মো. আরমান বিন আজিজ
সারা দিন রোজা পালনের পর অনেক ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে এ ধরনের সমস্যা হওয়ার কারণে রোজা পালন থেকে বিরত থাকেন। তবে নিয়ম মেনে রোজা পালন করলে তা শরীরের জন্য উপকারী।
বুকজ্বালা বা হার্ট বার্ন
হার্ট বার্ন বা বুকজ্বালা পরিচিত একটি রোগ। খাবার হজম করার জন্য পাকস্থলীতে সব সময় অ্যাসিড থাকে। খাদ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াও এই অ্যাসিডের প্রভাবে মারা যায়। কোনো কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হলে বা পাকস্থলীতে খাবার না থাকায় অ্যাসিড নিঃসরণ হলে অথবা পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড ইসোভেগাসে বা খাদ্যনালীর অংশে চলে এলে বুক জ্বলে। রোজার সময় এই হার্ট বার্ন বা বুকজ্বালা সমস্যাটি অনেকেরই হয়।
এ ধরনের সমস্যা নিরাময়ের জন্য বাজারে বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে। সাহরি খাওয়ার সময় এ জাতীয় ওষুধ খেলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। তবে ওষুধ খেয়ে এ সমস্যা দূর করার চেয়ে খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন আনাই ভালো। এ জন্য যা করতে পারেন:
মাথাব্যথা
মাথাব্যথা হয়নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
মাথাব্যথার কারণ
রোজায় এ ধরনের কারণ বেশি ঘটে থাকে। তাই এ সময় অনেকেই এ সমস্যায় ভোগেন। এ সমস্যা থেকে দূরে থাকতে,
কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশন
কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাটি অন্যান্য সময়ের চেয়ে রোজায় বেশি দেখা যায়। পানিশূন্যতা ও আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়ার ফলে এ সমস্যাটি দেখা দেয়। শাকসবজি, ফলমূল, ইসবগুলের ভুসি, লাল আটা ও ঢেঁকিছাঁটা চাল এ সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে। এরপরও সমস্যা থাকলে ল্যাক্সেটিভ ওষুধ খেতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় অবশ্যই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মা
অনেকের মতে, রোজা রাখার ফলে মায়ের বুকের দুধের পরিমাণ কমে যায়। ফলে সন্তান দুধ থেকে বঞ্চিত হয় ভেবে অনেক মা রোজা পালন থেকে বিরত থাকেন। তবে চিকিৎসকদের মতে, এ ধরনের কোনো কথার ভিত্তি নেই। তবে রোজা পালনকারী মাকে অবশ্যই সাহরি ও ইফতারে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে এবং শোয়ার আগ পর্যন্ত ঘণ্টায় ঘণ্টায় অল্প অল্প করে পানি খেতে হবে।
অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট
রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো, সাহরি ও ইফতারের সময় ইনহেলার নিতে হবে। হঠাৎ তীব্র শ্বাসকষ্ট হলে দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
চোখের ছানি
চোখে ড্রপ দিলে তা অনেক সময় মুখে চলে যেতে পারে, যা রোজার জন্য ক্ষতিকর। খেয়াল করলে দেখবেন, কিছু কিছু ড্রপ চোখে দেওয়ার পর গলায় তেতো স্বাদ অনুভূত হয়। চোখে ড্রপ নেওয়ার সময় নাকের পাশে চোখের ভেতরের কোনায় চেপে ধরলে নালিটি কিছুটা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওষুধ নাকে বা গলায় যাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। সে ক্ষেত্রে রোজা রেখে আপনি অনায়াসে চোখে ড্রপ দিতে পারেন। প্রয়োজনে পদ্ধতিটি রপ্ত করার জন্য আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নির্দেশনা
রমজানের সুশৃঙ্খল জীবন যাপন এবং ইবাদত বন্দেগি, ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। রমজানের ফরজ রোজাকে সঠিকভাবে পালনের জন্য রোজার আগে থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নিন। ডায়াবেটোলজিস্টই ডায়াবেটিস রোগীর হাইপোগ্লাইসেমিয়া না হওয়ার জন্য খাদ্য, ব্যায়াম ও ওষুধের সমন্বয় করে দেবেন।
খেয়াল রাখবেন
যাঁদের রোজা রাখা উচিত হবে না
রোজা কখন ভাঙা জরুরি
যখন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া জরুরি
রোজা রেখে যা করা যাবে, যা করা যাবে না
