ফিচার ডেস্ক
বর্ষাকাল এলেই বাড়ে সর্দি-কাশি, জ্বরের প্রকোপ। কিন্তু শুধু এসব নয়, এ সময়ে বাড়ছে হৃদ্রোগের সমস্যাও। আগের ধারণা ছিল, হৃদ্রোগ শহরের মানুষের সমস্যা। কিন্তু এখন গ্রামেও এতে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামীণ জীবন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আর মানসিক চাপের কারণে বাড়ছে এই ঝুঁকি।
গ্রামে কেন বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা
একসময় গ্রামের মানুষ পুষ্টিকর খাবার খেত। সেখানে থাকত নানা ধরনের শস্য। নিয়মিত হাঁটা-চলাসহ গ্রামীণ জীবনযাপন ছিল প্রকৃতিকেন্দ্রিক। এখন সে ছবি বদলেছে। প্যাকেটজাত, তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। কমেছে শারীরিক পরিশ্রম। গ্রামাঞ্চলেও এখন শহরের মতো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ও কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ছে।
বর্ষাকালে কেন বেশি ঝুঁকি
বর্ষাকালে আবহাওয়ার পরিবর্তন শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। এমন সময়ে অনেকে অনিয়ন্ত্রিত খাবার খান, কম হয় হাঁটা-চলা। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে বাইরে যাওয়া কিংবা শরীরচর্চা কমে যায়। ফলে শরীরে জমে থাকা রোগের উপসর্গ বোঝা যায় না। এ জন্য হঠাৎ হয়ে যেতে পারে হার্ট অ্যাটাক।
কোন বিষয়গুলো অজান্তেই ক্ষতি করছে
» ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স
» উচ্চ রক্তচাপ
» কোলেস্টেরল জমা
» স্থূলতা
কীভাবে আগে থেকে বোঝা যায় রোগের ঝুঁকি
ইসিজি বা ইকো করে সব সময় প্রাথমিক ধাপ বোঝা যায় না। তাই উন্নত স্ক্যান, যেমন সিটি, সিএজি, ক্যালসিয়াম স্কোরিং বা ক্যাথেটার এনজিওগ্রাম করাতে হয়। যাঁদের ব্লকেজ খুব বেশি নয়, তাঁদের ওষুধেই চিকিৎসা সম্ভব। তবে দেরি হলে স্টেন্ট বা বাইপাসের প্রয়োজন হয়।
ব্যায়াম শুরুর আগে
ব্যায়াম শরীরের জন্য ভালো। তবে শুরু করার আগে বয়স, ওজন ও বর্তমান শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম শুরু করতে হবে। কারণ, সবার জন্য নিয়ম এক নয়। বর্ষায় হঠাৎ ব্যায়াম শুরু করলে উল্টো বিপদ হতে পারে।
কারা বেশি ঝুঁকিতে
হৃদ্রোগের ঝুঁকি এখন আর শুধু বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ফলে শিশুকাল থেকে এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ ও সচেতন জীবনযাপন শেখানো উচিত। অন্যদিকে, আগে নারীদের হরমোনের কারণে হৃদ্রোগ থেকে কিছুটা সুরক্ষিত মনে করা হতো। কিন্তু বর্তমানে বদলে যাওয়া জীবনধারা, মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম ও ব্যায়ামের অভাবে নারীদের মধ্যেও বাড়ছে হৃদ্রোগের প্রবণতা। বিশেষ করে বর্ষাকালের মতো ঋতু পরিবর্তনের সময়। এখন অনেক নারীই হৃদ্রোগে আক্রান্তের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন। তাই নারী, পুরুষ ও শিশু—সব বয়সী মানুষের ক্ষেত্রেই হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে।
হৃদ্রোগ প্রতিরোধে
» নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো
» পরিমিত ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
» ধূমপান, মাদক ও অ্যালকোহল পরিহার করা
» ঘুম ঠিক রাখা
» মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
হৃদ্রোগ এখন শুধু শহরের সমস্যা নয়। গ্রামাঞ্চলেও এর ঝুঁকি বাড়ছে; বিশেষ করে বর্ষাকালে। এ রোগপ্রতিরোধে সচেতন জীবন যাপন করা জরুরি।
সূত্র: হেলথশট
বর্ষাকাল এলেই বাড়ে সর্দি-কাশি, জ্বরের প্রকোপ। কিন্তু শুধু এসব নয়, এ সময়ে বাড়ছে হৃদ্রোগের সমস্যাও। আগের ধারণা ছিল, হৃদ্রোগ শহরের মানুষের সমস্যা। কিন্তু এখন গ্রামেও এতে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামীণ জীবন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আর মানসিক চাপের কারণে বাড়ছে এই ঝুঁকি।
গ্রামে কেন বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা
একসময় গ্রামের মানুষ পুষ্টিকর খাবার খেত। সেখানে থাকত নানা ধরনের শস্য। নিয়মিত হাঁটা-চলাসহ গ্রামীণ জীবনযাপন ছিল প্রকৃতিকেন্দ্রিক। এখন সে ছবি বদলেছে। প্যাকেটজাত, তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। কমেছে শারীরিক পরিশ্রম। গ্রামাঞ্চলেও এখন শহরের মতো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ও কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ছে।
বর্ষাকালে কেন বেশি ঝুঁকি
বর্ষাকালে আবহাওয়ার পরিবর্তন শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। এমন সময়ে অনেকে অনিয়ন্ত্রিত খাবার খান, কম হয় হাঁটা-চলা। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে বাইরে যাওয়া কিংবা শরীরচর্চা কমে যায়। ফলে শরীরে জমে থাকা রোগের উপসর্গ বোঝা যায় না। এ জন্য হঠাৎ হয়ে যেতে পারে হার্ট অ্যাটাক।
কোন বিষয়গুলো অজান্তেই ক্ষতি করছে
» ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স
» উচ্চ রক্তচাপ
» কোলেস্টেরল জমা
» স্থূলতা
কীভাবে আগে থেকে বোঝা যায় রোগের ঝুঁকি
ইসিজি বা ইকো করে সব সময় প্রাথমিক ধাপ বোঝা যায় না। তাই উন্নত স্ক্যান, যেমন সিটি, সিএজি, ক্যালসিয়াম স্কোরিং বা ক্যাথেটার এনজিওগ্রাম করাতে হয়। যাঁদের ব্লকেজ খুব বেশি নয়, তাঁদের ওষুধেই চিকিৎসা সম্ভব। তবে দেরি হলে স্টেন্ট বা বাইপাসের প্রয়োজন হয়।
ব্যায়াম শুরুর আগে
ব্যায়াম শরীরের জন্য ভালো। তবে শুরু করার আগে বয়স, ওজন ও বর্তমান শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম শুরু করতে হবে। কারণ, সবার জন্য নিয়ম এক নয়। বর্ষায় হঠাৎ ব্যায়াম শুরু করলে উল্টো বিপদ হতে পারে।
কারা বেশি ঝুঁকিতে
হৃদ্রোগের ঝুঁকি এখন আর শুধু বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ফলে শিশুকাল থেকে এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ ও সচেতন জীবনযাপন শেখানো উচিত। অন্যদিকে, আগে নারীদের হরমোনের কারণে হৃদ্রোগ থেকে কিছুটা সুরক্ষিত মনে করা হতো। কিন্তু বর্তমানে বদলে যাওয়া জীবনধারা, মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম ও ব্যায়ামের অভাবে নারীদের মধ্যেও বাড়ছে হৃদ্রোগের প্রবণতা। বিশেষ করে বর্ষাকালের মতো ঋতু পরিবর্তনের সময়। এখন অনেক নারীই হৃদ্রোগে আক্রান্তের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন। তাই নারী, পুরুষ ও শিশু—সব বয়সী মানুষের ক্ষেত্রেই হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে।
হৃদ্রোগ প্রতিরোধে
» নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো
» পরিমিত ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
» ধূমপান, মাদক ও অ্যালকোহল পরিহার করা
» ঘুম ঠিক রাখা
» মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
হৃদ্রোগ এখন শুধু শহরের সমস্যা নয়। গ্রামাঞ্চলেও এর ঝুঁকি বাড়ছে; বিশেষ করে বর্ষাকালে। এ রোগপ্রতিরোধে সচেতন জীবন যাপন করা জরুরি।
সূত্র: হেলথশট
একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
১ দিন আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
২ দিন আগেহিমালয়ের ‘হিমলুং’ পর্বত শিখরে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন দেশের নারী পর্বতারোহী নুরুননাহার নিম্মি। ৩০ দিনের এই অভিযানে শনিবার (আজ) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। শুক্রবার (গতকাল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযাত্রী নুরুননাহার নিম্মির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
২ দিন আগেনারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ...
২ দিন আগে