রিক্তা রিচি, ঢাকা
শীতকাল। স্কুল-কলেজে পরীক্ষা শেষ, তাই বন্ধ। শীতে কাঁপতে কাঁপতে পরিবারের সবাই চলেছে গ্রামের বাড়ি। তার আগে কয়েক দিন ধরে মায়ের সে কী আয়োজন! সোয়েটার, মাফলার, মোজা, মোটা জামাসহ শীতের নতুন কাপড় কেনার ধুম পড়ে যেত। সারা বছর আত্মীয়স্বজন যাদের সঙ্গে দেখা হতো না, তাদের অনেকেই আসত এ সময়টাতে দেখা করার জন্য। খাওয়াদাওয়া, গানবাজনা, আড্ডা, দেখা-সাক্ষাৎ—সব মিলিয়ে সে এক বিরাট উৎসবের বিষয় ছিল বটে।
আমাদের ভ্রমণের গল্পটা মোটামুটি এ রকম। সময় বদলেছে। বদলেছে ভ্রমণের ধরন। তবে শীত এলেই বেরিয়ে পড়ার প্রবণতা আছে, কখনো দল বেঁধে, কখনো একা। আর আছে প্রস্তুতি। শীতে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তুতি।
যেমন হবে পোশাক
শীতের এই সময়ে পাহাড়ে ভ্রমণ আনন্দের। পাহাড়ে যেতে চাইলে দেশে পার্বত্য চট্টগ্রামই গন্তব্য। শীত পড়তে শুরু করেছে সেখানে। তাই বেড়াতে গেলে গরম কাপড় সঙ্গে নিন। তবে পাহাড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজন। পাহাড়ে যত কম ওজন নিয়ে যাওয়া যায়, ততই ভালো। তাই শীতের পোশাক হলেও সেগুলো যেন ওজনে কম হয়, সেটা মনে রাখবেন। অতিরিক্ত পোশাক না নিয়ে একটি, খুব বেশি হলে দুটি শীতের পোশাক এবং প্রয়োজনীয় জামাকাপড় সঙ্গে নিন। মোজা, মাফলার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস একাধিক নিতে পারেন। একটা হারিয়ে গেলে বা কোনো কারণে নষ্ট হলে বাড়তি পোশাক ব্যবহার করতে পারবেন। পাহাড়ে যাওয়ার আগে থাকার জায়গা ও গাইড আগে থেকে ঠিক করে নিন। পাহাড়ে অনেক জায়গায় যেতে অনুমতির দরকার হয়। অনুমতি ছাড়া কোথাও যাবেন না।
যদি ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে যান কিংবা যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে অল্প জামাকাপড় নিলে চলবে না। জ্যাকেট, চাদর, হুডি, শাল ইত্যাদি নিয়ে যাবেন। নয়তো শীতের প্রকোপে কুঁকড়ে যেতে পারেন। শিশুদের পোশাকের ব্যাপারে সচেতন থাকুন। পর্যাপ্ত গরম কাপড় নিন। সকাল ও সন্ধ্যায় ঠান্ডা তো হবেই, রাতের যেকোনো সময় তাপমাত্রা দ্রুত কমে যেতে পারে। গরম কাপড় না থাকলে সে সময় বিপদে পড়তে পারেন।
যদি সমুদ্রভ্রমণের ইচ্ছে থাকে, তাহলে শীতকে ভয় না পেলেও চলবে। সমুদ্রের দিকে কিংবা যেসব এলাকায় কম ঠান্ডা পড়ে, সেসব স্থানে গেলে অল্প পোশাকেও পার পেয়ে যাবেন। জ্যাকেট, হুডি ও এ-সংক্রান্ত ভারী পোশাক না নিলেও চলবে। তবে হ্যাঁ, যদি মাঘ মাসের দিকে সমুদ্রে যান, তাহলে ভারী পোশাক অবশ্যই নেবেন।
জুতা
