ডা. জাহেদ পারভেজ
বর্তমানে ত্বকের চিকিৎসা ও সৌন্দর্য রক্ষায় বহুল ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি হলো লেজার। এ চিকিৎসা নিয়ে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা আছে। অনেকে ভাবেন, লেজার চিকিৎসা করালে ক্যানসার হয়। আবার লেজারের আলো ত্বকের ক্ষতি করে।
বিশেষজ্ঞরা ত্বকের চিকিৎসায় লেজার ব্যবহার করেন। লেজার মূলত একটি আলোকরশ্মি। এর সাহায্যে অবাঞ্ছিত টিস্যু নষ্ট করা হয়। যে টিস্যুগুলো আমরা শরীরে রাখতে চাই না, সেগুলো অপসারণের সময় শরীরে কোনো কাটাকাটি না করে লেজারের সহায়তায় সরিয়ে ফেলা হয়।
লেজারের ব্যবহারের ধরন
অবাঞ্ছিত লোমের ক্ষেত্রে লেজার চিকিৎসা অনেক বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। চার ধরনের লেজার ব্যবহার করা হয়। জন্মগতভাবে রক্তনালির ত্রুটি ঠিক করতে ভাস্কুলার লেজার ব্যবহার হয়। ব্রন বা একনে সমস্যার ক্ষেত্রেও লেজার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ত্বকের গর্ত ঠিক করতে, তিল বা শরীরের সূর্যের তাপমাত্রার জন্য যে সমস্যা হয়, সেগুলো ঠিক করার জন্য লেজারের ব্যবহার হয়। শ্বেতী রোগীর ত্বক স্বাভাবিক করার জন্যও লেজার ব্যবহার করা হয়।
লেজার নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা
লেজার নিয়ে মানুষের মধ্যে যেমন ভুল ধারণা আছে, তেমনি ভয়ও কাজ করে। বড় ভয় হলো লেজার চিকিৎসায় ক্যানসারের ঝুঁকি বিষয়ে। এ ছাড়া লেজার একবার করানোর পর আবার করতে হয় কি না, এর আলোতে ত্বক পুড়ে যায় কি না, ভবিষ্যতে দাগ আরও বাড়বে কি না, এসব ব্যাপারেও মানুষের বিভিন্ন প্রশ্ন আছে।
লেজার চিকিৎসা যখন দেওয়া হয়, তখন কিছু আলো প্রতিফলিত হয়, কিছু আলো আশপাশে ছড়িয়ে যায়, কিছু আলো পরিবহন হয়, কিছু আলো নির্দিষ্ট অঙ্গপ্রত্যঙ্গে গিয়ে লাগে। আমাদের ত্বকে যে পানি, হিমোগ্লোবিন ও মেলানিন আছে, সেগুলো লেজারের আলো শোষণ করতে পারে। যখন লেজার ব্যবহার করা হবে, তখন কোন ধরনের আলো ব্যবহার করতে হবে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শরীরের নির্দিষ্ট অংশে যখন লেজারের আলোটি শোষণ হচ্ছে, তখন সেখানে তাপ উৎপন্ন হয়। আর যখন তাপ উৎপন্ন হয়, তখনই সেটি ধ্বংস হয়। তাপ যখন উৎপন্ন হয়, আশপাশের ভালো টিস্যুগুলোরও তখন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। লেজারের যন্ত্র যদি সঠিক না হয়, ভালো মানের না হয় এবং দক্ষ হাতে যদি লেজার করানো না হয়, সে ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে লেজার থেকে ক্যানসার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
লেজার চিকিৎসার খরচ
অবাঞ্ছিত লোমের ক্ষেত্রে হরমোনে সমস্যা ও পলিসিস্টিক রোগ না থাকলে খুব বেশি খরচ হয় না। সেশনপ্রতি ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। সাধারণত ৫ থেকে ৬টি সেশনের দরকার হয়। তাই ভ্রান্ত ধারণা দূরে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যে কেউ লেজার করতে পারেন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
বর্তমানে ত্বকের চিকিৎসা ও সৌন্দর্য রক্ষায় বহুল ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি হলো লেজার। এ চিকিৎসা নিয়ে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা আছে। অনেকে ভাবেন, লেজার চিকিৎসা করালে ক্যানসার হয়। আবার লেজারের আলো ত্বকের ক্ষতি করে।
বিশেষজ্ঞরা ত্বকের চিকিৎসায় লেজার ব্যবহার করেন। লেজার মূলত একটি আলোকরশ্মি। এর সাহায্যে অবাঞ্ছিত টিস্যু নষ্ট করা হয়। যে টিস্যুগুলো আমরা শরীরে রাখতে চাই না, সেগুলো অপসারণের সময় শরীরে কোনো কাটাকাটি না করে লেজারের সহায়তায় সরিয়ে ফেলা হয়।
লেজারের ব্যবহারের ধরন
অবাঞ্ছিত লোমের ক্ষেত্রে লেজার চিকিৎসা অনেক বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। চার ধরনের লেজার ব্যবহার করা হয়। জন্মগতভাবে রক্তনালির ত্রুটি ঠিক করতে ভাস্কুলার লেজার ব্যবহার হয়। ব্রন বা একনে সমস্যার ক্ষেত্রেও লেজার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ত্বকের গর্ত ঠিক করতে, তিল বা শরীরের সূর্যের তাপমাত্রার জন্য যে সমস্যা হয়, সেগুলো ঠিক করার জন্য লেজারের ব্যবহার হয়। শ্বেতী রোগীর ত্বক স্বাভাবিক করার জন্যও লেজার ব্যবহার করা হয়।
লেজার নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা
লেজার নিয়ে মানুষের মধ্যে যেমন ভুল ধারণা আছে, তেমনি ভয়ও কাজ করে। বড় ভয় হলো লেজার চিকিৎসায় ক্যানসারের ঝুঁকি বিষয়ে। এ ছাড়া লেজার একবার করানোর পর আবার করতে হয় কি না, এর আলোতে ত্বক পুড়ে যায় কি না, ভবিষ্যতে দাগ আরও বাড়বে কি না, এসব ব্যাপারেও মানুষের বিভিন্ন প্রশ্ন আছে।
লেজার চিকিৎসা যখন দেওয়া হয়, তখন কিছু আলো প্রতিফলিত হয়, কিছু আলো আশপাশে ছড়িয়ে যায়, কিছু আলো পরিবহন হয়, কিছু আলো নির্দিষ্ট অঙ্গপ্রত্যঙ্গে গিয়ে লাগে। আমাদের ত্বকে যে পানি, হিমোগ্লোবিন ও মেলানিন আছে, সেগুলো লেজারের আলো শোষণ করতে পারে। যখন লেজার ব্যবহার করা হবে, তখন কোন ধরনের আলো ব্যবহার করতে হবে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শরীরের নির্দিষ্ট অংশে যখন লেজারের আলোটি শোষণ হচ্ছে, তখন সেখানে তাপ উৎপন্ন হয়। আর যখন তাপ উৎপন্ন হয়, তখনই সেটি ধ্বংস হয়। তাপ যখন উৎপন্ন হয়, আশপাশের ভালো টিস্যুগুলোরও তখন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। লেজারের যন্ত্র যদি সঠিক না হয়, ভালো মানের না হয় এবং দক্ষ হাতে যদি লেজার করানো না হয়, সে ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে লেজার থেকে ক্যানসার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
লেজার চিকিৎসার খরচ
অবাঞ্ছিত লোমের ক্ষেত্রে হরমোনে সমস্যা ও পলিসিস্টিক রোগ না থাকলে খুব বেশি খরচ হয় না। সেশনপ্রতি ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। সাধারণত ৫ থেকে ৬টি সেশনের দরকার হয়। তাই ভ্রান্ত ধারণা দূরে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যে কেউ লেজার করতে পারেন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
পুরুষদের জন্য নিরাপদ, কার্যকর ও হরমোনবিহীন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির পরীক্ষায় মিলেছে বড় সাফল্য। এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১৬ জন পুরুষ। এই ধাপে ওষুধটি শরীরে যথাযথ মাত্রায় পৌঁছায় কি না এবং এটি হৃদস্পন্দন, হরমোন, প্রদাহ, মেজাজ কিংবা যৌনক্ষমতার ওপর কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে কি না—তা পর্যবেক্ষণ
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশ—শ্রীলঙ্কা, ভারত ও পাকিস্তানের মানুষদের আল্ট্রাপ্রসেসড ফুড বা অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণের প্রবণতা অনেক বেশি। এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ, দিনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এ ধরনের খাবার গ্রহণ করেন। গবেষণায় উঠে এসেছে যে, এই চার দেশের মানুষের একটা বড় অংশই তাদের...
২০ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) সারা দেশে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৪৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১ দিন আগেদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ও করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণের মধ্যে দুটি রোগের চিকিৎসায় নতুন নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত ‘ডেঙ্গু ও কোভিড চিকিৎসায় নির্দেশনাবলি’ আজ রোববার (২০ জুলাই) প্রকাশ করা হয়েছে।
৩ দিন আগে