Ajker Patrika

১৭ ইউপিতে প্রচার তুঙ্গে

ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ০৯
Thumbnail image

আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া, হালুয়াঘাটের ১৭ ইউপিতে। এসব স্থানে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে প্রচার। পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। তবে প্রচারণা চালাতে গিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধোবাউড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারের পোস্টারে ছেয়ে গেছে হাট-বাজার ও গ্রামগঞ্জ। গত ২৭ অক্টোবর প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন ইউপি চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। সন্ধ্যার পর করছেন পথসভা ও মিছিল বের করছেন।

প্রার্থীদের কর্মীরাও মানুষকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। ধোবাউড়ায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীসহ সাতটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ৩৯ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২ নম্বর গামারীতলা ইউনিয়নে।

উপজেলার মুন্সিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচার জমে উঠেছে। প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে বাজার।’ সদর ইউনিয়নের রমজান আলী বলেন, ‘প্রার্থীরা একে অপরের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করবে আশা করছি।’

এ বিষয়ে ধোবাউড়ার নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল রায়হান বলেন, ‘সব ইউনিয়নে নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি লক্ষ্য করা হচ্ছে। কেউ নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করতে গিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে হালুয়াঘাটে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ১০টি ইউনিয়নে তৈরি হয়েছে নির্বাচনী আমেজ। প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি।

গ্রামের বাজার ও মোড়ে মোড়ে তৈরি হচ্ছে সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচার ক্লাব। বাজার ও রাস্তার মোড় ছেয়ে গেছে পোস্টারে। নির্বাচন ঘিরে উপজেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে আগামী ১১ নভেম্বর ১০টি ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৫২ জনকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ১০ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন, জাকের পার্টির একজন, ইসলামী আন্দোলনের তিনজন এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪২ জন রয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১২৬ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৫০ জন প্রতীক পেয়েছেন।

বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, সমর্থকেরা নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ কেউ মোটরসাইকেল শোডাউন চালাচ্ছেন। আবার অনেক প্রার্থী সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে ভোট চাচ্ছেন। খাওয়ানো হচ্ছে পান, সুপারি আর চা। এ ছাড়া ক্লাবগুলোতে বাজানো হচ্ছে নির্বাচনী গান।

স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন এবং বিগত ইউপি নির্বাচনে এ রকম আমেজ ছিল না। এ বছর ইউপি নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় জমে উঠছে নির্বাচন। যতই দিন যাচ্ছে, ততই জমজমাট হচ্ছে প্রচার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক শিক্ষক বলেন, ‘এ বছর প্রতিটি ইউনিয়নে শুরু থেকে নির্বাচন জমে উঠেছে। নির্বাচনী প্রচারে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে। একজন প্রার্থী ১০০ মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রায় বের হলে প্রতিপক্ষ আরও বেশি নিয়ে বের হচ্ছেন।’

বিলডোরা ইউনিয়নের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী বলেন, ‘বিগত বছরগুলো চেয়ে এ বছর নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ বছর ইউনিয়নে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’

এ বিষয়ে রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জন কেনেথ রিছিল বলেন, ‘১০টি ইউনিয়নে এ বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে ৫২৮ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে কোনো ধরনের সহিংসতা যাতে না হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট থাকবে। এ ছাড়া নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত