ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সোশ্যাল মিডিয়ায় ড্রোন সদৃশ একটি বস্তুর ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ছবিটি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, এটি চীনের সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় পাওয়া যায় ২ হাজার বছরের পুরোনো ড্রোনের ছবি। ছবিটি নিয়ে ইংরেজি ভাষায় ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে বেশি পোস্ট হতে দেখা যায়। ক্রিস ঝাও ইনোভেশনস (Kris Zhao Innovations) নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ৬ মার্চ ছবিটি পোস্ট করা হয়। এতে আজ শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৬৫ হাজার রিয়েকশন পড়েছে। ছবিটি সাড়ে ৮ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে।
 বাংলা ভাষাভাষী বিজ্ঞান ভিত্তিক বেশ কিছু গ্রুপেও ছবিটি পোস্ট করে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ড্রোন সদৃশ বস্তুটি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ‘সাইকোলজি ও বিজ্ঞানের অজানা তথ্য’ নামের ৭ লাখ ২২ হাজার সদস্যের একটি গ্রুপে গতকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে কেএম মালেক রহমান নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় (Sanxingdui archaeological site) প্রায় ২০০০ বছর পুরোনো ড্রোনের মতো দেখতে এই আর্টিফ্যাক্টটি পাওয়া গেছে। এটা কী হতে পারে? সে সময় কি প্রযুক্তি আসলেই এতটা উন্নত ছিল?’
বাংলা ভাষাভাষী বিজ্ঞান ভিত্তিক বেশ কিছু গ্রুপেও ছবিটি পোস্ট করে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ড্রোন সদৃশ বস্তুটি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ‘সাইকোলজি ও বিজ্ঞানের অজানা তথ্য’ নামের ৭ লাখ ২২ হাজার সদস্যের একটি গ্রুপে গতকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে কেএম মালেক রহমান নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় (Sanxingdui archaeological site) প্রায় ২০০০ বছর পুরোনো ড্রোনের মতো দেখতে এই আর্টিফ্যাক্টটি পাওয়া গেছে। এটা কী হতে পারে? সে সময় কি প্রযুক্তি আসলেই এতটা উন্নত ছিল?’
আবার এক্সে (সাবেক টুইটার) কিছু ভারতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজে (সাবেক এলাহাবাদ) খননকালে ২ হাজার ১০০ বছরের পুরোনো ‘সনাতন’ ড্রোন পাওয়া গেছে। পৃথিবীর প্রাচীনতম ও আদি সভ্যতা আর্য সভ্যতা।
ড্রোন সদৃশ বস্তুটি আসলে কী?
গুগলে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ‘convomf’ নামের একটি ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) ছবিটি সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। হ্যান্ডলটিতে ছবিটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, চীনের সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে পাওয়া ২ হাজার বছর আগের ড্রোন দাবিতে প্রচারিত ছবিটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি।
চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইশিগুয়ায় প্রকাশিত ৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) প্ল্যাটফর্মটিতে পোস্ট করা হয়। ছবিটি সম্পর্কে ভিডিওটির ক্যাপশনে বেশ কিছু হ্যাশট্যাগ দিয়ে বলা হয়েছে, ব্রোঞ্জের তৈরি সানসিংদুই এয়ারক্রাফট। এটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি পুরোপুরি কাল্পনিক একটি সৃষ্টি। কেউ এটিকে দয়া করে সিরিয়াসলি নেবেন না! (চীনা ভাষা থেকে অনূদিত)।
ছবিটি আসলেই এআই দিয়ে তৈরি কি না তা যাচাই করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এআই ইমেজ শনাক্তকারী সাইট হাগিং ফেইসের মাধ্যমে ছবিটি যাচাই করে দেখা হয়। ওয়েবসাইটটির ফলাফল অনুযায়ী, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ। এআই ইমেজ শনাক্তকারী আরেকটি ওয়েবসাইট এআই অর নট থেকেও ছবিটি সম্পর্কে একই ফলাফল পাওয়া যায়। ছবিটি যাচাই করে ওয়েবসাইটটিতে ফলাফল হিসেবে বলা হয়েছে, ড্রোন সদৃশ বস্তুর ভাইরাল ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
 সাইটগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হতে সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে এমন কোনো বস্তু পাওয়া গেছে কি না তা খুঁজে দেখে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
সাইটগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হতে সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে এমন কোনো বস্তু পাওয়া গেছে কি না তা খুঁজে দেখে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। 
চীনের সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলি সূত্রে জানা যায়, সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি চীনের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশের গুয়াংহান শহরে অবস্থিত। এটি দেশটির ইয়াংজি নদীর অববাহিকায় অবস্থিত সবচেয়ে বড় প্রাগৈতিহাসিক শহরের ধ্বংসাবশেষ। ৩ হাজার ২০০ বছরেরও বেশি পুরোনো এই স্থান ১২ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত।
সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটির প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ১৯২৯ সালে এবং স্থানটিতে ১৯৩৪ সালে ডেভিড ক্রকেট গ্রাহাম নামে যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে প্রথম খনন করা হয়। তিনি সিচুয়ানের প্রাদেশিক রাজধানী চেংদুর একটি জাদুঘরের পরিচালকও ছিলেন। তবে পরবর্তীতে নানা কারণে স্থানটিতে খনন কাজ বাধাগ্রস্ত হয়।
পরে ১৯৮০–এর দশকে আবার খনন কাজ শুরু হয়। ওই সময় স্থানটি থেকে ১ হাজারের বেশি বিভিন্ন প্রত্নবস্তু উদ্ধার করা হয়। এসবের মধ্যে ছিল অসংখ্য ব্রোঞ্জের জিনিসপত্র, মূর্তি, মানুষের মুখোশ, প্রায় চার মিটার দৈর্ঘ্যের একটি গাছ। ধারণা করা হয়, এই গাছটিকে স্বর্গের সিঁড়ি হিসেবে উপাসনা করা হতো। স্থানটিতে ২০১৯–২০ সালেও খনন করা হয়। ওই সময় সিল্ক, সোনার মুখোশ, ব্রোঞ্জের তৈরি পাত্র, হাতির দাঁতসহ আরও ৫০০টির বেশি নিদর্শন পাওয়া যায়।
চায়না ডেইলির এই প্রতিবেদন থেকে এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের অনেকগুলো নিদর্শনের ছবিও পাওয়া যায়। এসব ছবির মধ্যে ড্রোন সদৃশ ভাইরাল ছবিটির মতো কোনো বস্তু দেখা যায়নি। চায়না ডেইলির প্রতিবেদনটিতেও এমন কোনো নিদর্শনের ইঙ্গিত নেই।
সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি থেকে পাওয়া প্রাচীন নিদর্শনগুলো নিয়ে ১৯৯২ সালের আগস্টে প্রতিষ্ঠিত হয় সানসিংদুই জাদুঘর। জাদুঘরটি ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। জাদুঘরটির ওয়েবসাইটেও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি থেকে ড্রোন সদৃশ ভাইরাল ছবিটির মতো কোনো বস্তুর অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওপেন সোর্স অনুসন্ধানেও জাদুঘরটির ভেতরের অনেকগুলো ছবি পাওয়া যায়। ওইসব ছবির মধ্যেও ড্রোন সদৃশ ভাইরাল ছবিটির মতো কোনো বস্তুর অস্তিত্ব নেই। যেমন, ওয়াং নিয়েনদং নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটির নিদর্শনের অনেকগুলো ছবি পাওয়া যায়।
অ্যাকাউন্টটির পরিচয় থেকে জানা যায়, এই অ্যাকাউন্টধারী সিচুয়ান ফাইন আর্টস ইনস্টিটিউটের একজন পেশাদার শিল্পী। ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর সানসিংদুই জাদুঘরে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটির নিদর্শনগুলোর ছবি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন তিনি। তাঁর পোস্টের ক্যাপশনে জাদুঘরে থাকা স্থানটির নিদর্শনের বর্ণনাতেও ড্রোনসদৃশ কোনো বস্তু সম্পর্কে তথ্য নেই। এ ছাড়া সংযুক্ত ছবিগুলোতেও এমন কোনো ছবি নেই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ড্রোন সদৃশ একটি বস্তুর ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ছবিটি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, এটি চীনের সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় পাওয়া যায় ২ হাজার বছরের পুরোনো ড্রোনের ছবি। ছবিটি নিয়ে ইংরেজি ভাষায় ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে বেশি পোস্ট হতে দেখা যায়। ক্রিস ঝাও ইনোভেশনস (Kris Zhao Innovations) নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ৬ মার্চ ছবিটি পোস্ট করা হয়। এতে আজ শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৬৫ হাজার রিয়েকশন পড়েছে। ছবিটি সাড়ে ৮ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে।
 বাংলা ভাষাভাষী বিজ্ঞান ভিত্তিক বেশ কিছু গ্রুপেও ছবিটি পোস্ট করে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ড্রোন সদৃশ বস্তুটি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ‘সাইকোলজি ও বিজ্ঞানের অজানা তথ্য’ নামের ৭ লাখ ২২ হাজার সদস্যের একটি গ্রুপে গতকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে কেএম মালেক রহমান নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় (Sanxingdui archaeological site) প্রায় ২০০০ বছর পুরোনো ড্রোনের মতো দেখতে এই আর্টিফ্যাক্টটি পাওয়া গেছে। এটা কী হতে পারে? সে সময় কি প্রযুক্তি আসলেই এতটা উন্নত ছিল?’
বাংলা ভাষাভাষী বিজ্ঞান ভিত্তিক বেশ কিছু গ্রুপেও ছবিটি পোস্ট করে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ড্রোন সদৃশ বস্তুটি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ‘সাইকোলজি ও বিজ্ঞানের অজানা তথ্য’ নামের ৭ লাখ ২২ হাজার সদস্যের একটি গ্রুপে গতকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে কেএম মালেক রহমান নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় (Sanxingdui archaeological site) প্রায় ২০০০ বছর পুরোনো ড্রোনের মতো দেখতে এই আর্টিফ্যাক্টটি পাওয়া গেছে। এটা কী হতে পারে? সে সময় কি প্রযুক্তি আসলেই এতটা উন্নত ছিল?’
আবার এক্সে (সাবেক টুইটার) কিছু ভারতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজে (সাবেক এলাহাবাদ) খননকালে ২ হাজার ১০০ বছরের পুরোনো ‘সনাতন’ ড্রোন পাওয়া গেছে। পৃথিবীর প্রাচীনতম ও আদি সভ্যতা আর্য সভ্যতা।
ড্রোন সদৃশ বস্তুটি আসলে কী?
গুগলে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ‘convomf’ নামের একটি ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) ছবিটি সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। হ্যান্ডলটিতে ছবিটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, চীনের সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে পাওয়া ২ হাজার বছর আগের ড্রোন দাবিতে প্রচারিত ছবিটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি।
চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইশিগুয়ায় প্রকাশিত ৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) প্ল্যাটফর্মটিতে পোস্ট করা হয়। ছবিটি সম্পর্কে ভিডিওটির ক্যাপশনে বেশ কিছু হ্যাশট্যাগ দিয়ে বলা হয়েছে, ব্রোঞ্জের তৈরি সানসিংদুই এয়ারক্রাফট। এটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি পুরোপুরি কাল্পনিক একটি সৃষ্টি। কেউ এটিকে দয়া করে সিরিয়াসলি নেবেন না! (চীনা ভাষা থেকে অনূদিত)।
ছবিটি আসলেই এআই দিয়ে তৈরি কি না তা যাচাই করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এআই ইমেজ শনাক্তকারী সাইট হাগিং ফেইসের মাধ্যমে ছবিটি যাচাই করে দেখা হয়। ওয়েবসাইটটির ফলাফল অনুযায়ী, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ। এআই ইমেজ শনাক্তকারী আরেকটি ওয়েবসাইট এআই অর নট থেকেও ছবিটি সম্পর্কে একই ফলাফল পাওয়া যায়। ছবিটি যাচাই করে ওয়েবসাইটটিতে ফলাফল হিসেবে বলা হয়েছে, ড্রোন সদৃশ বস্তুর ভাইরাল ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
 সাইটগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হতে সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে এমন কোনো বস্তু পাওয়া গেছে কি না তা খুঁজে দেখে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
সাইটগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হতে সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে এমন কোনো বস্তু পাওয়া গেছে কি না তা খুঁজে দেখে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। 
চীনের সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলি সূত্রে জানা যায়, সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি চীনের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশের গুয়াংহান শহরে অবস্থিত। এটি দেশটির ইয়াংজি নদীর অববাহিকায় অবস্থিত সবচেয়ে বড় প্রাগৈতিহাসিক শহরের ধ্বংসাবশেষ। ৩ হাজার ২০০ বছরেরও বেশি পুরোনো এই স্থান ১২ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত।
সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটির প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ১৯২৯ সালে এবং স্থানটিতে ১৯৩৪ সালে ডেভিড ক্রকেট গ্রাহাম নামে যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে প্রথম খনন করা হয়। তিনি সিচুয়ানের প্রাদেশিক রাজধানী চেংদুর একটি জাদুঘরের পরিচালকও ছিলেন। তবে পরবর্তীতে নানা কারণে স্থানটিতে খনন কাজ বাধাগ্রস্ত হয়।
পরে ১৯৮০–এর দশকে আবার খনন কাজ শুরু হয়। ওই সময় স্থানটি থেকে ১ হাজারের বেশি বিভিন্ন প্রত্নবস্তু উদ্ধার করা হয়। এসবের মধ্যে ছিল অসংখ্য ব্রোঞ্জের জিনিসপত্র, মূর্তি, মানুষের মুখোশ, প্রায় চার মিটার দৈর্ঘ্যের একটি গাছ। ধারণা করা হয়, এই গাছটিকে স্বর্গের সিঁড়ি হিসেবে উপাসনা করা হতো। স্থানটিতে ২০১৯–২০ সালেও খনন করা হয়। ওই সময় সিল্ক, সোনার মুখোশ, ব্রোঞ্জের তৈরি পাত্র, হাতির দাঁতসহ আরও ৫০০টির বেশি নিদর্শন পাওয়া যায়।
চায়না ডেইলির এই প্রতিবেদন থেকে এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের অনেকগুলো নিদর্শনের ছবিও পাওয়া যায়। এসব ছবির মধ্যে ড্রোন সদৃশ ভাইরাল ছবিটির মতো কোনো বস্তু দেখা যায়নি। চায়না ডেইলির প্রতিবেদনটিতেও এমন কোনো নিদর্শনের ইঙ্গিত নেই।
সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি থেকে পাওয়া প্রাচীন নিদর্শনগুলো নিয়ে ১৯৯২ সালের আগস্টে প্রতিষ্ঠিত হয় সানসিংদুই জাদুঘর। জাদুঘরটি ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। জাদুঘরটির ওয়েবসাইটেও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি থেকে ড্রোন সদৃশ ভাইরাল ছবিটির মতো কোনো বস্তুর অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওপেন সোর্স অনুসন্ধানেও জাদুঘরটির ভেতরের অনেকগুলো ছবি পাওয়া যায়। ওইসব ছবির মধ্যেও ড্রোন সদৃশ ভাইরাল ছবিটির মতো কোনো বস্তুর অস্তিত্ব নেই। যেমন, ওয়াং নিয়েনদং নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটির নিদর্শনের অনেকগুলো ছবি পাওয়া যায়।
অ্যাকাউন্টটির পরিচয় থেকে জানা যায়, এই অ্যাকাউন্টধারী সিচুয়ান ফাইন আর্টস ইনস্টিটিউটের একজন পেশাদার শিল্পী। ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর সানসিংদুই জাদুঘরে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটির নিদর্শনগুলোর ছবি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন তিনি। তাঁর পোস্টের ক্যাপশনে জাদুঘরে থাকা স্থানটির নিদর্শনের বর্ণনাতেও ড্রোনসদৃশ কোনো বস্তু সম্পর্কে তথ্য নেই। এ ছাড়া সংযুক্ত ছবিগুলোতেও এমন কোনো ছবি নেই।


বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৩ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ড্রোন সদৃশ একটি বস্তুর ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ছবিটি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, এটি চীনের সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় পাওয়া যায় ২ হাজার বছরের পুরোনো ড্রোনের ছবি। ছবিটি নিয়ে ইংরেজি ভাষায় ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে বেশি পোস্ট হতে দেখা যায়। ক্রিস ঝাও ইনোভ
০৯ মার্চ ২০২৪
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ড্রোন সদৃশ একটি বস্তুর ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ছবিটি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, এটি চীনের সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় পাওয়া যায় ২ হাজার বছরের পুরোনো ড্রোনের ছবি। ছবিটি নিয়ে ইংরেজি ভাষায় ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে বেশি পোস্ট হতে দেখা যায়। ক্রিস ঝাও ইনোভ
০৯ মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৩ দিন আগে
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বাসস

গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল বুধবার সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে নানা পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল এ দিনের সহিংস ঘটনার মনগড়া বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি সংগঠিত প্রোপাগান্ডা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আ. লীগপন্থীরা পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যা এদিনের সহিংসতার দৃশ্য বলে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মকভাবে আক্রমণ করছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক আহত কিশোরকে বহন করছে, পেছনে আগুন জ্বলছে এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ছবিটি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে-এই ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের একটি ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি বহুল প্রচারিত পোস্টে দেখা যায়, জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পোস্টে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পোস্টে তাঁরা উল্লেখ করেন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং এনসিপি নেতা-কর্মীদের উসকানিতে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা হলো, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের, যেখানে ডিবি কর্মকর্তা কনককে জনতার দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।’
জাকির হোসেন আরেকটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তিনিও দাবি করেন, এটি গোপালগঞ্জের আজকের সংঘর্ষের ফলাফল। তবে প্রেস উইং বলেছে, ‘তবে এই ছবিটিও ভিন্ন ঘটনার। ছবিটি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এক সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনার সময় তোলা হয়েছিল।’
একই ভুয়া প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়—যেখানে তাকে লাঠি হাতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, ছবিটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে তোলা এবং ওই শিশু নাকি সহিংসতায় অংশ নেয়। ছবিটি এই মিথ্যা বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের পর্যন্ত জড়ানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ছবির একটি ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) সংস্করণ শেয়ার করেন নিঝুম মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একজন অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে, শিশুর এই ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি, বরং গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। মূল ভিডিওটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিল।’
এসব বিভ্রান্তিকর ছবির পাশাপাশি, আওয়ামী লীগপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। প্রেস উইংয়ের মতে এসব ভুয়া প্রচারণা ও যাচাইকৃত সূত্রভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আজকের সহিংসতা শুরু হয় যখন গোপালগঞ্জ শহরে নির্ধারিত সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করে। এই আক্রমণ দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ছড়িয়ে টাইমলাইন ভরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।’

গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল বুধবার সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে নানা পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল এ দিনের সহিংস ঘটনার মনগড়া বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি সংগঠিত প্রোপাগান্ডা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আ. লীগপন্থীরা পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যা এদিনের সহিংসতার দৃশ্য বলে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মকভাবে আক্রমণ করছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক আহত কিশোরকে বহন করছে, পেছনে আগুন জ্বলছে এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ছবিটি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে-এই ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের একটি ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি বহুল প্রচারিত পোস্টে দেখা যায়, জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পোস্টে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পোস্টে তাঁরা উল্লেখ করেন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং এনসিপি নেতা-কর্মীদের উসকানিতে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা হলো, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের, যেখানে ডিবি কর্মকর্তা কনককে জনতার দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।’
জাকির হোসেন আরেকটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তিনিও দাবি করেন, এটি গোপালগঞ্জের আজকের সংঘর্ষের ফলাফল। তবে প্রেস উইং বলেছে, ‘তবে এই ছবিটিও ভিন্ন ঘটনার। ছবিটি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এক সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনার সময় তোলা হয়েছিল।’
একই ভুয়া প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়—যেখানে তাকে লাঠি হাতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, ছবিটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে তোলা এবং ওই শিশু নাকি সহিংসতায় অংশ নেয়। ছবিটি এই মিথ্যা বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের পর্যন্ত জড়ানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ছবির একটি ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) সংস্করণ শেয়ার করেন নিঝুম মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একজন অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে, শিশুর এই ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি, বরং গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। মূল ভিডিওটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিল।’
এসব বিভ্রান্তিকর ছবির পাশাপাশি, আওয়ামী লীগপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। প্রেস উইংয়ের মতে এসব ভুয়া প্রচারণা ও যাচাইকৃত সূত্রভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আজকের সহিংসতা শুরু হয় যখন গোপালগঞ্জ শহরে নির্ধারিত সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করে। এই আক্রমণ দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ছড়িয়ে টাইমলাইন ভরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।’


সোশ্যাল মিডিয়ায় ড্রোন সদৃশ একটি বস্তুর ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ছবিটি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, এটি চীনের সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় পাওয়া যায় ২ হাজার বছরের পুরোনো ড্রোনের ছবি। ছবিটি নিয়ে ইংরেজি ভাষায় ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে বেশি পোস্ট হতে দেখা যায়। ক্রিস ঝাও ইনোভ
০৯ মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৩ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।

রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ড্রোন সদৃশ একটি বস্তুর ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ছবিটি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, এটি চীনের সানসিংদুই প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় পাওয়া যায় ২ হাজার বছরের পুরোনো ড্রোনের ছবি। ছবিটি নিয়ে ইংরেজি ভাষায় ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে বেশি পোস্ট হতে দেখা যায়। ক্রিস ঝাও ইনোভ
০৯ মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৩ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