ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু
মাথাব্যথা হয়নি এমন লোক খুব কমই আছেন। কারও মাথাটা একটু ধরে, কারও তীব্র মাথাব্যথা করে। মাথাব্যথার কিন্তু অনেক কারণ আছে। আমরা মনে করি, মাথাব্যথা হলেই বুঝি মস্তিষ্কে মারাত্মক কিছু হয়েছে। মনে করি, মস্তিষ্কে টিউমার হলো কি না। আসলে কিন্তু তা নয়। বেশির ভাগ মাথাব্যথার কারণ এত গুরুতর নয়।
প্রকারভেদ অনুযায়ী মাথাব্যথা প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি—এ দুই ভাগে বিভক্ত। প্রাইমারি মানে, যে ব্যথার কোনো কারণ জানা যায় না। এটার ভাগই বেশি। এ ধরনের মাথাব্যথার মধ্যে আছে টেনশন টাইপ মাথাব্যথা, মাইগ্রেনসহ আরও কয়েক প্রকারের ব্যথা। আবার আমরা মনে করি, মাথাব্যথা মানেই বুঝি মাইগ্রেন। তা-ও কিন্তু নয়। মাথাব্যথার ৮৫ শতাংশ কারণ টেনশন টাইপের। খুব অল্প পরিমাণের মাথাব্যথার কারণ থাকে, যেমন মস্তিষ্কের টিউমার, সাইনোসাইটিস, দাঁতের সমস্যা, মেনিনজাইটিস, স্ট্রোক ইত্যাদি।
কাজেই মাথাব্যথা মানেই টিউমার নয়, মাইগ্রেনও নয়। টেনশন টাইপ মাথাব্যথা হলে বোঝার কিছু উপায় আছে। যেমন মাথাব্যথা খুব তীব্র হয় না এবং মাথার দুই পাশে ব্যথা করে। অবশ্য মাথাব্যথার চেয়ে মাথা ধরার সমস্যা বেশি হয়। এমন মাথাব্যথায় সাধারণত বমি হয় না।
মাইগ্রেন হলে মাথার এক পাশে তীব্র ব্যথা হয়। এ ধরনের মাথাব্যথা সাধারণত চার ঘণ্টার বেশি থাকে। ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব থাকে। মাথাব্যথা শুরু হলে শব্দ শুনলে, আলো দেখলে খারাপ লাগা বেশি হয়। অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমালে ব্যথা কমে আসে।
খারাপ ধরনের মাথাব্যথা হলে সেই ব্যথা সাধারণত দিনের বেশির ভাগ সময় থাকে। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠলে, হাঁচি-কাশি, মলত্যাগ বা সামনে ঝুঁকলে বেশি হতে পারে। এর সঙ্গে নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, যেমন হাত-পা অবশ, কথায় জড়তা, অস্বাভাবিক আচরণ, চোখে কম দেখার সমস্যা বা একটি জিনিস দুটি দেখা, খিঁচুনি হতে পারে। এ ছাড়া মাথাব্যথা তীব্র হতে পারে, যা আগে কখনোই হয়নি। এমনটা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে মস্তিষ্কের পরীক্ষা করাতে হবে।
মাথাব্যথা হলে ভয় পাবেন না। একজন নিউরোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন আপনার মাথাব্যথা কোন ধরনের।
এরপর তিনি আপনার মাথাব্যথার ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা দেবেন। খারাপ ধরনের মাথাব্যথা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। আর যদি প্রাইমারি মাথাব্যথা হয়, তাহলেও তিনি ওষুধ প্রেসক্রাইব করবেন। একটি কথা মনে রাখবেন, মাথাব্যথা হলে ওষুধ কিন্তু অনেক দিন খেতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষে তা ৬ থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত হতে পারে। অনেকে কিছুদিন পর একটু ভালো লাগা শুরু হলে ওষুধ সেবন বন্ধ করে দেন। এতে করে কিছুদিন পর আবার মাথাব্যথা দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করুন।
লেখক: নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
মাথাব্যথা হয়নি এমন লোক খুব কমই আছেন। কারও মাথাটা একটু ধরে, কারও তীব্র মাথাব্যথা করে। মাথাব্যথার কিন্তু অনেক কারণ আছে। আমরা মনে করি, মাথাব্যথা হলেই বুঝি মস্তিষ্কে মারাত্মক কিছু হয়েছে। মনে করি, মস্তিষ্কে টিউমার হলো কি না। আসলে কিন্তু তা নয়। বেশির ভাগ মাথাব্যথার কারণ এত গুরুতর নয়।
প্রকারভেদ অনুযায়ী মাথাব্যথা প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি—এ দুই ভাগে বিভক্ত। প্রাইমারি মানে, যে ব্যথার কোনো কারণ জানা যায় না। এটার ভাগই বেশি। এ ধরনের মাথাব্যথার মধ্যে আছে টেনশন টাইপ মাথাব্যথা, মাইগ্রেনসহ আরও কয়েক প্রকারের ব্যথা। আবার আমরা মনে করি, মাথাব্যথা মানেই বুঝি মাইগ্রেন। তা-ও কিন্তু নয়। মাথাব্যথার ৮৫ শতাংশ কারণ টেনশন টাইপের। খুব অল্প পরিমাণের মাথাব্যথার কারণ থাকে, যেমন মস্তিষ্কের টিউমার, সাইনোসাইটিস, দাঁতের সমস্যা, মেনিনজাইটিস, স্ট্রোক ইত্যাদি।
কাজেই মাথাব্যথা মানেই টিউমার নয়, মাইগ্রেনও নয়। টেনশন টাইপ মাথাব্যথা হলে বোঝার কিছু উপায় আছে। যেমন মাথাব্যথা খুব তীব্র হয় না এবং মাথার দুই পাশে ব্যথা করে। অবশ্য মাথাব্যথার চেয়ে মাথা ধরার সমস্যা বেশি হয়। এমন মাথাব্যথায় সাধারণত বমি হয় না।
মাইগ্রেন হলে মাথার এক পাশে তীব্র ব্যথা হয়। এ ধরনের মাথাব্যথা সাধারণত চার ঘণ্টার বেশি থাকে। ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব থাকে। মাথাব্যথা শুরু হলে শব্দ শুনলে, আলো দেখলে খারাপ লাগা বেশি হয়। অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমালে ব্যথা কমে আসে।
খারাপ ধরনের মাথাব্যথা হলে সেই ব্যথা সাধারণত দিনের বেশির ভাগ সময় থাকে। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠলে, হাঁচি-কাশি, মলত্যাগ বা সামনে ঝুঁকলে বেশি হতে পারে। এর সঙ্গে নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, যেমন হাত-পা অবশ, কথায় জড়তা, অস্বাভাবিক আচরণ, চোখে কম দেখার সমস্যা বা একটি জিনিস দুটি দেখা, খিঁচুনি হতে পারে। এ ছাড়া মাথাব্যথা তীব্র হতে পারে, যা আগে কখনোই হয়নি। এমনটা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে মস্তিষ্কের পরীক্ষা করাতে হবে।
মাথাব্যথা হলে ভয় পাবেন না। একজন নিউরোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন আপনার মাথাব্যথা কোন ধরনের।
এরপর তিনি আপনার মাথাব্যথার ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা দেবেন। খারাপ ধরনের মাথাব্যথা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। আর যদি প্রাইমারি মাথাব্যথা হয়, তাহলেও তিনি ওষুধ প্রেসক্রাইব করবেন। একটি কথা মনে রাখবেন, মাথাব্যথা হলে ওষুধ কিন্তু অনেক দিন খেতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষে তা ৬ থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত হতে পারে। অনেকে কিছুদিন পর একটু ভালো লাগা শুরু হলে ওষুধ সেবন বন্ধ করে দেন। এতে করে কিছুদিন পর আবার মাথাব্যথা দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করুন।
লেখক: নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
দেশের ৪১ জেলায় নতুন সিভিল সার্জন নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগাদান করবেন। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
১ দিন আগেবিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
১ দিন আগে২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
১ দিন আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
১ দিন আগে