ থেকে আশা করেন, সেটাও জানান। কথা লম্বা সময় টেনে নেওয়ার দরকার নেই। প্রথম দিন অল্প কিছুক্ষণ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আগেই কথা বন্ধ করবেন। তারপর আবার কিছুদিন পরে অনুকূল পরিস্থিতিতে এই আলাপ চালিয়ে যাবেন। বাবা আপনার কাছ থেকে কীভাবে তথ্যগুলো জানতে চান এবং সেভাবে দেওয়াটা আপনার জন্য কতটুকু সুবিধাযুক্ত, সেটা খোলামেলা আলাপ করে নিন নিজেদের মধ্যে।
প্রশ্ন: আমার বিয়ে হয়েছে চার বছর। শুরু থেকেই চেয়েছিলাম, সন্তান একটু দেরিতে নেব। সিদ্ধান্ত দুজনেরই ছিল। কিন্তু এক বছর ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হচ্ছি না। এটা মানসিক পীড়া দিচ্ছে। অন্যদিকে আমার শাশুড়ির ধারণা, আমার সমস্যা। তাই সন্তান নিতে পারছি না। প্রচণ্ড মানসিক চাপে আছি। আসলে আমার নানামুখী মানসিক চাপও আছে। এ কারণেও কি কনসিভ করায় সমস্যা হচ্ছে?
তুষি পাল চৌধুরী, ঢাকা
সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এক থেকে দুই বছর নিজেরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন। জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ছাড়া এক বছরের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সন্তান ধারণের ব্যর্থতাকে বন্ধ্যত্ব বলা হয়। বন্ধ্যত্ব দুই ধরনের। প্রাইমারি, কখনোই সন্তান হয়নি। আর সেকেন্ডারি, আগে গর্ভধারণ হয়েছে, কিন্তু পরে আর হচ্ছে না। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ দম্পতি প্রথম বছরেই গর্ভধারণে সমর্থ হন। ১০ শতাংশ দ্বিতীয় বছরে। বাকি ১০ শতাংশের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
বন্ধ্যত্ব ৪০ শতাংশ নারী, ৪০ শতাংশ পুরুষ, বাকি ২০ শতাংশ উভয়ের সমস্যার জন্য হয়। কাজেই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে। আপনি বলেছেন, আপনার মানসিক চাপ আছে। মানসিক চাপ কিন্তু ডিম্বাণুর প্রস্ফুটন দাবিয়ে রাখে। অস্থির হওয়ার কিছু নেই। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আছে। শুধু অন্যের কথায় কান দিয়ে নিজেকে অস্থির করা থেকে বিরত থাকুন।
পরামর্শ দিয়েছেন, অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক ও কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।
৬ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। আমিরাতের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়ামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকেরা প্রথমবারের মতো দেশটিতে স্তন ও ফুসফুসের ক্যানসার থেকে ‘টিউমার-ইনফিলট্রেটিং লিম্ফোসাইটস’ (টিআইএল) আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন।
এই পদ্ধতিতে রোগীর শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধী কোষকে ব্যবহার করে ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়। সাধারণ কেমোথেরাপি যেমন সুস্থ কোষ ও ক্যানসার কোষ উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে, সেখানে টিআইএল থেরাপি ক্যানসার কোষকে নির্দিষ্টভাবে টার্গেট করে ধ্বংস করে। প্রক্রিয়াটি হলো—রোগীর টিউমার থেকে রোগপ্রতিরোধী কোষ সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে তাদের সংখ্যা ও শক্তি বাড়ানো, তারপর তা রোগীর শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া।
আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টার এখন এই প্রযুক্তির উন্নয়নে দেশের প্রথম বিশেষায়িত কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে। কেন্দ্রটির প্রধান বিজ্ঞানী ড. জায়মা মাজোরা হেরেরা বলেন, ‘এটি এক ধরনের জীবন্ত থেরাপি, যা প্রতিটি রোগীর শরীরের জন্য আলাদাভাবে তৈরি হয়। অনেক সময় শেষ পর্যায়ের ক্যানসার রোগীরা শোনেন—তাদের জন্য সব চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু টিআইএল থেরাপি তাদের জন্য নতুন এক সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেই টি-সেলগুলোকে শক্তিশালী করছি, যেগুলো ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট ক্যানসার কোষ চিনে ফেলেছে। বিশ্বের অনেক দেশে ব্যর্থ চিকিৎসার পরও এই থেরাপি টিউমার সংকুচিত করতে সফল হয়েছে। আমরা চাই, এই সম্ভাবনাটি এখানকার রোগীরাও পান।’
