ডা. দেবলীনা ভৌমিক
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের অন্যতম আশীর্বাদ হলো অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার। এটি এমন এক ধরনের ওষুধ, যা মানুষ ও পশু উভয়ের শরীরেই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স
১৯২৮ সালে পেনিসিলিন নামের অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের পর স্যার আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, ‘এই অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে কোটি প্রাণ বেঁচে যাবে। কিন্তু এর জাদুকরি কার্যকারিতার দরুন এর অপব্যবহারও নিশ্চিত বেড়ে যাবে।’ উদ্ভাবকের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অন্যতম আলোচিত বিষয়।
শরীরে কোনো ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করতে প্রয়োগ করা নির্দিষ্ট ওষুধের বিপক্ষে যুদ্ধ করে ওই ব্যাকটেরিয়ার টিকে থাকার ক্ষমতা অর্জন করাকে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলে। যদিও আগে ওই নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমে সেই ব্যাকটেরিয়াকে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। এ অবস্থায় ওই নির্দিষ্ট রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়ার ওপর নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা থাকে না। এর ফলে নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতিতে অভিযোজিত হয়ে যায় বলে এরা নিজেদের স্বাভাবিক নিয়মে বেড়ে উঠতে এবং বংশবিস্তার করতে পারে। ফলে মানুষ বা পশুর শরীরের রোগ বিস্তার লাভ করে।
যেভাবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়
আমাদের দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। অপ্রয়োজনে অথবা স্বল্পমাত্রায় অথবা অনিয়মিতভাবে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু তার নিজের জেনেটিক কোড পরিবর্তন করে। তখন সেই অ্যান্টিবায়োটিক নির্দিষ্ট জীবাণুকে ধ্বংস বা তার বংশবিস্তার রোধ করতে পারে না। ভয়ের কারণ হলো, ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশ বিস্তার করে, ফলে অতি অল্প সময়ে একটি রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া লাখ লাখ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে পারে।
এ অবস্থার জন্য প্রাকৃতিক ছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে। যেমন:
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এবং এর ফলাফল
বিশ্বখ্যাত ল্যানসেট জার্নালে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: নিড ফর গ্লোবাল সল্যুশন’ শীর্ষক একটি বিশ্লেষণধর্মী দীর্ঘ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। সেই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ যে হারে বাড়ছে, তাতে হয়তো দুই থেকে তিন দশকের মধ্যে মানুষ সংক্রামক রোগে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করবে। কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে অতি সাধারণ অস্ত্রোপচার অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ পৃথিবীতে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে মারা যাবে।
আমাদের করণীয়
অ্যান্টিবায়োটিকের উদ্ভাবন হয়েছে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার প্রয়োজনে। কিন্তু ভীতিকর কথা হচ্ছে, কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে পৃথিবীতে এখন স্থবিরতা বিরাজ করছে। নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত যাতে ব্যাকটেরিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে, এ জন্য সবাইকে সাবধানতার সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে।
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের অন্যতম আশীর্বাদ হলো অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার। এটি এমন এক ধরনের ওষুধ, যা মানুষ ও পশু উভয়ের শরীরেই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স
১৯২৮ সালে পেনিসিলিন নামের অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের পর স্যার আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, ‘এই অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে কোটি প্রাণ বেঁচে যাবে। কিন্তু এর জাদুকরি কার্যকারিতার দরুন এর অপব্যবহারও নিশ্চিত বেড়ে যাবে।’ উদ্ভাবকের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অন্যতম আলোচিত বিষয়।
শরীরে কোনো ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করতে প্রয়োগ করা নির্দিষ্ট ওষুধের বিপক্ষে যুদ্ধ করে ওই ব্যাকটেরিয়ার টিকে থাকার ক্ষমতা অর্জন করাকে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলে। যদিও আগে ওই নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমে সেই ব্যাকটেরিয়াকে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। এ অবস্থায় ওই নির্দিষ্ট রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়ার ওপর নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা থাকে না। এর ফলে নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতিতে অভিযোজিত হয়ে যায় বলে এরা নিজেদের স্বাভাবিক নিয়মে বেড়ে উঠতে এবং বংশবিস্তার করতে পারে। ফলে মানুষ বা পশুর শরীরের রোগ বিস্তার লাভ করে।
যেভাবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়
আমাদের দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। অপ্রয়োজনে অথবা স্বল্পমাত্রায় অথবা অনিয়মিতভাবে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু তার নিজের জেনেটিক কোড পরিবর্তন করে। তখন সেই অ্যান্টিবায়োটিক নির্দিষ্ট জীবাণুকে ধ্বংস বা তার বংশবিস্তার রোধ করতে পারে না। ভয়ের কারণ হলো, ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশ বিস্তার করে, ফলে অতি অল্প সময়ে একটি রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া লাখ লাখ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে পারে।
এ অবস্থার জন্য প্রাকৃতিক ছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে। যেমন:
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এবং এর ফলাফল
বিশ্বখ্যাত ল্যানসেট জার্নালে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: নিড ফর গ্লোবাল সল্যুশন’ শীর্ষক একটি বিশ্লেষণধর্মী দীর্ঘ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। সেই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ যে হারে বাড়ছে, তাতে হয়তো দুই থেকে তিন দশকের মধ্যে মানুষ সংক্রামক রোগে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করবে। কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে অতি সাধারণ অস্ত্রোপচার অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ পৃথিবীতে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে মারা যাবে।
আমাদের করণীয়
অ্যান্টিবায়োটিকের উদ্ভাবন হয়েছে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার প্রয়োজনে। কিন্তু ভীতিকর কথা হচ্ছে, কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে পৃথিবীতে এখন স্থবিরতা বিরাজ করছে। নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত যাতে ব্যাকটেরিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে, এ জন্য সবাইকে সাবধানতার সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে।
চলমান তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড মহাখালী হাসপাতালে চালু করা হয়েছে হিট স্ট্রোক সেন্টার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট এই হিট স্ট্রোক সেন্টারে তাপজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা বিনা মূল্যে দেওয়া হবে।
১০ ঘণ্টা আগেচীনা ও মার্কিন বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একধরনের জটিল ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন একটি ওষুধের আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এই ট্রায়ালে ইতিমধ্যে প্রমাণ পাওয়া গেছে, মুখে খাওয়ার ওই ওষুধ আগের চিকিৎসার তুলনায় বেশি নিরাপদ ও কার্যকর।
১ দিন আগেএই গবেষণার ফলাফল আরও উদ্বেগজনক, কারণ, এতে পশুপালন খাত বা ওষুধ তৈরির কারখানা থেকে আসা অ্যান্টিবায়োটিকের হিসাব ধরা হয়নি—যা পরিবেশ দূষণের বড় উৎস হিসেবে বিবেচিত।
১ দিন আগেআগের গবেষণাগুলোতে অডিও ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে উচ্চ চর্বি, লবণ ও চিনি যুক্ত খাদ্যপণ্যের (এইচএফএসএস) বিজ্ঞাপন দেখার পর শিশুদের তাৎক্ষণিক ও পরবর্তী খাবার গ্রহণের মধ্যে সম্পর্ক পাওয়া গেছে। কিন্তু ব্র্যান্ড-ভিত্তিক (যেখানে পণ্য নয়, শুধু লোগো বা চিহ্ন থাকে) কিংবা শুধু অডিও (যেমন পডকাস্ট বা রেডিও) মাধ্যমে বিজ্ঞ
২ দিন আগে