ফিচার ডেস্ক

শীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
২০২৩ সালের ‘দ্য জার্নাল অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে ভাইরাস খুব সহজে মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। কিন্তু সচেতন থাকলে এই অবস্থা এড়ানো যায়। সে জন্য জানতে হবে এ ঋতুতে কোন ভিটামিনগুলো বেশি জরুরি।
ভিটামিন সি
রোগ প্রতিরো ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে ভিটামিন সি অত্যন্ত জরুরি। ২০২৩ সালে ‘কিউরিয়াস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত। এটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শ্বেত রক্তকণিকা, বিশেষ করে ফ্যাগোসাইট ও লিম্ফোসাইটের উৎপাদনসহ কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। এগুলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সাহায্য করে থাকে।
লেবু ও লেবুজাতীয় সব ধরনের টক ফল ভিটামিন সির চমৎকার উৎস। এ ছাড়া আঙুর, পেঁপে, আনারস, জাম ইত্যাদি ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। সবুজ পাতার সব সবজি ও শাকে এই ভিটামিন আছে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ, পুদিনাপাতা বা পার্সলে পাতায়ও ভিটামিন সি আছে।
ভিটামিন ডি
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে দুই ধরনের শ্বেত রক্তকণিকার লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। ২০১১ সালে ‘জার্নাল অব ইনভেস্টিগেটিভ মেডিসিনে’ প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে ভিটামিন ডির অভাব সংক্রমণের বর্ধিত সংবেদনশীলতার সঙ্গে যুক্ত। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শীতকালের কম তাপমাত্রায় সর্দি ও ফ্লুর মতো সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
সূর্যের আলো ভিটামিন ডির সবচেয়ে সহজ উৎস। এ ছাড়া ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত মাছ, কড মাছের তেল, টুনা মাছ ও মাশরুমে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
ভিটামিন ই
ভিটামিন ই ফ্রি র্যাডিক্যালকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে ইমিউন কোষ রক্ষা করে। ২০১১ সালে ‘ভিটামিন অ্যান্ড হরমোন’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, ইমিউন কোষের স্বাভাবিক কার্যকারিতার জন্য ভিটামিন ই গুরুত্বপূর্ণ। এটি টি-কোষের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
যেকোনো ধরনের বাদাম, উদ্ভিজ তেল, ডিম, গম, সয়াবিন, সূর্যমুখী, সবুজ শাকসবজি, লেবু, আভোকাডো, স্যালমন মাছ, চর্বিবিহীন মাছ ইত্যাদি এই ভিটামিনে পূর্ণ।
ভিটামিন এ
২০২২ সালে ‘নিউট্রিশন ক্লিনিক অ্যাট মেটাবলিজম’-এ প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, দৃষ্টিশক্তির উপকারের পাশাপাশি ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এটি শ্বাসযন্ত্র এবং পাচনতন্ত্রের ত্বক ও শ্লেষ্মা ঝিল্লি ভালো রাখতে কাজ করে। এগুলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম স্তর। শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে এটি সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে।
ছোট মাছ, দুধ, মাখন, কড লিভার অয়েল, ঘি, গরু-মুরগি-খাসির কলিজা, মাংস, ডিম, গাজর, পালংশাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, সরিষাশাক, লাল মরিচ, টমেটো, কুমড়া, লেটুস, আম, জাম্বুরা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি ভিটামিন এ-তে ভরপুর।
ভিটামিন বি৬ ও বি১২
‘ইউরোপীয় জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে’ প্রকাশিত ২০০৬ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ভিটামিন বি৬ গুরুতরভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা উন্নত করতে পারে। এটি ইমিউন কোষ এবং অ্যান্টিবডি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এটি জৈব রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, যা শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। ২০২১ সালে ‘নিউট্রিশন রিভিউ’তে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন বি১২ ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে পারে।
এটি ডিএনএ সংশ্লেষণ, লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ওটস, গরু-টার্কি-মুরগির কলিজা, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার, শিম ও মটরশুঁটি, মাশরুম, বাদাম ও বিভিন্ন প্রকারের বীজ, আস্ত শস্য, সবুজ শাকসবজি, কলা, আভোকাডো, গুড়, মধু ইত্যাদিতে এ দুই প্রকার ভিটামিন বি পাওয়া যায়।

শীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
২০২৩ সালের ‘দ্য জার্নাল অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে ভাইরাস খুব সহজে মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। কিন্তু সচেতন থাকলে এই অবস্থা এড়ানো যায়। সে জন্য জানতে হবে এ ঋতুতে কোন ভিটামিনগুলো বেশি জরুরি।
ভিটামিন সি
রোগ প্রতিরো ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে ভিটামিন সি অত্যন্ত জরুরি। ২০২৩ সালে ‘কিউরিয়াস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত। এটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শ্বেত রক্তকণিকা, বিশেষ করে ফ্যাগোসাইট ও লিম্ফোসাইটের উৎপাদনসহ কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। এগুলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সাহায্য করে থাকে।
লেবু ও লেবুজাতীয় সব ধরনের টক ফল ভিটামিন সির চমৎকার উৎস। এ ছাড়া আঙুর, পেঁপে, আনারস, জাম ইত্যাদি ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। সবুজ পাতার সব সবজি ও শাকে এই ভিটামিন আছে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ, পুদিনাপাতা বা পার্সলে পাতায়ও ভিটামিন সি আছে।
ভিটামিন ডি
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে দুই ধরনের শ্বেত রক্তকণিকার লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। ২০১১ সালে ‘জার্নাল অব ইনভেস্টিগেটিভ মেডিসিনে’ প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে ভিটামিন ডির অভাব সংক্রমণের বর্ধিত সংবেদনশীলতার সঙ্গে যুক্ত। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শীতকালের কম তাপমাত্রায় সর্দি ও ফ্লুর মতো সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
সূর্যের আলো ভিটামিন ডির সবচেয়ে সহজ উৎস। এ ছাড়া ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত মাছ, কড মাছের তেল, টুনা মাছ ও মাশরুমে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
ভিটামিন ই
ভিটামিন ই ফ্রি র্যাডিক্যালকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে ইমিউন কোষ রক্ষা করে। ২০১১ সালে ‘ভিটামিন অ্যান্ড হরমোন’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, ইমিউন কোষের স্বাভাবিক কার্যকারিতার জন্য ভিটামিন ই গুরুত্বপূর্ণ। এটি টি-কোষের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
যেকোনো ধরনের বাদাম, উদ্ভিজ তেল, ডিম, গম, সয়াবিন, সূর্যমুখী, সবুজ শাকসবজি, লেবু, আভোকাডো, স্যালমন মাছ, চর্বিবিহীন মাছ ইত্যাদি এই ভিটামিনে পূর্ণ।
ভিটামিন এ
২০২২ সালে ‘নিউট্রিশন ক্লিনিক অ্যাট মেটাবলিজম’-এ প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, দৃষ্টিশক্তির উপকারের পাশাপাশি ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এটি শ্বাসযন্ত্র এবং পাচনতন্ত্রের ত্বক ও শ্লেষ্মা ঝিল্লি ভালো রাখতে কাজ করে। এগুলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম স্তর। শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে এটি সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে।
ছোট মাছ, দুধ, মাখন, কড লিভার অয়েল, ঘি, গরু-মুরগি-খাসির কলিজা, মাংস, ডিম, গাজর, পালংশাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, সরিষাশাক, লাল মরিচ, টমেটো, কুমড়া, লেটুস, আম, জাম্বুরা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি ভিটামিন এ-তে ভরপুর।
ভিটামিন বি৬ ও বি১২
‘ইউরোপীয় জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে’ প্রকাশিত ২০০৬ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ভিটামিন বি৬ গুরুতরভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা উন্নত করতে পারে। এটি ইমিউন কোষ এবং অ্যান্টিবডি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এটি জৈব রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, যা শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। ২০২১ সালে ‘নিউট্রিশন রিভিউ’তে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন বি১২ ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে পারে।
