ডা. শুভাগত চৌধুরী
জানেন, হাসি হচ্ছে অসুখের বড় দাওয়াই। এর সপক্ষে অনেক অনেক গবেষণা ফলাফল আছে।
দেখা গেছে, হাসলে শরীর আর মন—দুটোরই উপকার হয়। হাসিখুশি থাকলে আমাদের সারা শরীরে রক্ত চলাচলের গতি বাড়ে। শরীরের রক্তনালিগুলো প্রসারিত হতে শুরু করে। ফলে ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ দ্রুত কমতে থাকে। তাই যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার দাওয়াই হলো প্রাণখোলা হাসি। প্রতিদিন হাসলে শারীরিক ও মানসিক উপকার পাওয়া যায়।
শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা
হাসলে ও প্রাণবন্ত থাকলে স্ট্রেস হরমোন করটিসল নিঃসরণ কমে। এ ছাড়া বিষণ্নতা রোধে উপকারী সেরোটোনিন এবং মন ভালো করার নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিন বাড়ে। এখানেই শেষ নয়, হাসলে এন্ডোরফিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই হরমোন ব্যথা উপশমে ভূমিকা রাখে।
২০১১ সালে একটি গবেষণায় বিভিন্ন ব্যথায় ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণকারীকে হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র দেখানো হয়। যাঁরা চলচ্চিত্র দেখেছিলেন, তাঁদের ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা ছিল বেশি। আরেকটি গবেষণায়, এক দল ব্রাজিলিয়ান ও একদল কানাডিয়ান গবেষক বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত শিশুদের ওপর একটি পরীক্ষা চালান। ব্যথা, বেদনা ও মানসিক চাপে ভোগা শিশুদের সামনে হাসপাতালে ক্লাউন দাঁড় করানো হয়। শিশুরা ক্লাউনদের দেখে ব্যথা ভুলে যায় এবং চিকিৎসা চলাকালে তেমন কান্নাকাটি করেনি।
হাসিখুশি থাকলে মন ভালো থাকে—এ কথা আমরা সবাই জানি। পাশাপাশি হাসলে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমে। জোরে হাসলে শরীরের বিভিন্ন চাপ কমে শরীর শিথিল থাকে প্রায় ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। হাসি উজ্জীবিত করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। সুরক্ষিত থাকে হৃদ্যন্ত্র।
জেনে রাখা ভালো, হাসিখুশি থেকে আপনি শরীরের ক্যালরি পোড়াতে পারেন। দিনে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাসলে পোড়ে ৪৫ ক্যালরি। আপনি যদি হাসিখুশি থাকেন, তাহলে জমে থাকা রাগ, আক্রোশ ও দ্বন্দ্ব কমবে। বাড়বে আয়ু।
টিপস
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
জানেন, হাসি হচ্ছে অসুখের বড় দাওয়াই। এর সপক্ষে অনেক অনেক গবেষণা ফলাফল আছে।
দেখা গেছে, হাসলে শরীর আর মন—দুটোরই উপকার হয়। হাসিখুশি থাকলে আমাদের সারা শরীরে রক্ত চলাচলের গতি বাড়ে। শরীরের রক্তনালিগুলো প্রসারিত হতে শুরু করে। ফলে ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ দ্রুত কমতে থাকে। তাই যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার দাওয়াই হলো প্রাণখোলা হাসি। প্রতিদিন হাসলে শারীরিক ও মানসিক উপকার পাওয়া যায়।
শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা
হাসলে ও প্রাণবন্ত থাকলে স্ট্রেস হরমোন করটিসল নিঃসরণ কমে। এ ছাড়া বিষণ্নতা রোধে উপকারী সেরোটোনিন এবং মন ভালো করার নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিন বাড়ে। এখানেই শেষ নয়, হাসলে এন্ডোরফিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই হরমোন ব্যথা উপশমে ভূমিকা রাখে।
২০১১ সালে একটি গবেষণায় বিভিন্ন ব্যথায় ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণকারীকে হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র দেখানো হয়। যাঁরা চলচ্চিত্র দেখেছিলেন, তাঁদের ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা ছিল বেশি। আরেকটি গবেষণায়, এক দল ব্রাজিলিয়ান ও একদল কানাডিয়ান গবেষক বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত শিশুদের ওপর একটি পরীক্ষা চালান। ব্যথা, বেদনা ও মানসিক চাপে ভোগা শিশুদের সামনে হাসপাতালে ক্লাউন দাঁড় করানো হয়। শিশুরা ক্লাউনদের দেখে ব্যথা ভুলে যায় এবং চিকিৎসা চলাকালে তেমন কান্নাকাটি করেনি।
হাসিখুশি থাকলে মন ভালো থাকে—এ কথা আমরা সবাই জানি। পাশাপাশি হাসলে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমে। জোরে হাসলে শরীরের বিভিন্ন চাপ কমে শরীর শিথিল থাকে প্রায় ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। হাসি উজ্জীবিত করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। সুরক্ষিত থাকে হৃদ্যন্ত্র।
জেনে রাখা ভালো, হাসিখুশি থেকে আপনি শরীরের ক্যালরি পোড়াতে পারেন। দিনে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাসলে পোড়ে ৪৫ ক্যালরি। আপনি যদি হাসিখুশি থাকেন, তাহলে জমে থাকা রাগ, আক্রোশ ও দ্বন্দ্ব কমবে। বাড়বে আয়ু।
টিপস
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২ দিন আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
২ দিন আগে