নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ। কিন্তু এ সময় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়া গেলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের সিপিআর সম্পর্কে ধারণা নেই। এ কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার বেশি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়।
গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ হৃদ্রোগে মারা যায়। এর মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যায় প্রায় ৩ লাখ ২৪ হাজার। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো হার্টের বৈদ্যুতিক সংকেতে সমস্যার কারণে তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন (অ্যারিথমিয়া), যা হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং ব্যাহত করে। এই অবস্থায় সিপিআর দেওয়া গেলে অনেক রোগীর মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব বলে জানিয়েছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন।
সিপিআর একটি জরুরি চিকিৎসাপ্রক্রিয়া। কারও হৃৎস্পন্দন বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি দেখা দিলে এটি প্রয়োগ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বুকে চাপ দিয়ে ও প্রয়োজনে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে সাময়িকভাবে রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সচল রাখা হয়, যাতে মস্তিষ্ক ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কার্যকর থাকে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মহসীন আহমদ কর্মশালার মূল প্রবন্ধে বলেন, দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ জানে না কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর কী। ফলে হঠাৎ কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালে নেওয়ার আগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাই সবার সিপিআর বিষয়ে প্রশিক্ষণ জরুরি।
সুস্থ জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ডের যত্ন নিতে হবে। কার কখন কীভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে, তা কেউ জানে না। তাই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। ডা. কাজী মো. রশিদ-উন-নবী, মহাপরিচালক সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তর
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিফ ফিজিশিয়ান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক সৈয়দা সায়েদা আলেয়া সুলতানা বলেন, ‘হৃদ্রোগে আক্রান্তদের সাহায্যকারী বাড়াতে পারলে অনেক জীবন বাঁচানো যাবে। সচেতনতা শুধু দিবসকেন্দ্রিক হলে চলবে না, প্রতিদিন এ নিয়ে কাজ করতে হবে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় হতে পারে। তাই সবার জানা জরুরি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. কাজী মো. রশিদ-উন-নবী বলেন, ‘সুস্থ জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ডের যত্ন নিতে হবে। কার কখন কীভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তা কেউ জানে না। তাই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।’
কর্মশালায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, হাসপাতালটিতে নতুনভাবে ৫০ শয্যার আধুনিক আইসিইউ চালু করা হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এটি উদ্বোধন করা হবে। বর্তমানে হাসপাতালের ২০ শয্যার সিসিইউ এবং ২০ শয্যার এইচডিইউ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ষষ্ঠতলায় ২০ শয্যার এনআইসিইউ স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে।
মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১০০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন ৬০ জন রোগী ৪৭০ টাকায় সেবা পাচ্ছে, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। শিগগির আরও ৩০ শয্যা বাড়ানো হবে। নতুন ইউনিট চালু হলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০০ রোগী ডায়ালাইসিস সুবিধা পাবে।’ কুর্মিটোলা হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে গেছে বলেও জানান পরিচালক। ইতিমধ্যে অনলাইন রিপোর্টিং সেবা চালু হয়েছে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের (হেলো) সভাপতি আবু রেজা মো. কাউয়ুম খান, হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক এবং সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ। কিন্তু এ সময় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়া গেলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের সিপিআর সম্পর্কে ধারণা নেই। এ কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার বেশি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়।
গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ হৃদ্রোগে মারা যায়। এর মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যায় প্রায় ৩ লাখ ২৪ হাজার। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো হার্টের বৈদ্যুতিক সংকেতে সমস্যার কারণে তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন (অ্যারিথমিয়া), যা হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং ব্যাহত করে। এই অবস্থায় সিপিআর দেওয়া গেলে অনেক রোগীর মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব বলে জানিয়েছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন।
সিপিআর একটি জরুরি চিকিৎসাপ্রক্রিয়া। কারও হৃৎস্পন্দন বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি দেখা দিলে এটি প্রয়োগ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বুকে চাপ দিয়ে ও প্রয়োজনে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে সাময়িকভাবে রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সচল রাখা হয়, যাতে মস্তিষ্ক ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কার্যকর থাকে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মহসীন আহমদ কর্মশালার মূল প্রবন্ধে বলেন, দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ জানে না কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর কী। ফলে হঠাৎ কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালে নেওয়ার আগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাই সবার সিপিআর বিষয়ে প্রশিক্ষণ জরুরি।
সুস্থ জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ডের যত্ন নিতে হবে। কার কখন কীভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে, তা কেউ জানে না। তাই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। ডা. কাজী মো. রশিদ-উন-নবী, মহাপরিচালক সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তর
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিফ ফিজিশিয়ান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক সৈয়দা সায়েদা আলেয়া সুলতানা বলেন, ‘হৃদ্রোগে আক্রান্তদের সাহায্যকারী বাড়াতে পারলে অনেক জীবন বাঁচানো যাবে। সচেতনতা শুধু দিবসকেন্দ্রিক হলে চলবে না, প্রতিদিন এ নিয়ে কাজ করতে হবে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় হতে পারে। তাই সবার জানা জরুরি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. কাজী মো. রশিদ-উন-নবী বলেন, ‘সুস্থ জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ডের যত্ন নিতে হবে। কার কখন কীভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তা কেউ জানে না। তাই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।’
কর্মশালায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, হাসপাতালটিতে নতুনভাবে ৫০ শয্যার আধুনিক আইসিইউ চালু করা হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এটি উদ্বোধন করা হবে। বর্তমানে হাসপাতালের ২০ শয্যার সিসিইউ এবং ২০ শয্যার এইচডিইউ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ষষ্ঠতলায় ২০ শয্যার এনআইসিইউ স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে।
মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১০০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন ৬০ জন রোগী ৪৭০ টাকায় সেবা পাচ্ছে, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। শিগগির আরও ৩০ শয্যা বাড়ানো হবে। নতুন ইউনিট চালু হলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০০ রোগী ডায়ালাইসিস সুবিধা পাবে।’ কুর্মিটোলা হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে গেছে বলেও জানান পরিচালক। ইতিমধ্যে অনলাইন রিপোর্টিং সেবা চালু হয়েছে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের (হেলো) সভাপতি আবু রেজা মো. কাউয়ুম খান, হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক এবং সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এশিয়া-ওশেনিয়া ফেডারেশন অব অর্গানাইজেশনস ফর মেডিকেল ফিজিকস (এএফওএমপি)-এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের মেডিকেল ফিজিকস বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. হাসিন অনুপমা আজহারি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি এএফওএমপির ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রফেসর ইভা বেজাকের পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে মর্যাদাপূর্
৩ দিন আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৯৫৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (১২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ...
৩ দিন আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪১৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি। আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগেআজ বিশ্ব হসপিস এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শনিবার বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালিত হয়। চলতি বছরের এই দিবস উপলক্ষ্যে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) আজ ১১ অক্টোবর, শনিবার একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঢাকার কড়াইলে অবস্থিত প্যালিয়েটিভ কেয়ার...
৪ দিন আগে