ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
চোখের রোগ নারী–পুরুষ সবারই হতে পারে। তবে চোখ সম্পর্কিত কিছু রোগ নারীদের বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। হরমোনের পরিবর্তন, বয়স এবং জীবনযাপন প্রণালির কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। সাধারণত নারীদের মধ্যে যেসব চোখের সমস্যা বেশি দেখা যায় সেগুলো হলো,
শুষ্ক চোখ
ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের তারতম্যের কারণে নারীদের চোখের শুষ্কতার সমস্যা বেশি হয়।
গর্ভাবস্থা, মেনোপজ এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ গ্রহণের ফলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
গ্লকোমা
এটি চোখের স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয়।
নারীদের গ্লকোমার ঝুঁকি বেশি, বিশেষ করে ৪০ বছরের বেশি বয়সে।
ক্যাটারেক্ট
চোখের লেন্স ধীরে ধীরে ঘোলা হয়ে যাওয়ার কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী নারীদের এই রোগের প্রবণতা বেশি থাকে।
বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয়
এটি রেটিনার কেন্দ্রস্থলের অবনতি ঘটায়, যা স্পষ্ট দেখার ক্ষমতা নষ্ট করে।
বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয় নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
থাইরয়েডজনিত চোখের রোগ
থাইরয়েড হরমোনের অসামঞ্জস্যের কারণে চোখ ফুলে যাওয়া, লাল হওয়া বা ডবল ভিশন হতে পারে।
হাইপারথাইরয়েডিজম (বিশেষত গ্রেভস ডিজিজ) নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি
ডায়াবেটিস থাকলে চোখের রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা দৃষ্টিশক্তির স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।
নারীদের মধ্যে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে এই রোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
অপটিক নিউরাইটিস
এটি চোখের নার্ভের প্রদাহজনিত রোগ, যা দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয় এবং চোখ ব্যথার কারণ হতে পারে।
এটি অনেক সময় মাল্টিপল স্কলেরোসিসের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে, যা নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
প্রতিরোধ ও করণীয়
নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করানো।
পর্যাপ্ত পানি পান ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে না তাকিয়ে চোখকে বিশ্রাম দেওয়া।
রোদে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করা।
ধূমপান এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার অতিরিক্ত না খাওয়া।
লেখক: চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
চোখের রোগ নারী–পুরুষ সবারই হতে পারে। তবে চোখ সম্পর্কিত কিছু রোগ নারীদের বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। হরমোনের পরিবর্তন, বয়স এবং জীবনযাপন প্রণালির কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। সাধারণত নারীদের মধ্যে যেসব চোখের সমস্যা বেশি দেখা যায় সেগুলো হলো,
শুষ্ক চোখ
ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের তারতম্যের কারণে নারীদের চোখের শুষ্কতার সমস্যা বেশি হয়।
গর্ভাবস্থা, মেনোপজ এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ গ্রহণের ফলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
গ্লকোমা
এটি চোখের স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয়।
নারীদের গ্লকোমার ঝুঁকি বেশি, বিশেষ করে ৪০ বছরের বেশি বয়সে।
ক্যাটারেক্ট
চোখের লেন্স ধীরে ধীরে ঘোলা হয়ে যাওয়ার কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী নারীদের এই রোগের প্রবণতা বেশি থাকে।
বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয়
এটি রেটিনার কেন্দ্রস্থলের অবনতি ঘটায়, যা স্পষ্ট দেখার ক্ষমতা নষ্ট করে।
বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয় নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
থাইরয়েডজনিত চোখের রোগ
থাইরয়েড হরমোনের অসামঞ্জস্যের কারণে চোখ ফুলে যাওয়া, লাল হওয়া বা ডবল ভিশন হতে পারে।
হাইপারথাইরয়েডিজম (বিশেষত গ্রেভস ডিজিজ) নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি
ডায়াবেটিস থাকলে চোখের রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা দৃষ্টিশক্তির স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।
নারীদের মধ্যে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে এই রোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
অপটিক নিউরাইটিস
এটি চোখের নার্ভের প্রদাহজনিত রোগ, যা দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয় এবং চোখ ব্যথার কারণ হতে পারে।
এটি অনেক সময় মাল্টিপল স্কলেরোসিসের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে, যা নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
প্রতিরোধ ও করণীয়
নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করানো।
পর্যাপ্ত পানি পান ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে না তাকিয়ে চোখকে বিশ্রাম দেওয়া।
রোদে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করা।
ধূমপান এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার অতিরিক্ত না খাওয়া।
লেখক: চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোয় আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু শনাক্তের এনএস-ওয়ান পরীক্ষা বিনা মূল্যে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেঅ্যানাটমিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো গতকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) পালিত হয়েছে বিশ্ব অ্যানাটমি দিবস বা ‘ওয়ার্ল্ড অ্যানাটমি ডে’।
২০ ঘণ্টা আগেমুগদার ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের সিঁড়িতেই গা ছেড়ে দিয়েছিলেন ডেঙ্গু আক্রান্ত অশীতিপর নবারুণ দাস। সঙ্গে থাকা পুত্রবধূ রমা দাসকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল, তাঁরা এসেছেন মুন্সিগঞ্জ থেকে। সেখানকার চিকিৎসক পাঠিয়েছেন ঢাকায়। সিট খালি না থাকায় তাঁদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
১ দিন আগেএশিয়া-ওশেনিয়া ফেডারেশন অব অর্গানাইজেশনস ফর মেডিকেল ফিজিকস (এএফওএমপি)-এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের মেডিকেল ফিজিকস বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. হাসিন অনুপমা আজহারি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি এএফওএমপির ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রফেসর ইভা বেজাকের পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে মর্যাদাপূর্
৪ দিন আগে