ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
‘বিয়ে করার জন্য পাত্র খুঁজছেন তসলিমা নাসরিন’—এ রকম শিরোনামে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোর লিংক ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে।
একাধিক পোর্টালে খবরটি এলেও শিরোনাম ও প্রতিবেদনের ভেতরে দেওয়া তথ্য হুবহু এক।
তসলিমা নাসরিনকে কুখ্যাত ও ইসলামবিরোধী লেখক হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘এক টুইট বার্তায় তসলিমা নাসরিন জানিয়েছেন যে আর সিংগেল থাকা সম্ভব নয়, এখন একটা লাইফ পার্টনার প্রয়োজন।’
প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে, নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে তসলিমা নাসরিন বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে তসলিমা নাসরিনের অন্য আরেকটি বিষয়ে লেখা ফেসবুক স্ট্যাটাস হুবহু তুলে দেওয়া হয়েছে। শিরোনামের সঙ্গে এই স্ট্যাটাসের কোনো সম্পর্কই নেই। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বুধবার (১১ নভেম্বর) তিনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাসটি লিখেছিলেন। তবে সাল উল্লেখ করা হয়নি।
আওয়ার বাংলাদেশ বিডি, সিইউ লাইভ, নিউজএক্সপ্রেস২৪, অনলাইন নিউজ আপসহ বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনের সূত্র হিসেবে তসলিমা নাসরিনের টুইটার অ্যাকাউন্টের কথা উল্লেখ থাকায় সেই আইডির সাম্প্রতিক পোস্টগুলো অনুসন্ধান করা হয়। টুইটারে সম্প্রতি নিজের বিয়ের আগ্রহ জানিয়ে কোনো লেখা তসলিমা নাসরিন লিখেননি।
গুগলে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ২০২০ ও ২০২১ সালের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে একই শিরোনাম ও তথ্যসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
হুবহু এক শিরোনামে প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় আমেরিকা বাংলা, দুরবিন নিউজ, অ্যাকটিভ নিউজ, বাংলাবাজারসহ বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে।
তসলিমা নাসরিনের গত দুই বছরের টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অনুসন্ধান করে এ-সংক্রান্ত কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি। জাতীয় পর্যায়ের কোনো সংবাদমাধ্যমেও এ-সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে প্রতিবেদনগুলোর দ্বিতীয় অংশে তসলিমা নাসরিনের ‘ফেসবুক স্ট্যাটাস’ দাবি করে যা লেখা হয়েছে, তার সত্যতা পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর পরপর দুটি লেখা ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। ইসলাম ধর্মের নানা বিষয়কে উপহাস করে দেওয়া তাঁর সেই স্ট্যাটাস সে সময় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। দেখুন এখানে ও এখানে। তবে ওই প্রতিবেদনগুলোর শিরোনামের সঙ্গে ওই স্ট্যাটাস দুটির কোনো প্রাসঙ্গিকতাই নেই।
সিদ্ধান্ত
‘তসলিমা নাসরিন বিয়ে করার জন্য পাত্র খুঁজছেন’—দাবিটি অসত্য। বিয়ে করার আগ্রহ জানিয়ে কোনো টুইটার পোস্ট দেননি তিনি। ফেসবুকেও এমন কোনো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। জাতীয় পর্যায়ের কোনো সংবাদমাধ্যমেও এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।
পোর্টালগুলোতে প্রকাশিত শিরোনামের সঙ্গে প্রতিবেদনের কোনো সামঞ্জস্য নেই। এই পোর্টালগুলো আগেও এমন বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ওয়েবসাইটের ক্লিক বাড়ানোর কৌশল হিসেবে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর শিরোনাম বা ছবি ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায় এসব পোর্টালের মধ্যে।
এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন শেয়ার করার আগে পোর্টালের নাম ও ইউআরএল বার সম্পর্কে পাঠকের সচেতন থাকা জরুরি।
‘বিয়ে করার জন্য পাত্র খুঁজছেন তসলিমা নাসরিন’—এ রকম শিরোনামে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোর লিংক ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে।
একাধিক পোর্টালে খবরটি এলেও শিরোনাম ও প্রতিবেদনের ভেতরে দেওয়া তথ্য হুবহু এক।
তসলিমা নাসরিনকে কুখ্যাত ও ইসলামবিরোধী লেখক হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘এক টুইট বার্তায় তসলিমা নাসরিন জানিয়েছেন যে আর সিংগেল থাকা সম্ভব নয়, এখন একটা লাইফ পার্টনার প্রয়োজন।’
প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে, নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে তসলিমা নাসরিন বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে তসলিমা নাসরিনের অন্য আরেকটি বিষয়ে লেখা ফেসবুক স্ট্যাটাস হুবহু তুলে দেওয়া হয়েছে। শিরোনামের সঙ্গে এই স্ট্যাটাসের কোনো সম্পর্কই নেই। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বুধবার (১১ নভেম্বর) তিনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাসটি লিখেছিলেন। তবে সাল উল্লেখ করা হয়নি।
আওয়ার বাংলাদেশ বিডি, সিইউ লাইভ, নিউজএক্সপ্রেস২৪, অনলাইন নিউজ আপসহ বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনের সূত্র হিসেবে তসলিমা নাসরিনের টুইটার অ্যাকাউন্টের কথা উল্লেখ থাকায় সেই আইডির সাম্প্রতিক পোস্টগুলো অনুসন্ধান করা হয়। টুইটারে সম্প্রতি নিজের বিয়ের আগ্রহ জানিয়ে কোনো লেখা তসলিমা নাসরিন লিখেননি।
গুগলে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ২০২০ ও ২০২১ সালের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে একই শিরোনাম ও তথ্যসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
হুবহু এক শিরোনামে প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় আমেরিকা বাংলা, দুরবিন নিউজ, অ্যাকটিভ নিউজ, বাংলাবাজারসহ বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে।
তসলিমা নাসরিনের গত দুই বছরের টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অনুসন্ধান করে এ-সংক্রান্ত কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি। জাতীয় পর্যায়ের কোনো সংবাদমাধ্যমেও এ-সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে প্রতিবেদনগুলোর দ্বিতীয় অংশে তসলিমা নাসরিনের ‘ফেসবুক স্ট্যাটাস’ দাবি করে যা লেখা হয়েছে, তার সত্যতা পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর পরপর দুটি লেখা ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। ইসলাম ধর্মের নানা বিষয়কে উপহাস করে দেওয়া তাঁর সেই স্ট্যাটাস সে সময় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। দেখুন এখানে ও এখানে। তবে ওই প্রতিবেদনগুলোর শিরোনামের সঙ্গে ওই স্ট্যাটাস দুটির কোনো প্রাসঙ্গিকতাই নেই।
সিদ্ধান্ত
‘তসলিমা নাসরিন বিয়ে করার জন্য পাত্র খুঁজছেন’—দাবিটি অসত্য। বিয়ে করার আগ্রহ জানিয়ে কোনো টুইটার পোস্ট দেননি তিনি। ফেসবুকেও এমন কোনো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। জাতীয় পর্যায়ের কোনো সংবাদমাধ্যমেও এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।
পোর্টালগুলোতে প্রকাশিত শিরোনামের সঙ্গে প্রতিবেদনের কোনো সামঞ্জস্য নেই। এই পোর্টালগুলো আগেও এমন বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ওয়েবসাইটের ক্লিক বাড়ানোর কৌশল হিসেবে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর শিরোনাম বা ছবি ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায় এসব পোর্টালের মধ্যে।
এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন শেয়ার করার আগে পোর্টালের নাম ও ইউআরএল বার সম্পর্কে পাঠকের সচেতন থাকা জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করছেন—এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে পোস্ট করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও একই ভিডিও
১০ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জেলের ভেতরে মারা গেছেন—এই দাবিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন এক্স ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছে। কথিত ওই বিজ্ঞপ্তির ছবিতে পাকিস্তান সরকারের লোগো রয়েছে এবং প্রকাশের তারিখ ১০
১ দিন আগে‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তোলা প্রত্যেকটা দল একাত্তরবিরোধী শক্তি’, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্ধৃত করে এমন একটি বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। মির্জা ফখরুলের ছবি ও ওই বক্তব্যসংবলিত একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ফটোকার্ডে একটি বেসরকারি টেলিভিশন ও একটি জাতীয়
২ দিন আগেযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের একজন পাইলট ভারতের গুজরাটে বিমান বাহিনীর বিমানঘাঁটি ও ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার ধ্বংস করে নিরাপদে ফিরে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওতে সন্ধ্যার দিকে খোলা আকাশে দুটি যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়। একপর্যায়ে যুদ্ধবিমান থেকে একটি ভবন লক্ষ্য ক্ষেপণাস্ত্
২ দিন আগে