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই থেরাপি বর্তমানে মেলানোমা, ফুসফুস, জরায়ুমুখ ও মাথা-ঘাড়ের ক্যানসারের মতো জটিল টিউমারে আশার আলো জ্বালাচ্ছে। কেন্দ্রটির প্রধান নির্বাহী প্রফেসর ইয়েন্দ্রি ভেনচুরা জানিয়েছেন, এখন থেকে রোগীদের আর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে না—দেশেই তারা পাবেন সর্বাধুনিক ইমিউনোথেরাপির সুবিধা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সম্প্রতি তারা টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিরাময়ের লক্ষ্যে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় ও রিজ নেফ্রো গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। প্রফেসর ভেনচুরা বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা এমন এক চিকিৎসা তৈরি করতে পারব, যা শুধু স্টেম সেল নয়—মানব অগ্ন্যাশয় পুনর্গঠন করতেও সক্ষম হবে।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। আমিরাতের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়ামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকেরা প্রথমবারের মতো দেশটিতে স্তন ও ফুসফুসের ক্যানসার থেকে ‘টিউমার-ইনফিলট্রেটিং লিম্ফোসাইটস’ (টিআইএল) আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন।
এই পদ্ধতিতে রোগীর শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধী কোষকে ব্যবহার করে ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়। সাধারণ কেমোথেরাপি যেমন সুস্থ কোষ ও ক্যানসার কোষ উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে, সেখানে টিআইএল থেরাপি ক্যানসার কোষকে নির্দিষ্টভাবে টার্গেট করে ধ্বংস করে। প্রক্রিয়াটি হলো—রোগীর টিউমার থেকে রোগপ্রতিরোধী কোষ সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে তাদের সংখ্যা ও শক্তি বাড়ানো, তারপর তা রোগীর শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া।
আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টার এখন এই প্রযুক্তির উন্নয়নে দেশের প্রথম বিশেষায়িত কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে। কেন্দ্রটির প্রধান বিজ্ঞানী ড. জায়মা মাজোরা হেরেরা বলেন, ‘এটি এক ধরনের জীবন্ত থেরাপি, যা প্রতিটি রোগীর শরীরের জন্য আলাদাভাবে তৈরি হয়। অনেক সময় শেষ পর্যায়ের ক্যানসার রোগীরা শোনেন—তাদের জন্য সব চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু টিআইএল থেরাপি তাদের জন্য নতুন এক সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেই টি-সেলগুলোকে শক্তিশালী করছি, যেগুলো ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট ক্যানসার কোষ চিনে ফেলেছে। বিশ্বের অনেক দেশে ব্যর্থ চিকিৎসার পরও এই থেরাপি টিউমার সংকুচিত করতে সফল হয়েছে। আমরা চাই, এই সম্ভাবনাটি এখানকার রোগীরাও পান।’
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই থেরাপি বর্তমানে মেলানোমা, ফুসফুস, জরায়ুমুখ ও মাথা-ঘাড়ের ক্যানসারের মতো জটিল টিউমারে আশার আলো জ্বালাচ্ছে। কেন্দ্রটির প্রধান নির্বাহী প্রফেসর ইয়েন্দ্রি ভেনচুরা জানিয়েছেন, এখন থেকে রোগীদের আর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে না—দেশেই তারা পাবেন সর্বাধুনিক ইমিউনোথেরাপির সুবিধা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সম্প্রতি তারা টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিরাময়ের লক্ষ্যে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় ও রিজ নেফ্রো গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। প্রফেসর ভেনচুরা বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা এমন এক চিকিৎসা তৈরি করতে পারব, যা শুধু স্টেম সেল নয়—মানব অগ্ন্যাশয় পুনর্গঠন করতেও সক্ষম হবে।’

যখন ডিপ্রেশনে থাকি, তখন আমার মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। মিষ্টিসহ সব ধরনের মিষ্টি খাবার খেতে থাকি। একটা লম্বা সময় ধরে মানসিক চাপে আছি, কিন্তু রাতে বেঘোরে ঘুমাই। অনেক আগে ঘুমের সমস্যাও ছিল
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।
৬ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯২৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৩৪৫, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯৪, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২০, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৬, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৬, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৩, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৭৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৯ হাজার ৩৫৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও অপরজন নারী। তাঁদের মধ্যে দুজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও আরও একজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ২৩, ৩২ ও ৫০ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯২২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৬ হাজার ২৩৪ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯২৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৩৪৫, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯৪, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২০, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৬, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৬, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৩, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৭৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৯ হাজার ৩৫৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও অপরজন নারী। তাঁদের মধ্যে দুজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও আরও একজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ২৩, ৩২ ও ৫০ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯২২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৬ হাজার ২৩৪ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

যখন ডিপ্রেশনে থাকি, তখন আমার মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। মিষ্টিসহ সব ধরনের মিষ্টি খাবার খেতে থাকি। একটা লম্বা সময় ধরে মানসিক চাপে আছি, কিন্তু রাতে বেঘোরে ঘুমাই। অনেক আগে ঘুমের সমস্যাও ছিল
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাইওয়ানের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে—অন্য ঘরে ঘুমানো সব সময় সম্পর্কের জন্য ভালো নয়, বরং এটি মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) ফক্স নিউজ জানিয়েছে, তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে ৮৬০ জন বয়স্ক দম্পতিকে নিয়ে করা ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা সুখ, জীবনে সন্তুষ্টি ও পরিপূর্ণতার মতো মানসিক সূচকের সঙ্গে ঘুমের ধরন ও অবস্থানের সম্পর্ক খুঁজে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়—যেসব দম্পতি আলাদা ঘরে ঘুমান, তাঁদের মানসিক সুস্থতা তুলনামূলকভাবে খারাপ।
গবেষকদের মতে, বয়সে প্রবীণ দম্পতিদের ক্ষেত্রে একসঙ্গে থাকা বা একই বাড়িতে বসবাসের চেয়ে একই বিছানা ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ভাষায়—ঘুমানোর জায়গা ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক উপাদান’ যা দাম্পত্য সম্পর্কের সামগ্রিক সুখকে প্রভাবিত করে।
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের র্যান্ড করপোরেশনের ঘুম-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়েন্ডি ট্রোক্সেলের দ্বারস্থ হয়েছিল ফক্স নিউজ। ট্রোক্সেল বলেন, ‘ঘুমের ধরন ও সম্পর্কের মানসিক ঘনিষ্ঠতার মধ্যে গভীর যোগসূত্র রয়েছে।’ তিনি জানান, আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত অনেক সময় মানসিক দূরত্ব বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যও হতে পারে। তবে এটি কারণ নাকি ফলাফল, তা স্পষ্ট নয়।
ট্রোক্সেল আরও বলেন, ‘বয়স্কদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই অনিদ্রা বা ঘুমে বিঘ্নের সমস্যা থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমও হালকা হয়, রাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং গভীর ঘুমের পরিমাণ কমে। পাশাপাশি একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ ঘুমের মান আরও খারাপ করে, যা আবার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়—এ যেন এক অবিরাম চক্র।’
ড. ট্রোক্সেল মনে করেন, ঘুমের ধরন নির্ধারণের জন্য একক কোনো সূত্র নেই। কারও জন্য একসঙ্গে ঘুমানো নিরাপত্তা ও ঘনিষ্ঠতার প্রতীক, আবার কারও জন্য আলাদা ঘুমানোই স্বাস্থ্যকর। গুরুত্বপূর্ণ হলো—দম্পতিদের খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
তাঁর মতে, একসঙ্গে ঘুমানো বা জড়িয়ে শোওয়া শরীরে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়ায়, স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমকে গভীর করে। তবে নাক ডাকা, বিছানায় নড়াচড়া বা শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কারও ঘুম ব্যাহত হলে, তা সম্পর্কের মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট করতে পারে।
