ফিচার ডেস্ক
গর্ভাবস্থা একটি আনন্দময় মুহূর্ত হলেও অনেক নারীর জন্য এটি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন, বমি বমি ভাব, মুড সুইংসের পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কেন হয়
গর্ভাবস্থায় শরীরে প্রোজেস্টেরন, ইস্ট্রোজেন ও প্লাসেন্টাল ল্যাকট্রোজেন ইত্যাদি হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই হরমোনগুলো শিশুর বিকাশে সাহায্য করলেও ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে শরীর ইনসুলিনপ্রতিরোধী হয়ে পড়ে; বিশেষ করে গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে। সাধারণত অগ্ন্যাশয় এই বাড়তি চাহিদা পূরণে আরও বেশি ইনসুলিন তৈরি করে। কিন্তু যদি ইনসুলিনের উৎপাদন কম হয়, তখনই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস দেখা দেয়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এমন অবস্থায়ও সুস্থ থাকা সম্ভব।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা
খাবারের মাধ্যমে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এ জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দরকার—
আঁশযুক্ত খাবার খান: শস্যদানা, শাকসবজি, ডাল ও ফল। এগুলো ধীরে ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়তে দেয় না।
স্বাস্থ্যকর চর্বি বেছে নিন: বাদাম, অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বি জোগায়।
লো-গ্লাইসেমিক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন: মিষ্টিআলু, ব্রাউন রাইস ও ডাল; যা রক্তে শর্করার পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ায়।
চিনি ও মিষ্টি এড়িয়ে চলুন: মিষ্টান্ন, সফট ড্রিংকস, মিষ্টি পানীয় না খাওয়াই ভালো।
প্রোটিন গ্রহণ করুন: মুরগি, মাছ, ডিম, টফু বা ডাল-প্রোটিন শরীরকে স্থির শক্তি দেয় এবং রক্তে শর্করা স্থিতিশীল রাখে।
খাবার কয়েকবারে গ্রহণ
দিনে তিন বেলা ভারী খাবার না খেয়ে ৫-৬ বারে খান। এতে একবারে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে রক্তে হঠাৎ করে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। প্রতিবার খাবারে সামান্য পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট রাখুন।
নিয়মিত শরীরচর্চা
গর্ভাবস্থায় হালকা ব্যায়াম শরীরকে ইনসুলিনে আরও সংবেদনশীল করে তোলে। নিরাপদ ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে:
হাঁটা: খাবারের পর হালকা হাঁটা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
প্রস্তুতিমূলক যোগব্যায়াম: মানসিক চাপ কমায় এবং শরীর সক্রিয় রাখতে সহায়ক।
সাঁতার: শরীরের ওপর চাপ না দিয়ে কার্যকর ব্যায়াম।
তবে গর্ভাবস্থায় যেকোনো ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ
বাড়িতে গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তে শর্করা নিয়মিত পরীক্ষা করুন। এতে বুঝতে পারবেন, কোন খাবার অথবা অভ্যাস আপনার রক্তে কীভাবে প্রভাব ফেলছে।
পর্যাপ্ত পানি পান
অনেকে এ বিষয়ে অবহেলা করেন; কিন্তু পানি পান শরীর থেকে বাড়তি শর্করা প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করার আদর্শ মাত্রা যত হওয়া উচিত:
২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীকে ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট করানো উচিত, যাতে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আছে কি না, সেটি জানা যায়। যাঁরা উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা আরও আগে করানো উচিত।
সূত্র: হেলথশট
গর্ভাবস্থা একটি আনন্দময় মুহূর্ত হলেও অনেক নারীর জন্য এটি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন, বমি বমি ভাব, মুড সুইংসের পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কেন হয়
গর্ভাবস্থায় শরীরে প্রোজেস্টেরন, ইস্ট্রোজেন ও প্লাসেন্টাল ল্যাকট্রোজেন ইত্যাদি হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই হরমোনগুলো শিশুর বিকাশে সাহায্য করলেও ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে শরীর ইনসুলিনপ্রতিরোধী হয়ে পড়ে; বিশেষ করে গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে। সাধারণত অগ্ন্যাশয় এই বাড়তি চাহিদা পূরণে আরও বেশি ইনসুলিন তৈরি করে। কিন্তু যদি ইনসুলিনের উৎপাদন কম হয়, তখনই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস দেখা দেয়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এমন অবস্থায়ও সুস্থ থাকা সম্ভব।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা
খাবারের মাধ্যমে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এ জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দরকার—
আঁশযুক্ত খাবার খান: শস্যদানা, শাকসবজি, ডাল ও ফল। এগুলো ধীরে ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়তে দেয় না।
স্বাস্থ্যকর চর্বি বেছে নিন: বাদাম, অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বি জোগায়।
লো-গ্লাইসেমিক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন: মিষ্টিআলু, ব্রাউন রাইস ও ডাল; যা রক্তে শর্করার পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ায়।
চিনি ও মিষ্টি এড়িয়ে চলুন: মিষ্টান্ন, সফট ড্রিংকস, মিষ্টি পানীয় না খাওয়াই ভালো।
প্রোটিন গ্রহণ করুন: মুরগি, মাছ, ডিম, টফু বা ডাল-প্রোটিন শরীরকে স্থির শক্তি দেয় এবং রক্তে শর্করা স্থিতিশীল রাখে।
খাবার কয়েকবারে গ্রহণ
দিনে তিন বেলা ভারী খাবার না খেয়ে ৫-৬ বারে খান। এতে একবারে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে রক্তে হঠাৎ করে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। প্রতিবার খাবারে সামান্য পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট রাখুন।
নিয়মিত শরীরচর্চা
গর্ভাবস্থায় হালকা ব্যায়াম শরীরকে ইনসুলিনে আরও সংবেদনশীল করে তোলে। নিরাপদ ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে:
হাঁটা: খাবারের পর হালকা হাঁটা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
প্রস্তুতিমূলক যোগব্যায়াম: মানসিক চাপ কমায় এবং শরীর সক্রিয় রাখতে সহায়ক।
সাঁতার: শরীরের ওপর চাপ না দিয়ে কার্যকর ব্যায়াম।
তবে গর্ভাবস্থায় যেকোনো ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ
বাড়িতে গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তে শর্করা নিয়মিত পরীক্ষা করুন। এতে বুঝতে পারবেন, কোন খাবার অথবা অভ্যাস আপনার রক্তে কীভাবে প্রভাব ফেলছে।
পর্যাপ্ত পানি পান
অনেকে এ বিষয়ে অবহেলা করেন; কিন্তু পানি পান শরীর থেকে বাড়তি শর্করা প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করার আদর্শ মাত্রা যত হওয়া উচিত:
২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীকে ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট করানো উচিত, যাতে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আছে কি না, সেটি জানা যায়। যাঁরা উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা আরও আগে করানো উচিত।
সূত্র: হেলথশট
এখন জ্বরের মৌসুম চলছে; বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভাইরাস জ্বর হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলো ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৯৪৪ এবং মারা গেছে ১১৮ জন। চিকিৎসকেরা বলছেন, একটি এডিস
১ দিন আগেহৃদ্রোগ, স্ট্রোক কিংবা ধমনি বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল; বিশেষ করে লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) বা খারাপ কোলেস্টেরল রক্তনালিতে জমে ধমনি শক্ত করে। অন্যদিকে হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কিংবা ভালো কোলেস্টেরল শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয়।
২ দিন আগেনাক আমাদের মুখের স্পর্শকাতর অঙ্গ। এটি মুখমণ্ডলের সামনের অংশে থাকে বলে পড়ে যাওয়া, খেলাধুলা, দুর্ঘটনা কিংবা কিল-ঘুষি, মারামারির মতো আঘাতের সময় আগে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাকের হাড় ভেঙে গেলে শুধু ব্যথাই হয় না, বরং শ্বাসপ্রশ্বাস, সৌন্দর্য ও স্বাভাবিক কার্যকারিতারও সমস্যা হতে পারে।
২ দিন আগেবাংলা প্রবাদ আছে, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না। আমাদের দেশের মানুষের ক্ষেত্রে প্রবাদটি সত্য। ক্ষয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দাঁতের ব্যথা—সব ক্ষেত্রে অবহেলা দেখা যায়। এর কারণে দাঁতের গোড়ায় সংক্রমণ দেখা দেয়। গবেষণা বলছে, দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হলে তা থেকে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন জটিল রোগ।
২ দিন আগে