শীতে ভ্রমণের সময় জুতা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গরমে স্যান্ডেল পরেই ঘুরতে চলে যাওয়া যায়, কিন্তু শীতে সেটা না করাই ভালো। কারণ একেক জায়গার তাপমাত্রা একেক রকম। তাই আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করাই ভালো শীতকালীন ভ্রমণে। পাহাড়ে বেড়াতে গেলে পরে নিন স্নিকার, রানার কিংবা পাহাড়ে ওঠার বিশেষ জুতা। শীতে সাগরে বেড়াতে গেলেও সঙ্গে নিতে পারেন সেগুলো। তবে হোটেল থেকে সমুদ্রের দিকে যাওয়ার পথে স্যান্ডেল নিয়ে যেতে হবে। উত্তরবঙ্গের দিকে বেড়াতে গেলে জুতা অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে। মোজা রাখবেন একাধিক জোড়া। রাতে ঘুমানোর সময় পরার জন্য বিশেষ ধরনের মোজা সঙ্গে রাখুন। আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেগুলো ব্যবহার করুন।
প্রসাধনী
শীতের হাওয়ায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। চামড়া টানটান হয়ে আসে। শীতকালে যেকোনো জায়গায় যাওয়ার আগে ব্যাগে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ক্রিম, স্নো, লোশন, লিপবাম ইত্যাদি রাখুন। ব্যাগে রাখুন তেল-শ্যাম্পুও। কারণ শীতে বাইরের ধুলোবালুতে চুল ও ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। চুল রুক্ষ হয়ে যায়।
প্রয়োজনীয় ওষুধ
শীতকালে বিভিন্ন অসুখ, বিশেষ করে ঠান্ডা, কাশি, জ্বর ইত্যাদি পিছু ছাড়তে চায় না। আবহাওয়াগত পরিবর্তন, যাত্রার ধকল এবং কম ঘুমের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তাই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ, মাথাব্যথার ট্যাবলেট, খাওয়ার স্যালাইন ইত্যাদি রাখুন। সঙ্গে রাখুন বিশুদ্ধ পানি ও ফ্ল্যাস্ক।
শীতকাল। স্কুল-কলেজে পরীক্ষা শেষ, তাই বন্ধ। শীতে কাঁপতে কাঁপতে পরিবারের সবাই চলেছে গ্রামের বাড়ি। তার আগে কয়েক দিন ধরে মায়ের সে কী আয়োজন! সোয়েটার, মাফলার, মোজা, মোটা জামাসহ শীতের নতুন কাপড় কেনার ধুম পড়ে যেত। সারা বছর আত্মীয়স্বজন যাদের সঙ্গে দেখা হতো না, তাদের অনেকেই আসত এ সময়টাতে দেখা করার জন্য। খাওয়াদাওয়া, গানবাজনা, আড্ডা, দেখা-সাক্ষাৎ—সব মিলিয়ে সে এক বিরাট উৎসবের বিষয় ছিল বটে।
আমাদের ভ্রমণের গল্পটা মোটামুটি এ রকম। সময় বদলেছে। বদলেছে ভ্রমণের ধরন। তবে শীত এলেই বেরিয়ে পড়ার প্রবণতা আছে, কখনো দল বেঁধে, কখনো একা। আর আছে প্রস্তুতি। শীতে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তুতি।
যেমন হবে পোশাক
শীতের এই সময়ে পাহাড়ে ভ্রমণ আনন্দের। পাহাড়ে যেতে চাইলে দেশে পার্বত্য চট্টগ্রামই গন্তব্য। শীত পড়তে শুরু করেছে সেখানে। তাই বেড়াতে গেলে গরম কাপড় সঙ্গে নিন। তবে পাহাড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজন। পাহাড়ে যত কম ওজন নিয়ে যাওয়া যায়, ততই ভালো। তাই শীতের পোশাক হলেও সেগুলো যেন ওজনে কম হয়, সেটা মনে রাখবেন। অতিরিক্ত পোশাক না নিয়ে একটি, খুব বেশি হলে দুটি শীতের পোশাক এবং প্রয়োজনীয় জামাকাপড় সঙ্গে নিন। মোজা, মাফলার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস একাধিক নিতে পারেন। একটা হারিয়ে গেলে বা কোনো কারণে নষ্ট হলে বাড়তি পোশাক ব্যবহার করতে পারবেন। পাহাড়ে যাওয়ার আগে থাকার জায়গা ও গাইড আগে থেকে ঠিক করে নিন। পাহাড়ে অনেক জায়গায় যেতে অনুমতির দরকার হয়। অনুমতি ছাড়া কোথাও যাবেন না।
