ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলতি মাসের শুরু থেকেই উত্তাল দেশ। এ আন্দোলনকে ঘিরে ঘটেছে সহিংসতা, ঝরেছে প্রাণ। আহতদের খোঁজখবর নিতে গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর এই পরিদর্শনের কিছু ছবি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও পোস্ট করা হয়। এর ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ জুলাই (শুক্রবার) বিকেলে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংসতায় আহতদের বর্তমান শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন।’
এই পোস্টের স্ক্রিনশটের সঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের পেজে পোস্ট করা প্রধানমন্ত্রীর ছবিগুলো ২০২১ সালের। তখনকার ছবিগুলোই গতকালের ছবি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। পলকের ফেসবুক পেজের স্ক্রিনশটটিতেও ২০২১ সালের ২ জুলাই তারিখ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিগুলো ২০২১ সালের নয়, গতকাল শুক্রবারের।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঢামেক পরিদর্শনের ছবিগুলো পোস্ট করার পর হুবহু একই ক্যাপশনে নিজের পেজে একই সংখ্যক ছবি পোস্ট করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। অপরদিকে জুনাইদ আহমেদ পলকের ফেসবুক পেজের যে স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে, সেটি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সেখানে কোনো ক্যাপশন নেই। স্ক্রিনশটটিতে প্রধানমন্ত্রীর ঢামেক পরিদর্শনের পাঁচটি ছবির সঙ্গে আরও ১২ হাজার ৯৭৭টি ছবির সংখ্যা দেখা যাচ্ছে।
এ নিয়ে যাচাইয়ে দেখা যায়, সংখ্যাটি মূলত পলকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘টাইমলাইন ফটোজ’ নামে অ্যালবামের সকল ছবির সংখ্যা। বর্তমানে তাঁর পেজে এই অ্যালবাম আর দেখা যাচ্ছে না। ভাইরাল ছবিটিতে ২০২১ সালের ২ জুলাইয়ের যে তারিখটি দেখা যাচ্ছে, সেটি মূলত অ্যালবামটি তৈরির তারিখ। ফেসবুকে ছবি আপলোড করার তারিখ নয়।
জুনাইদ আহমেদ পলক গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ঢামেক পরিদর্শনের যে ছবিগুলো পোস্ট করেছেন, সেগুলো এই অ্যালবামে যুক্ত হওয়ায় ছবিগুলো শুরুতেই দেখা যাচ্ছে এবং এর সঙ্গে আরও ১২ হাজার ৯৭৭টি ছবির সংখ্যা দেখা যাওয়ার অর্থ হচ্ছে, অ্যালবামটিতে এখন পর্যন্ত এতসংখ্যক ছবি যুক্ত করা হয়েছে।
সার্বিক বিশ্লেষণে এটি স্পষ্ট যে, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ফেসবুক পেজের অ্যালবামটি তৈরির তারিখ অর্থাৎ ২০২১ সালের ২ জুলাইকে প্রধানমন্ত্রীর ওই সময়ের ঢামেক পরিদর্শনের ঘটনার ছবি মনে করে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে দেখা যায়, তিনি শুক্রবার দিবাগত রাতে একটি পোস্টে জানান, তাঁর নামে রেমিট্যান্স না পাঠালে দেশে আসা বন্ধ করে দেওয়া হবে— এমন মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। এটি মিথ্যা তথ্য ও গুজব।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলতি মাসের শুরু থেকেই উত্তাল দেশ। এ আন্দোলনকে ঘিরে ঘটেছে সহিংসতা, ঝরেছে প্রাণ। আহতদের খোঁজখবর নিতে গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর এই পরিদর্শনের কিছু ছবি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও পোস্ট করা হয়। এর ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ জুলাই (শুক্রবার) বিকেলে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংসতায় আহতদের বর্তমান শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন।’
এই পোস্টের স্ক্রিনশটের সঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের পেজে পোস্ট করা প্রধানমন্ত্রীর ছবিগুলো ২০২১ সালের। তখনকার ছবিগুলোই গতকালের ছবি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। পলকের ফেসবুক পেজের স্ক্রিনশটটিতেও ২০২১ সালের ২ জুলাই তারিখ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিগুলো ২০২১ সালের নয়, গতকাল শুক্রবারের।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঢামেক পরিদর্শনের ছবিগুলো পোস্ট করার পর হুবহু একই ক্যাপশনে নিজের পেজে একই সংখ্যক ছবি পোস্ট করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। অপরদিকে জুনাইদ আহমেদ পলকের ফেসবুক পেজের যে স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে, সেটি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সেখানে কোনো ক্যাপশন নেই। স্ক্রিনশটটিতে প্রধানমন্ত্রীর ঢামেক পরিদর্শনের পাঁচটি ছবির সঙ্গে আরও ১২ হাজার ৯৭৭টি ছবির সংখ্যা দেখা যাচ্ছে।
এ নিয়ে যাচাইয়ে দেখা যায়, সংখ্যাটি মূলত পলকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘টাইমলাইন ফটোজ’ নামে অ্যালবামের সকল ছবির সংখ্যা। বর্তমানে তাঁর পেজে এই অ্যালবাম আর দেখা যাচ্ছে না। ভাইরাল ছবিটিতে ২০২১ সালের ২ জুলাইয়ের যে তারিখটি দেখা যাচ্ছে, সেটি মূলত অ্যালবামটি তৈরির তারিখ। ফেসবুকে ছবি আপলোড করার তারিখ নয়।
জুনাইদ আহমেদ পলক গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ঢামেক পরিদর্শনের যে ছবিগুলো পোস্ট করেছেন, সেগুলো এই অ্যালবামে যুক্ত হওয়ায় ছবিগুলো শুরুতেই দেখা যাচ্ছে এবং এর সঙ্গে আরও ১২ হাজার ৯৭৭টি ছবির সংখ্যা দেখা যাওয়ার অর্থ হচ্ছে, অ্যালবামটিতে এখন পর্যন্ত এতসংখ্যক ছবি যুক্ত করা হয়েছে।
সার্বিক বিশ্লেষণে এটি স্পষ্ট যে, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ফেসবুক পেজের অ্যালবামটি তৈরির তারিখ অর্থাৎ ২০২১ সালের ২ জুলাইকে প্রধানমন্ত্রীর ওই সময়ের ঢামেক পরিদর্শনের ঘটনার ছবি মনে করে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে দেখা যায়, তিনি শুক্রবার দিবাগত রাতে একটি পোস্টে জানান, তাঁর নামে রেমিট্যান্স না পাঠালে দেশে আসা বন্ধ করে দেওয়া হবে— এমন মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। এটি মিথ্যা তথ্য ও গুজব।
যুবলীগ নেতাকে গুলি চালানোর সময় এক নারী এসে সন্ত্রাসীদের তাড়া করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
২ দিন আগেবাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
৩ দিন আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৪ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৬ দিন আগে