নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে শিশুদের মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের বা অণু পুষ্টিকণার ঘাটতি থেকে অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে পুষ্টিমান। কিন্তু আয়রনের ঘাটতি আরও বেড়েছে। এ ছাড়া বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের সংকট এখনো মারাত্মক পর্যায়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবা (এনএনএস) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) করা যৌথ গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আইসিডিডিআর, বির বিজ্ঞানী ড. আলিয়া নাহিদ এই ফলাফল তুলে ধরেন। দেশের আটটি বিভাগের ২৫০টি উপজেলায় এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়। জরিপে প্রথমবারের মতো পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের মাত্রার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৫ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু এবং ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীদের ভিটামিন ও রক্ত স্বল্পতা জানতে ২০১৯-২০২০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এই গবেষণা চালানো হয়। এর আগে ২০১১-১২ সালে এ সংক্রান্ত প্রথম গবেষণা হয়েছিল।
গবেষণায় দেখা যায়, দশ বছর আগে শিশুদের তিনটি সূচকের (ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং জিংক) জন্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতির অবস্থা উন্নত হয়েছে। কিন্তু আয়রনের ঘাটতির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে পাঁচ বছরের কম শিশুদের মধ্যে ২০ শতাংশের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি রয়েছে। একই অবস্থায় আছে গর্ভবতী নন অথবা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন না এমন নারীরাও।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের খনিজ পদার্থের মধ্যে জিংকের ঘাটতি রয়েছে ৩১ শতাংশে, আয়োডিন ২০ শতাংশে এবং আয়রন ১৫ শতাংশে। আবার ভিটামিনের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শিশুদের মধ্যে ২২ শতাংশের ভিটামিন ডি এবং ৭ শতাংশ শিশুর মাঝারি মাত্রার ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি রয়েছে।
প্রধান গবেষক ড. আলিয়া নাহিদ বলেন, ‘নারী ও শিশুদের কোন ভিটামিন এবং খনিজগুলোর অভাব রয়েছে, তা বাস্তবায়নে এই গবেষণা পথ দেখা দেখাবে। তবে পুষ্টি কর্মসূচি কার্যক্রম অগ্রগতি জানার জন্য গবেষণার মাধ্যমে নিয়মিত মূল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আইসিডিডিআর, বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ সরকারের সিদ্ধান্ত এবং সমীক্ষা চালানোর প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, এই সমীক্ষার ফলাফল খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল প্রণয়নে এবং কার্যক্রম গ্রহণে সহায়তা করবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য উইং) সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, ‘এই গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে শিশু ও নারীদের মধ্যে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতিগুলো সমাধান করার জন্য বাস্তবভিত্তিক কর্মসূচি নেওয়া সহজ হবে।’
উল্লেখ্য, আয়োডিনের ঘাটতি হলে শিশু সব সময় নির্জীব থাকে। খেলাধুলা করতে চায় না, পড়াশোনায়ও অমনোযোগী থাকে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে আয়োডিন বঞ্চিত হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে, খর্বকায় হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। আয়োডিনের অভাব তীব্রতর হলে গলগণ্ড বা ঘ্যাগ রোগ হয়।
অপরদিকে শারীরিক ক্লান্তি ছাড়াও আয়রন ঘাটতির নানা লক্ষণ রয়েছে। ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত লাগে, ফ্যাকাশে ভাব ছড়িয়ে পড়ে চোখে-মুখে। গুরুতর ঘাটতি হলে ঠোঁট, জিভ ফুলে যায়। এমনকি শ্বাসকষ্ট বা বুকেব্যথাও হয়।
দেশে শিশুদের মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের বা অণু পুষ্টিকণার ঘাটতি থেকে অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে পুষ্টিমান। কিন্তু আয়রনের ঘাটতি আরও বেড়েছে। এ ছাড়া বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের সংকট এখনো মারাত্মক পর্যায়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবা (এনএনএস) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) করা যৌথ গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আইসিডিডিআর, বির বিজ্ঞানী ড. আলিয়া নাহিদ এই ফলাফল তুলে ধরেন। দেশের আটটি বিভাগের ২৫০টি উপজেলায় এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়। জরিপে প্রথমবারের মতো পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের মাত্রার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৫ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু এবং ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীদের ভিটামিন ও রক্ত স্বল্পতা জানতে ২০১৯-২০২০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এই গবেষণা চালানো হয়। এর আগে ২০১১-১২ সালে এ সংক্রান্ত প্রথম গবেষণা হয়েছিল।
গবেষণায় দেখা যায়, দশ বছর আগে শিশুদের তিনটি সূচকের (ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং জিংক) জন্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতির অবস্থা উন্নত হয়েছে। কিন্তু আয়রনের ঘাটতির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে পাঁচ বছরের কম শিশুদের মধ্যে ২০ শতাংশের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি রয়েছে। একই অবস্থায় আছে গর্ভবতী নন অথবা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন না এমন নারীরাও।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের খনিজ পদার্থের মধ্যে জিংকের ঘাটতি রয়েছে ৩১ শতাংশে, আয়োডিন ২০ শতাংশে এবং আয়রন ১৫ শতাংশে। আবার ভিটামিনের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শিশুদের মধ্যে ২২ শতাংশের ভিটামিন ডি এবং ৭ শতাংশ শিশুর মাঝারি মাত্রার ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি রয়েছে।
প্রধান গবেষক ড. আলিয়া নাহিদ বলেন, ‘নারী ও শিশুদের কোন ভিটামিন এবং খনিজগুলোর অভাব রয়েছে, তা বাস্তবায়নে এই গবেষণা পথ দেখা দেখাবে। তবে পুষ্টি কর্মসূচি কার্যক্রম অগ্রগতি জানার জন্য গবেষণার মাধ্যমে নিয়মিত মূল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আইসিডিডিআর, বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ সরকারের সিদ্ধান্ত এবং সমীক্ষা চালানোর প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, এই সমীক্ষার ফলাফল খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল প্রণয়নে এবং কার্যক্রম গ্রহণে সহায়তা করবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য উইং) সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, ‘এই গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে শিশু ও নারীদের মধ্যে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতিগুলো সমাধান করার জন্য বাস্তবভিত্তিক কর্মসূচি নেওয়া সহজ হবে।’
উল্লেখ্য, আয়োডিনের ঘাটতি হলে শিশু সব সময় নির্জীব থাকে। খেলাধুলা করতে চায় না, পড়াশোনায়ও অমনোযোগী থাকে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে আয়োডিন বঞ্চিত হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে, খর্বকায় হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। আয়োডিনের অভাব তীব্রতর হলে গলগণ্ড বা ঘ্যাগ রোগ হয়।
অপরদিকে শারীরিক ক্লান্তি ছাড়াও আয়রন ঘাটতির নানা লক্ষণ রয়েছে। ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত লাগে, ফ্যাকাশে ভাব ছড়িয়ে পড়ে চোখে-মুখে। গুরুতর ঘাটতি হলে ঠোঁট, জিভ ফুলে যায়। এমনকি শ্বাসকষ্ট বা বুকেব্যথাও হয়।
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২ দিন আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
২ দিন আগে