ডা. অদিতি সরকার
কোমর বা পিঠব্যথা—এই সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। কিন্তু অনেক সময় এই ব্যথা সাধারণ নয়, বরং একটি জটিল রোগের ইঙ্গিত দেয়। এমনই এক রোগ স্পন্ডিলাইটিস। এটি মেরুদণ্ডের সংযোগস্থলে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের কারণে হয়, যা সময়ের সঙ্গে পিঠের নমনীয়তা কমিয়ে দেয় এবং চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করে।
যে কারণে হয়
স্পন্ডিলাইটিস হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ জেনেটিক বা বংশগত। বিশেষ করে HLA-B27 নামের জিন বহনকারীরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। এ ছাড়া পরিবেশগত কয়েকটি কারণ এবং প্রতিরোধক্ষমতার অনিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া থেকেও এই রোগ হয়ে যেতে পারে। এটি সাধারণত তরুণ বয়সেই (১৫ থেকে ৪০ বছর) শুরু হয় এবং পুরুষদের মধ্যে একটু বেশি দেখা যায়।
স্পন্ডিলাইটিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ–
» কোমর বা নিতম্বে গভীর ব্যথা, যা বিশ্রামে বাড়ে কিন্তু নড়াচড়া করলে কিছুটা কমে।
» সকালে ঘুম থেকে উঠলে পিঠ শক্ত হয়ে থাকে। তবে আধা ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায় স্বাভাবিক হতে।
» মেরুদণ্ডের বাঁকা হয়ে যাওয়া অথবা শরীরের গড়ন পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া।
» চোখে ব্যথা ও লালচে ভাব।
» দীর্ঘমেয়াদি ক্লান্তি এবং ওজন কমে যাওয়া।
এই লক্ষণগুলোর উপস্থিতি থাকলে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
যেভাবে নির্ণয় করা হয়
রোগনির্ণয়ের জন্য চিকিৎসক প্রথমে রোগের ইতিহাস জানতে চান এবং শারীরিক পরীক্ষা করেন। প্রয়োজনে কিছু রক্ত পরীক্ষা এবং মেরুদণ্ড ও নিতম্বের এক্স-রে অথবা এমআরআই করতে হতে পারে।
চিকিৎসা
স্পন্ডিলাইটিসের চিকিৎসায় মূল লক্ষ্য হলো ব্যথা কমানো, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করা এবং মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বজায় রাখা।
চিকিৎসার প্রধান উপাদানগুলো হলো:
ওষুধ: প্রদাহরোধী ও ব্যথানাশক ওষুধ এবং বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষ বায়োলজিক থেরাপি দেওয়া হয়।
ব্যায়াম: নিয়মিত স্ট্রেচিং ও সাঁতার রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সকালে একটু সময় ব্যায়ামই সবচেয়ে ভালো ফল দেয়।
জীবনধারার পরিবর্তন: ধূমপান পরিহার, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক ঘুমের ভঙ্গি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার: মেরুদণ্ডের গঠন খুব বেশি বিকৃত হলে বা স্নায়ু চাপে পড়লে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
জরুরি পরামর্শ
» কোমর বা পিঠে তিন মাসের বেশি ব্যথা থাকলে এটিকে কোনোভাবেই হালকা করে দেখবেন না।
» প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট শরীরচর্চা করুন, এটি মেরুদণ্ড সচল রাখবে।
» নিজের ভঙ্গি সঠিক রাখুন। দাঁড়ানো, বসা এবং হাঁটার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখার চেষ্টা করুন।
» মনোবল হারাবেন না। আধুনিক চিকিৎসায় স্পন্ডিলাইটিসের জীবনযাপন অনেক সহজ করা সম্ভব।
স্পন্ডিলাইটিস জীবন বদলে দিতে পারে, তবে সচেতনতা ও নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে এই পরিবর্তন ইতিবাচক রাখা যায়। তাই সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, নিজের যত্ন নিন এবং সুস্থ জীবন উপভোগ করুন।
কোমর বা পিঠব্যথা—এই সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। কিন্তু অনেক সময় এই ব্যথা সাধারণ নয়, বরং একটি জটিল রোগের ইঙ্গিত দেয়। এমনই এক রোগ স্পন্ডিলাইটিস। এটি মেরুদণ্ডের সংযোগস্থলে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের কারণে হয়, যা সময়ের সঙ্গে পিঠের নমনীয়তা কমিয়ে দেয় এবং চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করে।
যে কারণে হয়
স্পন্ডিলাইটিস হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ জেনেটিক বা বংশগত। বিশেষ করে HLA-B27 নামের জিন বহনকারীরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। এ ছাড়া পরিবেশগত কয়েকটি কারণ এবং প্রতিরোধক্ষমতার অনিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া থেকেও এই রোগ হয়ে যেতে পারে। এটি সাধারণত তরুণ বয়সেই (১৫ থেকে ৪০ বছর) শুরু হয় এবং পুরুষদের মধ্যে একটু বেশি দেখা যায়।
স্পন্ডিলাইটিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ–
» কোমর বা নিতম্বে গভীর ব্যথা, যা বিশ্রামে বাড়ে কিন্তু নড়াচড়া করলে কিছুটা কমে।
» সকালে ঘুম থেকে উঠলে পিঠ শক্ত হয়ে থাকে। তবে আধা ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায় স্বাভাবিক হতে।
» মেরুদণ্ডের বাঁকা হয়ে যাওয়া অথবা শরীরের গড়ন পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া।
» চোখে ব্যথা ও লালচে ভাব।
» দীর্ঘমেয়াদি ক্লান্তি এবং ওজন কমে যাওয়া।
এই লক্ষণগুলোর উপস্থিতি থাকলে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
যেভাবে নির্ণয় করা হয়
রোগনির্ণয়ের জন্য চিকিৎসক প্রথমে রোগের ইতিহাস জানতে চান এবং শারীরিক পরীক্ষা করেন। প্রয়োজনে কিছু রক্ত পরীক্ষা এবং মেরুদণ্ড ও নিতম্বের এক্স-রে অথবা এমআরআই করতে হতে পারে।
চিকিৎসা
স্পন্ডিলাইটিসের চিকিৎসায় মূল লক্ষ্য হলো ব্যথা কমানো, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করা এবং মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বজায় রাখা।
চিকিৎসার প্রধান উপাদানগুলো হলো:
ওষুধ: প্রদাহরোধী ও ব্যথানাশক ওষুধ এবং বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষ বায়োলজিক থেরাপি দেওয়া হয়।
ব্যায়াম: নিয়মিত স্ট্রেচিং ও সাঁতার রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সকালে একটু সময় ব্যায়ামই সবচেয়ে ভালো ফল দেয়।
জীবনধারার পরিবর্তন: ধূমপান পরিহার, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক ঘুমের ভঙ্গি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার: মেরুদণ্ডের গঠন খুব বেশি বিকৃত হলে বা স্নায়ু চাপে পড়লে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
জরুরি পরামর্শ
» কোমর বা পিঠে তিন মাসের বেশি ব্যথা থাকলে এটিকে কোনোভাবেই হালকা করে দেখবেন না।
» প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট শরীরচর্চা করুন, এটি মেরুদণ্ড সচল রাখবে।
» নিজের ভঙ্গি সঠিক রাখুন। দাঁড়ানো, বসা এবং হাঁটার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখার চেষ্টা করুন।
» মনোবল হারাবেন না। আধুনিক চিকিৎসায় স্পন্ডিলাইটিসের জীবনযাপন অনেক সহজ করা সম্ভব।
স্পন্ডিলাইটিস জীবন বদলে দিতে পারে, তবে সচেতনতা ও নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে এই পরিবর্তন ইতিবাচক রাখা যায়। তাই সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, নিজের যত্ন নিন এবং সুস্থ জীবন উপভোগ করুন।
চিকিৎসার আশায় ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও চিকিৎসক না পেয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে একে একে চলে গেছেন সব রোগী। তাঁদেরই একজন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার রাশিদুল ইসলাম। তিনি চলে যাওয়ার সময় বললেন, ‘২১ দিন ছিলাম, কোনো চিকিৎসা পাইনি। ঈদের পর আবার আসব ভাবছি।’
১৪ ঘণ্টা আগেমাইগ্রেনের ভোগান্তি বিশ্বজুড়ে। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যেই ১ কোটিরও বেশি মানুষ মাইগ্রেনে ভোগেন। এই অসুখ কর্মজীবন শেষ করে দিতে পারে, ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে, এমনকি জীবনকেও ছোট করে দিতে পারে। তাই এর থেকে পরিত্রাণের জন্য যখন কোনো সহজ সমাধান সামনে আসে তখন অনেকেই সেটি চেষ্টা করে দেখেন।
৩ দিন আগেনারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে।
৩ দিন আগেপ্রায় দেড় লাখেরও বেশি মুখ ও গলার ক্যানসার রোগী নতুন ইমিউনোথেরাপি ওষুধের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ক্যানসার মুক্ত থাকতে পারবেন। আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল থেকে জানা গেছে, এই ওষুধ ক্যানসার ফিরে আসার ঝুঁকি কমিয়ে রোগীদের রোগমুক্ত থাকার সময় দ্বিগুণ করতে পারে।
৪ দিন আগে