অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ এশিয়ার কিশোরীদের মধ্যে অপুষ্টি একটি গুরুতর সমস্যা। বর্তমানে এ অঞ্চলে বসবাসরত কিশোরীর সংখ্যা ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি; যা বিশ্বের মোট কিশোরীর সংখ্যার এক–তৃতীয়াংশ।
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, বিশ্বে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত নারীদের ৪১ শতাংশই দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দা। ওজনস্বল্পতায় ভোগা কিশোরীদের মধ্যেও ৬৫ শতাংশের বাস এ অঞ্চলে।
দক্ষিণ এশিয়ার কিশোরীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার পর এ প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল। প্রতিবেদনে মধ্যমতে, এ অঞ্চলে ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কিশোরীদের মধ্যে অপুষ্টির হার ছিল ১৯ শতাংশ। রক্তস্বল্পতার হার ছিল এর কয়েকগুণ বেশি। ২০০০ সালে ৫১ শতাংশ কিশোরী ও নারী রক্তাল্পতায় ভুগছিলেন, ২০১৯ সালে যা ৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪৯ শতাংশে।
২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
গবেষণা বলছে এর মূল কারণ, খাদ্যাভ্যাস। ২০১৪ সালে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) একটি পুষ্টি নীতিমালা তৈরি করেছে। তবে, সেই নীতিমালা অনুযায়ী খাদ্যগ্রহণ করে না দক্ষিণ এশিয়ার ৫ দেশ—বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কার কিশোরীরা। এ ছাড়া, এসব দেশের বড় একটি অংশের খাদ্য পরিবেশ (খাবার তৈরি, পরিবেশ ও গ্রহণ) খুবই অস্বাস্থ্যকর। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশেই গ্রহণ করতে হয় খাবার। খাদ্য পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের যথাযথ নীতি না থাকাকে এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, টেলিভিশনে অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা, বাড়তি কর আরোপ এবং খাদ্য লেবেলিং নীতিতে কড়াকড়ি করলে খাদ্য পরিবেশের উন্নতি ঘটানো সম্ভব।
কিশোরী ও নারীদের অপুষ্টিতে ভোগার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানা বাধা। গবেষণায় উঠে এসেছে, লিঙ্গবৈষম্য এবং খাদ্যে প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গি মেয়েদের পুষ্টি ঘাটতির জন্য দায়ী। দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশেই দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের খাওয়ার পরে খাবার খায় নারীরা। খাদ্য উপাদানের মধ্যেও সবচেয়ে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার তুলে দেওয়া হয় পুরুষের পাতে এবং তুলনামূলক কম পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় কিশোরী ও নারীদের। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো—কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে ঋতুস্রাব চলাকালীন নারীদের পুষ্টিকর বিভিন্ন খাবার গ্রহণে বাধা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সরকারের মনোযোগের অভাবও অন্যতম একটি কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, কেন কিশোরীরা দুর্বল হয়ে পড়ছে বা অপুষ্টিতে ভুগছে তার কারণ খুঁজতে সরকারগুলোর মধ্যে অনীহা রয়েছে। সরকারগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য–উপাত্ত নেই। বেশির ভাগ দেশেই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ঘাটতি পরিমাপের ডেটা নেই।
তবে, সরকারের কিছু কিছু পদক্ষেপে কিশোরীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। ভারত ২০১৭ থেকে সরকারি স্কুলগুলোতে বিদ্যালয়ভিত্তিক পুষ্টি কর্মসূচি শুরু করেছে। পাকিস্তানে ৫০ হাজার কিশোরীকে পুষ্টি সহায়তা ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে; যা কিশোরীদের স্বাস্থ্য উন্নতিতে সফল হয়েছে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন স্কুলে টিফিন বা মিডডে মিল কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সর্বোপরি, কিশোরীদের অপুষ্টি দূর করতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি। নির্ভরযোগ্য ডেটা সংগ্রহ, কার্যকর নীতি বাস্তবায়ন এবং লিঙ্গভিত্তিক বাধা দূর করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে—এমনটাই গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার কিশোরীদের মধ্যে অপুষ্টি একটি গুরুতর সমস্যা। বর্তমানে এ অঞ্চলে বসবাসরত কিশোরীর সংখ্যা ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি; যা বিশ্বের মোট কিশোরীর সংখ্যার এক–তৃতীয়াংশ।
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, বিশ্বে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত নারীদের ৪১ শতাংশই দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দা। ওজনস্বল্পতায় ভোগা কিশোরীদের মধ্যেও ৬৫ শতাংশের বাস এ অঞ্চলে।
দক্ষিণ এশিয়ার কিশোরীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার পর এ প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল। প্রতিবেদনে মধ্যমতে, এ অঞ্চলে ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কিশোরীদের মধ্যে অপুষ্টির হার ছিল ১৯ শতাংশ। রক্তস্বল্পতার হার ছিল এর কয়েকগুণ বেশি। ২০০০ সালে ৫১ শতাংশ কিশোরী ও নারী রক্তাল্পতায় ভুগছিলেন, ২০১৯ সালে যা ৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪৯ শতাংশে।
২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
গবেষণা বলছে এর মূল কারণ, খাদ্যাভ্যাস। ২০১৪ সালে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) একটি পুষ্টি নীতিমালা তৈরি করেছে। তবে, সেই নীতিমালা অনুযায়ী খাদ্যগ্রহণ করে না দক্ষিণ এশিয়ার ৫ দেশ—বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কার কিশোরীরা। এ ছাড়া, এসব দেশের বড় একটি অংশের খাদ্য পরিবেশ (খাবার তৈরি, পরিবেশ ও গ্রহণ) খুবই অস্বাস্থ্যকর। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশেই গ্রহণ করতে হয় খাবার। খাদ্য পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের যথাযথ নীতি না থাকাকে এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, টেলিভিশনে অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা, বাড়তি কর আরোপ এবং খাদ্য লেবেলিং নীতিতে কড়াকড়ি করলে খাদ্য পরিবেশের উন্নতি ঘটানো সম্ভব।
কিশোরী ও নারীদের অপুষ্টিতে ভোগার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানা বাধা। গবেষণায় উঠে এসেছে, লিঙ্গবৈষম্য এবং খাদ্যে প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গি মেয়েদের পুষ্টি ঘাটতির জন্য দায়ী। দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশেই দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের খাওয়ার পরে খাবার খায় নারীরা। খাদ্য উপাদানের মধ্যেও সবচেয়ে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার তুলে দেওয়া হয় পুরুষের পাতে এবং তুলনামূলক কম পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় কিশোরী ও নারীদের। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো—কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে ঋতুস্রাব চলাকালীন নারীদের পুষ্টিকর বিভিন্ন খাবার গ্রহণে বাধা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সরকারের মনোযোগের অভাবও অন্যতম একটি কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, কেন কিশোরীরা দুর্বল হয়ে পড়ছে বা অপুষ্টিতে ভুগছে তার কারণ খুঁজতে সরকারগুলোর মধ্যে অনীহা রয়েছে। সরকারগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য–উপাত্ত নেই। বেশির ভাগ দেশেই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ঘাটতি পরিমাপের ডেটা নেই।
তবে, সরকারের কিছু কিছু পদক্ষেপে কিশোরীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। ভারত ২০১৭ থেকে সরকারি স্কুলগুলোতে বিদ্যালয়ভিত্তিক পুষ্টি কর্মসূচি শুরু করেছে। পাকিস্তানে ৫০ হাজার কিশোরীকে পুষ্টি সহায়তা ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে; যা কিশোরীদের স্বাস্থ্য উন্নতিতে সফল হয়েছে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন স্কুলে টিফিন বা মিডডে মিল কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সর্বোপরি, কিশোরীদের অপুষ্টি দূর করতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি। নির্ভরযোগ্য ডেটা সংগ্রহ, কার্যকর নীতি বাস্তবায়ন এবং লিঙ্গভিত্তিক বাধা দূর করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে—এমনটাই গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
২ ঘণ্টা আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
৪ ঘণ্টা আগেদেশে এক দশক আগে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এবার এক স্থানে একাধিক ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যাকে ক্লাস্টার (গুচ্ছ) সংক্রমণ বলা হয়। একই এলাকার পাঁচ ব্যক্তির সংক্রমণের বিষয়টি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।
৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিনেও নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না হওয়ায় অধিকাংশ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের চাকরির বয়স উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ সম্পন্ন না হলে আবেদনকারীরা সরকারি চাকরি পাবেন না। সরকারের পক্ষ থেকে
১ দিন আগে