এটি ডিএনএ সংশ্লেষণ, লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ওটস, গরু-টার্কি-মুরগির কলিজা, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার, শিম ও মটরশুঁটি, মাশরুম, বাদাম ও বিভিন্ন প্রকারের বীজ, আস্ত শস্য, সবুজ শাকসবজি, কলা, আভোকাডো, গুড়, মধু ইত্যাদিতে এ দুই প্রকার ভিটামিন বি পাওয়া যায়।

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
পুরুষের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। পুরুষ ও নারী নাক ডাকার অনুপাত ২.৩: ১। নাক ডাকার প্রধান কারণ স্থূলতা হলেও এক-তৃতীয়াংশ হালকা-পাতলা মানুষও নাক ডাকেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে গলার শিথিল টিস্যুগুলো কেঁপে ওঠে এবং জোরে শব্দ সৃষ্টি হয়। শিশুবিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম শেখ বলেন, শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাড়তি ওজন নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ করে দেয়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাচলের সময় শব্দের সৃষ্টি হয়। তাই ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব।

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
পুরুষের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। পুরুষ ও নারী নাক ডাকার অনুপাত ২.৩: ১। নাক ডাকার প্রধান কারণ স্থূলতা হলেও এক-তৃতীয়াংশ হালকা-পাতলা মানুষও নাক ডাকেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে গলার শিথিল টিস্যুগুলো কেঁপে ওঠে এবং জোরে শব্দ সৃষ্টি হয়। শিশুবিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম শেখ বলেন, শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাড়তি ওজন নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ করে দেয়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাচলের সময় শব্দের সৃষ্টি হয়। তাই ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব।

শীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
১৪ ঘণ্টা আগেডা. মো. আরমান হোসেন রনি

চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
চোখের মণির অস্বাভাবিকতা: পুরুষদের মধ্যে চোখের মণির অস্বাভাবিকতা বা চোখের মণি সঠিকভাবে কাজ না করা একটি সাধারণ সমস্যা। চোখের মণি বা কর্নিয়া হলো চোখের সামনের স্বচ্ছ অংশ, যা চোখে আসা আলোকে সঠিকভাবে লেন্সে নিয়ে যায়। কোনো কারণে যদি কর্নিয়ার গঠন পরিবর্তিত হয়, তাহলে সেটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, পুরুষদের মধ্যে কর্নিয়া সমস্যা বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রেটিনাল ডিস্ট্রফি: রেটিনাল ডিস্ট্রফি একটি বিরল চোখের রোগ, যেখানে চোখের রেটিনা (যা চোখের পেছনের অংশে থাকে এবং দৃষ্টির জন্য দায়ী) ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এই রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি। রেটিনাল ডিস্ট্রফির কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে এবং এটি সাধারণত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসে।
গ্লুকোমা: গ্লুকোমা এমন একটি রোগ, যা চোখের চাপের কারণে রেটিনার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করে। পুরুষদের মধ্যে গ্লুকোমার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। গ্লুকোমা হলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে এবং এতে চোখের ভেতরে চাপ বাড়তে থাকে। এটি একধরনের নীরব রোগ। কারণ, এতে প্রথম দিকে কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। গ্লুকোমার কারণে যে কারও দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে।
ক্যাটারাক্ট: ক্যাটারাক্ট হলো চোখের লেন্সের ঘোলা হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। পুরুষদের মধ্যে বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ বেশি দেখা যায়। যদিও ক্যাটারাক্ট সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, তবে কিছু বিশেষ কারণে এটি পুরুষদের মধ্যে কম বয়সেও হতে পারে। ক্যাটারাক্টের কারণে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এটি একমাত্র অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব।
ম্যাকুলার ডিজেনারেশন: ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হলো চোখের রেটিনার একটি অংশ, যা কেন্দ্রীয় দৃষ্টি নিয়ে কাজ করে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। এটি সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, কিন্তু পুরুষদের মধ্যে এটির প্রবণতা কিছুটা বেশি। এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে আনে এবং ব্যক্তি নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে অক্ষম হতে পারে। যেমন পড়াশোনা কিংবা ছোটখাটো খুঁটিনাটি কাজ।
কনজাংটিভাইটিস: কনজাংটিভাইটিস কিংবা চোখের সাদা অংশে প্রদাহ একটি সাধারণ চোখের সমস্যা, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
এটি সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা অ্যালার্জির কারণে হয়। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হিসেবে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে জ্বালা কিংবা অস্বস্তি অনুভব হওয়া এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি হতে পারে। যদিও এটি সবার মধ্যে হতে পারে। তবে পুরুষদের মধ্যে এটি বেশি প্রকট হতে দেখা যায়।
প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে: প্রেসবায়োপিয়া হলো চোখের এমন একটি অবস্থা, যেখানে বয়স্ক ব্যক্তির কাছে থেকে ছোট জিনিস পড়তে সমস্যা হয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর এই রোগ দেখা যায়। যদিও এটি অনেক মানুষের মধ্যে হয়, তবে পুরুষদের মধ্যে এটি কিছুটা বেশি।
শুষ্ক চোখের সিনড্রোম: শুষ্ক চোখের সিনড্রোম হলো এমন একটি সমস্যা, যেখানে চোখের পৃষ্ঠে সঠিক পরিমাণে আর্দ্রতা থাকে না। এটি পুরুষদের মধ্যে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, বিশেষ করে যাদের দীর্ঘ সময় কম্পিউটার অথবা মোবাইল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করতে হয়। শুষ্ক চোখের কারণে চোখে চুলকানি, লাল ভাব এবং চোখের চারপাশে চাপ অনুভূত হতে পারে।
রক্তনালিতে সমস্যা: ছেলেদের মধ্যে চোখের রক্তনালিতে সমস্যা হতে পারে এবং তা চোখে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত রেটিনা অথবা চোখের অন্য অংশে রক্তপ্রবাহের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং তা দৃষ্টির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
রং দেখার সমস্যা: রং দেখার সমস্যা কিংবা বর্ণান্ধতা একটি জেনেটিক রোগ, যা ছেলেদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়। এটি সাধারণত পুরুষদের মধ্যে ৮০% বেশি দেখা যায়। কারণ, এটি X-ক্রোমোজোমের ওপর নির্ভরশীল। রঙের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারার কারণে কিছু সামাজিক বা পেশাগত কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
চোখের মণির অস্বাভাবিকতা: পুরুষদের মধ্যে চোখের মণির অস্বাভাবিকতা বা চোখের মণি সঠিকভাবে কাজ না করা একটি সাধারণ সমস্যা। চোখের মণি বা কর্নিয়া হলো চোখের সামনের স্বচ্ছ অংশ, যা চোখে আসা আলোকে সঠিকভাবে লেন্সে নিয়ে যায়। কোনো কারণে যদি কর্নিয়ার গঠন পরিবর্তিত হয়, তাহলে সেটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, পুরুষদের মধ্যে কর্নিয়া সমস্যা বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রেটিনাল ডিস্ট্রফি: রেটিনাল ডিস্ট্রফি একটি বিরল চোখের রোগ, যেখানে চোখের রেটিনা (যা চোখের পেছনের অংশে থাকে এবং দৃষ্টির জন্য দায়ী) ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এই রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি। রেটিনাল ডিস্ট্রফির কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে এবং এটি সাধারণত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসে।
গ্লুকোমা: গ্লুকোমা এমন একটি রোগ, যা চোখের চাপের কারণে রেটিনার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করে। পুরুষদের মধ্যে গ্লুকোমার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। গ্লুকোমা হলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে এবং এতে চোখের ভেতরে চাপ বাড়তে থাকে। এটি একধরনের নীরব রোগ। কারণ, এতে প্রথম দিকে কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। গ্লুকোমার কারণে যে কারও দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে।
ক্যাটারাক্ট: ক্যাটারাক্ট হলো চোখের লেন্সের ঘোলা হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। পুরুষদের মধ্যে বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ বেশি দেখা যায়। যদিও ক্যাটারাক্ট সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, তবে কিছু বিশেষ কারণে এটি পুরুষদের মধ্যে কম বয়সেও হতে পারে। ক্যাটারাক্টের কারণে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এটি একমাত্র অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব।
ম্যাকুলার ডিজেনারেশন: ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হলো চোখের রেটিনার একটি অংশ, যা কেন্দ্রীয় দৃষ্টি নিয়ে কাজ করে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। এটি সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, কিন্তু পুরুষদের মধ্যে এটির প্রবণতা কিছুটা বেশি। এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে আনে এবং ব্যক্তি নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে অক্ষম হতে পারে। যেমন পড়াশোনা কিংবা ছোটখাটো খুঁটিনাটি কাজ।
কনজাংটিভাইটিস: কনজাংটিভাইটিস কিংবা চোখের সাদা অংশে প্রদাহ একটি সাধারণ চোখের সমস্যা, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
এটি সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা অ্যালার্জির কারণে হয়। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হিসেবে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে জ্বালা কিংবা অস্বস্তি অনুভব হওয়া এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি হতে পারে। যদিও এটি সবার মধ্যে হতে পারে। তবে পুরুষদের মধ্যে এটি বেশি প্রকট হতে দেখা যায়।
প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে: প্রেসবায়োপিয়া হলো চোখের এমন একটি অবস্থা, যেখানে বয়স্ক ব্যক্তির কাছে থেকে ছোট জিনিস পড়তে সমস্যা হয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর এই রোগ দেখা যায়। যদিও এটি অনেক মানুষের মধ্যে হয়, তবে পুরুষদের মধ্যে এটি কিছুটা বেশি।
শুষ্ক চোখের সিনড্রোম: শুষ্ক চোখের সিনড্রোম হলো এমন একটি সমস্যা, যেখানে চোখের পৃষ্ঠে সঠিক পরিমাণে আর্দ্রতা থাকে না। এটি পুরুষদের মধ্যে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, বিশেষ করে যাদের দীর্ঘ সময় কম্পিউটার অথবা মোবাইল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করতে হয়। শুষ্ক চোখের কারণে চোখে চুলকানি, লাল ভাব এবং চোখের চারপাশে চাপ অনুভূত হতে পারে।
রক্তনালিতে সমস্যা: ছেলেদের মধ্যে চোখের রক্তনালিতে সমস্যা হতে পারে এবং তা চোখে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত রেটিনা অথবা চোখের অন্য অংশে রক্তপ্রবাহের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং তা দৃষ্টির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
রং দেখার সমস্যা: রং দেখার সমস্যা কিংবা বর্ণান্ধতা একটি জেনেটিক রোগ, যা ছেলেদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়। এটি সাধারণত পুরুষদের মধ্যে ৮০% বেশি দেখা যায়। কারণ, এটি X-ক্রোমোজোমের ওপর নির্ভরশীল। রঙের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারার কারণে কিছু সামাজিক বা পেশাগত কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

শীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
১৪ ঘণ্টা আগেডা. অনিক সরকার পলাশ

পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
পিঠে ব্যথা হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কয়েকটি হলো—
ভুলভাবে বসা, ঝুঁকে কাজ করা, মোবাইল বা ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় ব্যবহার, নরম বিছানায় ঘুমানো সবই মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট করে ব্যথা বাড়াতে পারে।
দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের অভাবে পিঠের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সামান্য চাপেই ব্যথা দেখা দেয়।
হঠাৎ ভারী জিনিস তোলা, ভুলভাবে নড়াচড়া বা অতিরিক্ত শ্রমের কারণে পেশি ও লিগামেন্টে টান ধরে। এটিও তীব্র পিঠব্যথার সাধারণ কারণ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলো ক্ষয় হতে থাকে। এর ফলে স্পন্ডাইলোসিস, সায়াটিকা ও ডিস্ক প্রল্যাপসের মতো রোগ দেখা দেয়।
অনেক সময় কিডনি, পিত্তথলি বা অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা থেকেও পিঠব্যথা অনুভূত হতে পারে। তাই দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বাভাবিক ব্যথার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি।
পিঠব্যথা কম থেকে তীব্র—উভয় মাত্রার হতে পারে। কারও ব্যথা কয়েক দিনে কমে যায়, আবার
কারও ক্ষেত্রে সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে। হাঁটতে গেলে ব্যথা বাড়া, পা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়া, কোমর শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা বারবার শোয়া-বসায় অস্বস্তি এসবই সাধারণ উপসর্গ।
অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কয়েকটি পরিবর্তন আনলে পিঠব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সঠিক অঙ্গভঙ্গি বজায় রাখা: বসে অথবা দাঁড়িয়ে কাজ করার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। চেয়ারে বসলে কোমর পুরোটা ব্যাকরেস্টে ঠেকিয়ে বসা উচিত। ঘুমানোর সময় খুব নরম গদি এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: পিঠের পেশি শক্তিশালী রাখতে প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটা, হালকা স্ট্রেচিং কিংবা ফিজিওথেরাপি,
এ ধরনের ব্যায়াম বেশ উপকারী। ব্যথা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম না করাই ভালো।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন কোমরের নিচের দিকে বাড়তি চাপ তৈরি করে। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত চলাফেরায় ওজন ঠিক রাখলে ব্যথা অনেকটা কমে।
একই ভঙ্গিতে দীর্ঘ সময় না থাকা: দীর্ঘ সময় একভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে পেশিতে চাপ জমে। প্রতি ঘণ্টায় ২-৩ মিনিট হেঁটে নিন বা অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করুন।
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ, আলোক হাসপাতাল, মিরপুর-৬

পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
পিঠে ব্যথা হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কয়েকটি হলো—
ভুলভাবে বসা, ঝুঁকে কাজ করা, মোবাইল বা ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় ব্যবহার, নরম বিছানায় ঘুমানো সবই মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট করে ব্যথা বাড়াতে পারে।
দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের অভাবে পিঠের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সামান্য চাপেই ব্যথা দেখা দেয়।
হঠাৎ ভারী জিনিস তোলা, ভুলভাবে নড়াচড়া বা অতিরিক্ত শ্রমের কারণে পেশি ও লিগামেন্টে টান ধরে। এটিও তীব্র পিঠব্যথার সাধারণ কারণ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলো ক্ষয় হতে থাকে। এর ফলে স্পন্ডাইলোসিস, সায়াটিকা ও ডিস্ক প্রল্যাপসের মতো রোগ দেখা দেয়।
অনেক সময় কিডনি, পিত্তথলি বা অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা থেকেও পিঠব্যথা অনুভূত হতে পারে। তাই দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বাভাবিক ব্যথার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি।
পিঠব্যথা কম থেকে তীব্র—উভয় মাত্রার হতে পারে। কারও ব্যথা কয়েক দিনে কমে যায়, আবার
কারও ক্ষেত্রে সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে। হাঁটতে গেলে ব্যথা বাড়া, পা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়া, কোমর শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা বারবার শোয়া-বসায় অস্বস্তি এসবই সাধারণ উপসর্গ।
অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কয়েকটি পরিবর্তন আনলে পিঠব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সঠিক অঙ্গভঙ্গি বজায় রাখা: বসে অথবা দাঁড়িয়ে কাজ করার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। চেয়ারে বসলে কোমর পুরোটা ব্যাকরেস্টে ঠেকিয়ে বসা উচিত। ঘুমানোর সময় খুব নরম গদি এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: পিঠের পেশি শক্তিশালী রাখতে প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটা, হালকা স্ট্রেচিং কিংবা ফিজিওথেরাপি,
এ ধরনের ব্যায়াম বেশ উপকারী। ব্যথা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম না করাই ভালো।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন কোমরের নিচের দিকে বাড়তি চাপ তৈরি করে। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত চলাফেরায় ওজন ঠিক রাখলে ব্যথা অনেকটা কমে।
একই ভঙ্গিতে দীর্ঘ সময় না থাকা: দীর্ঘ সময় একভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে পেশিতে চাপ জমে। প্রতি ঘণ্টায় ২-৩ মিনিট হেঁটে নিন বা অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করুন।
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ, আলোক হাসপাতাল, মিরপুর-৬

শীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়। সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে এসব সবজির রং, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো প্রধানত শাকসবজি এবং ফলমূল থেকে পাই। কিন্তু ছোট ছোট কিছু অসাবধানতার কারণে আমরা শাকসবজি এবং ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ি।
সংরক্ষণ করার প্রাথমিক ধাপ: ধোয়া ও শুকানো সবজি সংরক্ষণের আগে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। যেমন সবজি আস্ত অবস্থায় ধোয়া। বাজার থেকে আনার পর, কাটার আগেই পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। পুষ্টিবিদ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ধুয়ে নিলে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি এবং সি পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ লবণ পাই না। সবজি কাটা হয়ে গেলে আর ধোয়া উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, সবজি কাটা হলে ধোয়া হলে তার নিজস্ব আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেগুলো ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। সংরক্ষণের পাত্র বা ব্যাগ যেন শুকনো থাকে। শুকনো কাপড় দিয়ে পাত্রগুলো ভালো করে মুছে নিন। মনে রাখবেন, আলু ও পেঁয়াজ একসঙ্গে সংরক্ষণ করবেন না। সবজিগুলো ফ্রিজে রাখার সময় চাপাচাপি না করে কিছুটা ফাঁকাভাবে ছোট ছিদ্রযুক্ত ড্রয়ার বা তাকে রাখুন।
দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের প্রধান কৌশল ব্লাঞ্চিং
সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার ও টেক্সচার অক্ষুণ্ন রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ কিংবা হিমায়িত করার প্রধান ও সঠিক পদ্ধতি হলো ব্লাঞ্চিং। ব্লাঞ্চিং হলো হালকা সেদ্ধ করা। অর্থাৎ ফুটন্ত পানিতে বা বাষ্পে (স্টিমিং পদ্ধতিতে) শাকসবজি অল্প সময়ের জন্য হালকা সেদ্ধ করে নেওয়া। আর সেদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই সবজিগুলোকে বরফ-ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে দিতে হবে। এতে কুকিং প্রক্রিয়া থেমে যায় এবং সবজি বেশি সেদ্ধ হয় না। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টিআলু কিংবা স্কোয়াশ জাতীয় সবজি ফ্রোজেন করার জন্য পুরোপুরি সেদ্ধ করে নিতে হয়। এই পদ্ধতি সবজিতে থাকা এনজাইমের ক্রিয়া বন্ধ করে দেয়, যা সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার এবং টেক্সচারের কোনো পরিবর্তন না এনে তার প্রাকৃতিক সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সবজির বাইরের ময়লা ও জীবাণু পরিষ্কার করে এবং পুষ্টিমান নষ্ট হওয়া রোধ করে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ ইকবাল হোসেন বলেন, রান্না করতে যদি শিমের সবুজ রং কালো হয়ে যায় কিংবা গাজরের লাল রং কালচে হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, এখানে শাকসবজির পুষ্টিগুণ বেশি নষ্ট হয়েছে।
হিমায়িত করার জন্য মোড়কীকরণ
ব্লাঞ্চিং এবং পুরোপুরি শুকানোর পরে সবজি সংরক্ষণের জন্য এয়ারটাইট পাত্র বা ব্যাগ ব্যবহার করুন। ভালোভাবে শুকনো সবজি এয়ারটাইট বক্স অথবা জিপলক ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করতে হবে। জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করলে ভেতরের বাতাস সম্পূর্ণ বের করে দিয়ে মুখ ভালো করে বন্ধ করতে হবে, যেন ভেতরে বাতাস না থাকে। ধনেপাতার মতো শাকসবজিকে পাতলা ও স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে মোড়কায়ন করা ভালো। কারণ, এতে জলীয় বাষ্প চলাচল করতে পারে না এবং নেতিয়ে পড়া কমে যায়। ব্লাঞ্চিং করা সবজি এয়ারটাইট কনটেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে তা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সারা বছর।

শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়। সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে এসব সবজির রং, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো প্রধানত শাকসবজি এবং ফলমূল থেকে পাই। কিন্তু ছোট ছোট কিছু অসাবধানতার কারণে আমরা শাকসবজি এবং ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ি।
সংরক্ষণ করার প্রাথমিক ধাপ: ধোয়া ও শুকানো সবজি সংরক্ষণের আগে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। যেমন সবজি আস্ত অবস্থায় ধোয়া। বাজার থেকে আনার পর, কাটার আগেই পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। পুষ্টিবিদ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ধুয়ে নিলে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি এবং সি পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ লবণ পাই না। সবজি কাটা হয়ে গেলে আর ধোয়া উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, সবজি কাটা হলে ধোয়া হলে তার নিজস্ব আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেগুলো ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। সংরক্ষণের পাত্র বা ব্যাগ যেন শুকনো থাকে। শুকনো কাপড় দিয়ে পাত্রগুলো ভালো করে মুছে নিন। মনে রাখবেন, আলু ও পেঁয়াজ একসঙ্গে সংরক্ষণ করবেন না। সবজিগুলো ফ্রিজে রাখার সময় চাপাচাপি না করে কিছুটা ফাঁকাভাবে ছোট ছিদ্রযুক্ত ড্রয়ার বা তাকে রাখুন।
দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের প্রধান কৌশল ব্লাঞ্চিং
সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার ও টেক্সচার অক্ষুণ্ন রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ কিংবা হিমায়িত করার প্রধান ও সঠিক পদ্ধতি হলো ব্লাঞ্চিং। ব্লাঞ্চিং হলো হালকা সেদ্ধ করা। অর্থাৎ ফুটন্ত পানিতে বা বাষ্পে (স্টিমিং পদ্ধতিতে) শাকসবজি অল্প সময়ের জন্য হালকা সেদ্ধ করে নেওয়া। আর সেদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই সবজিগুলোকে বরফ-ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে দিতে হবে। এতে কুকিং প্রক্রিয়া থেমে যায় এবং সবজি বেশি সেদ্ধ হয় না। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টিআলু কিংবা স্কোয়াশ জাতীয় সবজি ফ্রোজেন করার জন্য পুরোপুরি সেদ্ধ করে নিতে হয়। এই পদ্ধতি সবজিতে থাকা এনজাইমের ক্রিয়া বন্ধ করে দেয়, যা সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার এবং টেক্সচারের কোনো পরিবর্তন না এনে তার প্রাকৃতিক সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সবজির বাইরের ময়লা ও জীবাণু পরিষ্কার করে এবং পুষ্টিমান নষ্ট হওয়া রোধ করে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ ইকবাল হোসেন বলেন, রান্না করতে যদি শিমের সবুজ রং কালো হয়ে যায় কিংবা গাজরের লাল রং কালচে হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, এখানে শাকসবজির পুষ্টিগুণ বেশি নষ্ট হয়েছে।
হিমায়িত করার জন্য মোড়কীকরণ
ব্লাঞ্চিং এবং পুরোপুরি শুকানোর পরে সবজি সংরক্ষণের জন্য এয়ারটাইট পাত্র বা ব্যাগ ব্যবহার করুন। ভালোভাবে শুকনো সবজি এয়ারটাইট বক্স অথবা জিপলক ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করতে হবে। জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করলে ভেতরের বাতাস সম্পূর্ণ বের করে দিয়ে মুখ ভালো করে বন্ধ করতে হবে, যেন ভেতরে বাতাস না থাকে। ধনেপাতার মতো শাকসবজিকে পাতলা ও স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে মোড়কায়ন করা ভালো। কারণ, এতে জলীয় বাষ্প চলাচল করতে পারে না এবং নেতিয়ে পড়া কমে যায়। ব্লাঞ্চিং করা সবজি এয়ারটাইট কনটেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে তা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সারা বছর।

শীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে