খান রফিক, বরিশাল
বরিশাল জেলার আওতাধীন ইলিশের ষষ্ঠ অভয়াশ্রম ক্রমে হুমকির মুখে পড়ছে। প্রজনন মৌসুমে ইলিশের বিচরণ বেশি থাকায় জেলেরা হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ ঘেরা অভয়াশ্রমটিতে দেদার মা মাছ শিকার করছে।
মেঘনা, গজারিয়া, মাসকাটা, কালাবদর, তেঁতুলিয়া, আড়িয়াল খাঁ নিয়ে এ অভয়াশ্রম। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় এসব এলাকায় ক্রমে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন জেলেরা। চলমান নিষেধাজ্ঞায় অভয়াশ্রমের এমন সর্বনাশের নেপথ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ডজন মাছ ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি এবং অসাধু কর্মকর্তাদের দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নিষেধাজ্ঞা শুরুর পরপরই এ বছর মেঘনা ও এর শাখানদী জেলেদের দখলে চলে গেছে। নিষিদ্ধ ইলিশ নদীতীরে প্রকাশ্যে পাইকারি বেচাকেনা হচ্ছে। পরিবহনও হয় নির্বিঘ্নে। এসব নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তারা যে দায়িত্ব পালন করছেন, তা-ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে।
হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২২ দিনের জন্য ওই এলাকার প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীরা অসাধু মাঠ কর্মকর্তাদের জন্য বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেন। তাঁদের অনেকে মেম্বার-চেয়ারম্যানও; তাই ষষ্ঠ অভয়াশ্রমের নদ-নদী এক ডজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর দখলে চলে গেছে।
বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানান, তাঁরা ইলিশ রক্ষায় অভিযান করতে করতে ক্লান্ত। তাঁর মতে, যে পরিমাণ ইলিশ নদ-নদীতে প্রবেশ করছে, তার অর্ধেকও ডিম পাড়তে পারলে বড় ধরনের সফলতা আসবে। কিন্তু জেলে নামধারী দুষ্কৃতকারীরা নদীতে জাল টানতে শ্রমিক নামাচ্ছেন।
জানা গেছে, মেঘনা, কালাবদরে প্রশাসন অভিযানে গেলে হামলার জন্য নৌকায় মজুত রাখা হয় লাঠিসোঁটা ও ইট-পাথর। জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুটি স্পিডবোট সার্বক্ষণিক মেঘনায় টহল দেয়। জেলেদের কাছ থেকে সংগ্রহের পর রাতে নৌপথে শরীয়তপুর ও বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদে নিয়ে আসা হয় ইলিশ। সেখান থেকে বিক্রির জন্য সড়কপথে পাচার হয় রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়।
হিজলার জাতীয় ক্ষুদ্র জেলে সমিতির উপজেলা শাখার সভাপতি এনায়েত হোসেন বলেন, ইলিশ শিকার ও অভিযানকারী দলের ওপর কারা হামলা করাচ্ছে, সবই প্রশাসন জানে। তারপরও ব্যবস্থা নেয় না।
হিজলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ এম পারভেজ বলেন, গত বৃহস্পতিবার অভিযানকারী দল মেঘনার খালিশপুর পয়েন্টে বেপরোয়া হামলার শিকার হন। এরপরও সংঘবদ্ধ হয়ে চেষ্টা করছেন ইলিশ শিকার বন্ধে।
জাতীয় ক্ষুদ্র জেলে সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রায় সব চেয়ারম্যান-মেম্বার মাছঘাটের মালিক। তাঁরাই জেলেদের নদীতে নামাচ্ছেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার বলেন, প্রজনন মৌসুমে নদীতীরের প্রভাবশালীরা মা ইলিশ নিধন উৎসবে নামেন। অভয়াশ্রম এলাকায় জেলেদের নামাচ্ছে একশ্রেণির দুর্বৃত্ত। ইতিমধ্যে হামলাও হয়েছে হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে। তাদের প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খাদ্যসহায়তা ২০ কেজির স্থলে ২৫ কেজি করা হয়েছে।
বরিশাল জেলার আওতাধীন ইলিশের ষষ্ঠ অভয়াশ্রম ক্রমে হুমকির মুখে পড়ছে। প্রজনন মৌসুমে ইলিশের বিচরণ বেশি থাকায় জেলেরা হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ ঘেরা অভয়াশ্রমটিতে দেদার মা মাছ শিকার করছে।
মেঘনা, গজারিয়া, মাসকাটা, কালাবদর, তেঁতুলিয়া, আড়িয়াল খাঁ নিয়ে এ অভয়াশ্রম। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় এসব এলাকায় ক্রমে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন জেলেরা। চলমান নিষেধাজ্ঞায় অভয়াশ্রমের এমন সর্বনাশের নেপথ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ডজন মাছ ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি এবং অসাধু কর্মকর্তাদের দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নিষেধাজ্ঞা শুরুর পরপরই এ বছর মেঘনা ও এর শাখানদী জেলেদের দখলে চলে গেছে। নিষিদ্ধ ইলিশ নদীতীরে প্রকাশ্যে পাইকারি বেচাকেনা হচ্ছে। পরিবহনও হয় নির্বিঘ্নে। এসব নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তারা যে দায়িত্ব পালন করছেন, তা-ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে।
হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২২ দিনের জন্য ওই এলাকার প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীরা অসাধু মাঠ কর্মকর্তাদের জন্য বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেন। তাঁদের অনেকে মেম্বার-চেয়ারম্যানও; তাই ষষ্ঠ অভয়াশ্রমের নদ-নদী এক ডজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর দখলে চলে গেছে।
বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানান, তাঁরা ইলিশ রক্ষায় অভিযান করতে করতে ক্লান্ত। তাঁর মতে, যে পরিমাণ ইলিশ নদ-নদীতে প্রবেশ করছে, তার অর্ধেকও ডিম পাড়তে পারলে বড় ধরনের সফলতা আসবে। কিন্তু জেলে নামধারী দুষ্কৃতকারীরা নদীতে জাল টানতে শ্রমিক নামাচ্ছেন।
জানা গেছে, মেঘনা, কালাবদরে প্রশাসন অভিযানে গেলে হামলার জন্য নৌকায় মজুত রাখা হয় লাঠিসোঁটা ও ইট-পাথর। জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুটি স্পিডবোট সার্বক্ষণিক মেঘনায় টহল দেয়। জেলেদের কাছ থেকে সংগ্রহের পর রাতে নৌপথে শরীয়তপুর ও বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদে নিয়ে আসা হয় ইলিশ। সেখান থেকে বিক্রির জন্য সড়কপথে পাচার হয় রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়।
হিজলার জাতীয় ক্ষুদ্র জেলে সমিতির উপজেলা শাখার সভাপতি এনায়েত হোসেন বলেন, ইলিশ শিকার ও অভিযানকারী দলের ওপর কারা হামলা করাচ্ছে, সবই প্রশাসন জানে। তারপরও ব্যবস্থা নেয় না।
হিজলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ এম পারভেজ বলেন, গত বৃহস্পতিবার অভিযানকারী দল মেঘনার খালিশপুর পয়েন্টে বেপরোয়া হামলার শিকার হন। এরপরও সংঘবদ্ধ হয়ে চেষ্টা করছেন ইলিশ শিকার বন্ধে।
জাতীয় ক্ষুদ্র জেলে সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রায় সব চেয়ারম্যান-মেম্বার মাছঘাটের মালিক। তাঁরাই জেলেদের নদীতে নামাচ্ছেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার বলেন, প্রজনন মৌসুমে নদীতীরের প্রভাবশালীরা মা ইলিশ নিধন উৎসবে নামেন। অভয়াশ্রম এলাকায় জেলেদের নামাচ্ছে একশ্রেণির দুর্বৃত্ত। ইতিমধ্যে হামলাও হয়েছে হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে। তাদের প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খাদ্যসহায়তা ২০ কেজির স্থলে ২৫ কেজি করা হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