আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
অবসাদগ্রস্ত, মানসিকভাবে অসুস্থ ও ভারসাম্যহীন পুলিশ সদস্যদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দিতে নিষেধ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। এমন সদস্যদের নিরস্ত্র দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে। সদস্যদের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যা শুনে সমাধানের ব্যবস্থার পাশাপাশি দ্রুত চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অপারেশনস) নাসিয়ান ওয়াজেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গত মঙ্গলবার এসবসহ ১৯ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এটি ইতিমধ্যে পুলিশের সব ইউনিট ও বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রতিটি বিভাগের প্রধান পুলিশ সদস্যদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ বক্সের কাছে ৮ জুন রাতে কনস্টেবল কাওছার আলীর সাবমেশিনগানের গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল হক নিহত হওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর এ নির্দেশনা দিল। তাঁরা দুজনেই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কাওছার রিমান্ডে রয়েছেন।
কাওছারের পরিবারের দাবি, তিনি মানসিক রোগী। তিনি একবার পাবনার একটি বেসরকারি মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে এবং একবার ঢাকার মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পুলিশের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম সব সময় চলমান। এরপরও নতুন কোনো বিভাগ বা ইউনিট হলে সেখানেও এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলবে। তিনি বলেন, ‘অনেক পদক্ষেপ নেওয়ার পরও কিছু ঘটনা ঘটে। এগুলো বিচ্ছিন্ন। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।’
পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অসুস্থ ও মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত সদস্যদের নিরস্ত্রভাবে দায়িত্বে নিয়োজিত করতে হবে। কোনো পুলিশ সদস্য মানসিক অবসাদগ্রস্ত বা ভারসাম্যহীন হলে তাঁকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে পাঠাতে হবে। তাঁদের ডিউটি দেওয়ার আগে পর্যাপ্ত বিশ্রামের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে ব্রিফিং করতে হবে, যাতে তাঁরা যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে পারেন। পুলিশ সদস্যদের শারীরিক, স্বাস্থ্যগত এবং মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে ঊর্ধ্বতন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তদারকি জোরদার করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পুলিশ সদস্যদের ডিউটিতে মোতায়েনের আগে করণীয়, বর্জনীয় এবং শৃঙ্খলার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্রিফ করবেন। ডিউটি পোস্টে দায়িত্ব পালনকালে জনসাধারণ ও সহকর্মীর সঙ্গে সহযোগিতা, সহনশীলতা ও পেশাদারত্বপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাঁর এলাকায় শিফটভিত্তিক পরিদর্শন ও ডিউটি রেজিস্টারে মন্তব্য লিখবেন।
পুলিশ সদস্যদের আবাসন সমস্যার সমাধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো পুলিশ সদস্যের ঘুম ও বিশ্রামে ব্যাঘাত না ঘটে। নির্দেশনায় মেট্রোপলিটন ও বিশেষায়িত ইউনিটের ন্যূনতম পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন এবং জেলাপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে আবাসন এবং ব্যারাকের সার্বিক শৃঙ্খলার বিষয়টি পরিদর্শন করতে ও আবাসন-সংক্রান্ত সব সমস্যা সমাধান করতে বলা হয়েছে।
সদর দপ্তরের ওই চিঠিতে প্রতি সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যা শুনতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়মিত শুনানি করতে ও সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রতি সন্ধ্যায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রোলকল করতে বলা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা ডিউটিভিত্তিক অস্ত্র পাবেন, স্থায়ীভাবে কাউকে বা কারও নামে অস্ত্র ইস্যু করা যাবে না। ডিউটি শেষে প্রত্যেককে অস্ত্রাগারে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিতে হবে।
নির্দেশনায় পুলিশ সদস্যদের বেতন, ভাতা, ব্যারাক ও আবাসনস্থলের স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, মানসম্মত খাবার, বিশুদ্ধ পানি, রেশন ও চিকিৎসাসহ সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রতি ইউনিটে নিয়মিত কল্যাণ প্যারেড আয়োজন করতে হবে। অসুস্থ সদস্যদের দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য আলাদা রাখার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে ইউনিট প্রধানকে।
অবসাদগ্রস্ত, মানসিকভাবে অসুস্থ ও ভারসাম্যহীন পুলিশ সদস্যদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দিতে নিষেধ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। এমন সদস্যদের নিরস্ত্র দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে। সদস্যদের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যা শুনে সমাধানের ব্যবস্থার পাশাপাশি দ্রুত চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অপারেশনস) নাসিয়ান ওয়াজেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গত মঙ্গলবার এসবসহ ১৯ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এটি ইতিমধ্যে পুলিশের সব ইউনিট ও বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রতিটি বিভাগের প্রধান পুলিশ সদস্যদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ বক্সের কাছে ৮ জুন রাতে কনস্টেবল কাওছার আলীর সাবমেশিনগানের গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল হক নিহত হওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর এ নির্দেশনা দিল। তাঁরা দুজনেই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কাওছার রিমান্ডে রয়েছেন।
কাওছারের পরিবারের দাবি, তিনি মানসিক রোগী। তিনি একবার পাবনার একটি বেসরকারি মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে এবং একবার ঢাকার মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পুলিশের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম সব সময় চলমান। এরপরও নতুন কোনো বিভাগ বা ইউনিট হলে সেখানেও এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলবে। তিনি বলেন, ‘অনেক পদক্ষেপ নেওয়ার পরও কিছু ঘটনা ঘটে। এগুলো বিচ্ছিন্ন। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।’
পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অসুস্থ ও মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত সদস্যদের নিরস্ত্রভাবে দায়িত্বে নিয়োজিত করতে হবে। কোনো পুলিশ সদস্য মানসিক অবসাদগ্রস্ত বা ভারসাম্যহীন হলে তাঁকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে পাঠাতে হবে। তাঁদের ডিউটি দেওয়ার আগে পর্যাপ্ত বিশ্রামের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে ব্রিফিং করতে হবে, যাতে তাঁরা যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে পারেন। পুলিশ সদস্যদের শারীরিক, স্বাস্থ্যগত এবং মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে ঊর্ধ্বতন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তদারকি জোরদার করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পুলিশ সদস্যদের ডিউটিতে মোতায়েনের আগে করণীয়, বর্জনীয় এবং শৃঙ্খলার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্রিফ করবেন। ডিউটি পোস্টে দায়িত্ব পালনকালে জনসাধারণ ও সহকর্মীর সঙ্গে সহযোগিতা, সহনশীলতা ও পেশাদারত্বপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাঁর এলাকায় শিফটভিত্তিক পরিদর্শন ও ডিউটি রেজিস্টারে মন্তব্য লিখবেন।
পুলিশ সদস্যদের আবাসন সমস্যার সমাধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো পুলিশ সদস্যের ঘুম ও বিশ্রামে ব্যাঘাত না ঘটে। নির্দেশনায় মেট্রোপলিটন ও বিশেষায়িত ইউনিটের ন্যূনতম পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন এবং জেলাপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে আবাসন এবং ব্যারাকের সার্বিক শৃঙ্খলার বিষয়টি পরিদর্শন করতে ও আবাসন-সংক্রান্ত সব সমস্যা সমাধান করতে বলা হয়েছে।
সদর দপ্তরের ওই চিঠিতে প্রতি সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যা শুনতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়মিত শুনানি করতে ও সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রতি সন্ধ্যায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রোলকল করতে বলা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা ডিউটিভিত্তিক অস্ত্র পাবেন, স্থায়ীভাবে কাউকে বা কারও নামে অস্ত্র ইস্যু করা যাবে না। ডিউটি শেষে প্রত্যেককে অস্ত্রাগারে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিতে হবে।
নির্দেশনায় পুলিশ সদস্যদের বেতন, ভাতা, ব্যারাক ও আবাসনস্থলের স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, মানসম্মত খাবার, বিশুদ্ধ পানি, রেশন ও চিকিৎসাসহ সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রতি ইউনিটে নিয়মিত কল্যাণ প্যারেড আয়োজন করতে হবে। অসুস্থ সদস্যদের দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য আলাদা রাখার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে ইউনিট প্রধানকে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