ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি ‘হাতে টানা রিকশার’ সঙ্গে এক হাস্যোজ্জ্বল তরুণীর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রিকশায় বসে আছেন এক বৃদ্ধ ব্যক্তি। দাবি করা হচ্ছে, বৃদ্ধ লোকটি ওই তরুণীর বাবা। ফেসবুকে আগেও এই ছবি ভাইরাল হয়েছিল।
পোস্টগুলোতে লেখা হচ্ছে, যে মেয়েটি রিকশা টানছেন, তিনি এবার ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস) পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। বাবার অক্লান্ত পরিশ্রমে তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তাই বাবাকে রিকশায় চড়িয়ে শহর প্রদক্ষিণ করছেন তিনি। একে বাবার ত্যাগের প্রতি মেয়ের কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা ও সম্মান জানানোর এক অভিনব প্রয়াস বলে উল্লেখ করা হচ্ছে পোস্টগুলোতে। তবে রিকশায় বসা বৃদ্ধ ব্যক্তি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন কি না, সেটি অবশ্য উল্লেখ করা হয়নি।
ফ্যাক্টচেক
উৎস সন্ধান করে ‘মিষ্টি অ্যান্ড মিট’ নামের একটি ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম আইডিতে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল ওই আইডিতে ছবিটি পোস্ট করা হয়। ইনস্টাগ্রামের ওই অ্যাকাউন্ট শ্রামণা পোদ্দারের। নিজেকে ‘ডিজিটাল ক্রিয়েটর’ পরিচয় দেন তিনি। ভ্রমণ বিষয়ে ‘ডিজিটাল স্টোরি’ তৈরি তাঁর মূল আগ্রহের জায়গা।
ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৮ সালে তিনি ইনস্টাগ্রাম আইডিতে ছবিটি পোস্ট করার পর থেকেই বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ ভাইরাল হয়। এর জেরে শ্রামণা পোদ্দার ওই পোস্টেই একটি ব্যাখ্যামূলক ক্যাপশন দেন।
ক্যাপশনে শ্রামণা লিখেছেন, ছোটবেলায় উত্তর কিংবা মধ্য কলকাতায় গেলে হাতে টানা রিকশা দেখতে পেতেন তিনি। রিকশাওয়ালাদের দেখলেই মনটা খারাপ হয়ে যেত। তাঁর ভাষায়, ‘কী পরিশ্রমটাই ওনারা করেন! তাই এবার কলকাতায় গিয়ে ভাবলাম নিজে একবার রিকশা টেনে দেখি। রিকশাওয়ালা কাকুকে বললাম পেছনে বসতে। কলকাতার শোভাবাজারের রাস্তায় ছবিটি তোলা হয়েছিল।’ ছবিটি তুলেছেন ভাস্কর নামের এক আলোকচিত্রী।
২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে শ্রামণা পোদ্দারের বক্তব্য পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘আমার ছবি নিয়ে ফেসবুকে এই মিথ্যা প্রচার সম্পর্কে আমি অবগত। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, এমনকি নিছক পরিচিতরা এই ছবি দেখে আমাকে ফোন করেছিল। আমি ও আমার পরিবার সত্যিই বিব্রত।’
অর্থাৎ, শখের বশে তোলা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিকর গল্পটি ছড়ানো হচ্ছে বেশ আগে থেকেই। সম্প্রতি এটি আবারও বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ ভাইরাল হয়েছে।
সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবিতে হাতে টানা রিকশার চালকের স্থানে থাকা তরুণী ও যাত্রীর বেশে বসে থাকা বৃদ্ধের সম্পর্ক পিতা-কন্যার নয়। মেয়েটি ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস) পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে—এই তথ্যও সত্য নয়। শ্রামণা পোদ্দার নামের এক ভারতীয় তরুণী নিতান্তই শখের বশে ছবিটি তুলেছিলেন।
সম্প্রতি ‘হাতে টানা রিকশার’ সঙ্গে এক হাস্যোজ্জ্বল তরুণীর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রিকশায় বসে আছেন এক বৃদ্ধ ব্যক্তি। দাবি করা হচ্ছে, বৃদ্ধ লোকটি ওই তরুণীর বাবা। ফেসবুকে আগেও এই ছবি ভাইরাল হয়েছিল।
পোস্টগুলোতে লেখা হচ্ছে, যে মেয়েটি রিকশা টানছেন, তিনি এবার ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস) পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। বাবার অক্লান্ত পরিশ্রমে তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তাই বাবাকে রিকশায় চড়িয়ে শহর প্রদক্ষিণ করছেন তিনি। একে বাবার ত্যাগের প্রতি মেয়ের কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা ও সম্মান জানানোর এক অভিনব প্রয়াস বলে উল্লেখ করা হচ্ছে পোস্টগুলোতে। তবে রিকশায় বসা বৃদ্ধ ব্যক্তি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন কি না, সেটি অবশ্য উল্লেখ করা হয়নি।
ফ্যাক্টচেক
উৎস সন্ধান করে ‘মিষ্টি অ্যান্ড মিট’ নামের একটি ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম আইডিতে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল ওই আইডিতে ছবিটি পোস্ট করা হয়। ইনস্টাগ্রামের ওই অ্যাকাউন্ট শ্রামণা পোদ্দারের। নিজেকে ‘ডিজিটাল ক্রিয়েটর’ পরিচয় দেন তিনি। ভ্রমণ বিষয়ে ‘ডিজিটাল স্টোরি’ তৈরি তাঁর মূল আগ্রহের জায়গা।
ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৮ সালে তিনি ইনস্টাগ্রাম আইডিতে ছবিটি পোস্ট করার পর থেকেই বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ ভাইরাল হয়। এর জেরে শ্রামণা পোদ্দার ওই পোস্টেই একটি ব্যাখ্যামূলক ক্যাপশন দেন।
ক্যাপশনে শ্রামণা লিখেছেন, ছোটবেলায় উত্তর কিংবা মধ্য কলকাতায় গেলে হাতে টানা রিকশা দেখতে পেতেন তিনি। রিকশাওয়ালাদের দেখলেই মনটা খারাপ হয়ে যেত। তাঁর ভাষায়, ‘কী পরিশ্রমটাই ওনারা করেন! তাই এবার কলকাতায় গিয়ে ভাবলাম নিজে একবার রিকশা টেনে দেখি। রিকশাওয়ালা কাকুকে বললাম পেছনে বসতে। কলকাতার শোভাবাজারের রাস্তায় ছবিটি তোলা হয়েছিল।’ ছবিটি তুলেছেন ভাস্কর নামের এক আলোকচিত্রী।
২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে শ্রামণা পোদ্দারের বক্তব্য পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘আমার ছবি নিয়ে ফেসবুকে এই মিথ্যা প্রচার সম্পর্কে আমি অবগত। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, এমনকি নিছক পরিচিতরা এই ছবি দেখে আমাকে ফোন করেছিল। আমি ও আমার পরিবার সত্যিই বিব্রত।’
অর্থাৎ, শখের বশে তোলা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিকর গল্পটি ছড়ানো হচ্ছে বেশ আগে থেকেই। সম্প্রতি এটি আবারও বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ ভাইরাল হয়েছে।
সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবিতে হাতে টানা রিকশার চালকের স্থানে থাকা তরুণী ও যাত্রীর বেশে বসে থাকা বৃদ্ধের সম্পর্ক পিতা-কন্যার নয়। মেয়েটি ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস) পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে—এই তথ্যও সত্য নয়। শ্রামণা পোদ্দার নামের এক ভারতীয় তরুণী নিতান্তই শখের বশে ছবিটি তুলেছিলেন।
দুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
২ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৩ দিন আগেকাছ থেকে টিভি দেখলে চোখের ক্ষতি হয় বলে ধারণা প্রচলিত আছে। এই কারণে বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানকে টেলিভিশনের খুব কাছাকাছি বসে দেখতে দেন না। কিন্তু এই ধারণার কি বাস্তব ভিত্তি আছে? এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে তা জানার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ
৪ দিন আগে