রোজা রাখা অবস্থায় চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে কী কী করা যাবে আর কী কী করা যাবে না, তা নিয়ে সাধারণ রোগীদের মধ্যে জ্ঞান ও সচেতনতার অভাব রয়েছে। অন্যদিকে নানান সংশয় ও বিভ্রান্তি রয়েছে চিকিৎসকদের মাঝেও। এ সব বিভ্রান্তি দূর করার জন্য ১৯৯৭ সালের জুন মাসে মরক্কোয় অনুষ্ঠিত নবম ফিকাহ চিকিৎসা সম্মেলন থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সম্মেলনে জেদ্দা ইসলামিক ফিকাহ অ্যাকাডেমি, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আলেকজান্দ্রিয়া, মিশর ও ইসলামিক শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (আইএসইএসসিও) বিজ্ঞ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সে সম্মেলনের মূল আলোচনার বিষয় ছিল, রোজা অবস্থায় যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ প্রয়োগে রোজা নষ্ট হবে না সে বিষয়ে একটা সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া। এ লক্ষ্যে ইসলামিক চিন্তাবিদগণ চিকিৎসা বিজ্ঞান সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও গবেষণা করে রোজা অবস্থায় ওষুধ প্রয়োগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পর্কে সুচিন্তিত তথ্য উপস্থাপন করেন। ২০০৪ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ হিসেবে তা প্রকাশিত হয়।
তবে নাকের ড্রপের ব্যাপারে অনেক স্কলার আপত্তি করেন। অনেক সময় এসব ফিকাহী বিষয়ে বিভিন্ন স্কলারদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। সব স্কলারের মতামতের প্রতিই আমাদের শ্রদ্ধা থাকা প্রয়োজন।
রমজান মাস আত্মশুদ্ধি ও আত্মোপলব্ধির মাস। আমাদের প্রত্যেকের উচিত বরকতময় এ মাসে নিজেদের আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি পরিবার, সমাজ তথা দেশকে ভালো রাখার চেষ্টা করা।
লেখক: সাবেক ফ্যাকাল্টি ও প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চট্টগ্রাম
রমজান মাস সম্পর্কিত পড়ুন:
সারা দিন রোজা পালনের পর অনেক ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে এ ধরনের সমস্যা হওয়ার কারণে রোজা পালন থেকে বিরত থাকেন। তবে নিয়ম মেনে রোজা পালন করলে তা শরীরের জন্য উপকারী।
বুকজ্বালা বা হার্ট বার্ন
হার্ট বার্ন বা বুকজ্বালা পরিচিত একটি রোগ। খাবার হজম করার জন্য পাকস্থলীতে সব সময় অ্যাসিড থাকে। খাদ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াও এই অ্যাসিডের প্রভাবে মারা যায়। কোনো কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হলে বা পাকস্থলীতে খাবার না থাকায় অ্যাসিড নিঃসরণ হলে অথবা পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড ইসোভেগাসে বা খাদ্যনালীর অংশে চলে এলে বুক জ্বলে। রোজার সময় এই হার্ট বার্ন বা বুকজ্বালা সমস্যাটি অনেকেরই হয়।
এ ধরনের সমস্যা নিরাময়ের জন্য বাজারে বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে। সাহরি খাওয়ার সময় এ জাতীয় ওষুধ খেলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। তবে ওষুধ খেয়ে এ সমস্যা দূর করার চেয়ে খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন আনাই ভালো। এ জন্য যা করতে পারেন:
মাথাব্যথা
মাথাব্যথা হয়নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
মাথাব্যথার কারণ
রোজায় এ ধরনের কারণ বেশি ঘটে থাকে। তাই এ সময় অনেকেই এ সমস্যায় ভোগেন। এ সমস্যা থেকে দূরে থাকতে,
কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশন
কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাটি অন্যান্য সময়ের চেয়ে রোজায় বেশি দেখা যায়। পানিশূন্যতা ও আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়ার ফলে এ সমস্যাটি দেখা দেয়। শাকসবজি, ফলমূল, ইসবগুলের ভুসি, লাল আটা ও ঢেঁকিছাঁটা চাল এ সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে। এরপরও সমস্যা থাকলে ল্যাক্সেটিভ ওষুধ খেতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় অবশ্যই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মা
অনেকের মতে, রোজা রাখার ফলে মায়ের বুকের দুধের পরিমাণ কমে যায়। ফলে সন্তান দুধ থেকে বঞ্চিত হয় ভেবে অনেক মা রোজা পালন থেকে বিরত থাকেন। তবে চিকিৎসকদের মতে, এ ধরনের কোনো কথার ভিত্তি নেই। তবে রোজা পালনকারী মাকে অবশ্যই সাহরি ও ইফতারে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে এবং শোয়ার আগ পর্যন্ত ঘণ্টায় ঘণ্টায় অল্প অল্প করে পানি খেতে হবে।
অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট
রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো, সাহরি ও ইফতারের সময় ইনহেলার নিতে হবে। হঠাৎ তীব্র শ্বাসকষ্ট হলে দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
চোখের ছানি
চোখে ড্রপ দিলে তা অনেক সময় মুখে চলে যেতে পারে, যা রোজার জন্য ক্ষতিকর। খেয়াল করলে দেখবেন, কিছু কিছু ড্রপ চোখে দেওয়ার পর গলায় তেতো স্বাদ অনুভূত হয়। চোখে ড্রপ নেওয়ার সময় নাকের পাশে চোখের ভেতরের কোনায় চেপে ধরলে নালিটি কিছুটা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওষুধ নাকে বা গলায় যাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। সে ক্ষেত্রে রোজা রেখে আপনি অনায়াসে চোখে ড্রপ দিতে পারেন। প্রয়োজনে পদ্ধতিটি রপ্ত করার জন্য আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নির্দেশনা
রমজানের সুশৃঙ্খল জীবন যাপন এবং ইবাদত বন্দেগি, ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। রমজানের ফরজ রোজাকে সঠিকভাবে পালনের জন্য রোজার আগে থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নিন। ডায়াবেটোলজিস্টই ডায়াবেটিস রোগীর হাইপোগ্লাইসেমিয়া না হওয়ার জন্য খাদ্য, ব্যায়াম ও ওষুধের সমন্বয় করে দেবেন।
খেয়াল রাখবেন
যাঁদের রোজা রাখা উচিত হবে না
রোজা কখন ভাঙা জরুরি
যখন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া জরুরি
রোজা রেখে যা করা যাবে, যা করা যাবে না
রোজা রাখা অবস্থায় চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে কী কী করা যাবে আর কী কী করা যাবে না, তা নিয়ে সাধারণ রোগীদের মধ্যে জ্ঞান ও সচেতনতার অভাব রয়েছে। অন্যদিকে নানান সংশয় ও বিভ্রান্তি রয়েছে চিকিৎসকদের মাঝেও। এ সব বিভ্রান্তি দূর করার জন্য ১৯৯৭ সালের জুন মাসে মরক্কোয় অনুষ্ঠিত নবম ফিকাহ চিকিৎসা সম্মেলন থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সম্মেলনে জেদ্দা ইসলামিক ফিকাহ অ্যাকাডেমি, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আলেকজান্দ্রিয়া, মিশর ও ইসলামিক শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (আইএসইএসসিও) বিজ্ঞ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সে সম্মেলনের মূল আলোচনার বিষয় ছিল, রোজা অবস্থায় যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ প্রয়োগে রোজা নষ্ট হবে না সে বিষয়ে একটা সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া। এ লক্ষ্যে ইসলামিক চিন্তাবিদগণ চিকিৎসা বিজ্ঞান সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও গবেষণা করে রোজা অবস্থায় ওষুধ প্রয়োগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পর্কে সুচিন্তিত তথ্য উপস্থাপন করেন। ২০০৪ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ হিসেবে তা প্রকাশিত হয়।
তবে নাকের ড্রপের ব্যাপারে অনেক স্কলার আপত্তি করেন। অনেক সময় এসব ফিকাহী বিষয়ে বিভিন্ন স্কলারদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। সব স্কলারের মতামতের প্রতিই আমাদের শ্রদ্ধা থাকা প্রয়োজন।
রমজান মাস আত্মশুদ্ধি ও আত্মোপলব্ধির মাস। আমাদের প্রত্যেকের উচিত বরকতময় এ মাসে নিজেদের আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি পরিবার, সমাজ তথা দেশকে ভালো রাখার চেষ্টা করা।
লেখক: সাবেক ফ্যাকাল্টি ও প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চট্টগ্রাম
রমজান মাস সম্পর্কিত পড়ুন:
অনেকে মনে করি, ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর হলো দীর্ঘদিন খাবার ভালো রাখার নিরাপদ জায়গা। কিন্তু সব খাবার ফ্রিজে ভালো থাকে না। কিছু কিছু খাবার ফ্রিজে রাখলে সেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে। আধুনিক জীবনব্যবস্থায় ফ্রিজ অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ, যা আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেকানে পানি ঢুকলে কান পাকে, এ ধারণা ভুল। আগে থেকে যদি কারও মধ্যকর্ণে বা কানের পর্দায় ফুটো থাকে, তাহলে পানি ঢুকলে কান পাকে। যাদের আগে থেকে কান পাকার সমস্যা, তাদের কানে পানি ঢুকলে সমস্যাটি আরও খারাপ পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তবে যাদের এ ধরনের সমস্যা নেই, তাদের কানে পানি প্রবেশ করলেও কান পাকার আশঙ্কা নেই...
৪ ঘণ্টা আগেকাজ, পড়াশোনা কিংবা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাপে অনেকের মনে অস্থিরতা কাজ করে। অনেক সময় মন শান্ত রাখা খুব কঠিন। এমনকি দিনের পর দিন কাজের শেষে বিশ্রাম নিলেও মন খারাপ হওয়া থামতে চায় না। জেনে রাখা ভালো মন শান্ত রাখার কিছু সহজ উপায়—
৪ ঘণ্টা আগেশিশুর মনোবল বাড়ানোর জন্য মা-বাবা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা থেকে শিশুর মনোবল বাড়ানোর কিছু কার্যকরী কৌশল খুঁজে পেয়েছেন। এসব কৌশল শিশুর শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে।
৫ ঘণ্টা আগে