যদি ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে যান কিংবা যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে অল্প জামাকাপড় নিলে চলবে না। জ্যাকেট, চাদর, হুডি, শাল ইত্যাদি নিয়ে যাবেন। নয়তো শীতের প্রকোপে কুঁকড়ে যেতে পারেন। শিশুদের পোশাকের ব্যাপারে সচেতন থাকুন। পর্যাপ্ত গরম কাপড় নিন। সকাল ও সন্ধ্যায় ঠান্ডা তো হবেই, রাতের যেকোনো সময় তাপমাত্রা দ্রুত কমে যেতে পারে। গরম কাপড় না থাকলে সে সময় বিপদে পড়তে পারেন।
যদি সমুদ্রভ্রমণের ইচ্ছে থাকে, তাহলে শীতকে ভয় না পেলেও চলবে। সমুদ্রের দিকে কিংবা যেসব এলাকায় কম ঠান্ডা পড়ে, সেসব স্থানে গেলে অল্প পোশাকেও পার পেয়ে যাবেন। জ্যাকেট, হুডি ও এ-সংক্রান্ত ভারী পোশাক না নিলেও চলবে। তবে হ্যাঁ, যদি মাঘ মাসের দিকে সমুদ্রে যান, তাহলে ভারী পোশাক অবশ্যই নেবেন।
জুতা
শীতে ভ্রমণের সময় জুতা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গরমে স্যান্ডেল পরেই ঘুরতে চলে যাওয়া যায়, কিন্তু শীতে সেটা না করাই ভালো। কারণ একেক জায়গার তাপমাত্রা একেক রকম। তাই আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করাই ভালো শীতকালীন ভ্রমণে। পাহাড়ে বেড়াতে গেলে পরে নিন স্নিকার, রানার কিংবা পাহাড়ে ওঠার বিশেষ জুতা। শীতে সাগরে বেড়াতে গেলেও সঙ্গে নিতে পারেন সেগুলো। তবে হোটেল থেকে সমুদ্রের দিকে যাওয়ার পথে স্যান্ডেল নিয়ে যেতে হবে। উত্তরবঙ্গের দিকে বেড়াতে গেলে জুতা অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে। মোজা রাখবেন একাধিক জোড়া। রাতে ঘুমানোর সময় পরার জন্য বিশেষ ধরনের মোজা সঙ্গে রাখুন। আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেগুলো ব্যবহার করুন।
প্রসাধনী
শীতের হাওয়ায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। চামড়া টানটান হয়ে আসে। শীতকালে যেকোনো জায়গায় যাওয়ার আগে ব্যাগে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ক্রিম, স্নো, লোশন, লিপবাম ইত্যাদি রাখুন। ব্যাগে রাখুন তেল-শ্যাম্পুও। কারণ শীতে বাইরের ধুলোবালুতে চুল ও ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। চুল রুক্ষ হয়ে যায়।
প্রয়োজনীয় ওষুধ
শীতকালে বিভিন্ন অসুখ, বিশেষ করে ঠান্ডা, কাশি, জ্বর ইত্যাদি পিছু ছাড়তে চায় না। আবহাওয়াগত পরিবর্তন, যাত্রার ধকল এবং কম ঘুমের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তাই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ, মাথাব্যথার ট্যাবলেট, খাওয়ার স্যালাইন ইত্যাদি রাখুন। সঙ্গে রাখুন বিশুদ্ধ পানি ও ফ্ল্যাস্ক।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