ট্রোক্সেল তাই উপদেশ দিয়েছেন, যেসব দম্পতি আলাদা ঘুমান, তাঁরা ঘুমানোর আগে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন—আলাপ, হাসি বা একসঙ্গে বই পড়ার মাধ্যমে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা সম্ভব।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ঘুমের ধরন সেটাই, যা একসঙ্গে মানসম্মত ঘুম, আবেগের সংযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি সুখ নিশ্চিত করে।’

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাইওয়ানের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে—অন্য ঘরে ঘুমানো সব সময় সম্পর্কের জন্য ভালো নয়, বরং এটি মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) ফক্স নিউজ জানিয়েছে, তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে ৮৬০ জন বয়স্ক দম্পতিকে নিয়ে করা ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা সুখ, জীবনে সন্তুষ্টি ও পরিপূর্ণতার মতো মানসিক সূচকের সঙ্গে ঘুমের ধরন ও অবস্থানের সম্পর্ক খুঁজে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়—যেসব দম্পতি আলাদা ঘরে ঘুমান, তাঁদের মানসিক সুস্থতা তুলনামূলকভাবে খারাপ।
গবেষকদের মতে, বয়সে প্রবীণ দম্পতিদের ক্ষেত্রে একসঙ্গে থাকা বা একই বাড়িতে বসবাসের চেয়ে একই বিছানা ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ভাষায়—ঘুমানোর জায়গা ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক উপাদান’ যা দাম্পত্য সম্পর্কের সামগ্রিক সুখকে প্রভাবিত করে।
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের র্যান্ড করপোরেশনের ঘুম-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়েন্ডি ট্রোক্সেলের দ্বারস্থ হয়েছিল ফক্স নিউজ। ট্রোক্সেল বলেন, ‘ঘুমের ধরন ও সম্পর্কের মানসিক ঘনিষ্ঠতার মধ্যে গভীর যোগসূত্র রয়েছে।’ তিনি জানান, আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত অনেক সময় মানসিক দূরত্ব বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যও হতে পারে। তবে এটি কারণ নাকি ফলাফল, তা স্পষ্ট নয়।
ট্রোক্সেল আরও বলেন, ‘বয়স্কদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই অনিদ্রা বা ঘুমে বিঘ্নের সমস্যা থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমও হালকা হয়, রাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং গভীর ঘুমের পরিমাণ কমে। পাশাপাশি একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ ঘুমের মান আরও খারাপ করে, যা আবার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়—এ যেন এক অবিরাম চক্র।’
ড. ট্রোক্সেল মনে করেন, ঘুমের ধরন নির্ধারণের জন্য একক কোনো সূত্র নেই। কারও জন্য একসঙ্গে ঘুমানো নিরাপত্তা ও ঘনিষ্ঠতার প্রতীক, আবার কারও জন্য আলাদা ঘুমানোই স্বাস্থ্যকর। গুরুত্বপূর্ণ হলো—দম্পতিদের খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
তাঁর মতে, একসঙ্গে ঘুমানো বা জড়িয়ে শোওয়া শরীরে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়ায়, স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমকে গভীর করে। তবে নাক ডাকা, বিছানায় নড়াচড়া বা শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কারও ঘুম ব্যাহত হলে, তা সম্পর্কের মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট করতে পারে।
ট্রোক্সেল তাই উপদেশ দিয়েছেন, যেসব দম্পতি আলাদা ঘুমান, তাঁরা ঘুমানোর আগে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন—আলাপ, হাসি বা একসঙ্গে বই পড়ার মাধ্যমে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা সম্ভব।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ঘুমের ধরন সেটাই, যা একসঙ্গে মানসম্মত ঘুম, আবেগের সংযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি সুখ নিশ্চিত করে।’

যখন ডিপ্রেশনে থাকি, তখন আমার মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। মিষ্টিসহ সব ধরনের মিষ্টি খাবার খেতে থাকি। একটা লম্বা সময় ধরে মানসিক চাপে আছি, কিন্তু রাতে বেঘোরে ঘুমাই। অনেক আগে ঘুমের সমস্যাও ছিল
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।
৬ ঘণ্টা আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

যখন ডিপ্রেশনে থাকি, তখন আমার মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। মিষ্টিসহ সব ধরনের মিষ্টি খাবার খেতে থাকি। একটা লম্বা সময় ধরে মানসিক চাপে আছি, কিন্তু রাতে বেঘোরে ঘুমাই। অনেক আগে ঘুমের সমস্যাও ছিল
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।
৬ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগে