ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি বিষয়ভিত্তিক র্যাংকিং-২০২৪ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস)। পাঁচটি ক্ষেত্রে ৫৫টি পৃথক বিষয়ে বিশ্বের দেড় হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই র্যাংকিংয়ে স্থান পেয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
তালিকায় বাংলাদেশ থেকে এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পাওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে, ‘বিশ্বসেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ভারতের ৪১, পাকিস্তানের ১৭ ও বাংলাদেশের ২ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি ও বুয়েট)।’
‘তানভীর স্যার’ নামের ৮ লাখ ৫১ হাজার ফলোয়ারের একটি ফেসবুক পেজ থেকে আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ৭টা ৩৫ মিনিটে এমন দাবিতে প্রচারিত পোস্টটি সবচেয়ে ভাইরাল হতে দেখা গেছে। পোস্টটিতে এক ঘণ্টার মধ্যে ৬ হাজার রিয়েকশন পড়েছে। একই তথ্য প্রচার করতে দেখা গেছে প্রকাশনী সংস্থা জয়কলিকেও। এই পেজে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দেওয়া একটি পোস্টে ৩ হাজারের বেশি রিয়েকশন পড়েছে।
কিউএস বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে বুয়েট ও ঢাবির অবস্থান নিয়ে প্রচারিত তথ্যগুলো কতটুকু সঠিক?
তথ্যগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) ওয়েবসাইটে গিয়ে এ বছরের বিষয়ভিত্তিক র্যাংকিং তালিকা পাওয়া যায়। র্যাংকিং তৈরিতে ব্যবহৃত ৫টি ক্ষেত্র হলো—ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন ও ন্যাচারাল সায়েন্স।
এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অবস্থান ৩০৫তম। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কোর ৬৪ দশমিক ৫ স্কোর। একই ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সেরা ৫০০–এর পর। র্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ৫০১–৫৫০ এর মধ্যে।
সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৫১–৫০০-এর মধ্যে। আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১–৫৫০–এর মধ্যে।
লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন ও ন্যাচারাল সায়েন্সে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পায়নি।
এই র্যাংকিং থেকে দেখা যাচ্ছে, কিউএস বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং ২০২৪-এ কেবল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ক্ষেত্রেই সেরা ৫০০-এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এককভাবে বুয়েট জায়গা করে নিয়েছে। এই ক্ষেত্রে ঢাবির অবস্থান ৫০০-এর বাইরে। আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ক্ষেত্রেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১-৫৫০-এর মধ্যে। শুধুমাত্র সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৫১-৫০০-এর মধ্যে।
সুতরাং, ‘বিশ্বসেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি ও বুয়েট) জায়গা পাওয়ার তথ্যটি পুরোপুরি সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, কিউএস বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং ২০২৩-এ উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে সেরা ৫০০-এর তালিকায় ভারতের ৪১, পাকিস্তানের ১১ ও বাংলাদেশের ২টি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট ও ঢাবি) জায়গা পেয়েছিল। ওই বছর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্ষেত্রে বুয়েটের অবস্থান ছিল ৩৩৫তম, স্কোর ছিল ৬৪ দশমিক ৪ স্কোর।
সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৪৫১–৫০০–এর মধ্যে।
অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় কিউএস বিষয়ভিত্তিক র্যাংকিংয়ে বুয়েটের অবস্থান ৩০ ধাপ এগিয়েছে। অন্যদিকে সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।
ওই বছর আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন, ন্যাচারাল সায়েন্সে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায়নি।
সম্প্রতি বিষয়ভিত্তিক র্যাংকিং-২০২৪ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস)। পাঁচটি ক্ষেত্রে ৫৫টি পৃথক বিষয়ে বিশ্বের দেড় হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই র্যাংকিংয়ে স্থান পেয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
তালিকায় বাংলাদেশ থেকে এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পাওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে, ‘বিশ্বসেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ভারতের ৪১, পাকিস্তানের ১৭ ও বাংলাদেশের ২ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি ও বুয়েট)।’
‘তানভীর স্যার’ নামের ৮ লাখ ৫১ হাজার ফলোয়ারের একটি ফেসবুক পেজ থেকে আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ৭টা ৩৫ মিনিটে এমন দাবিতে প্রচারিত পোস্টটি সবচেয়ে ভাইরাল হতে দেখা গেছে। পোস্টটিতে এক ঘণ্টার মধ্যে ৬ হাজার রিয়েকশন পড়েছে। একই তথ্য প্রচার করতে দেখা গেছে প্রকাশনী সংস্থা জয়কলিকেও। এই পেজে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দেওয়া একটি পোস্টে ৩ হাজারের বেশি রিয়েকশন পড়েছে।
কিউএস বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে বুয়েট ও ঢাবির অবস্থান নিয়ে প্রচারিত তথ্যগুলো কতটুকু সঠিক?
