মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশে চিকিৎসাসেবার পরিধি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন বাড়ছে চিকিৎসকদের পেশাগত নৈতিকতার বিষয়ে রোগীর অসন্তুষ্টি। এ বিষয়ে নজরদারি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) গত এক দশকে নিষ্পত্তি করা অভিযোগের দুই-তৃতীয়াংশই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। চিকিৎসাসেবার বিষয়ে সরকারের যথাযথ তদারকি এবং বিএমডিসির কর্তৃত্ব ও সক্ষমতা বাড়ানো গেলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা।
বিএমডিসির তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল থেকে এ বছরের ১ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৪৭ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বাদীর পক্ষ থেকে প্রত্যাহার করাসহ ৭১টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। প্রত্যাহার করা ২০টি বাদ দিলে এক দশকে নিষ্পত্তি হওয়া অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫১টি। এগুলোর মধ্যে ৩১টি ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়। শতকরা হিসাবে তা ৬১ শতাংশ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ১৬ জন চিকিৎসকের নিবন্ধন বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিত এবং একজনের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। নথিভুক্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে এ ধরনের কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সতর্কতার নোটিশ পেয়েছেন ১৮ শতাংশ চিকিৎসক এবং ১০ শতাংশকে ভর্ৎসনা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৯ শতাংশ চিকিৎসককে দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পেশাগত নিবন্ধন, শিক্ষাক্রম প্রণয়ন, জার্নাল অনুমোদন ও উচ্চতর ডিগ্রির স্বীকৃতির পাশাপাশি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ওঠা পেশাগত অনৈতিকতার অভিযোগ নিষ্পত্তি করে বিএমডিসি। কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ পেলে বিএমডিসি প্রথমে তা লিখিতভাবে অভিযুক্ত চিকিৎসককে পাঠায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের লিখিত জবাব অভিযোগকারীকে জানানো হয়। এরপর বিএমডিসি চিকিৎসাসংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে। নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত ও অভিযোগের শুনানি হয়।
দেশের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা বলছেন, শুধু চিকিৎসকেরাই নৈতিকতা রক্ষার বিশেষ শপথ নিয়ে তাঁদের পেশায় আসেন। কিন্তু বাণিজ্যিক মনোভাব ও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার মতো বিভিন্ন কারণে অনেক চিকিৎসকের পেশাগত নৈতিকতা প্রশ্নের মুখে। বিএমডিসিতে যাওয়া গত কয়েক বছরের অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর কারণ অদক্ষতা বা অজ্ঞতা নয়; বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা দায়িত্বের প্রতি শতভাগ আন্তরিক ছিলেন না। ছিল সতর্কতার অভাব ও তাড়াহুড়া করার প্রবণতা।
বিএমডিসির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. লিয়াকত হোসেন তাঁদের কাছে অভিযোগ করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর তা নথিভুক্ত করতে কয়েক দিন সময় লাগে। কেননা এতে অনেক কিছু লিখতে হয়। এরপর কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন নিয়ে শৃঙ্খলা কমিটিতে পাঠানো হয়।’
রেজিস্ট্রার জানান, বর্তমানে ২৭টি অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য তদন্ত কার্যক্রম চলছে এবং ৪৯টি অভিযোগ শৃঙ্খলা কমিটিতে পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে।
গণমাধ্যমের খবর এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রায়ই দেখা যায়। দেশি-বিদেশি একাধিক গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চিকিৎসায় অবহেলা বাড়ছে। এতে গত কয়েক দশকে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা উইলির জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চিকিৎসকের সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন অর্ধেকের বেশি রোগী। ‘ডক্টর-পেশেন্ট রিলেশনশিপ: এভিডেন্স ফ্রম বাংলাদেশ’ শিরোনামের ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, চিকিৎসকের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ৮৫ শতাংশই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছে। আর রোগীদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব ৬৭ শতাংশের। চিকিৎসকের আন্তরিকতা, পর্যাপ্ত সময় দেওয়া, রোগীর নিজের মতো ও তার কথা বিস্তারিত শোনা, ভালোভাবে ব্যবস্থাপত্র বুঝিয়ে দেওয়া, চিকিৎসকের ওপর আস্থার বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া হয় ওই গবেষণায়। এতে জনসাধারণ, রোগী ও চিকিৎসক—সবারই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মধ্যে চিকিৎসা নৈতিকতার চর্চা সন্তোষজনক নয় বলে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) এক গবেষণায়ও উঠে এসেছে।
