Ajker Patrika

ভাগাড়ের জায়গায় সবজি চাষ দেখে মুগ্ধ মানুষ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৪০
ভাগাড়ের জায়গায় সবজি চাষ দেখে মুগ্ধ মানুষ

মাদারীপুর খাগদী এলাকায় শেখ হাসিনা মহাসড়কের পাশে পুরোনো সেই ময়লার ভাগাড়ে এখন উঁকি দিচ্ছে নানান শাকসবজি। পৌরসভার ময়লার ভাগাড়টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ায় বদলে গেছে পুরো এলাকার পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দারা বছরজুড়ে এখানে চাষ করছেন লালশাক, পুঁইশাক, বেগুনসহ অন্য শাকসবজি।

জানা গেছে, মাদারীপুর পৌর-শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা আবর্জনা ফেলা হতো খাগদী এলাকার শেখ হাসিনা মহাসড়কের পাশে। ময়লার স্তূপ জমে ধীরে ধীরে হুমকির মুখে ছিল পুরো এলাকার পরিবেশ। ওই সড়কে চলাচল করা সাধারণ মানুষ ময়লার দুর্গন্ধে ছিল অতিষ্ঠ। বিশেষ করে দুর্গন্ধে এবং দূষণের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি ছিল চরমে। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষকে বাঁধা দিলে ময়লার ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এতে কয়েক বছরের ব্যবধানে বদলে যায় পুরো এলাকার পরিবেশ। ময়লার ভাগাড়ের ভেতরে ও আশপাশের ৬ শতাংশ জমিতে সারা বছরজুড়ে চাষ হচ্ছে নানা রকম শাকসবজি।

সরেজমিনে পুরোনো সেই ময়লার ভাগাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ময়লা আবর্জনার ছোট ছোট স্তূপ। তার মধ্যে উঁকি দিচ্ছে সবুজ শাকসবজির গাছ। দক্ষিণা বাতাসের আলতো ছোঁয়ায় দুলতে থাকা এই সবজি যে কারও চোখ জুড়াবে। মাত্র এক মাসেই কোনো প্রকার সার বা পরিচর্যা ছাড়াই অধিক ফলন হয়েছে সবজির। ময়লার ভাগাড়ের ওপর এমন সজীব সতেজ এই সবজি চাষ দেখে মুগ্ধ সাধারণ মানুষ। চাষ করা সবজি দিয়ে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি অংশ স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করছেন চাষিরা।

স্থানীয় বাসিন্দা রহিমন নেছা বলেন, ‘আগে ময়লার দুর্গন্ধে ঘরে থাকতে পারতাম না। পৌরসভার ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার পর এলাকার পরিবেশ বদলে গেছে। দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেয়েছে। সঙ্গে এই জমিতে গত কয়েক বছর ধরে সবজি চাষ করছি। কিছু খাওয়া হয়। আবার কিছু বাজারে বিক্রি করে থাকি। তাতে বাড়তি আয় হয়। এখানে ফলন ভালো হয়। কিন্তু গত বছর বৃষ্টির কারণে ফলন তেমন ভালো হয়নি।

এক পথচারী বলেন, ‘একটা সময় এখন দিয়ে চলার সময় ময়লার দুর্গন্ধে বমি আসত। ময়লার ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ায় পুরো এলাকার পরিবেশ অনেকটা স্বাভাবিক। তা ছাড়া পুরোনো ময়লার স্তূপের মধ্যে এমন শাকসবজির চাষ দেখে অবাক লাগছে।’

ময়লার ভাগাড়ে উৎপাদিত এই সবজি কতটা নিরাপদ তা জানাতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ‘এখানে যারা সবজি চাষ করছেন তাঁরা কোনো রাসায়নিক সার প্রয়োগ করছেন না। ময়লার ভাগাড়ের বর্জ্য পচে জৈব সারে পরিণত হয়েছে। ফলে গাছের ফলন ভালো হচ্ছে। কিন্তু একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যে, কারখানার ভারী কোনো ধাতব পদার্থ এখানে ফেলা হয়েছে কি না। কারণ সবজিতে মাত্রাতিরিক্ত ধাতব পদার্থ থাকলে তা থেকে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি কর্মচারীদের পদ-পদবি-বেতন কাঠামো নিয়ে পাল্টা অবস্থানে দুই পক্ষ

বাংলাদেশ এড়িয়ে সমুদ্রপথে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প ভারতের

মোহাম্মদপুরে আলোকচিত্রী ও জিগাতলায় শিক্ষার্থী খুন

নাম প্রস্তাবে আটকে আছে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’

নিয়োগে অনিয়ম প্রমাণিত, তবু শিক্ষককে যোগদানের চিঠি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত