অনলাইন ডেস্ক
চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। অস্ত্রোপচারের পর ক্ষত সারাতে সেলাই বা স্ট্যাপলারের ব্যবহারের বদলে এবার আলোর মাধ্যমে সক্রিয় হওয়া বডি গ্লু বা শরীরবান্ধব আঠা ব্যবহার করার পথে এগোচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) উদ্ভাবিত এই নতুন পলিমার প্রযুক্তি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে।
প্রথমে পিএইচডি গবেষণা প্রকল্প হিসেবে শুরু হওয়া এই পলিমার নিয়ে কাজ শুরু হয় এমআইটিতে। পরে হৃদ্যন্ত্রে ছোট ছিদ্র বন্ধ করার মতো পরীক্ষামূলক গবেষণায় সফলতা আসে, যেখানে এটি শূকরের ও ইঁদুরের হৃদ্যন্ত্রে প্রয়োগ করা হয়।
২০১৩ সালে এই গবেষণাকাজ এমআইটি থেকে পৃথক হয়ে ‘টিসিয়াম’ নামের একটি কোম্পানিতে পরিণত হয়। এই কোম্পানি তার প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতে এবং সেলাই ও স্ট্যাপলারের মতো পুরোনো পদ্ধতির সমস্যা সমাধান করতে কাজ করে।
এই পলিমারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো—মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য একটি নীল আলো ব্যবহার করলেই এটি ভেজা টিস্যুর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জুড়ে যেতে পারে। বর্তমানে টিসিয়াম এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন টিস্যু সারিয়ে তোলার পদ্ধতি তৈরি করছে।
এই উদ্দেশ্য, টিসিয়াম তাদের বায়োপলিমার প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের টিস্যু সারিয়ে তোলার সমাধান খুঁজছে এবং বর্তমানে আঙুল ও পায়ের পাতার স্নায়ুর জন্য একটি পণ্য বাণিজ্যিকভাবে চালু করেছে। এই পণ্যের নাম ‘কপটিয়াম কানেক্ট’। এতে ব্যবহার করা হয়েছে আলো সক্রিয় পলিমার, একটি থ্রিডি প্রিন্টেড আবরণ, যা স্নায়ুকে স্থির রাখতে সাহায্য করে এবং নীল আলো, যা পলিমারকে সক্রিয় করে তোলে।
পলিমারটি স্থাপন করে নীল আলো দেওয়া হলে এটি সক্রিয় হয়ে স্নায়ুর সঙ্গে ভালোভাবে লেগে যায়। এরপর আবরণটি সরিয়ে ফেলা হয় এবং স্নায়ু দেখানোর জন্য শরীরে যে কাটা হয়েছিল, সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই পলিমার স্নায়ুর দুই প্রান্তের মধ্যে একটি মজবুত সংযোগ তৈরি করে এবং পরে এটি ধীরে ধীরে পানির মাধ্যমে গলে যায় (হাইড্রোলাইসিস প্রক্রিয়ায়)।
এই প্রযুক্তি নিয়ে ১২ জন রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়, যাঁদের সবারই আঙুল ও পায়ের পাতা সম্পূর্ণরূপে নড়ানো ও বাঁকানোর ক্ষমতা ফিরে এসেছে। তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সেলাইয়ের মাধ্যমে স্নায়ু সারিয়ে তোলা রোগীদের মধ্যে মাত্র ৫৪ শতাংশ রোগীই সার্জারির পর স্বাভাবিক অনুভূতি ও চলাফেরা ফিরে পান।
এই সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কপটিয়াম কানেক্টকে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এখন এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে।
টিসিয়াম জানায়, এই প্রযুক্তিকে ভিত্তি করে তারা আরও ছয়টি নতুন পণ্য তৈরি করছে। এর মধ্যে রয়েছে হার্নিয়া রিপেয়ার সিস্টেম ও হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভাসকুলার সিল্যান্ট।
কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতা জেফ কার্প বলেন, ‘আমাদের পলিমারগুলো প্রোগ্রামেবল। আমরা এর দ্রবণযোগ্যতা ও যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এর মাধ্যমে নতুন ধরনের শরীরে প্রতিস্থাপনযোগ্য মেডিকেল ডিভাইস তৈরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে চিকিৎসাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।’
তথ্যসূত্র: নিউ অ্যাটল্যাস
চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। অস্ত্রোপচারের পর ক্ষত সারাতে সেলাই বা স্ট্যাপলারের ব্যবহারের বদলে এবার আলোর মাধ্যমে সক্রিয় হওয়া বডি গ্লু বা শরীরবান্ধব আঠা ব্যবহার করার পথে এগোচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) উদ্ভাবিত এই নতুন পলিমার প্রযুক্তি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে।
প্রথমে পিএইচডি গবেষণা প্রকল্প হিসেবে শুরু হওয়া এই পলিমার নিয়ে কাজ শুরু হয় এমআইটিতে। পরে হৃদ্যন্ত্রে ছোট ছিদ্র বন্ধ করার মতো পরীক্ষামূলক গবেষণায় সফলতা আসে, যেখানে এটি শূকরের ও ইঁদুরের হৃদ্যন্ত্রে প্রয়োগ করা হয়।
২০১৩ সালে এই গবেষণাকাজ এমআইটি থেকে পৃথক হয়ে ‘টিসিয়াম’ নামের একটি কোম্পানিতে পরিণত হয়। এই কোম্পানি তার প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতে এবং সেলাই ও স্ট্যাপলারের মতো পুরোনো পদ্ধতির সমস্যা সমাধান করতে কাজ করে।
এই পলিমারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো—মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য একটি নীল আলো ব্যবহার করলেই এটি ভেজা টিস্যুর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জুড়ে যেতে পারে। বর্তমানে টিসিয়াম এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন টিস্যু সারিয়ে তোলার পদ্ধতি তৈরি করছে।
এই উদ্দেশ্য, টিসিয়াম তাদের বায়োপলিমার প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের টিস্যু সারিয়ে তোলার সমাধান খুঁজছে এবং বর্তমানে আঙুল ও পায়ের পাতার স্নায়ুর জন্য একটি পণ্য বাণিজ্যিকভাবে চালু করেছে। এই পণ্যের নাম ‘কপটিয়াম কানেক্ট’। এতে ব্যবহার করা হয়েছে আলো সক্রিয় পলিমার, একটি থ্রিডি প্রিন্টেড আবরণ, যা স্নায়ুকে স্থির রাখতে সাহায্য করে এবং নীল আলো, যা পলিমারকে সক্রিয় করে তোলে।
পলিমারটি স্থাপন করে নীল আলো দেওয়া হলে এটি সক্রিয় হয়ে স্নায়ুর সঙ্গে ভালোভাবে লেগে যায়। এরপর আবরণটি সরিয়ে ফেলা হয় এবং স্নায়ু দেখানোর জন্য শরীরে যে কাটা হয়েছিল, সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই পলিমার স্নায়ুর দুই প্রান্তের মধ্যে একটি মজবুত সংযোগ তৈরি করে এবং পরে এটি ধীরে ধীরে পানির মাধ্যমে গলে যায় (হাইড্রোলাইসিস প্রক্রিয়ায়)।
এই প্রযুক্তি নিয়ে ১২ জন রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়, যাঁদের সবারই আঙুল ও পায়ের পাতা সম্পূর্ণরূপে নড়ানো ও বাঁকানোর ক্ষমতা ফিরে এসেছে। তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সেলাইয়ের মাধ্যমে স্নায়ু সারিয়ে তোলা রোগীদের মধ্যে মাত্র ৫৪ শতাংশ রোগীই সার্জারির পর স্বাভাবিক অনুভূতি ও চলাফেরা ফিরে পান।
এই সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কপটিয়াম কানেক্টকে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এখন এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে।
টিসিয়াম জানায়, এই প্রযুক্তিকে ভিত্তি করে তারা আরও ছয়টি নতুন পণ্য তৈরি করছে। এর মধ্যে রয়েছে হার্নিয়া রিপেয়ার সিস্টেম ও হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভাসকুলার সিল্যান্ট।
কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতা জেফ কার্প বলেন, ‘আমাদের পলিমারগুলো প্রোগ্রামেবল। আমরা এর দ্রবণযোগ্যতা ও যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এর মাধ্যমে নতুন ধরনের শরীরে প্রতিস্থাপনযোগ্য মেডিকেল ডিভাইস তৈরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে চিকিৎসাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।’
তথ্যসূত্র: নিউ অ্যাটল্যাস
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিলে সভাপতি, মহাসচিবসহ পূর্ণ প্যানেলে জয় পেয়েছেন হারুন-শাকিল প্যানেল। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে মধ্যরাতে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেশরীরের ব্যথায় কখনো ভোগেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শরীরে ব্যথার সমস্যায় ভুগছে। তাদের কারও গিরায় ব্যথা, কারও পেশিতে, আবার কেউ হাড়ের ব্যথায় আক্রান্ত। বাংলাদেশে ব্যথার সমস্যায় ভোগা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি।
১ দিন আগেদেশে গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুসহ (১৩) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময়ে হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ৩২৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
২ দিন আগেহাইপোগ্লাইসিমিয়া বা রক্ত শর্করার স্বল্পতা হলো এমন একটি অবস্থা, যখন রক্তের শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। এ পরিমাণ হয় সাধারণত ৩ দশমিক ৯ মিলিমোলস পার লিটার বা ৭০ মিলি গ্রামস পার ডেসিলিটারের কম। এ সময় কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সেগুলো হলো—
২ দিন আগে