অনলাইন ডেস্ক
সূর্যের আলো কীভাবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে, তা নিয়ে একটি যুগান্তকারী গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। ওয়াইপাপা তাউমাতা রাউ, অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যের আলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরীরের রোগ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় করে তোলে।
গবেষণাটি মূলত আমাদের শরীরের সবচেয়ে প্রচুরসংখ্যক রোগ প্রতিরোধী কোষ, ‘নিউট্রোফিল’–এর ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়েছে। নিউট্রোফিল একধরনের শ্বেত রক্তকণিকা, যা সংক্রমণের স্থানে দ্রুত পৌঁছে গিয়ে ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গবেষকেরা ছোট্ট একধরনের স্বাদু পানির মাছ ‘জেব্রা ফিশ’ ব্যবহার করেছেন। এদের জেনেটিক কাঠামো মানুষের সঙ্গে অনেকটাই মিল এবং বিশেষ প্রজননের মাধ্যমে এদের স্বচ্ছ দেহ তৈরি করা সম্ভব, যার ফলে জৈবিক প্রক্রিয়াগুলো সহজেই সরাসরি দেখা যায়।
গবেষণার প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ক্রিস্টোফার হল, ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব মলিকিউলার মেডিসিন অ্যান্ড প্যাথলজি থেকে বলেন, ‘আগের গবেষণায় আমরা দেখেছি, জেব্রা ফিশের সক্রিয় সময়ের শুরুতে অর্থাৎ, সকালে তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সবচেয়ে তীব্র হয়।’
তিনি আরও বলেন, এটি আসলে একটি প্রাকৃতিক বা বিবর্তনজনিত অভিযোজন। অর্থাৎ, দিনের সময় যেহেতু মানুষ বা প্রাণীরা বেশি সক্রিয় থাকে, তখন সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি থাকে। এ কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা, বিশেষ করে নিউট্রোফিল কোষগুলো দিনের বেলায় বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে, যেন তারা সংক্রমণের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
তবে বিজ্ঞানীরা জানতে চেয়েছেন, এই রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কীভাবে সূর্যের আলো অনুযায়ী সামঞ্জস্য করছে।
নতুন এই গবেষণা সায়েন্স ইমিউনলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন দুজন ডক্টরাল গবেষক। গবেষণায় দেখা গেছে, নিউট্রোফিল কোষের নিজস্ব ‘সারকাডিয়ান ঘড়ি’ বা জৈবিক সময়সূচি রয়েছে, যা দিনের আলোর উপস্থিতিতে সক্রিয় হয় এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা বাড়ায়।
প্রসঙ্গত, আমাদের শরীরের প্রায় সব কোষেই এই সারকাডিয়ান ঘড়ি থাকে, যা বাইরের সময় অনুযায়ী শরীরের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এই ঘড়িকে রিসেট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে আলো।
গবেষণাটি অর্থায়ন করেছে নিউজিল্যান্ড রয়্যাল সোসাইটির মার্সডেন ফান্ড।
বর্তমানে গবেষকেরা অনুসন্ধান চালাচ্ছেন সূর্যের আলো কীভাবে নিউট্রোফিলের অন্তর্নিহিত সার্কাডিয়ান ঘড়িকে সক্রিয় ও নিয়ন্ত্রিত করে।
সূর্যের আলো কীভাবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে, তা নিয়ে একটি যুগান্তকারী গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। ওয়াইপাপা তাউমাতা রাউ, অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যের আলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরীরের রোগ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় করে তোলে।