প্রতিকারের একটি নমুনা
শাস্তি দেওয়ার পর একই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আবার দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পেয়েছে বিএমডিসি। অধ্যাপক ডা. জাহীর আল আমিন ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ এই শল্যচিকিৎসক ২০২০ সালে এক রোগীর বাঁ কানের পরিবর্তে ডান কানে অস্ত্রোপচার করেন। এতে রোগীর শারীরিক-মানসিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়। অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে বিএমডিসি ডা. জাহীরের নিবন্ধন ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর থেকে এক বছরের জন্য স্থগিত করে। তাঁর বিরুদ্ধে চলতি বছরের আগস্টে আবার ‘ভুল অস্ত্রোপচারে’ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ এসেছে। অস্ত্রোপচারটি হয়েছে রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নার্সিং হোমে। জাহীর আল আমিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার লিয়াকত হোসেন। তিনি বলেন, ‘একাধিকবার কারও বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি ঘোষণা করে বিএমডিসি। তাঁর নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করা হয়। তবে এর বাইরে বিএমডিসির আর কিছু করার এখতিয়ার নেই।’

ক্ষতিপূরণ পেতে হলে আদালত
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন-সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচার বলতে বিএমডিসির এখতিয়ার হচ্ছে চিকিৎসকের পেশাগত নৈতিকতা দেখা। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যা যা করণীয়, সেগুলো নিয়মমাফিক করা হয়েছে কি না, তা অনুসন্ধান করা। চিকিৎসায় অবহেলা মানেই অনৈতিকতা। একজন রোগী চিকিৎসকের কাছে তাঁর জীবনের সুরক্ষার জন্য আসেন। তবে ভুক্তভোগী ক্ষতিপূরণ দাবি করলে তাঁকে দেওয়ানি আদালতে যেতে হবে। কেননা বিএমডিসির দায়িত্ব-কর্তব্য শুধু পেশাগত নৈতিকতার বিচার করা।’
ডা. রশিদ ই মাহবুব বলেন, প্রচলিত ধারণা ও বাস্তবতার তুলনায় গত এক দশকে বিএমডিসিতে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর সংখ্যা খুবই কম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাইরে কোনো সমঝোতা না হয়ে যদি বিএমডিসিতেই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ নিষ্পত্তি বেশি হতো, তাহলে চিকিৎসার মানও বাড়ত। চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে সরকারের তদারকির অভাব রয়েছে।’
সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে নানা সময় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে পেশাগত অবহেলার অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। সে তুলনায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এত কম হওয়ার বিষয়ে বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেউ অভিযোগ দিতে চাইলে তাঁকে ঢাকায় আসতে হয়। আর প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও প্রমাণ অনেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না। ফলে অভিযোগের সংখ্যা কম। আবার অনলাইনে অভিযোগের সুযোগ দেওয়া হলে এত অভিযোগ আসবে যে তার সুরাহা বিএমডিসি করে উঠতে পারবে না।’
বিএমডিসির সভাপতি বলেন, ‘সংখ্যায় কম হলেও যে অভিযোগগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো সুনির্দিষ্ট। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিচার হয় বস্তুনিষ্ঠ। উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার হার দুই-তৃতীয়াংশ হওয়া মানেই এটা নয় যে সার্বিকভাবে চিকিৎসকের বড় একটি অংশ দায়িত্ব পালনে উদাসীন।’

দেশে চিকিৎসাসেবার পরিধি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন বাড়ছে চিকিৎসকদের পেশাগত নৈতিকতার বিষয়ে রোগীর অসন্তুষ্টি। এ বিষয়ে নজরদারি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) গত এক দশকে নিষ্পত্তি করা অভিযোগের দুই-তৃতীয়াংশই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। চিকিৎসাসেবার বিষয়ে সরকারের যথাযথ তদারকি এবং বিএমডিসির কর্তৃত্ব ও সক্ষমতা বাড়ানো গেলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা।
বিএমডিসির তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল থেকে এ বছরের ১ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৪৭ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বাদীর পক্ষ থেকে প্রত্যাহার করাসহ ৭১টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। প্রত্যাহার করা ২০টি বাদ দিলে এক দশকে নিষ্পত্তি হওয়া অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫১টি। এগুলোর মধ্যে ৩১টি ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়। শতকরা হিসাবে তা ৬১ শতাংশ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ১৬ জন চিকিৎসকের নিবন্ধন বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিত এবং একজনের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। নথিভুক্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে এ ধরনের কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সতর্কতার নোটিশ পেয়েছেন ১৮ শতাংশ চিকিৎসক এবং ১০ শতাংশকে ভর্ৎসনা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৯ শতাংশ চিকিৎসককে দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পেশাগত নিবন্ধন, শিক্ষাক্রম প্রণয়ন, জার্নাল অনুমোদন ও উচ্চতর ডিগ্রির স্বীকৃতির পাশাপাশি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ওঠা পেশাগত অনৈতিকতার অভিযোগ নিষ্পত্তি করে বিএমডিসি। কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ পেলে বিএমডিসি প্রথমে তা লিখিতভাবে অভিযুক্ত চিকিৎসককে পাঠায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের লিখিত জবাব অভিযোগকারীকে জানানো হয়। এরপর বিএমডিসি চিকিৎসাসংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে। নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত ও অভিযোগের শুনানি হয়।
দেশের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা বলছেন, শুধু চিকিৎসকেরাই নৈতিকতা রক্ষার বিশেষ শপথ নিয়ে তাঁদের পেশায় আসেন। কিন্তু বাণিজ্যিক মনোভাব ও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার মতো বিভিন্ন কারণে অনেক চিকিৎসকের পেশাগত নৈতিকতা প্রশ্নের মুখে। বিএমডিসিতে যাওয়া গত কয়েক বছরের অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর কারণ অদক্ষতা বা অজ্ঞতা নয়; বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা দায়িত্বের প্রতি শতভাগ আন্তরিক ছিলেন না। ছিল সতর্কতার অভাব ও তাড়াহুড়া করার প্রবণতা।
বিএমডিসির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. লিয়াকত হোসেন তাঁদের কাছে অভিযোগ করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর তা নথিভুক্ত করতে কয়েক দিন সময় লাগে। কেননা এতে অনেক কিছু লিখতে হয়। এরপর কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন নিয়ে শৃঙ্খলা কমিটিতে পাঠানো হয়।’
রেজিস্ট্রার জানান, বর্তমানে ২৭টি অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য তদন্ত কার্যক্রম চলছে এবং ৪৯টি অভিযোগ শৃঙ্খলা কমিটিতে পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে।
গণমাধ্যমের খবর এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রায়ই দেখা যায়। দেশি-বিদেশি একাধিক গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চিকিৎসায় অবহেলা বাড়ছে। এতে গত কয়েক দশকে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা উইলির জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চিকিৎসকের সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন অর্ধেকের বেশি রোগী। ‘ডক্টর-পেশেন্ট রিলেশনশিপ: এভিডেন্স ফ্রম বাংলাদেশ’ শিরোনামের ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, চিকিৎসকের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ৮৫ শতাংশই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছে। আর রোগীদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব ৬৭ শতাংশের। চিকিৎসকের আন্তরিকতা, পর্যাপ্ত সময় দেওয়া, রোগীর নিজের মতো ও তার কথা বিস্তারিত শোনা, ভালোভাবে ব্যবস্থাপত্র বুঝিয়ে দেওয়া, চিকিৎসকের ওপর আস্থার বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া হয় ওই গবেষণায়। এতে জনসাধারণ, রোগী ও চিকিৎসক—সবারই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মধ্যে চিকিৎসা নৈতিকতার চর্চা সন্তোষজনক নয় বলে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) এক গবেষণায়ও উঠে এসেছে।
প্রতিকারের একটি নমুনা
শাস্তি দেওয়ার পর একই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আবার দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পেয়েছে বিএমডিসি। অধ্যাপক ডা. জাহীর আল আমিন ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ এই শল্যচিকিৎসক ২০২০ সালে এক রোগীর বাঁ কানের পরিবর্তে ডান কানে অস্ত্রোপচার করেন। এতে রোগীর শারীরিক-মানসিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়। অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে বিএমডিসি ডা. জাহীরের নিবন্ধন ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর থেকে এক বছরের জন্য স্থগিত করে। তাঁর বিরুদ্ধে চলতি বছরের আগস্টে আবার ‘ভুল অস্ত্রোপচারে’ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ এসেছে। অস্ত্রোপচারটি হয়েছে রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নার্সিং হোমে। জাহীর আল আমিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার লিয়াকত হোসেন। তিনি বলেন, ‘একাধিকবার কারও বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি ঘোষণা করে বিএমডিসি। তাঁর নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করা হয়। তবে এর বাইরে বিএমডিসির আর কিছু করার এখতিয়ার নেই।’

ক্ষতিপূরণ পেতে হলে আদালত
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন-সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচার বলতে বিএমডিসির এখতিয়ার হচ্ছে চিকিৎসকের পেশাগত নৈতিকতা দেখা। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যা যা করণীয়, সেগুলো নিয়মমাফিক করা হয়েছে কি না, তা অনুসন্ধান করা। চিকিৎসায় অবহেলা মানেই অনৈতিকতা। একজন রোগী চিকিৎসকের কাছে তাঁর জীবনের সুরক্ষার জন্য আসেন। তবে ভুক্তভোগী ক্ষতিপূরণ দাবি করলে তাঁকে দেওয়ানি আদালতে যেতে হবে। কেননা বিএমডিসির দায়িত্ব-কর্তব্য শুধু পেশাগত নৈতিকতার বিচার করা।’
ডা. রশিদ ই মাহবুব বলেন, প্রচলিত ধারণা ও বাস্তবতার তুলনায় গত এক দশকে বিএমডিসিতে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর সংখ্যা খুবই কম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাইরে কোনো সমঝোতা না হয়ে যদি বিএমডিসিতেই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ নিষ্পত্তি বেশি হতো, তাহলে চিকিৎসার মানও বাড়ত। চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে সরকারের তদারকির অভাব রয়েছে।’
সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে নানা সময় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে পেশাগত অবহেলার অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। সে তুলনায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এত কম হওয়ার বিষয়ে বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেউ অভিযোগ দিতে চাইলে তাঁকে ঢাকায় আসতে হয়। আর প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও প্রমাণ অনেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না। ফলে অভিযোগের সংখ্যা কম। আবার অনলাইনে অভিযোগের সুযোগ দেওয়া হলে এত অভিযোগ আসবে যে তার সুরাহা বিএমডিসি করে উঠতে পারবে না।’
বিএমডিসির সভাপতি বলেন, ‘সংখ্যায় কম হলেও যে অভিযোগগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো সুনির্দিষ্ট। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিচার হয় বস্তুনিষ্ঠ। উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার হার দুই-তৃতীয়াংশ হওয়া মানেই এটা নয় যে সার্বিকভাবে চিকিৎসকের বড় একটি অংশ দায়িত্ব পালনে উদাসীন।’
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশে চিকিৎসাসেবার পরিধি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন বাড়ছে চিকিৎসকদের পেশাগত নৈতিকতার বিষয়ে রোগীর অসন্তুষ্টি। এ বিষয়ে নজরদারি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) গত এক দশকে নিষ্পত্তি করা অভিযোগের দুই-তৃতীয়াংশই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। চিকিৎসাসেবার বিষয়ে সরকারের যথাযথ তদারকি এবং বিএমডিসির কর্তৃত্ব ও সক্ষমতা বাড়ানো গেলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা।
বিএমডিসির তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল থেকে এ বছরের ১ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৪৭ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বাদীর পক্ষ থেকে প্রত্যাহার করাসহ ৭১টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। প্রত্যাহার করা ২০টি বাদ দিলে এক দশকে নিষ্পত্তি হওয়া অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫১টি। এগুলোর মধ্যে ৩১টি ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়। শতকরা হিসাবে তা ৬১ শতাংশ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ১৬ জন চিকিৎসকের নিবন্ধন বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিত এবং একজনের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। নথিভুক্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে এ ধরনের কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সতর্কতার নোটিশ পেয়েছেন ১৮ শতাংশ চিকিৎসক এবং ১০ শতাংশকে ভর্ৎসনা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৯ শতাংশ চিকিৎসককে দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পেশাগত নিবন্ধন, শিক্ষাক্রম প্রণয়ন, জার্নাল অনুমোদন ও উচ্চতর ডিগ্রির স্বীকৃতির পাশাপাশি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ওঠা পেশাগত অনৈতিকতার অভিযোগ নিষ্পত্তি করে বিএমডিসি। কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ পেলে বিএমডিসি প্রথমে তা লিখিতভাবে অভিযুক্ত চিকিৎসককে পাঠায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের লিখিত জবাব অভিযোগকারীকে জানানো হয়। এরপর বিএমডিসি চিকিৎসাসংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে। নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত ও অভিযোগের শুনানি হয়।
দেশের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা বলছেন, শুধু চিকিৎসকেরাই নৈতিকতা রক্ষার বিশেষ শপথ নিয়ে তাঁদের পেশায় আসেন। কিন্তু বাণিজ্যিক মনোভাব ও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার মতো বিভিন্ন কারণে অনেক চিকিৎসকের পেশাগত নৈতিকতা প্রশ্নের মুখে। বিএমডিসিতে যাওয়া গত কয়েক বছরের অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর কারণ অদক্ষতা বা অজ্ঞতা নয়; বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা দায়িত্বের প্রতি শতভাগ আন্তরিক ছিলেন না। ছিল সতর্কতার অভাব ও তাড়াহুড়া করার প্রবণতা।
বিএমডিসির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. লিয়াকত হোসেন তাঁদের কাছে অভিযোগ করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর তা নথিভুক্ত করতে কয়েক দিন সময় লাগে। কেননা এতে অনেক কিছু লিখতে হয়। এরপর কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন নিয়ে শৃঙ্খলা কমিটিতে পাঠানো হয়।’
রেজিস্ট্রার জানান, বর্তমানে ২৭টি অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য তদন্ত কার্যক্রম চলছে এবং ৪৯টি অভিযোগ শৃঙ্খলা কমিটিতে পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে।
গণমাধ্যমের খবর এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রায়ই দেখা যায়। দেশি-বিদেশি একাধিক গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চিকিৎসায় অবহেলা বাড়ছে। এতে গত কয়েক দশকে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা উইলির জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চিকিৎসকের সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন অর্ধেকের বেশি রোগী। ‘ডক্টর-পেশেন্ট রিলেশনশিপ: এভিডেন্স ফ্রম বাংলাদেশ’ শিরোনামের ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, চিকিৎসকের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ৮৫ শতাংশই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছে। আর রোগীদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব ৬৭ শতাংশের। চিকিৎসকের আন্তরিকতা, পর্যাপ্ত সময় দেওয়া, রোগীর নিজের মতো ও তার কথা বিস্তারিত শোনা, ভালোভাবে ব্যবস্থাপত্র বুঝিয়ে দেওয়া, চিকিৎসকের ওপর আস্থার বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া হয় ওই গবেষণায়। এতে জনসাধারণ, রোগী ও চিকিৎসক—সবারই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মধ্যে চিকিৎসা নৈতিকতার চর্চা সন্তোষজনক নয় বলে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) এক গবেষণায়ও উঠে এসেছে।
প্রতিকারের একটি নমুনা
শাস্তি দেওয়ার পর একই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আবার দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পেয়েছে বিএমডিসি। অধ্যাপক ডা. জাহীর আল আমিন ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ এই শল্যচিকিৎসক ২০২০ সালে এক রোগীর বাঁ কানের পরিবর্তে ডান কানে অস্ত্রোপচার করেন। এতে রোগীর শারীরিক-মানসিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়। অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে বিএমডিসি ডা. জাহীরের নিবন্ধন ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর থেকে এক বছরের জন্য স্থগিত করে। তাঁর বিরুদ্ধে চলতি বছরের আগস্টে আবার ‘ভুল অস্ত্রোপচারে’ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ এসেছে। অস্ত্রোপচারটি হয়েছে রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নার্সিং হোমে। জাহীর আল আমিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার লিয়াকত হোসেন। তিনি বলেন, ‘একাধিকবার কারও বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি ঘোষণা করে বিএমডিসি। তাঁর নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করা হয়। তবে এর বাইরে বিএমডিসির আর কিছু করার এখতিয়ার নেই।’

ক্ষতিপূরণ পেতে হলে আদালত
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন-সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচার বলতে বিএমডিসির এখতিয়ার হচ্ছে চিকিৎসকের পেশাগত নৈতিকতা দেখা। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যা যা করণীয়, সেগুলো নিয়মমাফিক করা হয়েছে কি না, তা অনুসন্ধান করা। চিকিৎসায় অবহেলা মানেই অনৈতিকতা। একজন রোগী চিকিৎসকের কাছে তাঁর জীবনের সুরক্ষার জন্য আসেন। তবে ভুক্তভোগী ক্ষতিপূরণ দাবি করলে তাঁকে দেওয়ানি আদালতে যেতে হবে। কেননা বিএমডিসির দায়িত্ব-কর্তব্য শুধু পেশাগত নৈতিকতার বিচার করা।’
ডা. রশিদ ই মাহবুব বলেন, প্রচলিত ধারণা ও বাস্তবতার তুলনায় গত এক দশকে বিএমডিসিতে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর সংখ্যা খুবই কম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাইরে কোনো সমঝোতা না হয়ে যদি বিএমডিসিতেই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ নিষ্পত্তি বেশি হতো, তাহলে চিকিৎসার মানও বাড়ত। চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে সরকারের তদারকির অভাব রয়েছে।’
সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে নানা সময় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে পেশাগত অবহেলার অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। সে তুলনায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এত কম হওয়ার বিষয়ে বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেউ অভিযোগ দিতে চাইলে তাঁকে ঢাকায় আসতে হয়। আর প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও প্রমাণ অনেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না। ফলে অভিযোগের সংখ্যা কম। আবার অনলাইনে অভিযোগের সুযোগ দেওয়া হলে এত অভিযোগ আসবে যে তার সুরাহা বিএমডিসি করে উঠতে পারবে না।’
বিএমডিসির সভাপতি বলেন, ‘সংখ্যায় কম হলেও যে অভিযোগগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো সুনির্দিষ্ট। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিচার হয় বস্তুনিষ্ঠ। উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার হার দুই-তৃতীয়াংশ হওয়া মানেই এটা নয় যে সার্বিকভাবে চিকিৎসকের বড় একটি অংশ দায়িত্ব পালনে উদাসীন।’

দেশে চিকিৎসাসেবার পরিধি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন বাড়ছে চিকিৎসকদের পেশাগত নৈতিকতার বিষয়ে রোগীর অসন্তুষ্টি। এ বিষয়ে নজরদারি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) গত এক দশকে নিষ্পত্তি করা অভিযোগের দুই-তৃতীয়াংশই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। চিকিৎসাসেবার বিষয়ে সরকারের যথাযথ তদারকি এবং বিএমডিসির কর্তৃত্ব ও সক্ষমতা বাড়ানো গেলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা।
বিএমডিসির তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল থেকে এ বছরের ১ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৪৭ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বাদীর পক্ষ থেকে প্রত্যাহার করাসহ ৭১টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। প্রত্যাহার করা ২০টি বাদ দিলে এক দশকে নিষ্পত্তি হওয়া অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫১টি। এগুলোর মধ্যে ৩১টি ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়। শতকরা হিসাবে তা ৬১ শতাংশ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ১৬ জন চিকিৎসকের নিবন্ধন বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিত এবং একজনের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। নথিভুক্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে এ ধরনের কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সতর্কতার নোটিশ পেয়েছেন ১৮ শতাংশ চিকিৎসক এবং ১০ শতাংশকে ভর্ৎসনা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৯ শতাংশ চিকিৎসককে দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পেশাগত নিবন্ধন, শিক্ষাক্রম প্রণয়ন, জার্নাল অনুমোদন ও উচ্চতর ডিগ্রির স্বীকৃতির পাশাপাশি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ওঠা পেশাগত অনৈতিকতার অভিযোগ নিষ্পত্তি করে বিএমডিসি। কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ পেলে বিএমডিসি প্রথমে তা লিখিতভাবে অভিযুক্ত চিকিৎসককে পাঠায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের লিখিত জবাব অভিযোগকারীকে জানানো হয়। এরপর বিএমডিসি চিকিৎসাসংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে। নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত ও অভিযোগের শুনানি হয়।
দেশের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা বলছেন, শুধু চিকিৎসকেরাই নৈতিকতা রক্ষার বিশেষ শপথ নিয়ে তাঁদের পেশায় আসেন। কিন্তু বাণিজ্যিক মনোভাব ও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার মতো বিভিন্ন কারণে অনেক চিকিৎসকের পেশাগত নৈতিকতা প্রশ্নের মুখে। বিএমডিসিতে যাওয়া গত কয়েক বছরের অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর কারণ অদক্ষতা বা অজ্ঞতা নয়; বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা দায়িত্বের প্রতি শতভাগ আন্তরিক ছিলেন না। ছিল সতর্কতার অভাব ও তাড়াহুড়া করার প্রবণতা।
বিএমডিসির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. লিয়াকত হোসেন তাঁদের কাছে অভিযোগ করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর তা নথিভুক্ত করতে কয়েক দিন সময় লাগে। কেননা এতে অনেক কিছু লিখতে হয়। এরপর কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন নিয়ে শৃঙ্খলা কমিটিতে পাঠানো হয়।’
রেজিস্ট্রার জানান, বর্তমানে ২৭টি অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য তদন্ত কার্যক্রম চলছে এবং ৪৯টি অভিযোগ শৃঙ্খলা কমিটিতে পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে।
গণমাধ্যমের খবর এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রায়ই দেখা যায়। দেশি-বিদেশি একাধিক গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চিকিৎসায় অবহেলা বাড়ছে। এতে গত কয়েক দশকে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা উইলির জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চিকিৎসকের সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন অর্ধেকের বেশি রোগী। ‘ডক্টর-পেশেন্ট রিলেশনশিপ: এভিডেন্স ফ্রম বাংলাদেশ’ শিরোনামের ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, চিকিৎসকের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ৮৫ শতাংশই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছে। আর রোগীদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব ৬৭ শতাংশের। চিকিৎসকের আন্তরিকতা, পর্যাপ্ত সময় দেওয়া, রোগীর নিজের মতো ও তার কথা বিস্তারিত শোনা, ভালোভাবে ব্যবস্থাপত্র বুঝিয়ে দেওয়া, চিকিৎসকের ওপর আস্থার বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া হয় ওই গবেষণায়। এতে জনসাধারণ, রোগী ও চিকিৎসক—সবারই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মধ্যে চিকিৎসা নৈতিকতার চর্চা সন্তোষজনক নয় বলে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) এক গবেষণায়ও উঠে এসেছে।
প্রতিকারের একটি নমুনা
শাস্তি দেওয়ার পর একই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আবার দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পেয়েছে বিএমডিসি। অধ্যাপক ডা. জাহীর আল আমিন ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ এই শল্যচিকিৎসক ২০২০ সালে এক রোগীর বাঁ কানের পরিবর্তে ডান কানে অস্ত্রোপচার করেন। এতে রোগীর শারীরিক-মানসিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়। অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে বিএমডিসি ডা. জাহীরের নিবন্ধন ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর থেকে এক বছরের জন্য স্থগিত করে। তাঁর বিরুদ্ধে চলতি বছরের আগস্টে আবার ‘ভুল অস্ত্রোপচারে’ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ এসেছে। অস্ত্রোপচারটি হয়েছে রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নার্সিং হোমে। জাহীর আল আমিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার লিয়াকত হোসেন। তিনি বলেন, ‘একাধিকবার কারও বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি ঘোষণা করে বিএমডিসি। তাঁর নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করা হয়। তবে এর বাইরে বিএমডিসির আর কিছু করার এখতিয়ার নেই।’

