অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া

আজ বিশ্ব পরিবার দিবস। এবছরের প্রতিপাদ্য, ‘পরিবার এবং জলবায়ু পরিবর্তন’। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের একটি দেশ বা তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যেখানে মৌলিক চাহিদা অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল সেখানে জলবায়ু ও পরিবেশ আসলে পরিবারের ওপর কতটুকু ভূমিকা রাখে? এখানেই বিস্তর কথা বলার রয়েছে।
দৃশ্যপট যেমন
বিগত তিন চার বছরের তীব্র গরম, ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার, উত্তরাঞ্চলের খরা, টিউবয়েলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা বিধ্বস্ত করছে এখানকার জনজীবনকে। এবার ক্যানভাস যদি ছোট করে নিয়ে আসি, তাহলে বলা যায়– এই জনজীবনের ক্ষুদ্র বিভাজন হলো একেক একটি পরিবার। কাজেই পরিবারের ওপরও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তো আছেই। পরিবারের রোজকার জীবন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সবকিছুতেই এর প্রভাব বিস্তর।
চলতি বছর জাতিসংঘ সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রশ্ন তুলেছে জলবায়ুর পরিবর্তন কিভাবে পরিবারকে প্রভাবিত করছে আবার পরিবার কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। কারণ একটি পরিবারের ভালো থাকার সঙ্গে মৌলিক চাহিদাগুলোকে উপস্থাপন করলে এর সাথে চলে আসে জলবায়ুর কারণে কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয়, খাদ্য শৃংখলের বিচ্যুতি এবং অর্থনৈতিক প্রভাবের বিষয়গুলো। এক কথায় বলা যায়, জলবায়ুর বিপর্যয়ের সাথে সাথে বাস্তুসংস্থানের যে পরিবর্তন তার দায়ভার কিন্তু মানুষকে মেটাতে হয়।
পরিবেশের ক্ষতি ও পরিবারের দায়
একটু যদি সহজ ভাবে জিনিসটা দেখি, তাহলে দেখা যায় পরিবার বা জনসংখ্যা দ্বারা যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গত হচ্ছে তার পেছনে বিদ্যুতের ব্যবহার, যানবাহনের ব্যবহার, প্রাণিজ আমিষ জাতীয় খাদ্য ব্যবহার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই বর্তমানে একটি বিষয় বৈজ্ঞানিক মহলে বহুল আলোচিত হচ্ছে, তা হলো– কার্বন ফুটপ্রিন্ট। আমার পরিবার অথবা আমি কি পরিমান কার্বন নিঃসরণ ঘটিয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাচ্ছি? – এটা একটা প্রশ্ন। প্রচন্ড গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে আমাদের নিজেদের ও পরিবারের ভূমিকা কী সেদিকে চোখ রাখলে দেখা যায়; একদিকে যেমন পরিবারগুলোয় এসির ব্যবহার, মোটর যান এবং ফ্রিজের ব্যবহার দিন দিন বেড়েছে। অন্যদিক থেকে পানির অপচয়, পর্যাপ্ত গাছ লাগানো ও বিদ্য়ুৎ সাশ্রয় নিয়ে ভাবার মতো মানুষের সংখ্যাও কমেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না এই সচেতনতা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত অর্থনৈতিকভাবে যেমন আমরা ক্ষতির শিকার হব, ঠিক সেভাবেই পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চলতেই থাকবে।
জলবায়ু ও পরিবেশ যেভাবে পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলে
একটু খোঁজ করলে দেখবেন দাম্পত্য কলহ এবং সামাজিক বিবাদ বহুলাংশে বেড়েছে। কারণ তীব্র গরম আমাদের ক্রমশ অসহিষ্ণু করে তুলছে। এই অসহিষ্ণুতার শিকার শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সীরাই। তীব্র গরম ও তীব্র শীত; অর্থাৎ চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া মনস্তাত্ত্বিক বিকাশকে ব্যাহত করছে। সহিষ্ণুতা কমাচ্ছে। ফলে আন্তঃসম্পর্কগুলোর বাঁধন আলগা হচ্ছে।
গুরুত্বের সঙ্গে বলা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবারের সদস্য়দের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সূর্যের আলো সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক, যা আমাদের মেজাজ এবং শক্তির মাত্রাকে উন্নত করে। বিপরীতভাবে, ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের অলস এবং অবসাদবোধ করায়। উপরন্তু, খারাপ আবহাওয়া বিষণ্নতা এবং উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেশি গরম আবহাওয়ায় মানুষ, আবেগপ্রবণ, আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। তীব্র তাপবাহ আমাদের মস্তিষ্ক ও মেজাজকে প্রভাবিত করে। গ্রীষ্মের তীব্র তাপমাত্রা আপনাকে উদ্বিগ্ন এবং খিটখিটে করে তুলতে পারে এবং আপনার চিন্তাভাবনাকে নিস্তেজ করে দিতে পারে। ফলে পরিবারের ওপর, পরিবারের সদস্যদের মধ্য়ে আন্তঃসম্পর্ক ও সদস্যদের সুস্বাস্থ্য়ের ওপর জলবায়ু ও পরিবেশের প্রভাব অপরিসীম।
পরিবার ও জনজীবনের সুস্বাস্থ্য় রক্ষায় যেসব সবুজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে–
১. যতটা সম্ভব সৌরশক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। সৌর শক্তির ব্যবহার প্রতিবছর অন্তত দেড় টন কার্বন ফুট প্রিন্ট কমায়; যা পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২. যতটুকু সম্ভব হাঁটা, সাইকেল অথবা জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য যানবাহন ব্যবহার করা যায় ততই স্বাস্থ্যকর। কারণ ১টি গাড়ির ব্যবহার কমালে অন্তত দুই টন কার্বন ফুট প্রিন্ট প্রতিবছর কমবে।
৩. যতটুকু সম্ভব খাদ্য অপচয় রোধ করতে হবে। খাদ্যাভাসে মাংসের পরিমাণ কমিয়ে সবজি, ফল, আঁশযুক্ত শস্য, বিভিন্ন ধরনের ডাল, বাদাম, নানা ধরনের বিচি এবং দুগ্ধ জাতীয় দ্রব্য যুক্ত করুন। এ ধরনের খাবার পরিবেশ বান্ধব। কারণ উদ্ভিজ্জ খাদ্য উপকরণ গ্রিনহাউস গ্যাস কমায়।
৪. প্লাস্টিকের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে। প্লাস্টিকের উপকরণ যত রিসাইকেল করা যায় ততই মঙ্গল। কারণ প্লাস্টিক শত বছরের বেশি টিকে থাকে ও পরিবেশের ক্ষতি করে।
৫. পরিবেশবান্ধব স্থানীয় গাছ লাগান। বর্তমানে ইপি্লিপিল আর ইউক্যালিপটাসে দেশের অনেক জায়গা ছেয়ে গেছে। আবার বিত্তশালীদের মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বিদেশ থেকে গাছ আমদানি করে লাগাতে। মনে রাখতে হবে দেশের মাটির জন্য দেশীয় গাছের বিকল্প কিছু নেই। দেশি গাছের ফল এবং বিভিন্ন অংশ পশু–পাখি এবং পোকামাকড়ের খাবার। এটি বাস্তুসংস্থানেরই একটি অংশ। কিন্তু বিদেশী গাছের ফল অনেক সময় পাখি বা পোকা গ্রহণ করে না যার ফলে জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হয়।
৬. পারিবারিক উদ্য়োগেই বাড়ির আশেপাশের ময়লা আবর্জনা, পুকুর, ইত্যাদি পরিষ্কার করুন। এতে পরিবেশ দূষণ কমবে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনে পারিবারিকভাবেই সচেতন হোন। কারণ এই ক্ষুদ্র সংগঠন থেকেই ভালো কিছুর সূচনা হয় ও আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। যা পরবর্তীতে জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

আজ বিশ্ব পরিবার দিবস। এবছরের প্রতিপাদ্য, ‘পরিবার এবং জলবায়ু পরিবর্তন’। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের একটি দেশ বা তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যেখানে মৌলিক চাহিদা অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল সেখানে জলবায়ু ও পরিবেশ আসলে পরিবারের ওপর কতটুকু ভূমিকা রাখে? এখানেই বিস্তর কথা বলার রয়েছে।
দৃশ্যপট যেমন
