Ajker Patrika

দুই বছর পর এমন সাজ সাজ রব

ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি 
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২২, ১১: ৫২
দুই বছর পর এমন সাজ সাজ রব

সাজ সাজ রব বলতে যা বোঝায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণের পরিবেশ এখন ঠিক তাই। জয়নুল গ্যালারির সামনের চত্বরে নবীন আঁকিয়েরা এখন বেশ ব্যস্ত। গভীর মনোযোগে কেউ আঁকছেন জলরঙের ছবি, কেউ নকশা করছেন মাটির সরায়, কেউ কেউ বানাচ্ছেন বাহারি মুখোশ। টেপাপুতুল, ঘোড়া, ফুল, পেঁচা, মাছসহ নানা রকমের শিল্পকর্ম তৈরি করে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। লোকজন কিনতে আসছেন। এসব শিল্পকর্ম বিক্রির টাকা দিয়েই পয়লা বৈশাখের বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে।

লোকজ সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ ফুটে উঠছে শিল্পকর্মেবর্ষবরণের অন্যতম আকর্ষণ হলো ঢাবির চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা, যা ইতিমধ্যেই ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়নি। ২০২১ সালে হয়েছে সীমিত পরিসরে। তাই এবারের আয়োজন নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন আয়োজকেরা। মঙ্গল শোভাযাত্রা ১৪২৯ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনাকালে যা কিছু আমাদের জীবনকে মলিন করে দিয়েছে সেগুলো মুছে যাক। জীবন হোক নির্মল ও মঙ্গলময়। এবারে পয়লা বৈশাখেই এটাই আমাদের চাওয়া।’ এমন প্রত্যাশা থেকেই এবারের মূল প্রতিপাদ্য নেওয়া হয়েছে রজনীকান্ত সেনের গান থেকে ‘নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’।

মাটির সরায় মাছ-ময়ূর-পাখির মুখ, ফুল-লতাপাতাসহ নানা কিছু আঁকছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা এবারের আয়োজন সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন চারুকলা অনুষদের ২২ ও ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। প্রাচ্যকলা বিভাগের ২৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুপ্রিয় ঘোষ বলেন, ‘পয়লা বৈশাখের আগেই সব কাজ শেষ হবে। শিক্ষকেরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করছেন।’ সরেজমিন দেখা যায়, দেয়ালচিত্র ও রংতুলিসহ বিভিন্ন কাজে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন চারুকলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা। শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় চক্রবর্তী। আজকের পত্রিকাকে সঞ্জয় বলেন, ‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ছবি আঁকা ছিল মূলত বাংলার লোকজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরা, লোকজ সংস্কৃতির সেই চেতনা ধারণ করাই আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। এ কারণেই আমাদের পথচলা, ত্যাগ ও পরিশ্রম।’

এদিকে পয়লা বৈশাখে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে।

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন সফল করতে ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত