মানুষের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে, মানুষের মস্তিষ্কে অতিক্ষুদ্র এই প্লাস্টিক কণা বেশি মাত্রায় জমা হচ্ছে বলে একটি নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে।
১৯৯৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের টিস্যু পরীক্ষা করে এই বৃদ্ধি শনাক্ত করা হয়েছে। গবেষকেরা যকৃৎ (লিভার) ও কিডনিতেও এই ছোট্ট প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি পেয়েছেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক ইতিমধ্যে মানুষের রক্ত, শুক্রাণু, স্তন্যপানকারী দুধ, গর্ভনালির প্লাসেন্টা ও অস্থিমজ্জায় পাওয়া গেছে। মাইক্রোপ্লাস্টিকের স্বাস্থ্যগত প্রভাব এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে কিছু গবেষণা স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে এই ক্ষুদ্র কণার সংযোগের ইঙ্গিত দিয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ ছয় গুণ বেশি ছিল। তবে গবেষকেরা জানিয়েছেন, এটি সরাসরি ডিমেনশিয়ার কারণ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না। কারণ, ডিমেনশিয়ার ফলে মস্তিষ্কের গঠনগত পরিবর্তন হয় অনেক সময়। এই পরিবর্তনও প্লাস্টিক কণা জমার পরিমাণ বাড়াতে পারে।
গবেষণাটির প্রধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাথিউ ক্যাম্পেন। তিনি বলেন, ‘পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ব্যাপক বৃদ্ধি দেখে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি, এটি স্নায়বিক সমস্যার কারণ কি না বা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত প্রভাব ফেলছে কি না। তবে এটি গভীরভাবে বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।’
মাইক্রোপ্লাস্টিক মূলত প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে ভেঙে তৈরি হয়। এটি পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে, এমনকি মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া থেকে গভীর মহাসাগরেও এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মানুষ প্রতিদিন খাবার, পানি ও বাতাসের মাধ্যমে এই প্লাস্টিক কণা গ্রহণ করছে।
একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অকালপ্রসূ (প্রিম্যাচিউর) শিশুর গর্ভনালির প্লাসেন্টায় মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের মাত্রা অনেক বেশি। আরেকটি গবেষণায় ইঁদুরের মস্তিষ্কে দেখা গেছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক রক্তনালি ব্লক করে স্নায়বিক ক্ষতি ঘটাতে পারে। তবে মানুষের ক্ষেত্রে এই প্রভাব এখনো নিশ্চিত নয়।
নতুন গবেষণাটি নেচার মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মানুষের মস্তিষ্কে পাওয়া প্লাস্টিক কণাগুলো ছিল অত্যন্ত ছোট আকারের। এগুলো শার্প ও ফ্লেকের মতো ভাঙা অবস্থায় ছিল।
ব্রিটেনের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তামারা গ্যালোওয়ে বলেন, ‘গত আট বছরে মস্তিষ্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে, যা প্লাস্টিক উৎপাদন ও ব্যবহারের বাড়তি প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ কমানো গেলে মানবদেহেও এই দূষণ কমবে। এটি আমাদের জন্য প্লাস্টিক ব্যবহারের বিকল্প উদ্ভাবনের একটি বড় অনুপ্রেরণা।’
মানুষের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে, মানুষের মস্তিষ্কে অতিক্ষুদ্র এই প্লাস্টিক কণা বেশি মাত্রায় জমা হচ্ছে বলে একটি নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে।
১৯৯৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের টিস্যু পরীক্ষা করে এই বৃদ্ধি শনাক্ত করা হয়েছে। গবেষকেরা যকৃৎ (লিভার) ও কিডনিতেও এই ছোট্ট প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি পেয়েছেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক ইতিমধ্যে মানুষের রক্ত, শুক্রাণু, স্তন্যপানকারী দুধ, গর্ভনালির প্লাসেন্টা ও অস্থিমজ্জায় পাওয়া গেছে। মাইক্রোপ্লাস্টিকের স্বাস্থ্যগত প্রভাব এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে কিছু গবেষণা স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে এই ক্ষুদ্র কণার সংযোগের ইঙ্গিত দিয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ ছয় গুণ বেশি ছিল। তবে গবেষকেরা জানিয়েছেন, এটি সরাসরি ডিমেনশিয়ার কারণ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না। কারণ, ডিমেনশিয়ার ফলে মস্তিষ্কের গঠনগত পরিবর্তন হয় অনেক সময়। এই পরিবর্তনও প্লাস্টিক কণা জমার পরিমাণ বাড়াতে পারে।
গবেষণাটির প্রধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাথিউ ক্যাম্পেন। তিনি বলেন, ‘পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ব্যাপক বৃদ্ধি দেখে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি, এটি স্নায়বিক সমস্যার কারণ কি না বা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত প্রভাব ফেলছে কি না। তবে এটি গভীরভাবে বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।’
মাইক্রোপ্লাস্টিক মূলত প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে ভেঙে তৈরি হয়। এটি পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে, এমনকি মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া থেকে গভীর মহাসাগরেও এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মানুষ প্রতিদিন খাবার, পানি ও বাতাসের মাধ্যমে এই প্লাস্টিক কণা গ্রহণ করছে।
একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অকালপ্রসূ (প্রিম্যাচিউর) শিশুর গর্ভনালির প্লাসেন্টায় মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের মাত্রা অনেক বেশি। আরেকটি গবেষণায় ইঁদুরের মস্তিষ্কে দেখা গেছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক রক্তনালি ব্লক করে স্নায়বিক ক্ষতি ঘটাতে পারে। তবে মানুষের ক্ষেত্রে এই প্রভাব এখনো নিশ্চিত নয়।
নতুন গবেষণাটি নেচার মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মানুষের মস্তিষ্কে পাওয়া প্লাস্টিক কণাগুলো ছিল অত্যন্ত ছোট আকারের। এগুলো শার্প ও ফ্লেকের মতো ভাঙা অবস্থায় ছিল।
ব্রিটেনের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তামারা গ্যালোওয়ে বলেন, ‘গত আট বছরে মস্তিষ্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে, যা প্লাস্টিক উৎপাদন ও ব্যবহারের বাড়তি প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ কমানো গেলে মানবদেহেও এই দূষণ কমবে। এটি আমাদের জন্য প্লাস্টিক ব্যবহারের বিকল্প উদ্ভাবনের একটি বড় অনুপ্রেরণা।’
দীর্ঘ কয়েক দশক গবেষণা ও বিতর্কের পর এবার একটি নতুন ধরনের ডায়াবেটিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ)। ‘টাইপ ৫ ডায়াবেটিস’ হিসেবে চিহ্নিত এই রোগ মূলত অপুষ্টিজনিত এবং সাধারণত কমবয়সী, হালকা-গড়নের ও অপুষ্টিতে ভোগা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেখা যায়।
১ দিন আগেদুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
২ দিন আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
৪ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
৪ দিন আগে