Ajker Patrika

পরিযায়ী পাখির কলতান

মোহাম্মদ উজ্জ্বল, মহম্মদপুর (মাগুরা)
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৩৯
পরিযায়ী পাখির কলতান

দেখলে মনে হবে হাঁসের খামার। ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ হয়তো বড় পরিসরে হাঁসের খামার করেছেন। আসলে তা নয়। এসব ইউরোপ থেকে আসা পরিযায়ী পাখিদের মেলা। এ নৈসর্গিক দৃশ্য মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের ঘোপ বাঁওড়ের। এখন পাখির কলতানে ঘুম ভাঙে এ অঞ্চলের মানুষের।

উপজেলা সদরের ঘোপ বাঁওড়টি অতিথি পাখিদের নিরাপদ অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। কয়েক বছর আগেও অতিথি পাখি শিকার করে নিয়ে যেতো অসাধু একটি চক্র। দুই তিন বছর ধরে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও প্রচারণায় তা বন্ধ হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশাল এই জলাশয় (ঘাঁপ বাঁওড়) অতিথি পাখিদের ডানা মেলে উড়া, পানিতে ডুব দিয়ে আহার শিকার করা এবং কলকাকলির মনোরম সব দৃশ্য। যা এক কাব্যিক আবহ তৈরি করেছে।

এই অভয়ারণ্য মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে নানান শ্রেণি পেশার মানুষ প্রতিদিন আসছেন এখানে। আগত লোকজন দুর থেকে উপভোগ করছেন পাখির মিতালি ও মাতামাতি।

ভোরর আকাশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পানকৌড়ি ও হাঁস পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি উপজেলার সদরের এই ঘাঁপ বাঁওড়ে নামে। দল বেঁধে পানিতে চলে খাদ্যের সন্ধান। পানিতে টুপটাপ ডুব দিচ্ছে আর মনের আনন্দে শিকার করছে আহার। এ রকম ছুটোছুটি আর লুটোপুটি চলে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। কচুরিপানার ওপর বসে এসব পাখিদের বিশ্রাম নিতেও দেখা যায়।

ঘোঁপ বাঁওড় এলাকার বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘প্রতি বছর শীতের সময় অতিথি পাখিদের আগমনে মুখরিত থাকে ঘোপ বাঁওড়। শীত কমতে শুরু করলেই এসব পাখি আবার তাঁদের দেশে পাড়ি জমায়।’

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, ‘পরীযায়ী পাখিরা শুধু প্রকৃতির শোভা বর্ধনই করে না, ভারসাম্যও রক্ষা করে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অতিথি পাখির অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত