আয়শা সিদ্দিকা
একেক ঋতুর খাবারের আছে একেক ধরন। যেমন বর্ষা মানেই খিচুড়ি আর তেলে ভাজা মচমচে খাবারের গল্প। তেমনি গ্রীষ্ম বা শীত ঋতুতেও আছে সেই ঋতুর উপযোগী খাবার।
এই সময়ের খাবার শুধু আবহাওয়া নয়, বর্ষার ভেজা দিনে খিচুড়ি বা তেলে ভাজাজাতীয় চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পেছনে হরমোনের হাত আছে। বৃষ্টির দিনে সূর্যের আলো হঠাৎ কমে যাওয়ায় দেহে সেরোটোনিন নামের একটি উপাদানের মাত্রা কমে যায়। সেরোটোনিন একটি নিউরো ট্রান্সমিটার, যা প্রাকৃতিকভাবে আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে, চর্বিজাতীয় খাবারে থাকা ট্রিপ্টোফ্যান, যেটি সেরোটোনিন বৃদ্ধি করে। ফলে শরীরের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আমাদের চর্বিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হয়। তবে স্বাস্থ্যগত কারণে তেলে না ভেজেও সে রকম খাবার খাওয়া যায়। যেমন তেলে ভাজা সমুচার বদলে বেকড সমুচা খাওয়া যেতে পারে। ছোলার সঙ্গে সালাদ মিশিয়ে কিংবা পপকর্ন বা মিষ্টি আলু দিয়েও সারা যায় সন্ধ্যাকালীন নাশতা।
বর্ষা মৌসুমে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক দুর্বল হয়ে যায়। ফলে খাদ্যের বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিং, ভাইরাল ইনফেকশন, ডায়রিয়ার মতো রোগ বেশি ছড়ায়। এ সময় ডাল, চাল, হালকা ঘি ও সবজিমিশ্রিত খিচুড়ি খেতে বলার প্রধান কারণ হলো, এগুলোতে সব ধরনের ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস থাকে। এ ছাড়া খিচুড়ি আমাদের পরিপাকনালি সুস্থ রাখে।
বর্ষাকালে ইনফেকশনজনিত রোগ বৃদ্ধি পায়। এ জন্য বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। মৌসুমি ফল, শসা, স্যুপ, হলুদ দিয়ে দুধ, বাদাম, ওটস, ডাল সবচেয়ে বেশি খাওয়া উচিত বর্ষাকালে। কাঁচা রসুনও বেশ উপকারী। কাঁচা রসুনের গন্ধ সহ্য করতে না পারলে রান্না করা খাবারে রসুন ব্যবহার বাড়াতে পারেন। চায়ে থাকা পলিফেনলস ও ফাইটো-কেমিক্যাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দুটি ইনফেকশনজনিত রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। দুধ চা সবার পছন্দের হলেও স্বাস্থ্যের যত্নে বেছে নিতে পারেন তুলসী চা, আদা চা, গ্রিন টি, ক্যামোমিল চা বা ম্যাকা টি কিংবা বিভিন্ন মসলা চা।
এ ছাড়া স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। টেস্টিং সল্ট বাদ দিয়ে আদা, রসুন, চিকেন, সবজি দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত স্যুপ তৈরি করতে পারেন এ সময়। আম, জাম, কাঁঠাল ও জামরুল ইত্যাদির মৌসুম এখন। এগুলো টাটকা খেলে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ ও স্বাদ পাওয়া যায়।
বর্ষায় পালংশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, ব্রকলি, কলমিশাকে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। পেটের সমস্যা থাকলে এ-জাতীয় সবজি এড়িয়ে চলতে পারেন। উচ্চ ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেলসমৃদ্ধ সবজি, যেমন করলা, লাউ, পটোল, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, মাশরুম, কচু, ঝিঙে, বিটরুট, ঢ্যাঁড়স, শসা ইত্যাদি বেশি করে খাওয়া উচিত এ সময়। এগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
লেখক: কনসালট্যান্ট ডায়েটিশিয়ান, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল
একেক ঋতুর খাবারের আছে একেক ধরন। যেমন বর্ষা মানেই খিচুড়ি আর তেলে ভাজা মচমচে খাবারের গল্প। তেমনি গ্রীষ্ম বা শীত ঋতুতেও আছে সেই ঋতুর উপযোগী খাবার।
এই সময়ের খাবার শুধু আবহাওয়া নয়, বর্ষার ভেজা দিনে খিচুড়ি বা তেলে ভাজাজাতীয় চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পেছনে হরমোনের হাত আছে। বৃষ্টির দিনে সূর্যের আলো হঠাৎ কমে যাওয়ায় দেহে সেরোটোনিন নামের একটি উপাদানের মাত্রা কমে যায়। সেরোটোনিন একটি নিউরো ট্রান্সমিটার, যা প্রাকৃতিকভাবে আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে, চর্বিজাতীয় খাবারে থাকা ট্রিপ্টোফ্যান, যেটি সেরোটোনিন বৃদ্ধি করে। ফলে শরীরের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আমাদের চর্বিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হয়। তবে স্বাস্থ্যগত কারণে তেলে না ভেজেও সে রকম খাবার খাওয়া যায়। যেমন তেলে ভাজা সমুচার বদলে বেকড সমুচা খাওয়া যেতে পারে। ছোলার সঙ্গে সালাদ মিশিয়ে কিংবা পপকর্ন বা মিষ্টি আলু দিয়েও সারা যায় সন্ধ্যাকালীন নাশতা।
বর্ষা মৌসুমে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক দুর্বল হয়ে যায়। ফলে খাদ্যের বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিং, ভাইরাল ইনফেকশন, ডায়রিয়ার মতো রোগ বেশি ছড়ায়। এ সময় ডাল, চাল, হালকা ঘি ও সবজিমিশ্রিত খিচুড়ি খেতে বলার প্রধান কারণ হলো, এগুলোতে সব ধরনের ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস থাকে। এ ছাড়া খিচুড়ি আমাদের পরিপাকনালি সুস্থ রাখে।
বর্ষাকালে ইনফেকশনজনিত রোগ বৃদ্ধি পায়। এ জন্য বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। মৌসুমি ফল, শসা, স্যুপ, হলুদ দিয়ে দুধ, বাদাম, ওটস, ডাল সবচেয়ে বেশি খাওয়া উচিত বর্ষাকালে। কাঁচা রসুনও বেশ উপকারী। কাঁচা রসুনের গন্ধ সহ্য করতে না পারলে রান্না করা খাবারে রসুন ব্যবহার বাড়াতে পারেন। চায়ে থাকা পলিফেনলস ও ফাইটো-কেমিক্যাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দুটি ইনফেকশনজনিত রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। দুধ চা সবার পছন্দের হলেও স্বাস্থ্যের যত্নে বেছে নিতে পারেন তুলসী চা, আদা চা, গ্রিন টি, ক্যামোমিল চা বা ম্যাকা টি কিংবা বিভিন্ন মসলা চা।
এ ছাড়া স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। টেস্টিং সল্ট বাদ দিয়ে আদা, রসুন, চিকেন, সবজি দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত স্যুপ তৈরি করতে পারেন এ সময়। আম, জাম, কাঁঠাল ও জামরুল ইত্যাদির মৌসুম এখন। এগুলো টাটকা খেলে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ ও স্বাদ পাওয়া যায়।
বর্ষায় পালংশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, ব্রকলি, কলমিশাকে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। পেটের সমস্যা থাকলে এ-জাতীয় সবজি এড়িয়ে চলতে পারেন। উচ্চ ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেলসমৃদ্ধ সবজি, যেমন করলা, লাউ, পটোল, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, মাশরুম, কচু, ঝিঙে, বিটরুট, ঢ্যাঁড়স, শসা ইত্যাদি বেশি করে খাওয়া উচিত এ সময়। এগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
লেখক: কনসালট্যান্ট ডায়েটিশিয়ান, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল
অনেকে মনে করি, ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর হলো দীর্ঘদিন খাবার ভালো রাখার নিরাপদ জায়গা। কিন্তু সব খাবার ফ্রিজে ভালো থাকে না। কিছু কিছু খাবার ফ্রিজে রাখলে সেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে। আধুনিক জীবনব্যবস্থায় ফ্রিজ অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ, যা আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেকানে পানি ঢুকলে কান পাকে, এ ধারণা ভুল। আগে থেকে যদি কারও মধ্যকর্ণে বা কানের পর্দায় ফুটো থাকে, তাহলে পানি ঢুকলে কান পাকে। যাদের আগে থেকে কান পাকার সমস্যা, তাদের কানে পানি ঢুকলে সমস্যাটি আরও খারাপ পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তবে যাদের এ ধরনের সমস্যা নেই, তাদের কানে পানি প্রবেশ করলেও কান পাকার আশঙ্কা নেই...
৬ ঘণ্টা আগেকাজ, পড়াশোনা কিংবা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাপে অনেকের মনে অস্থিরতা কাজ করে। অনেক সময় মন শান্ত রাখা খুব কঠিন। এমনকি দিনের পর দিন কাজের শেষে বিশ্রাম নিলেও মন খারাপ হওয়া থামতে চায় না। জেনে রাখা ভালো মন শান্ত রাখার কিছু সহজ উপায়—
৬ ঘণ্টা আগেশিশুর মনোবল বাড়ানোর জন্য মা-বাবা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা থেকে শিশুর মনোবল বাড়ানোর কিছু কার্যকরী কৌশল খুঁজে পেয়েছেন। এসব কৌশল শিশুর শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে।
৭ ঘণ্টা আগে