সম্পাদকীয়
কারাগার সংশোধনাগার হওয়ার কথা থাকলেও আমাদের দেশে কারাগারগুলো আরও অপরাধী হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। ‘কারাগার সংস্কার: বাস্তবতা ও করণীয়’ এক কর্মশালা শনিবার কারা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে রোববার আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কারাগার সংস্কার নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হচ্ছে না। এখনো কারাগারগুলো চলছে আগের ধাঁচে। নানা অপরাধের শাস্তিস্বরূপ অপরাধীদের কারাগারে বন্দী করা হয়। কিন্তু কারাগারে তাঁদের নতুন সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। কারা কর্তৃপক্ষের আইনই সেখানে শেষ কথা। একজন আসামি সরকার প্রদত্ত যে ধরনের সুযোগ পাওয়ার কথা, তার ছিটেফোঁটাও পান না। এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা থাকলেও, তার কিছুই পান না বন্দীরা।
বলা হয়, টাকা ছাড়া সেখানে কিছুই মেলে না। আমাদের দেশে কারাগারগুলোর বড় সমস্যা হলো, এখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দীকে থাকতে হয়। ফলে আবাসন, টয়লেট, গোসলের সমস্যা থাকে। জানা গেছে, স্থান সংকুলানের অভাবে কোনো কোনো কারাগারে পালাক্রমে ঘুমাতে হয় বন্দীদের। যথাসময়ে মেলে না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। কিন্তু ভিআইপিরা রোগে আক্রান্ত না হয়েও হাসপাতালে দেদার থাকতে পারেন। সেটা কীভাবে হয়, তা নিয়েও আসলে আলোচনা হওয়া দরকার। কারাগারে খাবারের পরিমাণ ও মান নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। আবার কারা অভ্যন্তরে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নামে বন্দীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এক সরকারি হিসাব মতে, বর্তমানে সারা দেশে ছোট-বড় ৬৮টি কারাগার আছে। এর মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার। দুটি হাই সিকিউরিটি কারাগার। বাকি ৫৫টি কারাগার দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে অবস্থিত। সবকটি কারাগার মিলে বন্দীর ধারণক্ষমতার চেয়ে বন্দী আছেন দ্বিগুণের বেশি।
বিচারব্যবস্থার দুর্বলতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্নীতির কারণে অনেক নিরপরাধ মানুষ জেলবন্দী থাকতে বাধ্য হন। অপরাধী না হয়েও দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী জীবনযাপন করছে কয়েক শ শিশু। কারাগারে বন্দী থাকা মায়েদের সঙ্গে তাদের রাখা হয়েছে। কিন্তু বন্দী জীবনযাপন করায় রুদ্ধ হচ্ছে তাদের মানসিক বিকাশ।
কারাগারগুলো এখনো ১৮৬০ সালের জেল কোড ও আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এসব আইন ব্রিটিশ শাসনের সময় তৈরি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরেও আইনগুলো সংশোধন ও সংস্কার করা হয়নি।
বাংলাদেশে কারাগারগুলো সংশোধনমূলক ব্যবস্থার ওপরে গড়ে ওঠার কথা থাকলেও এখনো তা সংশোধনাগার হয়ে ওঠেনি। কারাসংক্রান্ত বিধানগুলো শত বছরের বেশি পুরোনো। এমন পরিস্থিতিতে পুনর্বাসন কার্যক্রমের সমন্বয় করে কারাব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ ও বাস্তবসম্মত করা দরকার। এ জন্য কারাসংক্রান্ত পুরোনো আইন বাতিল করে সংস্কার কিংবা পরিবর্তন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এখন যখন সব ক্ষেত্রে সংস্কারের আওয়াজ উঠেছে, তখন কারাব্যবস্থা কেন বাদ থাকবে? যুগোপযোগী সংস্কারের কাজটি দ্রুত শুরু হোক।
কারাগার সংশোধনাগার হওয়ার কথা থাকলেও আমাদের দেশে কারাগারগুলো আরও অপরাধী হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। ‘কারাগার সংস্কার: বাস্তবতা ও করণীয়’ এক কর্মশালা শনিবার কারা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে রোববার আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কারাগার সংস্কার নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হচ্ছে না। এখনো কারাগারগুলো চলছে আগের ধাঁচে। নানা অপরাধের শাস্তিস্বরূপ অপরাধীদের কারাগারে বন্দী করা হয়। কিন্তু কারাগারে তাঁদের নতুন সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। কারা কর্তৃপক্ষের আইনই সেখানে শেষ কথা। একজন আসামি সরকার প্রদত্ত যে ধরনের সুযোগ পাওয়ার কথা, তার ছিটেফোঁটাও পান না। এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা থাকলেও, তার কিছুই পান না বন্দীরা।
বলা হয়, টাকা ছাড়া সেখানে কিছুই মেলে না। আমাদের দেশে কারাগারগুলোর বড় সমস্যা হলো, এখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দীকে থাকতে হয়। ফলে আবাসন, টয়লেট, গোসলের সমস্যা থাকে। জানা গেছে, স্থান সংকুলানের অভাবে কোনো কোনো কারাগারে পালাক্রমে ঘুমাতে হয় বন্দীদের। যথাসময়ে মেলে না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। কিন্তু ভিআইপিরা রোগে আক্রান্ত না হয়েও হাসপাতালে দেদার থাকতে পারেন। সেটা কীভাবে হয়, তা নিয়েও আসলে আলোচনা হওয়া দরকার। কারাগারে খাবারের পরিমাণ ও মান নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। আবার কারা অভ্যন্তরে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নামে বন্দীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এক সরকারি হিসাব মতে, বর্তমানে সারা দেশে ছোট-বড় ৬৮টি কারাগার আছে। এর মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার। দুটি হাই সিকিউরিটি কারাগার। বাকি ৫৫টি কারাগার দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে অবস্থিত। সবকটি কারাগার মিলে বন্দীর ধারণক্ষমতার চেয়ে বন্দী আছেন দ্বিগুণের বেশি।
বিচারব্যবস্থার দুর্বলতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্নীতির কারণে অনেক নিরপরাধ মানুষ জেলবন্দী থাকতে বাধ্য হন। অপরাধী না হয়েও দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী জীবনযাপন করছে কয়েক শ শিশু। কারাগারে বন্দী থাকা মায়েদের সঙ্গে তাদের রাখা হয়েছে। কিন্তু বন্দী জীবনযাপন করায় রুদ্ধ হচ্ছে তাদের মানসিক বিকাশ।
কারাগারগুলো এখনো ১৮৬০ সালের জেল কোড ও আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এসব আইন ব্রিটিশ শাসনের সময় তৈরি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরেও আইনগুলো সংশোধন ও সংস্কার করা হয়নি।
বাংলাদেশে কারাগারগুলো সংশোধনমূলক ব্যবস্থার ওপরে গড়ে ওঠার কথা থাকলেও এখনো তা সংশোধনাগার হয়ে ওঠেনি। কারাসংক্রান্ত বিধানগুলো শত বছরের বেশি পুরোনো। এমন পরিস্থিতিতে পুনর্বাসন কার্যক্রমের সমন্বয় করে কারাব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ ও বাস্তবসম্মত করা দরকার। এ জন্য কারাসংক্রান্ত পুরোনো আইন বাতিল করে সংস্কার কিংবা পরিবর্তন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এখন যখন সব ক্ষেত্রে সংস্কারের আওয়াজ উঠেছে, তখন কারাব্যবস্থা কেন বাদ থাকবে? যুগোপযোগী সংস্কারের কাজটি দ্রুত শুরু হোক।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