রিক্তা রিচি, ঢাকা
সন্তানের সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় হওয়া জরুরি। নয়তো বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। সম্পর্কের অভ্যন্তরীণ ফাটল দেখা দেয়। বোঝাপড়ার সমস্যা হয়। এভাবে চলতে থাকলে সন্তান হতাশায় হাবুডুবু খায়। একসময় বিপথেও পা বাড়ায়।
তাই ছোট থেকে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন, প্রয়োজন বাড়তি যত্নের। অভিভাবকের উচিত পরিবারে বেশি সময় দেওয়া। এতে পারিবারিক সম্পর্ক মধুর হবে। সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ হবে। সন্তানের সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো হবে।
গবেষকেরা মনে করেন, কিছু বাক্য, কিছু আবেগ প্রকাশে সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকের সম্পর্ক মধুর হয়।
ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ
প্রতিটি মানুষ ভালোবাসা পেতে চায়। আপনার সন্তানও ঠিক তাই। সব সময় বকা-ঝকা না করে সন্তানকে যে আপনি ভালোবাসেন, তা প্রকাশ করুন। তাকে বলুন, ‘আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’ আমেরিকার পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষকদের মতে, এটি একটি শক্তিশালী বাক্য। আপনার কাছ থেকে সন্তান যখন এই বাক্য শুনবে, তখন আপনার প্রতি তার ভালোবাসা বেড়ে যাবে। আপনার প্রতি তার আস্থা ও বিশ্বাস জন্মাবে। আপনাকে সে ভয় পাবে না।
তার কথা শুনুন
সন্তানের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। সারা দিন সে কী কী করেছে, তার রাগ অভিমানগুলো কী নিয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো সময়ের গল্পগুলো শুনুন। শোনার মাধ্যমে আপনি তার কাছে ভরসার পাত্র হতে পারেন। আপনি তার প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল হোন। তাকে বোঝান, তার যেকোনো প্রয়োজনে আপনি তার পাশে আছেন।
ভালো কাজের জন্য ধন্যবাদ দিন
সন্তানকে ভালো কাজের জন্য, ভালো আচরণের জন্য ধন্যবাদ দিন। কেননা সন্তান আপনাকে দেখেই শিখবে। আপনি তাকে ধন্যবাদ দিলে সে অন্যদের ধন্যবাদ দেবে। আপনি অন্যদের প্রতি বিনয়ী হলে, সন্তানও এসব গুণ শিখবে। তাই সন্তানের সামনে নম্রতা, ভদ্রতা ও সুন্দর আচরণ বজায় রাখুন।
এক সঙ্গে পড়াশোনা
ছোট থেকে আপনার সন্তানকে বই পড়ায় উৎসাহিত করুন। কেবল বই-ই পারে তার ভাবনার জগৎ খুলে দিতে। তাই শৈশব থেকে সন্তানকে নিয়ে লাইব্রেরিতে যান। ভালো বই কিনুন। নিজে বই পড়ুন, সন্তানকেও উৎসাহিত করুন। মাঝে মাঝে বই পড়ে সে কী শিখেছে, তার পরীক্ষা নিন। এভাবে আপনার সঙ্গে সন্তানের সখ্য বাড়বে।
একসঙ্গে খেলাধুলা
সন্তানের সঠিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সৃজনশীল বিকাশ ঘটে। সন্তানের সঙ্গে খেলার চেষ্টা করুন। তাকে সাইকেল চালানো, সাঁতার, ক্রিকেট ইত্যাদি শেখান। বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া খেলা, যেমন লুডু, ক্যারাম ইত্যাদিও খেলতে পারেন।
এক টেবিলে খাওয়া দাওয়া
সন্তানের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার খান। এতে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে। খাবার খেতে খেতে সন্তানকে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন মজাদার ঘটনা শোনাতে পারেন। সাধারণ জ্ঞান-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর জানাতে পারেন। তবে এ সময় মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিকস ডিভাইস দূরে রাখুন।
ভুলের জন্য শাস্তি নয়
সন্তান ভুল করবে, এটা স্বাভাবিক। ভুল হলে তাকে কড়া শাসন করবেন না। এতে সে বিগড়ে যেতে পারে, মানসিকভাবে প্রচণ্ড আঘাত পেতে পারে। বরং তাকে ভুল শুধরে নেওয়ার কৌশল শিখিয়ে দিন। একবার না পারলে, বারবার চেষ্টা করতে বলুন।
সূত্র: ফ্যামিলি সার্ভিসেস ও ভেরি ওয়েল ফ্যামিলি অবলম্বনে লেখা।
সন্তানের সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় হওয়া জরুরি। নয়তো বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। সম্পর্কের অভ্যন্তরীণ ফাটল দেখা দেয়। বোঝাপড়ার সমস্যা হয়। এভাবে চলতে থাকলে সন্তান হতাশায় হাবুডুবু খায়। একসময় বিপথেও পা বাড়ায়।
তাই ছোট থেকে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন, প্রয়োজন বাড়তি যত্নের। অভিভাবকের উচিত পরিবারে বেশি সময় দেওয়া। এতে পারিবারিক সম্পর্ক মধুর হবে। সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ হবে। সন্তানের সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো হবে।
গবেষকেরা মনে করেন, কিছু বাক্য, কিছু আবেগ প্রকাশে সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকের সম্পর্ক মধুর হয়।
ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ
প্রতিটি মানুষ ভালোবাসা পেতে চায়। আপনার সন্তানও ঠিক তাই। সব সময় বকা-ঝকা না করে সন্তানকে যে আপনি ভালোবাসেন, তা প্রকাশ করুন। তাকে বলুন, ‘আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’ আমেরিকার পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষকদের মতে, এটি একটি শক্তিশালী বাক্য। আপনার কাছ থেকে সন্তান যখন এই বাক্য শুনবে, তখন আপনার প্রতি তার ভালোবাসা বেড়ে যাবে। আপনার প্রতি তার আস্থা ও বিশ্বাস জন্মাবে। আপনাকে সে ভয় পাবে না।
তার কথা শুনুন
সন্তানের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। সারা দিন সে কী কী করেছে, তার রাগ অভিমানগুলো কী নিয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো সময়ের গল্পগুলো শুনুন। শোনার মাধ্যমে আপনি তার কাছে ভরসার পাত্র হতে পারেন। আপনি তার প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল হোন। তাকে বোঝান, তার যেকোনো প্রয়োজনে আপনি তার পাশে আছেন।
ভালো কাজের জন্য ধন্যবাদ দিন
সন্তানকে ভালো কাজের জন্য, ভালো আচরণের জন্য ধন্যবাদ দিন। কেননা সন্তান আপনাকে দেখেই শিখবে। আপনি তাকে ধন্যবাদ দিলে সে অন্যদের ধন্যবাদ দেবে। আপনি অন্যদের প্রতি বিনয়ী হলে, সন্তানও এসব গুণ শিখবে। তাই সন্তানের সামনে নম্রতা, ভদ্রতা ও সুন্দর আচরণ বজায় রাখুন।
এক সঙ্গে পড়াশোনা
ছোট থেকে আপনার সন্তানকে বই পড়ায় উৎসাহিত করুন। কেবল বই-ই পারে তার ভাবনার জগৎ খুলে দিতে। তাই শৈশব থেকে সন্তানকে নিয়ে লাইব্রেরিতে যান। ভালো বই কিনুন। নিজে বই পড়ুন, সন্তানকেও উৎসাহিত করুন। মাঝে মাঝে বই পড়ে সে কী শিখেছে, তার পরীক্ষা নিন। এভাবে আপনার সঙ্গে সন্তানের সখ্য বাড়বে।
একসঙ্গে খেলাধুলা
সন্তানের সঠিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সৃজনশীল বিকাশ ঘটে। সন্তানের সঙ্গে খেলার চেষ্টা করুন। তাকে সাইকেল চালানো, সাঁতার, ক্রিকেট ইত্যাদি শেখান। বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া খেলা, যেমন লুডু, ক্যারাম ইত্যাদিও খেলতে পারেন।
এক টেবিলে খাওয়া দাওয়া
সন্তানের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার খান। এতে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে। খাবার খেতে খেতে সন্তানকে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন মজাদার ঘটনা শোনাতে পারেন। সাধারণ জ্ঞান-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর জানাতে পারেন। তবে এ সময় মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিকস ডিভাইস দূরে রাখুন।
ভুলের জন্য শাস্তি নয়
সন্তান ভুল করবে, এটা স্বাভাবিক। ভুল হলে তাকে কড়া শাসন করবেন না। এতে সে বিগড়ে যেতে পারে, মানসিকভাবে প্রচণ্ড আঘাত পেতে পারে। বরং তাকে ভুল শুধরে নেওয়ার কৌশল শিখিয়ে দিন। একবার না পারলে, বারবার চেষ্টা করতে বলুন।
সূত্র: ফ্যামিলি সার্ভিসেস ও ভেরি ওয়েল ফ্যামিলি অবলম্বনে লেখা।
উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী
১৭ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকের প্রায় অনেক সময় নাক খোঁটানোর অভ্যাস আছে। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও গবেষকেরা বলছেন, নাক খোঁটানোর বিষয়টি মোটেও নিরাপদ নয়। ২০২২ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাক খোঁটার সঙ্গে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির ক্ষীণ কিন্তু সম্ভাব্য যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে।
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১ দিন আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৩ দিন আগে