Ajker Patrika

বিশ্বনাথের ৭ ইউনিয়নেই পানি

জামাল মিয়া, বিশ্বনাথ
আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, ১৫: ২২
Thumbnail image

ফের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি, রামপাশা খাজাঞ্চি, দৌলতপুর ও অলংকারি, দশঘর ও সদর ইউনিয়ন। সাতটি ইউনিয়নের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। খাজাঞ্চি রেলওয়ে স্টেশন, হাটবাজার ও সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। খাজাঞ্চি-কামালবাজার সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে খাজাঞ্চি সিলেট রেল যোগাযোগ। ফলে পানিবন্দী মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, ইউনিয়নের সব কটি গ্রাম বন্যায় পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষের বাড়ি-ঘরে পানি। এই ভয়াবহ অবস্থায় মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। পানিবন্দী মানুষের আশ্রয়ের জন্য চারটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ইতিমধ্যে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন।

খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী বলেন, ৫০ বছরের মধ্যে এত বড় বন্যা কখনো দেখিনি। রেল স্টেশনে পানি দেখা দূরের কথা আজ রেল স্টেশনটিও পানিতে তলিয়ে গেছে। আমার এখানে প্রাইমারি স্কুলগুলো নিচু তারপরও পানিবন্দী মানুষকে উঁচু বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলে রেখেছি। তিনি বলেন, ইউনিয়ন অফিসের দু’তলায় গরু-ছাগল রাখার জন্য বিভিন্ন গ্রামের মানুষকে বলে রেখেছি।

অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল বলেন, ইউনিয়নের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। বৃষ্টি ছাড়া পানি হে হে করে বাড়ছে। মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন, ‘আমি বন্যাকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। লামাকাজি ইউনিয়নের অবস্থা ভয়াবহ। পানিবন্দী মানুষকে প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খাজাঞ্চি, রামপাশা দৌলতপুর ও অলংকারি, সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত