রজত কান্তি রায়, ঢাকা
২০১৩ সাল। নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলেন মনিরুল ইসলাম। চিকিৎসক জানালেন, অ্যাজমা। ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসা শুরু হলো। এরই মধ্যে একদিন ভারতীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়ামের অনুষ্ঠান দেখে সেটা করতে শুরু করেন তিনি। তিন মাস ইনহেলার ব্যবহারের পাশাপাশি ১৫ মিনিটের লং ও শর্ট ব্রিদিং সেশন শুরু করেন মনিরুল। এতে অ্যাজমা অনেকটা কমে যায়।
তিন মাস পর থেকে ইনহেলার ব্যবহার বন্ধ করেন তিনি। কিছুদিন শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করার পর ওষুধ খাওয়াও বন্ধ করে দেন। শুরু করেন হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো এবং ব্যায়াম। এ পর্যন্ত দৌড়েছেন প্রায় ১৪টি হাফ ম্যারাথন। এগুলোর মধ্যে ৪টিতে সঙ্গী ছিলেন স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। কয়েকটিতে ছেলে। একমাত্র মেয়ে নিয়মিত না দৌড়ালেও সেই জীবনযাপনের সঙ্গে তারও রয়েছে যোগাযোগ। সময় পেলেই বাবা-মা-ভাইয়ের সঙ্গে সে হাঁটে কিংবা দৌড়ায়।
ঢাকার বনশ্রীতে আজকের পত্রিকার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকারের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছিলেন মনিরুল; সপরিবার। জানালেন, শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তাঁর পুরো পরিবার নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করে সুস্থ আছে দূষণে সেরা হওয়া এই শহরে। শুধু কি তাই? গত প্রায় আট বছর পরিবারটির কেউ ওষুধ খাননি।
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার ভান্ডার যেন উজাড় করে দিলে মনিরুল। জানালেন, নিয়মিত শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম, হাঁটা ও দৌড়ালে অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মনিরুল ইসলামের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা হাঁটাহাঁটি শুরু করেন ২০১৪-১৫ সাল থেকে। সে সময় তাঁর ডায়াবেটিস ছিল। ওজন ছিল অনেক বেশি। চিকিৎসকের পরামর্শে ৮৭ কেজি থেকে নিজের ওজন কমিয়ে আনেন ৬৮ কেজিতে! তারপর থেকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে। এখন তিনি নিয়মিত সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় দিন এক ঘণ্টা হাঁটেন এবং এক ঘণ্টা ব্যায়াম করেন।
২০২২ সালের শেষের দিকে হাতিরঝিলের একটি ম্যারাথন ইভেন্টের বিজ্ঞাপন দেখেন তিনি। তত দিন তিনি নিয়মিত দৌড়াতে শুরু করেছেন কিন্তু কোনো ইভেন্টে অংশ নেননি। সেই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন মনিরুল। বেশ অল্প সময়ে সাড়ে সাত কিলোমিটার দৌড় শেষ করার পর পুরস্কার পান। এরপর থেকে তিনি ১০ কিলোমিটার থেকে ২১ কিলোমিটার পর্যন্ত বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিতে থাকেন। এ পর্যন্ত ১৪টি হাফ ম্যারাথন দৌড়েছেন। এগুলোর মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে দৌড়েছেন চারটি হাফ ম্যারাথন!
মনিরুল ইসলামের প্রতিদিনের রুটিন কী, জানতে চেয়েছিলাম। তিনি জানালেন, ভোর সাড়ে চারটায় ঘুম থেকে ওঠেন। নামাজ শেষে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করেন। তারপর কিছু কাজ শেষ করে হাঁটতে বা দৌড়াতে বের হন। হাঁটতে না বের হলেও বাসায় ব্যায়াম করেন।
আর খাওয়াদাওয়া? সকালে ভরপেট ভাত খেয়ে নেন মনিরুল ইসলাম। দুপুরে খুব অল্প কিছু খেয়ে নেন। রাতে ভাতের বিকল্প বাদাম, টক দই ইত্যাদি খান। পরিবারের রসুইঘরের দায়িত্ব কানিজ ফাতেমার হাতে। তাই তাঁকেই জিজ্ঞেস করি, পারিবারিক এই সুস্বাস্থ্যের পেছনে খাবারদাবারের রুটিনটা কী? কানিজ ফাতেমা জানালেন, তেমন কোনো রুটিন নেই। তবে তিনি ঘন ঘন খাবার খেতে দেন না কাউকে।
বিকেলে ভারী নাশতা খেলে রাতে হালকা খাবার দেন। আর বাইরের খাবার এড়িয়ে চলেন। সেই সঙ্গে নিয়মিত ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে ব্যায়াম করেন।
পুরো পরিবার সুস্থ থাকতে চাইলে সেটা যে খুব সহজে সম্ভব; মনিরুল ইসলাম ও কানিজ ফাতেমা দম্পতি সেটা প্রমাণ করেছেন। আপনি?
২০১৩ সাল। নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলেন মনিরুল ইসলাম। চিকিৎসক জানালেন, অ্যাজমা। ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসা শুরু হলো। এরই মধ্যে একদিন ভারতীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়ামের অনুষ্ঠান দেখে সেটা করতে শুরু করেন তিনি। তিন মাস ইনহেলার ব্যবহারের পাশাপাশি ১৫ মিনিটের লং ও শর্ট ব্রিদিং সেশন শুরু করেন মনিরুল। এতে অ্যাজমা অনেকটা কমে যায়।
তিন মাস পর থেকে ইনহেলার ব্যবহার বন্ধ করেন তিনি। কিছুদিন শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করার পর ওষুধ খাওয়াও বন্ধ করে দেন। শুরু করেন হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো এবং ব্যায়াম। এ পর্যন্ত দৌড়েছেন প্রায় ১৪টি হাফ ম্যারাথন। এগুলোর মধ্যে ৪টিতে সঙ্গী ছিলেন স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। কয়েকটিতে ছেলে। একমাত্র মেয়ে নিয়মিত না দৌড়ালেও সেই জীবনযাপনের সঙ্গে তারও রয়েছে যোগাযোগ। সময় পেলেই বাবা-মা-ভাইয়ের সঙ্গে সে হাঁটে কিংবা দৌড়ায়।
ঢাকার বনশ্রীতে আজকের পত্রিকার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকারের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছিলেন মনিরুল; সপরিবার। জানালেন, শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তাঁর পুরো পরিবার নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করে সুস্থ আছে দূষণে সেরা হওয়া এই শহরে। শুধু কি তাই? গত প্রায় আট বছর পরিবারটির কেউ ওষুধ খাননি।
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার ভান্ডার যেন উজাড় করে দিলে মনিরুল। জানালেন, নিয়মিত শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম, হাঁটা ও দৌড়ালে অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মনিরুল ইসলামের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা হাঁটাহাঁটি শুরু করেন ২০১৪-১৫ সাল থেকে। সে সময় তাঁর ডায়াবেটিস ছিল। ওজন ছিল অনেক বেশি। চিকিৎসকের পরামর্শে ৮৭ কেজি থেকে নিজের ওজন কমিয়ে আনেন ৬৮ কেজিতে! তারপর থেকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে। এখন তিনি নিয়মিত সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় দিন এক ঘণ্টা হাঁটেন এবং এক ঘণ্টা ব্যায়াম করেন।
২০২২ সালের শেষের দিকে হাতিরঝিলের একটি ম্যারাথন ইভেন্টের বিজ্ঞাপন দেখেন তিনি। তত দিন তিনি নিয়মিত দৌড়াতে শুরু করেছেন কিন্তু কোনো ইভেন্টে অংশ নেননি। সেই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন মনিরুল। বেশ অল্প সময়ে সাড়ে সাত কিলোমিটার দৌড় শেষ করার পর পুরস্কার পান। এরপর থেকে তিনি ১০ কিলোমিটার থেকে ২১ কিলোমিটার পর্যন্ত বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিতে থাকেন। এ পর্যন্ত ১৪টি হাফ ম্যারাথন দৌড়েছেন। এগুলোর মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে দৌড়েছেন চারটি হাফ ম্যারাথন!
মনিরুল ইসলামের প্রতিদিনের রুটিন কী, জানতে চেয়েছিলাম। তিনি জানালেন, ভোর সাড়ে চারটায় ঘুম থেকে ওঠেন। নামাজ শেষে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করেন। তারপর কিছু কাজ শেষ করে হাঁটতে বা দৌড়াতে বের হন। হাঁটতে না বের হলেও বাসায় ব্যায়াম করেন।
আর খাওয়াদাওয়া? সকালে ভরপেট ভাত খেয়ে নেন মনিরুল ইসলাম। দুপুরে খুব অল্প কিছু খেয়ে নেন। রাতে ভাতের বিকল্প বাদাম, টক দই ইত্যাদি খান। পরিবারের রসুইঘরের দায়িত্ব কানিজ ফাতেমার হাতে। তাই তাঁকেই জিজ্ঞেস করি, পারিবারিক এই সুস্বাস্থ্যের পেছনে খাবারদাবারের রুটিনটা কী? কানিজ ফাতেমা জানালেন, তেমন কোনো রুটিন নেই। তবে তিনি ঘন ঘন খাবার খেতে দেন না কাউকে।
বিকেলে ভারী নাশতা খেলে রাতে হালকা খাবার দেন। আর বাইরের খাবার এড়িয়ে চলেন। সেই সঙ্গে নিয়মিত ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে ব্যায়াম করেন।
পুরো পরিবার সুস্থ থাকতে চাইলে সেটা যে খুব সহজে সম্ভব; মনিরুল ইসলাম ও কানিজ ফাতেমা দম্পতি সেটা প্রমাণ করেছেন। আপনি?
দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের..
২ দিন আগেতীব্র গরমে আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় বা হিমায়িত মিষ্টান্ন খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা যত বাড়ছে, আমেরিকানেরা তত বেশি এসব মিষ্টি খাবারের দিকে ঝুঁকছেন—এমনটাই জানাচ্ছে নতুন গবেষণা। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, এর স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক হতে পারে।
২ দিন আগেএখন জ্বরের মৌসুম চলছে; বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভাইরাস জ্বর হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলো ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৯৪৪ এবং মারা গেছে ১১৮ জন। চিকিৎসকেরা বলছেন, একটি এডিস
৪ দিন আগেহৃদ্রোগ, স্ট্রোক কিংবা ধমনি বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল; বিশেষ করে লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) বা খারাপ কোলেস্টেরল রক্তনালিতে জমে ধমনি শক্ত করে। অন্যদিকে হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কিংবা ভালো কোলেস্টেরল শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয়।
৪ দিন আগে