নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে শিশুদের মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের বা অণু পুষ্টিকণার ঘাটতি থেকে অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে পুষ্টিমান। কিন্তু আয়রনের ঘাটতি আরও বেড়েছে। এ ছাড়া বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের সংকট এখনো মারাত্মক পর্যায়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবা (এনএনএস) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) করা যৌথ গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আইসিডিডিআর, বির বিজ্ঞানী ড. আলিয়া নাহিদ এই ফলাফল তুলে ধরেন। দেশের আটটি বিভাগের ২৫০টি উপজেলায় এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়। জরিপে প্রথমবারের মতো পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের মাত্রার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৫ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু এবং ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীদের ভিটামিন ও রক্ত স্বল্পতা জানতে ২০১৯-২০২০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এই গবেষণা চালানো হয়। এর আগে ২০১১-১২ সালে এ সংক্রান্ত প্রথম গবেষণা হয়েছিল।
গবেষণায় দেখা যায়, দশ বছর আগে শিশুদের তিনটি সূচকের (ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং জিংক) জন্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতির অবস্থা উন্নত হয়েছে। কিন্তু আয়রনের ঘাটতির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে পাঁচ বছরের কম শিশুদের মধ্যে ২০ শতাংশের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি রয়েছে। একই অবস্থায় আছে গর্ভবতী নন অথবা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন না এমন নারীরাও।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের খনিজ পদার্থের মধ্যে জিংকের ঘাটতি রয়েছে ৩১ শতাংশে, আয়োডিন ২০ শতাংশে এবং আয়রন ১৫ শতাংশে। আবার ভিটামিনের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শিশুদের মধ্যে ২২ শতাংশের ভিটামিন ডি এবং ৭ শতাংশ শিশুর মাঝারি মাত্রার ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি রয়েছে।
প্রধান গবেষক ড. আলিয়া নাহিদ বলেন, ‘নারী ও শিশুদের কোন ভিটামিন এবং খনিজগুলোর অভাব রয়েছে, তা বাস্তবায়নে এই গবেষণা পথ দেখা দেখাবে। তবে পুষ্টি কর্মসূচি কার্যক্রম অগ্রগতি জানার জন্য গবেষণার মাধ্যমে নিয়মিত মূল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আইসিডিডিআর, বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ সরকারের সিদ্ধান্ত এবং সমীক্ষা চালানোর প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, এই সমীক্ষার ফলাফল খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল প্রণয়নে এবং কার্যক্রম গ্রহণে সহায়তা করবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য উইং) সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, ‘এই গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে শিশু ও নারীদের মধ্যে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতিগুলো সমাধান করার জন্য বাস্তবভিত্তিক কর্মসূচি নেওয়া সহজ হবে।’
উল্লেখ্য, আয়োডিনের ঘাটতি হলে শিশু সব সময় নির্জীব থাকে। খেলাধুলা করতে চায় না, পড়াশোনায়ও অমনোযোগী থাকে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে আয়োডিন বঞ্চিত হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে, খর্বকায় হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। আয়োডিনের অভাব তীব্রতর হলে গলগণ্ড বা ঘ্যাগ রোগ হয়।
অপরদিকে শারীরিক ক্লান্তি ছাড়াও আয়রন ঘাটতির নানা লক্ষণ রয়েছে। ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত লাগে, ফ্যাকাশে ভাব ছড়িয়ে পড়ে চোখে-মুখে। গুরুতর ঘাটতি হলে ঠোঁট, জিভ ফুলে যায়। এমনকি শ্বাসকষ্ট বা বুকেব্যথাও হয়।

দেশে শিশুদের মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের বা অণু পুষ্টিকণার ঘাটতি থেকে অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে পুষ্টিমান। কিন্তু আয়রনের ঘাটতি আরও বেড়েছে। এ ছাড়া বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের সংকট এখনো মারাত্মক পর্যায়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবা (এনএনএস) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) করা যৌথ গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আইসিডিডিআর, বির বিজ্ঞানী ড. আলিয়া নাহিদ এই ফলাফল তুলে ধরেন। দেশের আটটি বিভাগের ২৫০টি উপজেলায় এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়। জরিপে প্রথমবারের মতো পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের মাত্রার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৫ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু এবং ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীদের ভিটামিন ও রক্ত স্বল্পতা জানতে ২০১৯-২০২০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এই গবেষণা চালানো হয়। এর আগে ২০১১-১২ সালে এ সংক্রান্ত প্রথম গবেষণা হয়েছিল।
গবেষণায় দেখা যায়, দশ বছর আগে শিশুদের তিনটি সূচকের (ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং জিংক) জন্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতির অবস্থা উন্নত হয়েছে। কিন্তু আয়রনের ঘাটতির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে পাঁচ বছরের কম শিশুদের মধ্যে ২০ শতাংশের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি রয়েছে। একই অবস্থায় আছে গর্ভবতী নন অথবা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন না এমন নারীরাও।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের খনিজ পদার্থের মধ্যে জিংকের ঘাটতি রয়েছে ৩১ শতাংশে, আয়োডিন ২০ শতাংশে এবং আয়রন ১৫ শতাংশে। আবার ভিটামিনের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শিশুদের মধ্যে ২২ শতাংশের ভিটামিন ডি এবং ৭ শতাংশ শিশুর মাঝারি মাত্রার ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি রয়েছে।
প্রধান গবেষক ড. আলিয়া নাহিদ বলেন, ‘নারী ও শিশুদের কোন ভিটামিন এবং খনিজগুলোর অভাব রয়েছে, তা বাস্তবায়নে এই গবেষণা পথ দেখা দেখাবে। তবে পুষ্টি কর্মসূচি কার্যক্রম অগ্রগতি জানার জন্য গবেষণার মাধ্যমে নিয়মিত মূল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আইসিডিডিআর, বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ সরকারের সিদ্ধান্ত এবং সমীক্ষা চালানোর প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, এই সমীক্ষার ফলাফল খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল প্রণয়নে এবং কার্যক্রম গ্রহণে সহায়তা করবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য উইং) সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, ‘এই গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে শিশু ও নারীদের মধ্যে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতিগুলো সমাধান করার জন্য বাস্তবভিত্তিক কর্মসূচি নেওয়া সহজ হবে।’
উল্লেখ্য, আয়োডিনের ঘাটতি হলে শিশু সব সময় নির্জীব থাকে। খেলাধুলা করতে চায় না, পড়াশোনায়ও অমনোযোগী থাকে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে আয়োডিন বঞ্চিত হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে, খর্বকায় হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। আয়োডিনের অভাব তীব্রতর হলে গলগণ্ড বা ঘ্যাগ রোগ হয়।
অপরদিকে শারীরিক ক্লান্তি ছাড়াও আয়রন ঘাটতির নানা লক্ষণ রয়েছে। ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত লাগে, ফ্যাকাশে ভাব ছড়িয়ে পড়ে চোখে-মুখে। গুরুতর ঘাটতি হলে ঠোঁট, জিভ ফুলে যায়। এমনকি শ্বাসকষ্ট বা বুকেব্যথাও হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে শিশুদের মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের বা অণু পুষ্টিকণার ঘাটতি থেকে অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে পুষ্টিমান। কিন্তু আয়রনের ঘাটতি আরও বেড়েছে। এ ছাড়া বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের সংকট এখনো মারাত্মক পর্যায়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবা (এনএনএস) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) করা যৌথ গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আইসিডিডিআর, বির বিজ্ঞানী ড. আলিয়া নাহিদ এই ফলাফল তুলে ধরেন। দেশের আটটি বিভাগের ২৫০টি উপজেলায় এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়। জরিপে প্রথমবারের মতো পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের মাত্রার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৫ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু এবং ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীদের ভিটামিন ও রক্ত স্বল্পতা জানতে ২০১৯-২০২০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এই গবেষণা চালানো হয়। এর আগে ২০১১-১২ সালে এ সংক্রান্ত প্রথম গবেষণা হয়েছিল।
গবেষণায় দেখা যায়, দশ বছর আগে শিশুদের তিনটি সূচকের (ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং জিংক) জন্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতির অবস্থা উন্নত হয়েছে। কিন্তু আয়রনের ঘাটতির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে পাঁচ বছরের কম শিশুদের মধ্যে ২০ শতাংশের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি রয়েছে। একই অবস্থায় আছে গর্ভবতী নন অথবা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন না এমন নারীরাও।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের খনিজ পদার্থের মধ্যে জিংকের ঘাটতি রয়েছে ৩১ শতাংশে, আয়োডিন ২০ শতাংশে এবং আয়রন ১৫ শতাংশে। আবার ভিটামিনের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শিশুদের মধ্যে ২২ শতাংশের ভিটামিন ডি এবং ৭ শতাংশ শিশুর মাঝারি মাত্রার ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি রয়েছে।
প্রধান গবেষক ড. আলিয়া নাহিদ বলেন, ‘নারী ও শিশুদের কোন ভিটামিন এবং খনিজগুলোর অভাব রয়েছে, তা বাস্তবায়নে এই গবেষণা পথ দেখা দেখাবে। তবে পুষ্টি কর্মসূচি কার্যক্রম অগ্রগতি জানার জন্য গবেষণার মাধ্যমে নিয়মিত মূল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আইসিডিডিআর, বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ সরকারের সিদ্ধান্ত এবং সমীক্ষা চালানোর প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, এই সমীক্ষার ফলাফল খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল প্রণয়নে এবং কার্যক্রম গ্রহণে সহায়তা করবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য উইং) সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, ‘এই গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে শিশু ও নারীদের মধ্যে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতিগুলো সমাধান করার জন্য বাস্তবভিত্তিক কর্মসূচি নেওয়া সহজ হবে।’
উল্লেখ্য, আয়োডিনের ঘাটতি হলে শিশু সব সময় নির্জীব থাকে। খেলাধুলা করতে চায় না, পড়াশোনায়ও অমনোযোগী থাকে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে আয়োডিন বঞ্চিত হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে, খর্বকায় হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। আয়োডিনের অভাব তীব্রতর হলে গলগণ্ড বা ঘ্যাগ রোগ হয়।
অপরদিকে শারীরিক ক্লান্তি ছাড়াও আয়রন ঘাটতির নানা লক্ষণ রয়েছে। ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত লাগে, ফ্যাকাশে ভাব ছড়িয়ে পড়ে চোখে-মুখে। গুরুতর ঘাটতি হলে ঠোঁট, জিভ ফুলে যায়। এমনকি শ্বাসকষ্ট বা বুকেব্যথাও হয়।

দেশে শিশুদের মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের বা অণু পুষ্টিকণার ঘাটতি থেকে অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে পুষ্টিমান। কিন্তু আয়রনের ঘাটতি আরও বেড়েছে। এ ছাড়া বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের সংকট এখনো মারাত্মক পর্যায়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবা (এনএনএস) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) করা যৌথ গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আইসিডিডিআর, বির বিজ্ঞানী ড. আলিয়া নাহিদ এই ফলাফল তুলে ধরেন। দেশের আটটি বিভাগের ২৫০টি উপজেলায় এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়। জরিপে প্রথমবারের মতো পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের মাত্রার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৫ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু এবং ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীদের ভিটামিন ও রক্ত স্বল্পতা জানতে ২০১৯-২০২০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এই গবেষণা চালানো হয়। এর আগে ২০১১-১২ সালে এ সংক্রান্ত প্রথম গবেষণা হয়েছিল।
গবেষণায় দেখা যায়, দশ বছর আগে শিশুদের তিনটি সূচকের (ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং জিংক) জন্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতির অবস্থা উন্নত হয়েছে। কিন্তু আয়রনের ঘাটতির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে পাঁচ বছরের কম শিশুদের মধ্যে ২০ শতাংশের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি রয়েছে। একই অবস্থায় আছে গর্ভবতী নন অথবা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন না এমন নারীরাও।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের খনিজ পদার্থের মধ্যে জিংকের ঘাটতি রয়েছে ৩১ শতাংশে, আয়োডিন ২০ শতাংশে এবং আয়রন ১৫ শতাংশে। আবার ভিটামিনের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শিশুদের মধ্যে ২২ শতাংশের ভিটামিন ডি এবং ৭ শতাংশ শিশুর মাঝারি মাত্রার ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি রয়েছে।
প্রধান গবেষক ড. আলিয়া নাহিদ বলেন, ‘নারী ও শিশুদের কোন ভিটামিন এবং খনিজগুলোর অভাব রয়েছে, তা বাস্তবায়নে এই গবেষণা পথ দেখা দেখাবে। তবে পুষ্টি কর্মসূচি কার্যক্রম অগ্রগতি জানার জন্য গবেষণার মাধ্যমে নিয়মিত মূল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আইসিডিডিআর, বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ সরকারের সিদ্ধান্ত এবং সমীক্ষা চালানোর প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, এই সমীক্ষার ফলাফল খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল প্রণয়নে এবং কার্যক্রম গ্রহণে সহায়তা করবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য উইং) সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, ‘এই গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে শিশু ও নারীদের মধ্যে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতিগুলো সমাধান করার জন্য বাস্তবভিত্তিক কর্মসূচি নেওয়া সহজ হবে।’
উল্লেখ্য, আয়োডিনের ঘাটতি হলে শিশু সব সময় নির্জীব থাকে। খেলাধুলা করতে চায় না, পড়াশোনায়ও অমনোযোগী থাকে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে আয়োডিন বঞ্চিত হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে, খর্বকায় হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। আয়োডিনের অভাব তীব্রতর হলে গলগণ্ড বা ঘ্যাগ রোগ হয়।
অপরদিকে শারীরিক ক্লান্তি ছাড়াও আয়রন ঘাটতির নানা লক্ষণ রয়েছে। ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত লাগে, ফ্যাকাশে ভাব ছড়িয়ে পড়ে চোখে-মুখে। গুরুতর ঘাটতি হলে ঠোঁট, জিভ ফুলে যায়। এমনকি শ্বাসকষ্ট বা বুকেব্যথাও হয়।

শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। একবার সমস্যা হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখা। এটি বাইল নামের একধরনের তরল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই লিভার সুস্থ রাখতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
২ ঘণ্টা আগে
মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
৩ ঘণ্টা আগে
যেকোনো ঝাল কিংবা নোনতা খাবারে লবণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে অন্যান্য খাদ্য উপাদানের মতো বেশি লবণ খাওয়া বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। খাওয়ার সময় অনেকে পাতে আলাদা লবণ নিয়ে থাকেন, কেউ আবার সামনে রাখেন সল্ট শেকার। খাবার যা-ই নেন না কেন, পাতে ঝেড়ে নেন লবণ।
৩ ঘণ্টা আগেঅধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হক

শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। একবার সমস্যা হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখা। এটি বাইল নামের একধরনের তরল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই লিভার সুস্থ রাখতে পারে।
আগেই লিভারের যত্ন
লিভার নষ্ট হওয়ার খুব সাধারণ একটি কারণ হলো অতিরিক্ত মদ্যপান। এটি লিভার ড্যামেজ, ফ্যাটি লিভার এমনকি লিভার ক্যানসার তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার কারণেও লিভার কর্মক্ষমতা হারায়।
লিভারের ক্ষতির আর একটি কারণ হচ্ছে ধূমপান। সিগারেটের উপাদানগুলো সরাসরি লিভারের ওপর প্রভাব ফেলে এর কোষ নষ্ট করে। তা ছাড়া লিভারের স্বাভাবিক কাজেও বাধা সৃষ্টি করে।
নিয়মিত কম ঘুমানো লিভারের ক্ষতি করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়। যাঁরা রাতে ঘুমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগের পাশাপাশি লিভারসংক্রান্ত সমস্যায়ও ভোগেন। পুষ্টিকর খাবারের অভাব কিংবা খাবারে অনিয়ম লিভারের ক্ষতি করে থাকে। সকালে না খাওয়া, খারাপ তেল বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, পোড়া তেলের খাবার বেশি খাওয়া, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড খাওয়ার কারণে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
কেমিক্যালসমৃদ্ধ যেকোনো খাবারই লিভারের জন্য ক্ষতিকর। আমরা অনেকে প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল ফুড কালার, আর্টিফিশিয়াল চিনি যুক্ত খাবার পছন্দ করি। এগুলো লিভারের জন্য সুফল বয়ে আনে না। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, প্যারাসাইট, ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিকতা, বংশগত কারণ কিংবা ক্যানসারের কারণেও লিভার নষ্ট হতে পারে।
লিভারের যত রোগ
লিভার নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এর কিছু রোগ আছে বংশগত, কিছু আমাদের অর্জিত, কিছু স্বল্পস্থায়ী এবং কিছু দীর্ঘস্থায়ী। লিভারের কয়েকটি সাধারণ সমস্যা হলো, জন্ডিস, পিত্তে পাথর, হেপাটাইটিস সি, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যানসার, উইলসন্স।
করণীয়
আপনি যদি স্থূল হন, অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে আপনার ওজন বেশি হয়, তাহলে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন। লিভার ফ্যাট কমিয়ে সুস্থ থাকতে ওজন কমাতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস লিভারকে সুস্থ রাখে। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, যেমন সাদা পাউরুটি, পাস্তা এবং চিনি এড়িয়ে চলতে হবে। কাঁচা ও আধা সেদ্ধ মাছ-মাংস খাওয়া বাদ দিতে হবে। প্রতিদিনকার খাবারে তাজা ফল, শাকসবজি, লাল চাল এবং সিরিয়াল রাখতে পারেন। তা ছাড়া রসুন, জাম্বুরা, গাজর, গ্রিন টি, অ্যাভোকাডো, আপেল, অলিভ অয়েল, লেবু, বাঁধাকপি ও হলুদ লিভারের জন্য বেশ উপকারী। লিভার ও কিডনি—দুটোই সুস্থ রাখার জন্য পানির ভারসাম্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম লিভার সুস্থ রাখার বড় ওষুধ।

শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। একবার সমস্যা হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখা। এটি বাইল নামের একধরনের তরল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই লিভার সুস্থ রাখতে পারে।
আগেই লিভারের যত্ন
লিভার নষ্ট হওয়ার খুব সাধারণ একটি কারণ হলো অতিরিক্ত মদ্যপান। এটি লিভার ড্যামেজ, ফ্যাটি লিভার এমনকি লিভার ক্যানসার তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার কারণেও লিভার কর্মক্ষমতা হারায়।
লিভারের ক্ষতির আর একটি কারণ হচ্ছে ধূমপান। সিগারেটের উপাদানগুলো সরাসরি লিভারের ওপর প্রভাব ফেলে এর কোষ নষ্ট করে। তা ছাড়া লিভারের স্বাভাবিক কাজেও বাধা সৃষ্টি করে।
নিয়মিত কম ঘুমানো লিভারের ক্ষতি করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়। যাঁরা রাতে ঘুমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগের পাশাপাশি লিভারসংক্রান্ত সমস্যায়ও ভোগেন। পুষ্টিকর খাবারের অভাব কিংবা খাবারে অনিয়ম লিভারের ক্ষতি করে থাকে। সকালে না খাওয়া, খারাপ তেল বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, পোড়া তেলের খাবার বেশি খাওয়া, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড খাওয়ার কারণে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
কেমিক্যালসমৃদ্ধ যেকোনো খাবারই লিভারের জন্য ক্ষতিকর। আমরা অনেকে প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল ফুড কালার, আর্টিফিশিয়াল চিনি যুক্ত খাবার পছন্দ করি। এগুলো লিভারের জন্য সুফল বয়ে আনে না। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, প্যারাসাইট, ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিকতা, বংশগত কারণ কিংবা ক্যানসারের কারণেও লিভার নষ্ট হতে পারে।
লিভারের যত রোগ
লিভার নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এর কিছু রোগ আছে বংশগত, কিছু আমাদের অর্জিত, কিছু স্বল্পস্থায়ী এবং কিছু দীর্ঘস্থায়ী। লিভারের কয়েকটি সাধারণ সমস্যা হলো, জন্ডিস, পিত্তে পাথর, হেপাটাইটিস সি, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যানসার, উইলসন্স।
করণীয়
আপনি যদি স্থূল হন, অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে আপনার ওজন বেশি হয়, তাহলে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন। লিভার ফ্যাট কমিয়ে সুস্থ থাকতে ওজন কমাতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস লিভারকে সুস্থ রাখে। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, যেমন সাদা পাউরুটি, পাস্তা এবং চিনি এড়িয়ে চলতে হবে। কাঁচা ও আধা সেদ্ধ মাছ-মাংস খাওয়া বাদ দিতে হবে। প্রতিদিনকার খাবারে তাজা ফল, শাকসবজি, লাল চাল এবং সিরিয়াল রাখতে পারেন। তা ছাড়া রসুন, জাম্বুরা, গাজর, গ্রিন টি, অ্যাভোকাডো, আপেল, অলিভ অয়েল, লেবু, বাঁধাকপি ও হলুদ লিভারের জন্য বেশ উপকারী। লিভার ও কিডনি—দুটোই সুস্থ রাখার জন্য পানির ভারসাম্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম লিভার সুস্থ রাখার বড় ওষুধ।

দশ বছর আগে শিশুদের তিনটি সূচকের (ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং জিংক) জন্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতির অবস্থা উন্নত হয়েছে। কিন্তু আয়রনের ঘাটতির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে।
৩০ অক্টোবর ২০২২
শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
২ ঘণ্টা আগে
মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
৩ ঘণ্টা আগে
যেকোনো ঝাল কিংবা নোনতা খাবারে লবণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে অন্যান্য খাদ্য উপাদানের মতো বেশি লবণ খাওয়া বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। খাওয়ার সময় অনেকে পাতে আলাদা লবণ নিয়ে থাকেন, কেউ আবার সামনে রাখেন সল্ট শেকার। খাবার যা-ই নেন না কেন, পাতে ঝেড়ে নেন লবণ।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
ভাবুন তো, নিস্তব্ধ গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে আছেন। সামনে ভ্যান গঘ বা গগ্যাঁর কোনো বিখ্যাত ছবি। হালকা আলো ও শান্ত পরিবেশে ক্যানভাসের রংগুলো ধীরে ধীরে আপনাকে যেন টেনে নিচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা যে শুধু মনকে শান্ত করে, তা নয়; একই সঙ্গে আপনার শরীরও প্রতিক্রিয়া জানায়।
গবেষণায় কী দেখা গেল
কিংস কলেজ লন্ডনের নেতৃত্বে হওয়া এই গবেষণায় অংশ নেন যুক্তরাজ্যের ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী। দুই দলে ভাগ করে তাঁদের অর্ধেককে লন্ডনের কোর্টল্ড গ্যালারিতে আসল চিত্রকর্ম দেখানো হয়। বাকি অর্ধেক গ্যালারির বাইরের সাধারণ পরিবেশে একই ছবি দেখেন কাগজে, ছাপা আকারে। সবাইকে সেন্সর পরিয়ে হার্ট রেট, ত্বকের তাপমাত্রা, এমনকি লালার নমুনা পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়। অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের শরীর ঠিক কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, তা জানার জন্য এত আয়োজন করা হয়।
ফলাফলে দেখা গেছে, গ্যালারিতে শিল্পীদের আসল শিল্পকর্ম দেখা গ্রুপের স্ট্রেস হরমোন গড়ে কমেছে ২২ শতাংশ। অন্যদিকে যারা বাইরের পরিবেশে কপি চিত্রকর্ম দেখেছে, তাদের সেই হরমোন কমেছে মাত্র ৮ শতাংশ।
এই গবেষণা প্রমাণ করে, শিল্পকর্ম শুধু মন প্রফুল্ল করে না, এটি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও কাজে দেয়।
শিল্প কীভাবে কাজ করে
শিল্পকর্ম একই সঙ্গে তিনটি সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। সেগুলো হলো ইমিউন সিস্টেম, এন্ডোক্রাইন সিস্টেম এবং অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম। গ্যালারিতে যারা আসল ছবি দেখেছে, তাদের শরীরে কয়েকটা হালকা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ত্বকের তাপমাত্রা সামান্য কমেছে, হৃৎস্পন্দন একটু বেড়েছে বা কমেছে। সহজভাবে বলতে গেলে, আসল শিল্পকর্ম স্বেচ্ছাসেবীদের শরীর সতেজ করে তুলেছিল।
গবেষক ড. টনি উডস বলেন, ‘আমরা জানতাম, শিল্প মানুষের আবেগকে নাড়া দেয়। কিন্তু একই সঙ্গে স্ট্রেস কমিয়ে তিনটি সিস্টেমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটা সত্যিই বিস্ময়কর।’
শিল্প সবার জন্য
গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের সবার সংবেদনশীলতার ধরন ছিল আলাদা। কিন্তু তাতে ফলাফলে তেমন কোনো পার্থক্য হয়নি। অর্থাৎ আপনি খুব আবেগপ্রবণ হোন কিংবা না হোন, শিল্পকর্ম দেখার উপকার সবাই একইভাবে পেতে পারেন। আর্ট ফান্ডের পরিচালক জেনি ওয়াল্ডম্যান বলেন, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করতাম যে শিল্প মানুষের জন্য। এবার তা বিজ্ঞানের ভাষাতেও আবার প্রমাণিত হলো।’
জেনি ওয়াল্ডম্যানের মতে, যেহেতু এই উপকারগুলো কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষে সীমাবদ্ধ নয়, তাই সবাইকে নিয়মিত নিকটস্থ জাদুঘর বা গ্যালারিতে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত।
দিনে দিনে ব্যস্ততা, চাপ, ক্লান্তি—এসব নীরবে আমাদের প্রায় সবার শরীরের ক্ষতি করে চলেছে। অথচ কখনো কখনো একটু সময় বের করে কোনো আর্ট গ্যালারিতে ঢুঁ মেরে এলে তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
ভাবুন তো, নিস্তব্ধ গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে আছেন। সামনে ভ্যান গঘ বা গগ্যাঁর কোনো বিখ্যাত ছবি। হালকা আলো ও শান্ত পরিবেশে ক্যানভাসের রংগুলো ধীরে ধীরে আপনাকে যেন টেনে নিচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা যে শুধু মনকে শান্ত করে, তা নয়; একই সঙ্গে আপনার শরীরও প্রতিক্রিয়া জানায়।
গবেষণায় কী দেখা গেল
কিংস কলেজ লন্ডনের নেতৃত্বে হওয়া এই গবেষণায় অংশ নেন যুক্তরাজ্যের ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী। দুই দলে ভাগ করে তাঁদের অর্ধেককে লন্ডনের কোর্টল্ড গ্যালারিতে আসল চিত্রকর্ম দেখানো হয়। বাকি অর্ধেক গ্যালারির বাইরের সাধারণ পরিবেশে একই ছবি দেখেন কাগজে, ছাপা আকারে। সবাইকে সেন্সর পরিয়ে হার্ট রেট, ত্বকের তাপমাত্রা, এমনকি লালার নমুনা পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়। অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের শরীর ঠিক কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, তা জানার জন্য এত আয়োজন করা হয়।
ফলাফলে দেখা গেছে, গ্যালারিতে শিল্পীদের আসল শিল্পকর্ম দেখা গ্রুপের স্ট্রেস হরমোন গড়ে কমেছে ২২ শতাংশ। অন্যদিকে যারা বাইরের পরিবেশে কপি চিত্রকর্ম দেখেছে, তাদের সেই হরমোন কমেছে মাত্র ৮ শতাংশ।
এই গবেষণা প্রমাণ করে, শিল্পকর্ম শুধু মন প্রফুল্ল করে না, এটি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও কাজে দেয়।
শিল্প কীভাবে কাজ করে
শিল্পকর্ম একই সঙ্গে তিনটি সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। সেগুলো হলো ইমিউন সিস্টেম, এন্ডোক্রাইন সিস্টেম এবং অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম। গ্যালারিতে যারা আসল ছবি দেখেছে, তাদের শরীরে কয়েকটা হালকা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ত্বকের তাপমাত্রা সামান্য কমেছে, হৃৎস্পন্দন একটু বেড়েছে বা কমেছে। সহজভাবে বলতে গেলে, আসল শিল্পকর্ম স্বেচ্ছাসেবীদের শরীর সতেজ করে তুলেছিল।
গবেষক ড. টনি উডস বলেন, ‘আমরা জানতাম, শিল্প মানুষের আবেগকে নাড়া দেয়। কিন্তু একই সঙ্গে স্ট্রেস কমিয়ে তিনটি সিস্টেমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটা সত্যিই বিস্ময়কর।’
শিল্প সবার জন্য
গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের সবার সংবেদনশীলতার ধরন ছিল আলাদা। কিন্তু তাতে ফলাফলে তেমন কোনো পার্থক্য হয়নি। অর্থাৎ আপনি খুব আবেগপ্রবণ হোন কিংবা না হোন, শিল্পকর্ম দেখার উপকার সবাই একইভাবে পেতে পারেন। আর্ট ফান্ডের পরিচালক জেনি ওয়াল্ডম্যান বলেন, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করতাম যে শিল্প মানুষের জন্য। এবার তা বিজ্ঞানের ভাষাতেও আবার প্রমাণিত হলো।’
জেনি ওয়াল্ডম্যানের মতে, যেহেতু এই উপকারগুলো কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষে সীমাবদ্ধ নয়, তাই সবাইকে নিয়মিত নিকটস্থ জাদুঘর বা গ্যালারিতে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত।
দিনে দিনে ব্যস্ততা, চাপ, ক্লান্তি—এসব নীরবে আমাদের প্রায় সবার শরীরের ক্ষতি করে চলেছে। অথচ কখনো কখনো একটু সময় বের করে কোনো আর্ট গ্যালারিতে ঢুঁ মেরে এলে তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

দশ বছর আগে শিশুদের তিনটি সূচকের (ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং জিংক) জন্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতির অবস্থা উন্নত হয়েছে। কিন্তু আয়রনের ঘাটতির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে।
৩০ অক্টোবর ২০২২
শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। একবার সমস্যা হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখা। এটি বাইল নামের একধরনের তরল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই লিভার সুস্থ রাখতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
৩ ঘণ্টা আগে
যেকোনো ঝাল কিংবা নোনতা খাবারে লবণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে অন্যান্য খাদ্য উপাদানের মতো বেশি লবণ খাওয়া বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। খাওয়ার সময় অনেকে পাতে আলাদা লবণ নিয়ে থাকেন, কেউ আবার সামনে রাখেন সল্ট শেকার। খাবার যা-ই নেন না কেন, পাতে ঝেড়ে নেন লবণ।
৩ ঘণ্টা আগেহাসিবুল হাসান

মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
আমাদের মস্তিষ্ক কাজ করে বিভিন্ন নিউরোট্রান্সমিটার কিংবা রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে। সেরোটোনিন, ডোপামিন, গ্যাবা ইত্যাদি মানুষের মনমেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এসব তৈরির মূল কাঁচামাল পাওয়া যায় খাদ্য থেকে। যেমন ট্রিপটোফান থেকে তৈরি হয় সেরোটোনিন; যা কলা, ডিম, বাদাম ও দুধে পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ মানসিক প্রশান্তিতে সাহায্য করে। এটি পাওয়া যায় ইলিশ, সার্ডিন মাছ ও আখরোটে। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ু স্থিতিশীল রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।
সাম্প্রতিক জরিপগুলো বলছে, দেশে প্রতি চারজনে একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। অনেকের খাদ্যতালিকায় থাকে উচ্চমাত্রার প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি, ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিংক। এসব মেজাজ খারাপ করে, ঘুম ব্যাহত করে, এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে বিষণ্নতা সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে যাঁরা ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ও দইজাতীয় প্রোবায়োটিকস গ্রহণ করেন, তাঁদের মন ভালো থাকে। তাঁদের মধ্যে আবেগের ওঠানামা তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়। অন্ত্র ও মস্তিষ্কের মধ্যকার সম্পর্ক আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
যাঁরা দিনের শুরুতে সুষম নাশতা খান, তাঁদের মনোযোগ ও মানসিক স্থিতি ভালো থাকে। আবার যাঁরা সকালে খাবার বাদ দিয়ে শুধু কফি বা চিনিজাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে রাগ, হতাশা ও অবসাদ বেশি দেখা যায়।
দেশে কিশোর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা বাড়ছে। তাদের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের ঘাটতি, ভিটামিন বি১২-এর অভাব, নিয়মহীন খাবারের সময়সূচি ইত্যাদি বেশ সাধারণ। স্কুল ও পরিবারের উচিত সচেতনভাবে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা।
খাবার শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, এটি আমাদের অনুভূতি, আবেগ এবং মনের রসায়নেরও ভিত্তি। সঠিক খাবার নির্বাচন করলে মন হালকা থাকে, ঘুম ভালো হয় এবং কাজে আগ্রহ বাড়ে। অন্যদিকে ভুল খাবার গ্রহণ মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পুষ্টির বিষয়টিও সামনে আনতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে এই সংযুক্তি এখন সময়ের দাবি।
আপনি প্রতিদিন কী খাচ্ছেন, সেটি শুধু শরীর নয়, মনকেও গড়ে তুলছে। তাই মনমেজাজ ঠিক রাখতে হলে তালিকায় রাখতে হবে সঠিক ও পরিমিত খাবার।
ডায়েটিশিয়ান, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অ্যান্ড, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকা

মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
আমাদের মস্তিষ্ক কাজ করে বিভিন্ন নিউরোট্রান্সমিটার কিংবা রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে। সেরোটোনিন, ডোপামিন, গ্যাবা ইত্যাদি মানুষের মনমেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এসব তৈরির মূল কাঁচামাল পাওয়া যায় খাদ্য থেকে। যেমন ট্রিপটোফান থেকে তৈরি হয় সেরোটোনিন; যা কলা, ডিম, বাদাম ও দুধে পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ মানসিক প্রশান্তিতে সাহায্য করে। এটি পাওয়া যায় ইলিশ, সার্ডিন মাছ ও আখরোটে। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ু স্থিতিশীল রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।
সাম্প্রতিক জরিপগুলো বলছে, দেশে প্রতি চারজনে একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। অনেকের খাদ্যতালিকায় থাকে উচ্চমাত্রার প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি, ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিংক। এসব মেজাজ খারাপ করে, ঘুম ব্যাহত করে, এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে বিষণ্নতা সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে যাঁরা ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ও দইজাতীয় প্রোবায়োটিকস গ্রহণ করেন, তাঁদের মন ভালো থাকে। তাঁদের মধ্যে আবেগের ওঠানামা তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়। অন্ত্র ও মস্তিষ্কের মধ্যকার সম্পর্ক আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
যাঁরা দিনের শুরুতে সুষম নাশতা খান, তাঁদের মনোযোগ ও মানসিক স্থিতি ভালো থাকে। আবার যাঁরা সকালে খাবার বাদ দিয়ে শুধু কফি বা চিনিজাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে রাগ, হতাশা ও অবসাদ বেশি দেখা যায়।
দেশে কিশোর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা বাড়ছে। তাদের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের ঘাটতি, ভিটামিন বি১২-এর অভাব, নিয়মহীন খাবারের সময়সূচি ইত্যাদি বেশ সাধারণ। স্কুল ও পরিবারের উচিত সচেতনভাবে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা।
খাবার শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, এটি আমাদের অনুভূতি, আবেগ এবং মনের রসায়নেরও ভিত্তি। সঠিক খাবার নির্বাচন করলে মন হালকা থাকে, ঘুম ভালো হয় এবং কাজে আগ্রহ বাড়ে। অন্যদিকে ভুল খাবার গ্রহণ মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পুষ্টির বিষয়টিও সামনে আনতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে এই সংযুক্তি এখন সময়ের দাবি।
আপনি প্রতিদিন কী খাচ্ছেন, সেটি শুধু শরীর নয়, মনকেও গড়ে তুলছে। তাই মনমেজাজ ঠিক রাখতে হলে তালিকায় রাখতে হবে সঠিক ও পরিমিত খাবার।
ডায়েটিশিয়ান, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অ্যান্ড, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকা

দশ বছর আগে শিশুদের তিনটি সূচকের (ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং জিংক) জন্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতির অবস্থা উন্নত হয়েছে। কিন্তু আয়রনের ঘাটতির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে।
৩০ অক্টোবর ২০২২
শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। একবার সমস্যা হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখা। এটি বাইল নামের একধরনের তরল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই লিভার সুস্থ রাখতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
২ ঘণ্টা আগে
যেকোনো ঝাল কিংবা নোনতা খাবারে লবণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে অন্যান্য খাদ্য উপাদানের মতো বেশি লবণ খাওয়া বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। খাওয়ার সময় অনেকে পাতে আলাদা লবণ নিয়ে থাকেন, কেউ আবার সামনে রাখেন সল্ট শেকার। খাবার যা-ই নেন না কেন, পাতে ঝেড়ে নেন লবণ।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

যেকোনো ঝাল কিংবা নোনতা খাবারে লবণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে অন্যান্য খাদ্য উপাদানের মতো বেশি লবণ খাওয়া বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। খাওয়ার সময় অনেকে পাতে আলাদা লবণ নিয়ে থাকেন, কেউ আবার সামনে রাখেন সল্ট শেকার। খাবার যা-ই নেন না কেন, পাতে ঝেড়ে নেন লবণ। অথচ কমবেশি সবারই জানা, এই লবণ বাড়িয়ে তোলে রক্তচাপ। রক্তনালিতে বেশি লবণ মানে রক্তে পানির পরিমাণ বেশি। এ কারণেই রক্তচাপ বেড়ে যায়।
প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১১ বছরের বেশি বয়সের শিশুদের দিনে ৫ থেকে ৬ গ্রামের বেশি লবণ কোনোভাবেই খাওয়া উচিত নয়। সাধারণত ৬ গ্রাম লবণ এক চা-চামচ পরিমাণ হয়।
আর তাতে থাকে ২ দশমিক ৪ গ্রাম সোডিয়াম। শিশুদের লবণ খেতে হবে আরও কম। আমরা যে খাবার খাই, তার তিন-চতুর্থাংশ রেডিমেড খাবার। সেগুলো হতে পারে রুটি, সকালের নাশতা ইত্যাদি। এই অবস্থায় কী করবেন—
খাবার পরীক্ষা করে দেখুন, তাতে লবণ কম কি না।

যেকোনো ঝাল কিংবা নোনতা খাবারে লবণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে অন্যান্য খাদ্য উপাদানের মতো বেশি লবণ খাওয়া বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। খাওয়ার সময় অনেকে পাতে আলাদা লবণ নিয়ে থাকেন, কেউ আবার সামনে রাখেন সল্ট শেকার। খাবার যা-ই নেন না কেন, পাতে ঝেড়ে নেন লবণ। অথচ কমবেশি সবারই জানা, এই লবণ বাড়িয়ে তোলে রক্তচাপ। রক্তনালিতে বেশি লবণ মানে রক্তে পানির পরিমাণ বেশি। এ কারণেই রক্তচাপ বেড়ে যায়।
প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১১ বছরের বেশি বয়সের শিশুদের দিনে ৫ থেকে ৬ গ্রামের বেশি লবণ কোনোভাবেই খাওয়া উচিত নয়। সাধারণত ৬ গ্রাম লবণ এক চা-চামচ পরিমাণ হয়।
আর তাতে থাকে ২ দশমিক ৪ গ্রাম সোডিয়াম। শিশুদের লবণ খেতে হবে আরও কম। আমরা যে খাবার খাই, তার তিন-চতুর্থাংশ রেডিমেড খাবার। সেগুলো হতে পারে রুটি, সকালের নাশতা ইত্যাদি। এই অবস্থায় কী করবেন—
খাবার পরীক্ষা করে দেখুন, তাতে লবণ কম কি না।

দশ বছর আগে শিশুদের তিনটি সূচকের (ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং জিংক) জন্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতির অবস্থা উন্নত হয়েছে। কিন্তু আয়রনের ঘাটতির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে।
৩০ অক্টোবর ২০২২
শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। একবার সমস্যা হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখা। এটি বাইল নামের একধরনের তরল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই লিভার সুস্থ রাখতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
২ ঘণ্টা আগে
মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
৩ ঘণ্টা আগে