বরিশাল প্রতিনিধি
বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমাতপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মৃধা মুহাম্মদ আক্তার-উজ-জামান মিলন গত নির্বাচনে থানায় ঢুকে তখনকার ওসি মাহবুবর রহমানকে মারধরের দাবি করেছেন এক পথসভায়। এ সময় তিনি গতবারের নির্বাচনে হারার পেছনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে দায়ী করেন। মিলন সভায় জানান, বিএনপিও তাঁর সঙ্গে আছে।
গত বুধবার রাতে উপজেলার মীরগঞ্জ বাজারের রাজগুরু প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় ভোটারদের সামনে নৌকার প্রার্থী এবং বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার-উজ-জামান মিলনের এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। উল্লেখ্য, রহমতপুর ইউনিয়নে আগামীকাল ২৮ নভেম্বর ইভিএমে ভোট হবে।
পথসভায় নৌকার প্রার্থী মিলন বলেন, ‘আমি মুজিব কোট খুলে ওসির (তৎকালীন ওসি মাহবুবর রহমান) চেম্বারে গিয়ে তারে চেয়ারে বসিয়ে ৪ থেকে ৫টা কেনু দিছি ভাই। যে শালা তুই (ওসি) কীভাবে আমার ভোটটা ঘুরাও। সব কনস্টেবল আমার পক্ষে ছিল। তারা বলছে, স্যার আগেই বলছিলাম মিলন মেয়া কি জিনিস। সে থানায় আইয়া গুতাইবে। এহন গুতা খাইছেন?’
নৌকার প্রার্থীর এমন বক্তব্যে গোটা নির্বাচনী এলাকায় তোলপাড় ঘটছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওসিকে মারধরের কথা এভাবে প্রচার করেছেন। এটি নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে রহমতপুরের নৌকার প্রার্থী মিলনকে বলেন, ‘এর আগের নির্বাচনে আমার ভোট রাশেদ খান মেনন চুরি করে নিয়ে গেছে। বাবুগঞ্জের তৎকালীন ওসি মাহাবুব, সে গৌরনদীর জামাই ছিল। আমার ভোট ঘোরানোর জন্য ওসি নির্দেশ দিয়েছে। সে (ওসি) গত নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সরোয়ার মাহমুদের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন সেন্টারে আমার ভোট কেটেছে। সেন্টারে সেন্টারে গুলি করেছে।’
রহমতপুরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন মিয়া বলেন, নৌকার প্রার্থী ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন যেন ভোটাররা নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে না যান। তিনি শুধু ওসিকে মারধরের বক্তব্য দিয়েছেন এমন নয়, অন্যান্য উপজেলার চেয়ারম্যান, বহিরাগতদের এনে জড়ো করেছেন। সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতেই তার এ চেষ্টা। ওই ভিডিও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছি।
তবে নৌকার প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন সাংবাদিকদের জানান, গত নির্বাচনের সময় বাবুগঞ্জের তৎকালীন ওসি মাহাবুব তার তিনটি কেন্দ্রে গুলি করেছে। সেই তিনটি কেন্দ্রে তিনি বিজয়ী হতেন। তিনি বলেন, বক্তব্য আর বাস্তবতা এক না। থানার ওসিকে মারধরের ঘটনা সত্য নয়। তবে নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব নিয়ে তার কথা-কাটাকাটি হয়েছিল।
বাবুগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, গতবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী মিলন থানায় ঢুকে ওসিকে মারধর করেছেন এমন বক্তব্য শুনেছেন। তৎকালীন বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে তর্ক হয়েছিল।
ওসি আরও বলেন নৌকার প্রার্থী মিলন বেফাঁস কথা বলেন। নিজের ক্ষমতা জাহির করার জন্যই এমনটা করছেন। তারা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।’
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ওসিকে মারধর করার বক্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। তবে এটি পুলিশের বিষয়। কোনো প্রার্থী অভিযোগ করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমাতপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মৃধা মুহাম্মদ আক্তার-উজ-জামান মিলন গত নির্বাচনে থানায় ঢুকে তখনকার ওসি মাহবুবর রহমানকে মারধরের দাবি করেছেন এক পথসভায়। এ সময় তিনি গতবারের নির্বাচনে হারার পেছনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে দায়ী করেন। মিলন সভায় জানান, বিএনপিও তাঁর সঙ্গে আছে।
গত বুধবার রাতে উপজেলার মীরগঞ্জ বাজারের রাজগুরু প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় ভোটারদের সামনে নৌকার প্রার্থী এবং বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার-উজ-জামান মিলনের এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। উল্লেখ্য, রহমতপুর ইউনিয়নে আগামীকাল ২৮ নভেম্বর ইভিএমে ভোট হবে।
পথসভায় নৌকার প্রার্থী মিলন বলেন, ‘আমি মুজিব কোট খুলে ওসির (তৎকালীন ওসি মাহবুবর রহমান) চেম্বারে গিয়ে তারে চেয়ারে বসিয়ে ৪ থেকে ৫টা কেনু দিছি ভাই। যে শালা তুই (ওসি) কীভাবে আমার ভোটটা ঘুরাও। সব কনস্টেবল আমার পক্ষে ছিল। তারা বলছে, স্যার আগেই বলছিলাম মিলন মেয়া কি জিনিস। সে থানায় আইয়া গুতাইবে। এহন গুতা খাইছেন?’
নৌকার প্রার্থীর এমন বক্তব্যে গোটা নির্বাচনী এলাকায় তোলপাড় ঘটছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওসিকে মারধরের কথা এভাবে প্রচার করেছেন। এটি নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে রহমতপুরের নৌকার প্রার্থী মিলনকে বলেন, ‘এর আগের নির্বাচনে আমার ভোট রাশেদ খান মেনন চুরি করে নিয়ে গেছে। বাবুগঞ্জের তৎকালীন ওসি মাহাবুব, সে গৌরনদীর জামাই ছিল। আমার ভোট ঘোরানোর জন্য ওসি নির্দেশ দিয়েছে। সে (ওসি) গত নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সরোয়ার মাহমুদের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন সেন্টারে আমার ভোট কেটেছে। সেন্টারে সেন্টারে গুলি করেছে।’
রহমতপুরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন মিয়া বলেন, নৌকার প্রার্থী ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন যেন ভোটাররা নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে না যান। তিনি শুধু ওসিকে মারধরের বক্তব্য দিয়েছেন এমন নয়, অন্যান্য উপজেলার চেয়ারম্যান, বহিরাগতদের এনে জড়ো করেছেন। সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতেই তার এ চেষ্টা। ওই ভিডিও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছি।
তবে নৌকার প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন সাংবাদিকদের জানান, গত নির্বাচনের সময় বাবুগঞ্জের তৎকালীন ওসি মাহাবুব তার তিনটি কেন্দ্রে গুলি করেছে। সেই তিনটি কেন্দ্রে তিনি বিজয়ী হতেন। তিনি বলেন, বক্তব্য আর বাস্তবতা এক না। থানার ওসিকে মারধরের ঘটনা সত্য নয়। তবে নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব নিয়ে তার কথা-কাটাকাটি হয়েছিল।
বাবুগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, গতবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী মিলন থানায় ঢুকে ওসিকে মারধর করেছেন এমন বক্তব্য শুনেছেন। তৎকালীন বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে তর্ক হয়েছিল।
ওসি আরও বলেন নৌকার প্রার্থী মিলন বেফাঁস কথা বলেন। নিজের ক্ষমতা জাহির করার জন্যই এমনটা করছেন। তারা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।’
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ওসিকে মারধর করার বক্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। তবে এটি পুলিশের বিষয়। কোনো প্রার্থী অভিযোগ করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