ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গণহত্যা চলছেই। গতকাল বৃহস্পতিবার আরও ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভের তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে।
এরই মধ্যে, দেশে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ ‘লাঠিচার্জ’ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে পুলিশকে রাস্তায় একদল বিক্ষোভকারীর ওপর জলকামান ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায় এবং লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের আটকাতে দেখা যায়।
ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
‘দুর্নীতি দুর্নীতি বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩১ মিনিটে পোস্ট করা ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তাহলে কোন ধর্মের এখন বুঝতে পারছেন। ফিলিস্তিনির পক্ষে প্রতিবাদ করায় মানুষদের উপরে পুলিশ দিয়ে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল গ্যাস নিক্ষেপ করাচ্ছে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টা পর্যন্ত ভিডিওটি ২০ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং পোস্টটিতে ১৪১টি রিঅ্যাকশন পড়েছে, ৩৭টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২০৫। পোস্টে কেউ কেউ এই ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করে কমেন্ট করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করেও মন্তব্য করেছেন। Azizul Hoque নামে অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘মুসলমানের পক্ষে প্রতিবাদ করা কেন কামান নিকেশ করছে এ সরকার অবৈধ ইসরাইলের পক্ষে।’(বানান অপরিবর্তিত)
Mizan Uddin, বাংলাদেশ প্রচার লীগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা ও রোজিনা আক্তার নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওটি যাচাই করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ভিডিওটিতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের লোগো রয়েছে। ঢাকা পোস্টের ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে ৭ এপ্রিল প্রকাশিত একই ভিডিও পাওয়া যায়। এটির ফুটেজের সঙ্গে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে পুলিশের অবস্থান, জলকামানের পানি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের দৃশ্য, রাস্তায় থাকা ব্যক্তিদের অবস্থানের সাদৃশ্য রয়েছে।
প্রতিবেদন থকে জানা যায়, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা বিভিন্ন দাবিতে মিছিল নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করলে পথিমধ্যে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়।
বিস্তারিত জানতে এসব তথ্যসূত্র গুগলে সার্চ করলে ঢাকা পোস্টের ওয়েবসাইটে ৭ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা চাকরিতে পুনর্বহাল করাসহ বিভিন্ন দাবিতে ৭ এপ্রিল দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হন। এ সময় শিক্ষাভবন এলাকায় পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। আন্দোলনকারীরা তখন রাস্তাতেই বসে পড়েন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে তাঁরা আবার সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয় এবং দুই পক্ষের উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন।
একই তথ্যে আজকের পত্রিকা, দৈনিক যুগান্তর ও বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে ৭ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ৭ এপ্রিলে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। তবে এসব বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়া কিংবা প্রতিরোধ করার কোনো তথ্য গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, দেশে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করার দাবিটি সত্য নয়। এই দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি সাবেক বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভের ঘটনা-সম্পর্কিত।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গণহত্যা চলছেই। গতকাল বৃহস্পতিবার আরও ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভের তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে।
এরই মধ্যে, দেশে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ ‘লাঠিচার্জ’ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে পুলিশকে রাস্তায় একদল বিক্ষোভকারীর ওপর জলকামান ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায় এবং লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের আটকাতে দেখা যায়।
ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
‘দুর্নীতি দুর্নীতি বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩১ মিনিটে পোস্ট করা ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তাহলে কোন ধর্মের এখন বুঝতে পারছেন। ফিলিস্তিনির পক্ষে প্রতিবাদ করায় মানুষদের উপরে পুলিশ দিয়ে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল গ্যাস নিক্ষেপ করাচ্ছে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টা পর্যন্ত ভিডিওটি ২০ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং পোস্টটিতে ১৪১টি রিঅ্যাকশন পড়েছে, ৩৭টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২০৫। পোস্টে কেউ কেউ এই ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করে কমেন্ট করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করেও মন্তব্য করেছেন। Azizul Hoque নামে অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘মুসলমানের পক্ষে প্রতিবাদ করা কেন কামান নিকেশ করছে এ সরকার অবৈধ ইসরাইলের পক্ষে।’(বানান অপরিবর্তিত)
Mizan Uddin, বাংলাদেশ প্রচার লীগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা ও রোজিনা আক্তার নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওটি যাচাই করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ভিডিওটিতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের লোগো রয়েছে। ঢাকা পোস্টের ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে ৭ এপ্রিল প্রকাশিত একই ভিডিও পাওয়া যায়। এটির ফুটেজের সঙ্গে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে পুলিশের অবস্থান, জলকামানের পানি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের দৃশ্য, রাস্তায় থাকা ব্যক্তিদের অবস্থানের সাদৃশ্য রয়েছে।
প্রতিবেদন থকে জানা যায়, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা বিভিন্ন দাবিতে মিছিল নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করলে পথিমধ্যে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়।
বিস্তারিত জানতে এসব তথ্যসূত্র গুগলে সার্চ করলে ঢাকা পোস্টের ওয়েবসাইটে ৭ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা চাকরিতে পুনর্বহাল করাসহ বিভিন্ন দাবিতে ৭ এপ্রিল দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হন। এ সময় শিক্ষাভবন এলাকায় পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। আন্দোলনকারীরা তখন রাস্তাতেই বসে পড়েন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে তাঁরা আবার সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয় এবং দুই পক্ষের উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন।
একই তথ্যে আজকের পত্রিকা, দৈনিক যুগান্তর ও বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে ৭ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ৭ এপ্রিলে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। তবে এসব বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়া কিংবা প্রতিরোধ করার কোনো তথ্য গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, দেশে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করার দাবিটি সত্য নয়। এই দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি সাবেক বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভের ঘটনা-সম্পর্কিত।
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
২ দিন আগেরাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
৫ দিন আগেবিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১৯ দিন আগেপটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নে এক তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবেও ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রাতের বেলা একজন তরুণীকে তিন থেকে চারজন পুরুষ মিলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। ওই তরুণী...
২০ দিন আগে