তথ্যগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) ওয়েবসাইটে গিয়ে এ বছরের বিষয়ভিত্তিক র্যাংকিং তালিকা পাওয়া যায়। র্যাংকিং তৈরিতে ব্যবহৃত ৫টি ক্ষেত্র হলো—ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন ও ন্যাচারাল সায়েন্স।
এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অবস্থান ৩০৫তম। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কোর ৬৪ দশমিক ৫ স্কোর। একই ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সেরা ৫০০–এর পর। র্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ৫০১–৫৫০ এর মধ্যে।
সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৫১–৫০০-এর মধ্যে। আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১–৫৫০–এর মধ্যে।
লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন ও ন্যাচারাল সায়েন্সে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পায়নি।
এই র্যাংকিং থেকে দেখা যাচ্ছে, কিউএস বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং ২০২৪-এ কেবল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ক্ষেত্রেই সেরা ৫০০-এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এককভাবে বুয়েট জায়গা করে নিয়েছে। এই ক্ষেত্রে ঢাবির অবস্থান ৫০০-এর বাইরে। আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ক্ষেত্রেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১-৫৫০-এর মধ্যে। শুধুমাত্র সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৫১-৫০০-এর মধ্যে।
সুতরাং, ‘বিশ্বসেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি ও বুয়েট) জায়গা পাওয়ার তথ্যটি পুরোপুরি সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, কিউএস বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং ২০২৩-এ উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে সেরা ৫০০-এর তালিকায় ভারতের ৪১, পাকিস্তানের ১১ ও বাংলাদেশের ২টি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট ও ঢাবি) জায়গা পেয়েছিল। ওই বছর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্ষেত্রে বুয়েটের অবস্থান ছিল ৩৩৫তম, স্কোর ছিল ৬৪ দশমিক ৪ স্কোর।
সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৪৫১–৫০০–এর মধ্যে।
অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় কিউএস বিষয়ভিত্তিক র্যাংকিংয়ে বুয়েটের অবস্থান ৩০ ধাপ এগিয়েছে। অন্যদিকে সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।
ওই বছর আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন, ন্যাচারাল সায়েন্সে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায়নি।
সারজিস আলমের বিয়ে উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ আরও অনেকেই বিয়ের ছবি প্রকাশ করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। এরই মধ্যে, সারজিস আলমের বিয়ের দৃশ্য—এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেভারতীয় গণমাধ্যম ‘জি ২৪ ঘণ্টা’ (Zee 24 Ghanta) একই তথ্যে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি একটি ছবি যুক্ত করেছে এবং জি ২৪ ঘণ্টার (Zee 24 Ghanta) ফেসবুক পেজেও ছবিটি প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ, ছবিটি দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
১ দিন আগেএটি বিশ্ব ইজতেমার ৫৮ তম আয়োজন। প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের তত্ত্বাবধানে অর্থাৎ মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা এবারের ইজতেমা পালন করছেন। আগামীকাল রোববার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই বছরের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরই মধ্যে, ২০২৫
১ দিন আগেভারতে তিনি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার দাবিতে এর আগে একাধিক ভিডিও ছড়ালে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এরই মধ্যে ভারত থেকে শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন—এমন দাবিতে আরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
৩ দিন আগে