বিগত তিন চার বছরের তীব্র গরম, ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার, উত্তরাঞ্চলের খরা, টিউবয়েলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা বিধ্বস্ত করছে এখানকার জনজীবনকে। এবার ক্যানভাস যদি ছোট করে নিয়ে আসি, তাহলে বলা যায়– এই জনজীবনের ক্ষুদ্র বিভাজন হলো একেক একটি পরিবার। কাজেই পরিবারের ওপরও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তো আছেই। পরিবারের রোজকার জীবন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সবকিছুতেই এর প্রভাব বিস্তর।
চলতি বছর জাতিসংঘ সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রশ্ন তুলেছে জলবায়ুর পরিবর্তন কিভাবে পরিবারকে প্রভাবিত করছে আবার পরিবার কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। কারণ একটি পরিবারের ভালো থাকার সঙ্গে মৌলিক চাহিদাগুলোকে উপস্থাপন করলে এর সাথে চলে আসে জলবায়ুর কারণে কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয়, খাদ্য শৃংখলের বিচ্যুতি এবং অর্থনৈতিক প্রভাবের বিষয়গুলো। এক কথায় বলা যায়, জলবায়ুর বিপর্যয়ের সাথে সাথে বাস্তুসংস্থানের যে পরিবর্তন তার দায়ভার কিন্তু মানুষকে মেটাতে হয়।
পরিবেশের ক্ষতি ও পরিবারের দায়
একটু যদি সহজ ভাবে জিনিসটা দেখি, তাহলে দেখা যায় পরিবার বা জনসংখ্যা দ্বারা যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গত হচ্ছে তার পেছনে বিদ্যুতের ব্যবহার, যানবাহনের ব্যবহার, প্রাণিজ আমিষ জাতীয় খাদ্য ব্যবহার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই বর্তমানে একটি বিষয় বৈজ্ঞানিক মহলে বহুল আলোচিত হচ্ছে, তা হলো– কার্বন ফুটপ্রিন্ট। আমার পরিবার অথবা আমি কি পরিমান কার্বন নিঃসরণ ঘটিয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাচ্ছি? – এটা একটা প্রশ্ন। প্রচন্ড গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে আমাদের নিজেদের ও পরিবারের ভূমিকা কী সেদিকে চোখ রাখলে দেখা যায়; একদিকে যেমন পরিবারগুলোয় এসির ব্যবহার, মোটর যান এবং ফ্রিজের ব্যবহার দিন দিন বেড়েছে। অন্যদিক থেকে পানির অপচয়, পর্যাপ্ত গাছ লাগানো ও বিদ্য়ুৎ সাশ্রয় নিয়ে ভাবার মতো মানুষের সংখ্যাও কমেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না এই সচেতনতা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত অর্থনৈতিকভাবে যেমন আমরা ক্ষতির শিকার হব, ঠিক সেভাবেই পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চলতেই থাকবে।
জলবায়ু ও পরিবেশ যেভাবে পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলে
একটু খোঁজ করলে দেখবেন দাম্পত্য কলহ এবং সামাজিক বিবাদ বহুলাংশে বেড়েছে। কারণ তীব্র গরম আমাদের ক্রমশ অসহিষ্ণু করে তুলছে। এই অসহিষ্ণুতার শিকার শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সীরাই। তীব্র গরম ও তীব্র শীত; অর্থাৎ চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া মনস্তাত্ত্বিক বিকাশকে ব্যাহত করছে। সহিষ্ণুতা কমাচ্ছে। ফলে আন্তঃসম্পর্কগুলোর বাঁধন আলগা হচ্ছে।
গুরুত্বের সঙ্গে বলা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবারের সদস্য়দের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সূর্যের আলো সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক, যা আমাদের মেজাজ এবং শক্তির মাত্রাকে উন্নত করে। বিপরীতভাবে, ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের অলস এবং অবসাদবোধ করায়। উপরন্তু, খারাপ আবহাওয়া বিষণ্নতা এবং উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেশি গরম আবহাওয়ায় মানুষ, আবেগপ্রবণ, আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। তীব্র তাপবাহ আমাদের মস্তিষ্ক ও মেজাজকে প্রভাবিত করে। গ্রীষ্মের তীব্র তাপমাত্রা আপনাকে উদ্বিগ্ন এবং খিটখিটে করে তুলতে পারে এবং আপনার চিন্তাভাবনাকে নিস্তেজ করে দিতে পারে। ফলে পরিবারের ওপর, পরিবারের সদস্যদের মধ্য়ে আন্তঃসম্পর্ক ও সদস্যদের সুস্বাস্থ্য়ের ওপর জলবায়ু ও পরিবেশের প্রভাব অপরিসীম।
পরিবার ও জনজীবনের সুস্বাস্থ্য় রক্ষায় যেসব সবুজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে–
১. যতটা সম্ভব সৌরশক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। সৌর শক্তির ব্যবহার প্রতিবছর অন্তত দেড় টন কার্বন ফুট প্রিন্ট কমায়; যা পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২. যতটুকু সম্ভব হাঁটা, সাইকেল অথবা জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য যানবাহন ব্যবহার করা যায় ততই স্বাস্থ্যকর। কারণ ১টি গাড়ির ব্যবহার কমালে অন্তত দুই টন কার্বন ফুট প্রিন্ট প্রতিবছর কমবে।
৩. যতটুকু সম্ভব খাদ্য অপচয় রোধ করতে হবে। খাদ্যাভাসে মাংসের পরিমাণ কমিয়ে সবজি, ফল, আঁশযুক্ত শস্য, বিভিন্ন ধরনের ডাল, বাদাম, নানা ধরনের বিচি এবং দুগ্ধ জাতীয় দ্রব্য যুক্ত করুন। এ ধরনের খাবার পরিবেশ বান্ধব। কারণ উদ্ভিজ্জ খাদ্য উপকরণ গ্রিনহাউস গ্যাস কমায়।
৪. প্লাস্টিকের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে। প্লাস্টিকের উপকরণ যত রিসাইকেল করা যায় ততই মঙ্গল। কারণ প্লাস্টিক শত বছরের বেশি টিকে থাকে ও পরিবেশের ক্ষতি করে।
৫. পরিবেশবান্ধব স্থানীয় গাছ লাগান। বর্তমানে ইপি্লিপিল আর ইউক্যালিপটাসে দেশের অনেক জায়গা ছেয়ে গেছে। আবার বিত্তশালীদের মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বিদেশ থেকে গাছ আমদানি করে লাগাতে। মনে রাখতে হবে দেশের মাটির জন্য দেশীয় গাছের বিকল্প কিছু নেই। দেশি গাছের ফল এবং বিভিন্ন অংশ পশু–পাখি এবং পোকামাকড়ের খাবার। এটি বাস্তুসংস্থানেরই একটি অংশ। কিন্তু বিদেশী গাছের ফল অনেক সময় পাখি বা পোকা গ্রহণ করে না যার ফলে জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হয়।
৬. পারিবারিক উদ্য়োগেই বাড়ির আশেপাশের ময়লা আবর্জনা, পুকুর, ইত্যাদি পরিষ্কার করুন। এতে পরিবেশ দূষণ কমবে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনে পারিবারিকভাবেই সচেতন হোন। কারণ এই ক্ষুদ্র সংগঠন থেকেই ভালো কিছুর সূচনা হয় ও আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। যা পরবর্তীতে জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া

আজ বিশ্ব পরিবার দিবস। এবছরের প্রতিপাদ্য, ‘পরিবার এবং জলবায়ু পরিবর্তন’। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের একটি দেশ বা তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যেখানে মৌলিক চাহিদা অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল সেখানে জলবায়ু ও পরিবেশ আসলে পরিবারের ওপর কতটুকু ভূমিকা রাখে? এখানেই বিস্তর কথা বলার রয়েছে।
দৃশ্যপট যেমন
বিগত তিন চার বছরের তীব্র গরম, ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার, উত্তরাঞ্চলের খরা, টিউবয়েলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা বিধ্বস্ত করছে এখানকার জনজীবনকে। এবার ক্যানভাস যদি ছোট করে নিয়ে আসি, তাহলে বলা যায়– এই জনজীবনের ক্ষুদ্র বিভাজন হলো একেক একটি পরিবার। কাজেই পরিবারের ওপরও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তো আছেই। পরিবারের রোজকার জীবন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সবকিছুতেই এর প্রভাব বিস্তর।
চলতি বছর জাতিসংঘ সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রশ্ন তুলেছে জলবায়ুর পরিবর্তন কিভাবে পরিবারকে প্রভাবিত করছে আবার পরিবার কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। কারণ একটি পরিবারের ভালো থাকার সঙ্গে মৌলিক চাহিদাগুলোকে উপস্থাপন করলে এর সাথে চলে আসে জলবায়ুর কারণে কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয়, খাদ্য শৃংখলের বিচ্যুতি এবং অর্থনৈতিক প্রভাবের বিষয়গুলো। এক কথায় বলা যায়, জলবায়ুর বিপর্যয়ের সাথে সাথে বাস্তুসংস্থানের যে পরিবর্তন তার দায়ভার কিন্তু মানুষকে মেটাতে হয়।
পরিবেশের ক্ষতি ও পরিবারের দায়
একটু যদি সহজ ভাবে জিনিসটা দেখি, তাহলে দেখা যায় পরিবার বা জনসংখ্যা দ্বারা যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গত হচ্ছে তার পেছনে বিদ্যুতের ব্যবহার, যানবাহনের ব্যবহার, প্রাণিজ আমিষ জাতীয় খাদ্য ব্যবহার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই বর্তমানে একটি বিষয় বৈজ্ঞানিক মহলে বহুল আলোচিত হচ্ছে, তা হলো– কার্বন ফুটপ্রিন্ট। আমার পরিবার অথবা আমি কি পরিমান কার্বন নিঃসরণ ঘটিয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাচ্ছি? – এটা একটা প্রশ্ন। প্রচন্ড গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে আমাদের নিজেদের ও পরিবারের ভূমিকা কী সেদিকে চোখ রাখলে দেখা যায়; একদিকে যেমন পরিবারগুলোয় এসির ব্যবহার, মোটর যান এবং ফ্রিজের ব্যবহার দিন দিন বেড়েছে। অন্যদিক থেকে পানির অপচয়, পর্যাপ্ত গাছ লাগানো ও বিদ্য়ুৎ সাশ্রয় নিয়ে ভাবার মতো মানুষের সংখ্যাও কমেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না এই সচেতনতা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত অর্থনৈতিকভাবে যেমন আমরা ক্ষতির শিকার হব, ঠিক সেভাবেই পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চলতেই থাকবে।
জলবায়ু ও পরিবেশ যেভাবে পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলে
একটু খোঁজ করলে দেখবেন দাম্পত্য কলহ এবং সামাজিক বিবাদ বহুলাংশে বেড়েছে। কারণ তীব্র গরম আমাদের ক্রমশ অসহিষ্ণু করে তুলছে। এই অসহিষ্ণুতার শিকার শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সীরাই। তীব্র গরম ও তীব্র শীত; অর্থাৎ চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া মনস্তাত্ত্বিক বিকাশকে ব্যাহত করছে। সহিষ্ণুতা কমাচ্ছে। ফলে আন্তঃসম্পর্কগুলোর বাঁধন আলগা হচ্ছে।
গুরুত্বের সঙ্গে বলা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবারের সদস্য়দের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সূর্যের আলো সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক, যা আমাদের মেজাজ এবং শক্তির মাত্রাকে উন্নত করে। বিপরীতভাবে, ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের অলস এবং অবসাদবোধ করায়। উপরন্তু, খারাপ আবহাওয়া বিষণ্নতা এবং উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেশি গরম আবহাওয়ায় মানুষ, আবেগপ্রবণ, আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। তীব্র তাপবাহ আমাদের মস্তিষ্ক ও মেজাজকে প্রভাবিত করে। গ্রীষ্মের তীব্র তাপমাত্রা আপনাকে উদ্বিগ্ন এবং খিটখিটে করে তুলতে পারে এবং আপনার চিন্তাভাবনাকে নিস্তেজ করে দিতে পারে। ফলে পরিবারের ওপর, পরিবারের সদস্যদের মধ্য়ে আন্তঃসম্পর্ক ও সদস্যদের সুস্বাস্থ্য়ের ওপর জলবায়ু ও পরিবেশের প্রভাব অপরিসীম।
পরিবার ও জনজীবনের সুস্বাস্থ্য় রক্ষায় যেসব সবুজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে–
১. যতটা সম্ভব সৌরশক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। সৌর শক্তির ব্যবহার প্রতিবছর অন্তত দেড় টন কার্বন ফুট প্রিন্ট কমায়; যা পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২. যতটুকু সম্ভব হাঁটা, সাইকেল অথবা জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য যানবাহন ব্যবহার করা যায় ততই স্বাস্থ্যকর। কারণ ১টি গাড়ির ব্যবহার কমালে অন্তত দুই টন কার্বন ফুট প্রিন্ট প্রতিবছর কমবে।
৩. যতটুকু সম্ভব খাদ্য অপচয় রোধ করতে হবে। খাদ্যাভাসে মাংসের পরিমাণ কমিয়ে সবজি, ফল, আঁশযুক্ত শস্য, বিভিন্ন ধরনের ডাল, বাদাম, নানা ধরনের বিচি এবং দুগ্ধ জাতীয় দ্রব্য যুক্ত করুন। এ ধরনের খাবার পরিবেশ বান্ধব। কারণ উদ্ভিজ্জ খাদ্য উপকরণ গ্রিনহাউস গ্যাস কমায়।
৪. প্লাস্টিকের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে। প্লাস্টিকের উপকরণ যত রিসাইকেল করা যায় ততই মঙ্গল। কারণ প্লাস্টিক শত বছরের বেশি টিকে থাকে ও পরিবেশের ক্ষতি করে।
৫. পরিবেশবান্ধব স্থানীয় গাছ লাগান। বর্তমানে ইপি্লিপিল আর ইউক্যালিপটাসে দেশের অনেক জায়গা ছেয়ে গেছে। আবার বিত্তশালীদের মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বিদেশ থেকে গাছ আমদানি করে লাগাতে। মনে রাখতে হবে দেশের মাটির জন্য দেশীয় গাছের বিকল্প কিছু নেই। দেশি গাছের ফল এবং বিভিন্ন অংশ পশু–পাখি এবং পোকামাকড়ের খাবার। এটি বাস্তুসংস্থানেরই একটি অংশ। কিন্তু বিদেশী গাছের ফল অনেক সময় পাখি বা পোকা গ্রহণ করে না যার ফলে জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হয়।
৬. পারিবারিক উদ্য়োগেই বাড়ির আশেপাশের ময়লা আবর্জনা, পুকুর, ইত্যাদি পরিষ্কার করুন। এতে পরিবেশ দূষণ কমবে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনে পারিবারিকভাবেই সচেতন হোন। কারণ এই ক্ষুদ্র সংগঠন থেকেই ভালো কিছুর সূচনা হয় ও আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। যা পরবর্তীতে জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

আজ বিশ্ব পরিবার দিবস। এবছরের প্রতিপাদ্য, ‘পরিবার এবং জলবায়ু পরিবর্তন’। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের একটি দেশ বা তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যেখানে মৌলিক চাহিদা অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল সেখানে জলবায়ু ও পরিবেশ আসলে পরিবারের ওপর কতটুকু ভূমিকা রাখে? এখানেই বিস্তর কথা বলার রয়েছে।
দৃশ্যপট যেমন
বিগত তিন চার বছরের তীব্র গরম, ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার, উত্তরাঞ্চলের খরা, টিউবয়েলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা বিধ্বস্ত করছে এখানকার জনজীবনকে। এবার ক্যানভাস যদি ছোট করে নিয়ে আসি, তাহলে বলা যায়– এই জনজীবনের ক্ষুদ্র বিভাজন হলো একেক একটি পরিবার। কাজেই পরিবারের ওপরও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তো আছেই। পরিবারের রোজকার জীবন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সবকিছুতেই এর প্রভাব বিস্তর।
চলতি বছর জাতিসংঘ সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রশ্ন তুলেছে জলবায়ুর পরিবর্তন কিভাবে পরিবারকে প্রভাবিত করছে আবার পরিবার কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। কারণ একটি পরিবারের ভালো থাকার সঙ্গে মৌলিক চাহিদাগুলোকে উপস্থাপন করলে এর সাথে চলে আসে জলবায়ুর কারণে কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয়, খাদ্য শৃংখলের বিচ্যুতি এবং অর্থনৈতিক প্রভাবের বিষয়গুলো। এক কথায় বলা যায়, জলবায়ুর বিপর্যয়ের সাথে সাথে বাস্তুসংস্থানের যে পরিবর্তন তার দায়ভার কিন্তু মানুষকে মেটাতে হয়।
পরিবেশের ক্ষতি ও পরিবারের দায়
একটু যদি সহজ ভাবে জিনিসটা দেখি, তাহলে দেখা যায় পরিবার বা জনসংখ্যা দ্বারা যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গত হচ্ছে তার পেছনে বিদ্যুতের ব্যবহার, যানবাহনের ব্যবহার, প্রাণিজ আমিষ জাতীয় খাদ্য ব্যবহার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই বর্তমানে একটি বিষয় বৈজ্ঞানিক মহলে বহুল আলোচিত হচ্ছে, তা হলো– কার্বন ফুটপ্রিন্ট। আমার পরিবার অথবা আমি কি পরিমান কার্বন নিঃসরণ ঘটিয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাচ্ছি? – এটা একটা প্রশ্ন। প্রচন্ড গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে আমাদের নিজেদের ও পরিবারের ভূমিকা কী সেদিকে চোখ রাখলে দেখা যায়; একদিকে যেমন পরিবারগুলোয় এসির ব্যবহার, মোটর যান এবং ফ্রিজের ব্যবহার দিন দিন বেড়েছে। অন্যদিক থেকে পানির অপচয়, পর্যাপ্ত গাছ লাগানো ও বিদ্য়ুৎ সাশ্রয় নিয়ে ভাবার মতো মানুষের সংখ্যাও কমেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না এই সচেতনতা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত অর্থনৈতিকভাবে যেমন আমরা ক্ষতির শিকার হব, ঠিক সেভাবেই পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চলতেই থাকবে।
জলবায়ু ও পরিবেশ যেভাবে পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলে
একটু খোঁজ করলে দেখবেন দাম্পত্য কলহ এবং সামাজিক বিবাদ বহুলাংশে বেড়েছে। কারণ তীব্র গরম আমাদের ক্রমশ অসহিষ্ণু করে তুলছে। এই অসহিষ্ণুতার শিকার শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সীরাই। তীব্র গরম ও তীব্র শীত; অর্থাৎ চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া মনস্তাত্ত্বিক বিকাশকে ব্যাহত করছে। সহিষ্ণুতা কমাচ্ছে। ফলে আন্তঃসম্পর্কগুলোর বাঁধন আলগা হচ্ছে।
গুরুত্বের সঙ্গে বলা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবারের সদস্য়দের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সূর্যের আলো সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক, যা আমাদের মেজাজ এবং শক্তির মাত্রাকে উন্নত করে। বিপরীতভাবে, ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের অলস এবং অবসাদবোধ করায়। উপরন্তু, খারাপ আবহাওয়া বিষণ্নতা এবং উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেশি গরম আবহাওয়ায় মানুষ, আবেগপ্রবণ, আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। তীব্র তাপবাহ আমাদের মস্তিষ্ক ও মেজাজকে প্রভাবিত করে। গ্রীষ্মের তীব্র তাপমাত্রা আপনাকে উদ্বিগ্ন এবং খিটখিটে করে তুলতে পারে এবং আপনার চিন্তাভাবনাকে নিস্তেজ করে দিতে পারে। ফলে পরিবারের ওপর, পরিবারের সদস্যদের মধ্য়ে আন্তঃসম্পর্ক ও সদস্যদের সুস্বাস্থ্য়ের ওপর জলবায়ু ও পরিবেশের প্রভাব অপরিসীম।
পরিবার ও জনজীবনের সুস্বাস্থ্য় রক্ষায় যেসব সবুজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে–
১. যতটা সম্ভব সৌরশক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। সৌর শক্তির ব্যবহার প্রতিবছর অন্তত দেড় টন কার্বন ফুট প্রিন্ট কমায়; যা পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২. যতটুকু সম্ভব হাঁটা, সাইকেল অথবা জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য যানবাহন ব্যবহার করা যায় ততই স্বাস্থ্যকর। কারণ ১টি গাড়ির ব্যবহার কমালে অন্তত দুই টন কার্বন ফুট প্রিন্ট প্রতিবছর কমবে।
৩. যতটুকু সম্ভব খাদ্য অপচয় রোধ করতে হবে। খাদ্যাভাসে মাংসের পরিমাণ কমিয়ে সবজি, ফল, আঁশযুক্ত শস্য, বিভিন্ন ধরনের ডাল, বাদাম, নানা ধরনের বিচি এবং দুগ্ধ জাতীয় দ্রব্য যুক্ত করুন। এ ধরনের খাবার পরিবেশ বান্ধব। কারণ উদ্ভিজ্জ খাদ্য উপকরণ গ্রিনহাউস গ্যাস কমায়।
৪. প্লাস্টিকের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে। প্লাস্টিকের উপকরণ যত রিসাইকেল করা যায় ততই মঙ্গল। কারণ প্লাস্টিক শত বছরের বেশি টিকে থাকে ও পরিবেশের ক্ষতি করে।
৫. পরিবেশবান্ধব স্থানীয় গাছ লাগান। বর্তমানে ইপি্লিপিল আর ইউক্যালিপটাসে দেশের অনেক জায়গা ছেয়ে গেছে। আবার বিত্তশালীদের মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বিদেশ থেকে গাছ আমদানি করে লাগাতে। মনে রাখতে হবে দেশের মাটির জন্য দেশীয় গাছের বিকল্প কিছু নেই। দেশি গাছের ফল এবং বিভিন্ন অংশ পশু–পাখি এবং পোকামাকড়ের খাবার। এটি বাস্তুসংস্থানেরই একটি অংশ। কিন্তু বিদেশী গাছের ফল অনেক সময় পাখি বা পোকা গ্রহণ করে না যার ফলে জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হয়।
৬. পারিবারিক উদ্য়োগেই বাড়ির আশেপাশের ময়লা আবর্জনা, পুকুর, ইত্যাদি পরিষ্কার করুন। এতে পরিবেশ দূষণ কমবে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনে পারিবারিকভাবেই সচেতন হোন। কারণ এই ক্ষুদ্র সংগঠন থেকেই ভালো কিছুর সূচনা হয় ও আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। যা পরবর্তীতে জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৪ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

আজ বিশ্ব পরিবার দিবস। এবছরের প্রতিপাদ্য, ‘পরিবার এবং জলবায়ু পরিবর্তন’। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের একটি দেশ বা তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যেখানে মৌলিক চাহিদা অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল সেখানে জলবায়ু ও পরিবেশ আসলে পরিবারের ওপর কতটুকু ভূমিকা রাখে? এখানেই বি
১৫ মে ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

আজ বিশ্ব পরিবার দিবস। এবছরের প্রতিপাদ্য, ‘পরিবার এবং জলবায়ু পরিবর্তন’। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের একটি দেশ বা তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যেখানে মৌলিক চাহিদা অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল সেখানে জলবায়ু ও পরিবেশ আসলে পরিবারের ওপর কতটুকু ভূমিকা রাখে? এখানেই বি
১৫ মে ২০২৪
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৪ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

আজ বিশ্ব পরিবার দিবস। এবছরের প্রতিপাদ্য, ‘পরিবার এবং জলবায়ু পরিবর্তন’। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের একটি দেশ বা তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যেখানে মৌলিক চাহিদা অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল সেখানে জলবায়ু ও পরিবেশ আসলে পরিবারের ওপর কতটুকু ভূমিকা রাখে? এখানেই বি
১৫ মে ২০২৪
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৪ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

আজ বিশ্ব পরিবার দিবস। এবছরের প্রতিপাদ্য, ‘পরিবার এবং জলবায়ু পরিবর্তন’। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের একটি দেশ বা তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যেখানে মৌলিক চাহিদা অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল সেখানে জলবায়ু ও পরিবেশ আসলে পরিবারের ওপর কতটুকু ভূমিকা রাখে? এখানেই বি
১৫ মে ২০২৪
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৪ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে