লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ
মূলত হাড়, দাঁত ও মাংসপেশির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ‘ডি’। ক্যানসার প্রতিরোধ, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, মাল্টিপল স্কেলেরোসিসসহ আরও কিছু রোগ প্রতিরোধে এর বেশ ভূমিকা রয়েছে।
ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি সাহায্য করে। এ ছাড়া এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতার জন্য যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রধান উৎস সূর্যালোক
ভিটামিন ‘ডি’র প্রধান উৎস সূর্যের আলো। রৌদ্রস্নান তাই খুব দরকারি। এ ছাড়া কলিজা, ডিমের কুসুম, দুধ ও দুধজাত খাদ্য, সামুদ্রিক মাছের তেল, সামুদ্রিক মাছ, কিছু মাশরুম, কমলার শরবত, সাপ্লিমেন্টারি ইত্যাদিতে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
সূর্যরশ্মির পরশ দেহে লাগলে ত্বকের নিচে তৈরি হয় ভিটামিন ‘ডি’র প্রাথমিক যৌগ। সাধারণত ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ ভিটামিন ডি তৈরি হয় সূর্যালোক থেকে।
সূর্যস্নান করুন সরাসরি
ভিটামিন ‘ডি’ কাচ ভেদ করে দেহে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে কাচের জানালা গলে নেমে আসা সূর্যরশ্মিতে স্নান করে লাভ নেই। আবার সূর্যস্নানের জন্য সমুদ্রসৈকতেও শুয়ে থাকার দরকার নেই। দরকার শুধু পর্যাপ্ত সূর্যালোক সরাসরি দেহে লাগানোর ব্যবস্থা করা। তবে পাহাড়ের চূড়ায় ভিটামিন ‘ডি’ বেশি থাকে বলে জানা গেছে।
গ্রীষ্মের রোদ বেশি ভালো
গ্রীষ্মের রোদ যতটা ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করে, শীতের রোদ ততটা পারে না। সে জন্য গ্রীষ্মের রোদে ১৫ মিনিট থেকে ঘণ্টা দুয়েক হিসাবে সপ্তাহে দুই দিন দেহে রোদ লাগালে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ মিলবে। রোদে যেতে
হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে। তবে ঠিক কত সময় এই ত্বকের কারখানায় ভিটামিন তৈরি হবে, তা নির্ভর করে ব্যক্তির অবস্থান, ঋতুভেদ, দিনের কোন অংশের আলো, আকাশের অবস্থা, বায়ুদূষণ, ত্বকের তারতম্যসহ অনেক কিছুর ওপর।
দরকার নির্মল পরিবেশ
দূষিত বায়ু ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে পারে না। বায়ুদূষণের কারণে অতিবেগুনি রশ্মি-বি বায়ুতে শোষিত হয়। যেসব জায়গায় বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি, সেখানকার মানুষের ত্বক ভিটামিন তৈরিতে বাধা পায়। তাই বসবাসের পরিবেশ যেন দূষিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
সবাই করুন রৌদ্রস্নান
যাঁরা বিভিন্ন কারণে বাইরে বের হন কম কিংবা বেরোলেও পোশাকে সর্বাঙ্গ ঢেকে রাখেন, তাঁদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। বাইরে বেরোতে যাঁরা নিয়মিত সান-ব্লক ক্রিম ব্যবহার করেন, কালো চামড়া যাঁদের প্রকৃতিপ্রদত্ত, যাঁরা মুটিয়ে বা বুড়িয়ে গেছেন কিংবা সূর্যালোক পরিহার করে চলেন, তাঁদেরও এ ভিটামিন ঘাটতির আশঙ্কা বেশি।
সব বয়সের মানুষকে রোদে আসতে হবে ভিটামিন ‘ডি’ পেতে। তবে সত্তরোর্ধ্ব বয়সী ভাঁজ পড়া ত্বক অনেক সময় লাগায় ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে। সে জন্য বয়স্ক মানুষকে ভিটামিন ‘ডি’র জন্য খানিকটা বেশিক্ষণ রাখতে হবে সূর্যস্নানে। আর তাঁদেরই বেশি দরকার এই ভিটামিন।
সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন ও হরমোন বিশেষজ্ঞ, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকা
মূলত হাড়, দাঁত ও মাংসপেশির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ‘ডি’। ক্যানসার প্রতিরোধ, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, মাল্টিপল স্কেলেরোসিসসহ আরও কিছু রোগ প্রতিরোধে এর বেশ ভূমিকা রয়েছে।
ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি সাহায্য করে। এ ছাড়া এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতার জন্য যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রধান উৎস সূর্যালোক
ভিটামিন ‘ডি’র প্রধান উৎস সূর্যের আলো। রৌদ্রস্নান তাই খুব দরকারি। এ ছাড়া কলিজা, ডিমের কুসুম, দুধ ও দুধজাত খাদ্য, সামুদ্রিক মাছের তেল, সামুদ্রিক মাছ, কিছু মাশরুম, কমলার শরবত, সাপ্লিমেন্টারি ইত্যাদিতে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
সূর্যরশ্মির পরশ দেহে লাগলে ত্বকের নিচে তৈরি হয় ভিটামিন ‘ডি’র প্রাথমিক যৌগ। সাধারণত ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ ভিটামিন ডি তৈরি হয় সূর্যালোক থেকে।
সূর্যস্নান করুন সরাসরি
ভিটামিন ‘ডি’ কাচ ভেদ করে দেহে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে কাচের জানালা গলে নেমে আসা সূর্যরশ্মিতে স্নান করে লাভ নেই। আবার সূর্যস্নানের জন্য সমুদ্রসৈকতেও শুয়ে থাকার দরকার নেই। দরকার শুধু পর্যাপ্ত সূর্যালোক সরাসরি দেহে লাগানোর ব্যবস্থা করা। তবে পাহাড়ের চূড়ায় ভিটামিন ‘ডি’ বেশি থাকে বলে জানা গেছে।
গ্রীষ্মের রোদ বেশি ভালো
গ্রীষ্মের রোদ যতটা ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করে, শীতের রোদ ততটা পারে না। সে জন্য গ্রীষ্মের রোদে ১৫ মিনিট থেকে ঘণ্টা দুয়েক হিসাবে সপ্তাহে দুই দিন দেহে রোদ লাগালে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ মিলবে। রোদে যেতে
হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে। তবে ঠিক কত সময় এই ত্বকের কারখানায় ভিটামিন তৈরি হবে, তা নির্ভর করে ব্যক্তির অবস্থান, ঋতুভেদ, দিনের কোন অংশের আলো, আকাশের অবস্থা, বায়ুদূষণ, ত্বকের তারতম্যসহ অনেক কিছুর ওপর।
দরকার নির্মল পরিবেশ
দূষিত বায়ু ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে পারে না। বায়ুদূষণের কারণে অতিবেগুনি রশ্মি-বি বায়ুতে শোষিত হয়। যেসব জায়গায় বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি, সেখানকার মানুষের ত্বক ভিটামিন তৈরিতে বাধা পায়। তাই বসবাসের পরিবেশ যেন দূষিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
সবাই করুন রৌদ্রস্নান
যাঁরা বিভিন্ন কারণে বাইরে বের হন কম কিংবা বেরোলেও পোশাকে সর্বাঙ্গ ঢেকে রাখেন, তাঁদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। বাইরে বেরোতে যাঁরা নিয়মিত সান-ব্লক ক্রিম ব্যবহার করেন, কালো চামড়া যাঁদের প্রকৃতিপ্রদত্ত, যাঁরা মুটিয়ে বা বুড়িয়ে গেছেন কিংবা সূর্যালোক পরিহার করে চলেন, তাঁদেরও এ ভিটামিন ঘাটতির আশঙ্কা বেশি।
সব বয়সের মানুষকে রোদে আসতে হবে ভিটামিন ‘ডি’ পেতে। তবে সত্তরোর্ধ্ব বয়সী ভাঁজ পড়া ত্বক অনেক সময় লাগায় ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে। সে জন্য বয়স্ক মানুষকে ভিটামিন ‘ডি’র জন্য খানিকটা বেশিক্ষণ রাখতে হবে সূর্যস্নানে। আর তাঁদেরই বেশি দরকার এই ভিটামিন।
সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন ও হরমোন বিশেষজ্ঞ, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকা
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২ দিন আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
২ দিন আগে