গবেষণাটি মূলত আমাদের শরীরের সবচেয়ে প্রচুরসংখ্যক রোগ প্রতিরোধী কোষ, ‘নিউট্রোফিল’–এর ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়েছে। নিউট্রোফিল একধরনের শ্বেত রক্তকণিকা, যা সংক্রমণের স্থানে দ্রুত পৌঁছে গিয়ে ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গবেষকেরা ছোট্ট একধরনের স্বাদু পানির মাছ ‘জেব্রা ফিশ’ ব্যবহার করেছেন। এদের জেনেটিক কাঠামো মানুষের সঙ্গে অনেকটাই মিল এবং বিশেষ প্রজননের মাধ্যমে এদের স্বচ্ছ দেহ তৈরি করা সম্ভব, যার ফলে জৈবিক প্রক্রিয়াগুলো সহজেই সরাসরি দেখা যায়।
গবেষণার প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ক্রিস্টোফার হল, ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব মলিকিউলার মেডিসিন অ্যান্ড প্যাথলজি থেকে বলেন, ‘আগের গবেষণায় আমরা দেখেছি, জেব্রা ফিশের সক্রিয় সময়ের শুরুতে অর্থাৎ, সকালে তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সবচেয়ে তীব্র হয়।’
তিনি আরও বলেন, এটি আসলে একটি প্রাকৃতিক বা বিবর্তনজনিত অভিযোজন। অর্থাৎ, দিনের সময় যেহেতু মানুষ বা প্রাণীরা বেশি সক্রিয় থাকে, তখন সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি থাকে। এ কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা, বিশেষ করে নিউট্রোফিল কোষগুলো দিনের বেলায় বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে, যেন তারা সংক্রমণের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
তবে বিজ্ঞানীরা জানতে চেয়েছেন, এই রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কীভাবে সূর্যের আলো অনুযায়ী সামঞ্জস্য করছে।
নতুন এই গবেষণা সায়েন্স ইমিউনলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন দুজন ডক্টরাল গবেষক। গবেষণায় দেখা গেছে, নিউট্রোফিল কোষের নিজস্ব ‘সারকাডিয়ান ঘড়ি’ বা জৈবিক সময়সূচি রয়েছে, যা দিনের আলোর উপস্থিতিতে সক্রিয় হয় এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা বাড়ায়।
প্রসঙ্গত, আমাদের শরীরের প্রায় সব কোষেই এই সারকাডিয়ান ঘড়ি থাকে, যা বাইরের সময় অনুযায়ী শরীরের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এই ঘড়িকে রিসেট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে আলো।
গবেষণাটি অর্থায়ন করেছে নিউজিল্যান্ড রয়্যাল সোসাইটির মার্সডেন ফান্ড।
বর্তমানে গবেষকেরা অনুসন্ধান চালাচ্ছেন সূর্যের আলো কীভাবে নিউট্রোফিলের অন্তর্নিহিত সার্কাডিয়ান ঘড়িকে সক্রিয় ও নিয়ন্ত্রিত করে।
জুতার ফিতা বাঁধা, গাড়িতে ওঠা বা সিঁড়ি দিয়ে নামা—এসব সহজ কাজই যখন হাঁটু ব্যথায় কষ্টকর হয়ে ওঠে, তখন হতাশ হয়ে পড়েন অনেকেই। হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা ওএ এমনই একটি সাধারণ সমস্যা, যা নিত্যদিনের জীবনকে করে তোলে যন্ত্রণাদায়ক।
৪ দিন আগেকথিত আছে, যার রক্ত বেশি মিষ্টি তাকেই মশা বেশি কামড়ায়। মানে হলো, রক্তে বেশি চিনি থাকলে মশা বেশি আকৃষ্ট হয়। এটা নিছকই ধারণা। তবে, এবার বিজ্ঞানীরা জানালেন আসল কারণ। মূলত কিছু জৈব অ্যাসিডের প্রতি মশা বেশি আকর্ষণ বোধ করে। রকফেলার ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় উঠে এমন তথ্য।
৫ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের তরুণদের মধ্যে এইচআইভি প্রতিরোধী ওষুধের ব্যবহার গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে প্রায় আট গুণ বেশি তরুণ এই ওষুধ সেবন করছেন।
৬ দিন আগেএডিস মশা মূলত ডেঙ্গু ভাইরাসের জীবাণু ছড়ায়। এই মশা পাত্রে জমা পরিষ্কার পানিতে জন্মায়। সাধারণত বর্ষাকালে এর ঘনত্ব বেশি হয়, ফলে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবও বেড়ে যায়। ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। পেটে তীব্র ব্যথাও হতে পারে। শরীরে বিশেষ করে মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা...
৬ দিন আগে