
দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হতো।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ভবনে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২য় পর্যায়’।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, প্রকল্পের ডিপিডি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ডা. শারমিন মিজান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বিসিসি অ্যান্ড মার্কেটিং ফার্মের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মার্কেটিং স্পেশালিস্ট সৈয়দ ফয়সল আহমদ এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এর সফলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
গোলটেবিলের আলোচনায় বক্তারা বলেন, এ প্রকল্পে ১৬৭টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতায় ৩৩৪টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মানুষকে ১৬ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থায়ী চাকরি ও উচ্চ বেতন-ভাতা না থাকায় এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক-নার্স মেলে না। ফলে নগরের স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাঙ্ক্ষিত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হওয়ায় এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। অথচ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে পাওয়া যেত অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এতে নিশ্চিত হতো নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
বক্তারা আরও বলেন, জন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রকল্পগুলো মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই এর কার্যকারিতা স্তিমিত হয়ে যায়। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যসেবা শুধু প্রকল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তখন এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এই প্রকল্পটি অনেক ভালো। কিন্তু এখানে সমন্বয়ের প্রয়োজন। বাজেট বরাদ্দ ও জনবল নিয়োগ নিয়ে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সমন্বয়ে কোনো নীতিমালা নেই। সমন্বয় না থাকলে পরামর্শ দিলে কোনো কাজ হবে না। একই সঙ্গে নগরস্বাস্থ্য নিয়ে কর্মকৌশলের কাঠামো ঠিক করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। কাজের জন্য প্রতিবছরই প্রচুর মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ শহরবাসী হবে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। এ ছাড়া এই খাতে বাজেট বৃদ্ধি করারও সুযোগ আছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় করা প্রয়োজন। তা না হলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন বলেন, এই স্বাস্থ্য সেবা শুধু প্রজেক্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই সেবা চালু করতে হবে। এখানে স্থায়ীভাবে ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিডি আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবাটা সবার জন্য সমন্বিত নয়, সেহেতু স্থানীয় সরকারকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা এবং কৌশলও প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি। সরকারের অনেক কাজ রয়েছে। তাই সরকারের একার পক্ষে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধিরা মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (ইউপিএইচসি)’ শিরোনামে প্রকল্পটি শুরু হয়। পরে নানাভাবে নাম পরিবর্তন হয়ে প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১১৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একনেকে অনুমোদন হয়। সংশোধন প্রস্তাবে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১২১৮.৯৪ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদকাল এপ্রিল ২০১৮ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এটি ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, রংপুর,, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বেনাপোল, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, দিরাই, তাড়াব, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, কিশোরগঞ্জ, লাকসাম, পীরগঞ্জ, কক্সবাজার, জামালপুর ও পটুয়াখালী পৌরসভায়ও কাজ চলছে প্রকল্পের।

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হতো।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ভবনে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২য় পর্যায়’।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, প্রকল্পের ডিপিডি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ডা. শারমিন মিজান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বিসিসি অ্যান্ড মার্কেটিং ফার্মের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মার্কেটিং স্পেশালিস্ট সৈয়দ ফয়সল আহমদ এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এর সফলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
গোলটেবিলের আলোচনায় বক্তারা বলেন, এ প্রকল্পে ১৬৭টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতায় ৩৩৪টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মানুষকে ১৬ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থায়ী চাকরি ও উচ্চ বেতন-ভাতা না থাকায় এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক-নার্স মেলে না। ফলে নগরের স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাঙ্ক্ষিত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হওয়ায় এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। অথচ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে পাওয়া যেত অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এতে নিশ্চিত হতো নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
বক্তারা আরও বলেন, জন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রকল্পগুলো মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই এর কার্যকারিতা স্তিমিত হয়ে যায়। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যসেবা শুধু প্রকল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তখন এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এই প্রকল্পটি অনেক ভালো। কিন্তু এখানে সমন্বয়ের প্রয়োজন। বাজেট বরাদ্দ ও জনবল নিয়োগ নিয়ে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সমন্বয়ে কোনো নীতিমালা নেই। সমন্বয় না থাকলে পরামর্শ দিলে কোনো কাজ হবে না। একই সঙ্গে নগরস্বাস্থ্য নিয়ে কর্মকৌশলের কাঠামো ঠিক করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। কাজের জন্য প্রতিবছরই প্রচুর মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ শহরবাসী হবে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। এ ছাড়া এই খাতে বাজেট বৃদ্ধি করারও সুযোগ আছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় করা প্রয়োজন। তা না হলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন বলেন, এই স্বাস্থ্য সেবা শুধু প্রজেক্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই সেবা চালু করতে হবে। এখানে স্থায়ীভাবে ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিডি আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবাটা সবার জন্য সমন্বিত নয়, সেহেতু স্থানীয় সরকারকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা এবং কৌশলও প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি। সরকারের অনেক কাজ রয়েছে। তাই সরকারের একার পক্ষে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধিরা মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (ইউপিএইচসি)’ শিরোনামে প্রকল্পটি শুরু হয়। পরে নানাভাবে নাম পরিবর্তন হয়ে প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১১৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একনেকে অনুমোদন হয়। সংশোধন প্রস্তাবে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১২১৮.৯৪ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদকাল এপ্রিল ২০১৮ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এটি ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, রংপুর,, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বেনাপোল, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, দিরাই, তাড়াব, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, কিশোরগঞ্জ, লাকসাম, পীরগঞ্জ, কক্সবাজার, জামালপুর ও পটুয়াখালী পৌরসভায়ও কাজ চলছে প্রকল্পের।

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হতো।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ভবনে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২য় পর্যায়’।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, প্রকল্পের ডিপিডি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ডা. শারমিন মিজান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বিসিসি অ্যান্ড মার্কেটিং ফার্মের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মার্কেটিং স্পেশালিস্ট সৈয়দ ফয়সল আহমদ এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এর সফলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
গোলটেবিলের আলোচনায় বক্তারা বলেন, এ প্রকল্পে ১৬৭টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতায় ৩৩৪টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মানুষকে ১৬ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থায়ী চাকরি ও উচ্চ বেতন-ভাতা না থাকায় এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক-নার্স মেলে না। ফলে নগরের স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাঙ্ক্ষিত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হওয়ায় এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। অথচ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে পাওয়া যেত অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এতে নিশ্চিত হতো নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
বক্তারা আরও বলেন, জন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রকল্পগুলো মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই এর কার্যকারিতা স্তিমিত হয়ে যায়। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যসেবা শুধু প্রকল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তখন এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এই প্রকল্পটি অনেক ভালো। কিন্তু এখানে সমন্বয়ের প্রয়োজন। বাজেট বরাদ্দ ও জনবল নিয়োগ নিয়ে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সমন্বয়ে কোনো নীতিমালা নেই। সমন্বয় না থাকলে পরামর্শ দিলে কোনো কাজ হবে না। একই সঙ্গে নগরস্বাস্থ্য নিয়ে কর্মকৌশলের কাঠামো ঠিক করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। কাজের জন্য প্রতিবছরই প্রচুর মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ শহরবাসী হবে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। এ ছাড়া এই খাতে বাজেট বৃদ্ধি করারও সুযোগ আছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় করা প্রয়োজন। তা না হলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন বলেন, এই স্বাস্থ্য সেবা শুধু প্রজেক্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই সেবা চালু করতে হবে। এখানে স্থায়ীভাবে ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিডি আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবাটা সবার জন্য সমন্বিত নয়, সেহেতু স্থানীয় সরকারকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা এবং কৌশলও প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি। সরকারের অনেক কাজ রয়েছে। তাই সরকারের একার পক্ষে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধিরা মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (ইউপিএইচসি)’ শিরোনামে প্রকল্পটি শুরু হয়। পরে নানাভাবে নাম পরিবর্তন হয়ে প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১১৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একনেকে অনুমোদন হয়। সংশোধন প্রস্তাবে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১২১৮.৯৪ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদকাল এপ্রিল ২০১৮ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এটি ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, রংপুর,, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বেনাপোল, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, দিরাই, তাড়াব, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, কিশোরগঞ্জ, লাকসাম, পীরগঞ্জ, কক্সবাজার, জামালপুর ও পটুয়াখালী পৌরসভায়ও কাজ চলছে প্রকল্পের।

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হতো।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ভবনে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২য় পর্যায়’।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, প্রকল্পের ডিপিডি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ডা. শারমিন মিজান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বিসিসি অ্যান্ড মার্কেটিং ফার্মের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মার্কেটিং স্পেশালিস্ট সৈয়দ ফয়সল আহমদ এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এর সফলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
গোলটেবিলের আলোচনায় বক্তারা বলেন, এ প্রকল্পে ১৬৭টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতায় ৩৩৪টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মানুষকে ১৬ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থায়ী চাকরি ও উচ্চ বেতন-ভাতা না থাকায় এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক-নার্স মেলে না। ফলে নগরের স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাঙ্ক্ষিত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হওয়ায় এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। অথচ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে পাওয়া যেত অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এতে নিশ্চিত হতো নগরের দুই কোটি মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
বক্তারা আরও বলেন, জন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রকল্পগুলো মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই এর কার্যকারিতা স্তিমিত হয়ে যায়। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যসেবা শুধু প্রকল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তখন এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এই প্রকল্পটি অনেক ভালো। কিন্তু এখানে সমন্বয়ের প্রয়োজন। বাজেট বরাদ্দ ও জনবল নিয়োগ নিয়ে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সমন্বয়ে কোনো নীতিমালা নেই। সমন্বয় না থাকলে পরামর্শ দিলে কোনো কাজ হবে না। একই সঙ্গে নগরস্বাস্থ্য নিয়ে কর্মকৌশলের কাঠামো ঠিক করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। কাজের জন্য প্রতিবছরই প্রচুর মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ শহরবাসী হবে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। এ ছাড়া এই খাতে বাজেট বৃদ্ধি করারও সুযোগ আছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার সমন্বয় করা প্রয়োজন। তা না হলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন বলেন, এই স্বাস্থ্য সেবা শুধু প্রজেক্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে এই সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই সেবা চালু করতে হবে। এখানে স্থায়ীভাবে ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিডি আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবাটা সবার জন্য সমন্বিত নয়, সেহেতু স্থানীয় সরকারকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা এবং কৌশলও প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি। সরকারের অনেক কাজ রয়েছে। তাই সরকারের একার পক্ষে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধিরা মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (ইউপিএইচসি)’ শিরোনামে প্রকল্পটি শুরু হয়। পরে নানাভাবে নাম পরিবর্তন হয়ে প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১১৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একনেকে অনুমোদন হয়। সংশোধন প্রস্তাবে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১২১৮.৯৪ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদকাল এপ্রিল ২০১৮ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এটি ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, রংপুর,, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বেনাপোল, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, দিরাই, তাড়াব, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, কিশোরগঞ্জ, লাকসাম, পীরগঞ্জ, কক্সবাজার, জামালপুর ও পটুয়াখালী পৌরসভায়ও কাজ চলছে প্রকল্পের।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৯ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি ম
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি ম
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৯ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি ম
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৯ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৮টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্প’। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে নগরের দুই কোটি ম
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৯ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে