Ajker Patrika

দুই বছর পর প্রাণসঞ্চার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১৪: ০৮
দুই বছর পর প্রাণসঞ্চার

দুই বছর পর আবার চেনা রূপে ফিরেছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখন থেকে প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক—সব পর্যায়ে পুরোদমে চলবে পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উচ্ছ্বাস ও প্রাণচাঞ্চল্য।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: 
নওগাঁর মান্দায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয় শিক্ষার্থীরা। রাস্তাঘাটে তাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। শিক্ষার্থীসহ অনেক অভিভাবককেও দেখা গেছে তাঁদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে। দুই বছর পর সহপাঠীদের কাছে পেয়ে শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ছিল উচ্ছ্বাস ও হাসির ঝিলিক।

শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত 
বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে থাকে শিক্ষাঙ্গনের দুয়ার। সশরীর ক্লাস শুরু হয় মাধ্যমিক পর্যায়ে।

এরপর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। সবার পরে সশরীর ক্লাস শুরু হয়েছে প্রাথমিকে। করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীর ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে এক মাস।

গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার প্রসাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চকশ্যামরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়াপাড়া কামারকুড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, বুড়িদহ উচ্চবিদ্যালয়, কয়াপাড়া কামারকুড়ি উচ্চবিদ্যালয় ঘুরে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস ও প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেছে।

প্রসাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাধ্য সাহা ও মো. রাব্বি জানায়, ‘বিদ্যালয় আবার খুলে দেওয়া হবে এমন খবরে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেছি। সবাই মিলে একসঙ্গে ক্লাস করতে পারব। সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধুলা হবে, হইচই করব। অনেক মজা হবে।’

প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর স্কুল খুলে দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। শিশুদের আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্লাসে আগের মতো আবারও পাঠদান দিতে পারব ভেবে ভালো লাগছে।

এদিকে গতকাল সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখর চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। তবে পুরোদমে ক্লাস শুরু হওয়ায় বিদ্যালয়গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা উপেক্ষিত হয়েছে। জেলার বেশ কিছু বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, উচ্ছ্বাসে মেতেছে শিক্ষার্থীরা। তবে স্কুলে প্রবেশের আগে হাত ধোয়া বাধ্যতামূলক করেছেন শিক্ষকেরা।

শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, দুই বছর আগে যেভাবে ক্লাস নেওয়া হতো, সেভাবে নেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিন ক্লাসে ৮০ শতাংশের মতো শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলায় প্রায় ৭৫ শতাংশর বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। এ জেলায় মোট ৭০৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আর করোনা সংক্রমণ রোধে প্রতিটি স্কুলে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে নাটোরের লালপুরে প্রাক্‌-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, সব শ্রেণির ক্লাস শুরু হওয়ায় বিদ্যালয়ে প্রাণ ফিরেছে। এদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সব ক্লাস শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উল্লসিত হয়েছে।

লালপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাইরুজ ইমাম বলে, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে ক্লাস করতে ভালো লাগত না। এখন নিয়মিত ক্লাস শুরু হওয়ায় পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যাবে।

লালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসী বলেন, আনন্দমুখর পরিবেশে উপজেলার ১১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির পরিপূর্ণ ক্লাস শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত