সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি) ক্যাম্পাসে কোনো গলফ মাঠ নেই। কিন্তু কেনা হয়েছে গলফ মাঠে ব্যবহারযোগ্য দুটি গাড়ি। বিদেশি অতিথিদের ব্যবহারের কথা বলে কেনা এই গাড়িতে চড়ে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করেন পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা।
সীতাকুণ্ডের কুমিরায় অবস্থিত আইআইইউসির জন্য বিলাসী গলফ কার দুটি কেনা হয়েছে ১১ লাখ টাকায়। শুধু এ দুটি গাড়িই নয়, গত আড়াই বছরে উপাচার্য (ভিসি) ও উপ-উপাচার্যসহ (প্রো-ভিসি) দায়িত্বশীলদের জন্য ২ কোটি ৬৯ লাখ ১৪ হাজার ৪৩০ টাকার গাড়ি কেনা হয়েছে বলে হিসাব শাখার তথ্যে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ১০ হাজার টাকার ওপরে কেনাকাটার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক কোটেশন নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলে জানা গেছে। তা ছাড়া আগের উপাচার্যসহ কর্মকর্তাদের ব্যবহার করা গাড়ি পাল্টে নতুন করে গাড়ি কেনা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইআইইউসির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, কেনাকাটার ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকার ওপরে গেলে প্রতিযোগিতামূলক কোটেশনে যেতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা সরাসরি গাড়ি কিনেছেন, তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।
ক্যাম্পাসে গলফ মাঠ না থাকলেও দুটি গাড়ি কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মহি উদ্দীন বলেন, ‘পুরুষ ক্যাম্পাস থেকে মহিলা ক্যাম্পাসে যেতে শিক্ষকদের গাড়ির দরকার। তাই গলফ কার দুটি কেনা হয়েছে।’
তবে শিক্ষকদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করে বলেন, শিক্ষকদের জন্য আলাদা গাড়ি আছে। অনেকের ব্যক্তিগত গাড়িও আছে। এ ক্ষেত্রে গলফ কারের দরকার আছে বলে মনে হয় না।
আবার ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘গলফ কারগুলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইন্টারনাল যোগাযোগের জন্য কেনা হয়েছে। অনেক সময় বিদেশি ভিজিটররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসেন। তাঁদের যাতায়াত ও ঘোরাফেরার সুবিধার্থে গাড়িগুলো কেনা হয়েছে। আর ভিসি, প্রো-ভিসি স্যারের জন্য গাড়ি কেনা হয়েছে যথানিয়মে।’
সম্প্রতি একদিন ক্যাম্পাস সরেজমিনে দেখা গেছে, গলফ কার দুটি অধিকাংশ সময় গ্যারেজে পড়ে থাকে। মাঝেমধ্যে মো. মহি উদ্দীন বের করে ক্যাম্পাসে চক্কর দেন।
পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মো. মহি উদ্দীনের তত্ত্বাবধানেই ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গলফ কারগুলোসহ মোট ২ কোটি ৬৯ লাখ ১৪ হাজার ৪৩০ টাকার গাড়ি কেনা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের দামি গাড়িও রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকিউরমেন্ট শাখার পরিচালক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা তো নিয়ম মানার চেষ্টা করি। গলফ কার দুটি কেনা হয়েছে বিদেশি মেহমানদেরকে ক্যাম্পাসে ঘোরানোর জন্য। এগুলো ক্যাম্পাসে নতুনত্ব এনেছে।’
পরিবহন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মহি উদ্দীন সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আইআইইউসির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু রেজা মুহাম্মদ নদভী ও তাঁর স্ত্রী রিজিয়া রেজার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত তিনি।
চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি) ক্যাম্পাসে কোনো গলফ মাঠ নেই। কিন্তু কেনা হয়েছে গলফ মাঠে ব্যবহারযোগ্য দুটি গাড়ি। বিদেশি অতিথিদের ব্যবহারের কথা বলে কেনা এই গাড়িতে চড়ে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করেন পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা।
সীতাকুণ্ডের কুমিরায় অবস্থিত আইআইইউসির জন্য বিলাসী গলফ কার দুটি কেনা হয়েছে ১১ লাখ টাকায়। শুধু এ দুটি গাড়িই নয়, গত আড়াই বছরে উপাচার্য (ভিসি) ও উপ-উপাচার্যসহ (প্রো-ভিসি) দায়িত্বশীলদের জন্য ২ কোটি ৬৯ লাখ ১৪ হাজার ৪৩০ টাকার গাড়ি কেনা হয়েছে বলে হিসাব শাখার তথ্যে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ১০ হাজার টাকার ওপরে কেনাকাটার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক কোটেশন নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলে জানা গেছে। তা ছাড়া আগের উপাচার্যসহ কর্মকর্তাদের ব্যবহার করা গাড়ি পাল্টে নতুন করে গাড়ি কেনা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইআইইউসির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, কেনাকাটার ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকার ওপরে গেলে প্রতিযোগিতামূলক কোটেশনে যেতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাঁরা সরাসরি গাড়ি কিনেছেন, তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।
ক্যাম্পাসে গলফ মাঠ না থাকলেও দুটি গাড়ি কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মহি উদ্দীন বলেন, ‘পুরুষ ক্যাম্পাস থেকে মহিলা ক্যাম্পাসে যেতে শিক্ষকদের গাড়ির দরকার। তাই গলফ কার দুটি কেনা হয়েছে।’
তবে শিক্ষকদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করে বলেন, শিক্ষকদের জন্য আলাদা গাড়ি আছে। অনেকের ব্যক্তিগত গাড়িও আছে। এ ক্ষেত্রে গলফ কারের দরকার আছে বলে মনে হয় না।
আবার ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘গলফ কারগুলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইন্টারনাল যোগাযোগের জন্য কেনা হয়েছে। অনেক সময় বিদেশি ভিজিটররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসেন। তাঁদের যাতায়াত ও ঘোরাফেরার সুবিধার্থে গাড়িগুলো কেনা হয়েছে। আর ভিসি, প্রো-ভিসি স্যারের জন্য গাড়ি কেনা হয়েছে যথানিয়মে।’
সম্প্রতি একদিন ক্যাম্পাস সরেজমিনে দেখা গেছে, গলফ কার দুটি অধিকাংশ সময় গ্যারেজে পড়ে থাকে। মাঝেমধ্যে মো. মহি উদ্দীন বের করে ক্যাম্পাসে চক্কর দেন।
পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মো. মহি উদ্দীনের তত্ত্বাবধানেই ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গলফ কারগুলোসহ মোট ২ কোটি ৬৯ লাখ ১৪ হাজার ৪৩০ টাকার গাড়ি কেনা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের দামি গাড়িও রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকিউরমেন্ট শাখার পরিচালক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা তো নিয়ম মানার চেষ্টা করি। গলফ কার দুটি কেনা হয়েছে বিদেশি মেহমানদেরকে ক্যাম্পাসে ঘোরানোর জন্য। এগুলো ক্যাম্পাসে নতুনত্ব এনেছে।’
পরিবহন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মহি উদ্দীন সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আইআইইউসির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু রেজা মুহাম্মদ নদভী ও তাঁর স্ত্রী রিজিয়া রেজার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত তিনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১৮ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