ক্ষতিপূরণ পেতে হলে আদালত
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন-সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচার বলতে বিএমডিসির এখতিয়ার হচ্ছে চিকিৎসকের পেশাগত নৈতিকতা দেখা। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যা যা করণীয়, সেগুলো নিয়মমাফিক করা হয়েছে কি না, তা অনুসন্ধান করা। চিকিৎসায় অবহেলা মানেই অনৈতিকতা। একজন রোগী চিকিৎসকের কাছে তাঁর জীবনের সুরক্ষার জন্য আসেন। তবে ভুক্তভোগী ক্ষতিপূরণ দাবি করলে তাঁকে দেওয়ানি আদালতে যেতে হবে। কেননা বিএমডিসির দায়িত্ব-কর্তব্য শুধু পেশাগত নৈতিকতার বিচার করা।’
ডা. রশিদ ই মাহবুব বলেন, প্রচলিত ধারণা ও বাস্তবতার তুলনায় গত এক দশকে বিএমডিসিতে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর সংখ্যা খুবই কম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাইরে কোনো সমঝোতা না হয়ে যদি বিএমডিসিতেই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ নিষ্পত্তি বেশি হতো, তাহলে চিকিৎসার মানও বাড়ত। চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে সরকারের তদারকির অভাব রয়েছে।’
সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে নানা সময় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে পেশাগত অবহেলার অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। সে তুলনায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এত কম হওয়ার বিষয়ে বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেউ অভিযোগ দিতে চাইলে তাঁকে ঢাকায় আসতে হয়। আর প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও প্রমাণ অনেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না। ফলে অভিযোগের সংখ্যা কম। আবার অনলাইনে অভিযোগের সুযোগ দেওয়া হলে এত অভিযোগ আসবে যে তার সুরাহা বিএমডিসি করে উঠতে পারবে না।’
বিএমডিসির সভাপতি বলেন, ‘সংখ্যায় কম হলেও যে অভিযোগগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো সুনির্দিষ্ট। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিচার হয় বস্তুনিষ্ঠ। উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার হার দুই-তৃতীয়াংশ হওয়া মানেই এটা নয় যে সার্বিকভাবে চিকিৎসকের বড় একটি অংশ দায়িত্ব পালনে উদাসীন।’

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে চিকিৎসাসেবার পরিধি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন বাড়ছে চিকিৎসকদের পেশাগত নৈতিকতার বিষয়ে রোগীর অসন্তুষ্টি। এ বিষয়ে নজরদারি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) গত এক দশকে নিষ্পত্তি করা অভিযোগের দুই-তৃতীয়াংশই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
১৩ নভেম্বর ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দেশে চিকিৎসাসেবার পরিধি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন বাড়ছে চিকিৎসকদের পেশাগত নৈতিকতার বিষয়ে রোগীর অসন্তুষ্টি। এ বিষয়ে নজরদারি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) গত এক দশকে নিষ্পত্তি করা অভিযোগের দুই-তৃতীয়াংশই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
১৩ নভেম্বর ২০২৪
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

দেশে চিকিৎসাসেবার পরিধি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন বাড়ছে চিকিৎসকদের পেশাগত নৈতিকতার বিষয়ে রোগীর অসন্তুষ্টি। এ বিষয়ে নজরদারি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) গত এক দশকে নিষ্পত্তি করা অভিযোগের দুই-তৃতীয়াংশই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
১৩ নভেম্বর ২০২৪
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

দেশে চিকিৎসাসেবার পরিধি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন বাড়ছে চিকিৎসকদের পেশাগত নৈতিকতার বিষয়ে রোগীর অসন্তুষ্টি। এ বিষয়ে নজরদারি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) গত এক দশকে নিষ্পত্তি করা অভিযোগের দুই-তৃতীয়াংশই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
১৩ নভেম্বর ২০২৪
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে