ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী
টনসিল একধরনের লসিকাগ্রন্থি বা লিম্ফয়েড টিস্যু। এতে কোনো ধরনের সংক্রমণ বা প্রদাহ হলে আমরা এটাকে টনসিলাইটিস বলি। মানবদেহে গলার ভেতরে দুই পাশে এক জোড়া প্যালাটাইন টনসিল থাকে। টনসিলের প্রদাহ বলতে আমরা এর সংক্রমণকেই বুঝে থাকি।
টনসিলের সংক্রমণ একটি সাধারণ স্বাস্থ্য-সমস্যা। টনসিলাইটিস সাধারণত ৩ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে বড়দের ক্ষেত্রেও এ সমস্যা দেখা যায়।
টনসিলের অপারেশন জীবন রক্ষাকারী জরুরি কোনো অপারেশন নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন করাটা জরুরি হয়ে পড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় অভিভাবকেরা জানতে চান, এই অপারেশনের ফলে সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে কি না? উত্তরটা হলো, যে টনসিল দূষিত, ওষুধে ভালো হচ্ছে না, সেই দূষিত অথবা অতিরিক্ত বড় টনসিল ফেলে দিলে কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ গলায় এবং ঘাড়ে আরও অনেক লসিকাগ্রন্থি আছে, যেগুলো রোগ প্রতিরোধে কাজ করবে পরবর্তী সময়ে।
কাদের ও কখন টনসিল অপারেশন করাতে হবে
৪ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে বারবার সর্দি-
কাশি-গলাব্যথা হলে গলার ভেতর টনসিল এবং নাকের পেছনের টনসিল অ্যাডিনয়েড ফুলে যায়। সাধারণত টনসিল একটু বড় হয়ে গেলে সেটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু যদি সে কারণে শিশুর খাবার খেতে বা গিলতে কষ্ট হয়, মুখ দিয়ে লালা বের হয়, গলাব্যথার সঙ্গে ঘনঘন জ্বর হয়, রাতে ঘুমের ভেতর শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, তাহলে এটা শিশুর অনেক ক্ষতি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজন হলে অপারেশন করিয়ে নেওয়া উচিত।
এক পাশের টনসিল অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে গেলে, টনসিলের গায়ে সন্দেহজনক ক্ষত দেখা গেলে অপারেশন করে বায়োপসি পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যানসার আছে কি না, নিশ্চিত করার জন্য টনসিল অপারেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
টনসিল বিষয়ে কোনো ধরনের সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধের মাধ্যমে যদি সমাধান না হয়, তবে অপারেশন করানো ভালো এবং নিরাপদ।
ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী, এফসিপিএস (ইএনটি), নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
টনসিল একধরনের লসিকাগ্রন্থি বা লিম্ফয়েড টিস্যু। এতে কোনো ধরনের সংক্রমণ বা প্রদাহ হলে আমরা এটাকে টনসিলাইটিস বলি। মানবদেহে গলার ভেতরে দুই পাশে এক জোড়া প্যালাটাইন টনসিল থাকে। টনসিলের প্রদাহ বলতে আমরা এর সংক্রমণকেই বুঝে থাকি।
টনসিলের সংক্রমণ একটি সাধারণ স্বাস্থ্য-সমস্যা। টনসিলাইটিস সাধারণত ৩ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে বড়দের ক্ষেত্রেও এ সমস্যা দেখা যায়।
টনসিলের অপারেশন জীবন রক্ষাকারী জরুরি কোনো অপারেশন নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন করাটা জরুরি হয়ে পড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় অভিভাবকেরা জানতে চান, এই অপারেশনের ফলে সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে কি না? উত্তরটা হলো, যে টনসিল দূষিত, ওষুধে ভালো হচ্ছে না, সেই দূষিত অথবা অতিরিক্ত বড় টনসিল ফেলে দিলে কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ গলায় এবং ঘাড়ে আরও অনেক লসিকাগ্রন্থি আছে, যেগুলো রোগ প্রতিরোধে কাজ করবে পরবর্তী সময়ে।
কাদের ও কখন টনসিল অপারেশন করাতে হবে
৪ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে বারবার সর্দি-
কাশি-গলাব্যথা হলে গলার ভেতর টনসিল এবং নাকের পেছনের টনসিল অ্যাডিনয়েড ফুলে যায়। সাধারণত টনসিল একটু বড় হয়ে গেলে সেটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু যদি সে কারণে শিশুর খাবার খেতে বা গিলতে কষ্ট হয়, মুখ দিয়ে লালা বের হয়, গলাব্যথার সঙ্গে ঘনঘন জ্বর হয়, রাতে ঘুমের ভেতর শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, তাহলে এটা শিশুর অনেক ক্ষতি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজন হলে অপারেশন করিয়ে নেওয়া উচিত।
এক পাশের টনসিল অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে গেলে, টনসিলের গায়ে সন্দেহজনক ক্ষত দেখা গেলে অপারেশন করে বায়োপসি পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যানসার আছে কি না, নিশ্চিত করার জন্য টনসিল অপারেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
টনসিল বিষয়ে কোনো ধরনের সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধের মাধ্যমে যদি সমাধান না হয়, তবে অপারেশন করানো ভালো এবং নিরাপদ।
ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী, এফসিপিএস (ইএনটি), নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২০৯ জন রোগী।
২ ঘণ্টা আগেযেকোনো অপারেশনের আগে রোগী ও তাঁর আত্মীয়স্বজনের মধ্যে ভয় বা দুশ্চিন্তা কাজ করে। এই ভয় অমূলকও নয়। কারণ, অপারেশন মানেই কাটাছেঁড়া, অজ্ঞান থেকে জ্ঞান ফিরবে কি না, সে চিন্তা মাথায় কাজ করে। তা ছাড়া অপারেশনের ক্ষেত্রে অ্যানেসথেসিয়ার বিষয়ে জানাশোনা ও সতর্কতার স্পষ্ট ধারণা থাকে না বেশির ভাগ মানুষের।
১১ ঘণ্টা আগেডায়াবেটিসের কারণে আপনার মুখ ও দাঁতে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা; যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি শুধু হার্ট, কিডনি অথবা চোখেরই ক্ষতি করে না, বরং দাঁত ও মাড়ির ওপরও ফেলতে পারে মারাত্মক প্রভাব।
১২ ঘণ্টা আগেআপনি সুস্থ অবস্থায় রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হওয়ার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছেন। দেখলেন, মুখটা একদিকে বেঁকে গেছে। চোখ পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না। মুখে পানি নিয়ে ঠিকমতো কুলি করতে পারছেন না। এমন সমস্যা অনেকের দেখা দেয়। এই সমস্যাই আসলে বেলস পালসি বা ফেশিয়াল পালসি।
১৩ ঘণ্টা আগে