Ajker Patrika

বাড়ছে গোখাদ্যের দাম ক্ষতিতে কমছে খামার

মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
আপডেট : ৩১ মে ২০২২, ১৩: ১৫
বাড়ছে গোখাদ্যের দাম ক্ষতিতে কমছে খামার

পটুয়াখালীতে দিন দিন বাড়ছে গোখাদ্যের দাম। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারিরা। তাই প্রতিনিয়ত শহরে কমছে গবাদিপশুর খামার। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তদারকি না থাকাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, পটুয়াখালী শহরে একসময় শতাধিক গরুর খামার ছিল। এর সংখ্যা কমতে কমতে এখন হাতেগোনা কয়েকটি রয়েছে। এর মূল কারণ গবাদিপশুর খাবারের দাম বৃদ্ধি।

শহরের বিভিন্ন বাজারে পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছয় মাস আগে যে গমের ভুসি ৮০০ টাকা ছিল, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। আগে যে ভুট্টার গুঁড়া ১ হাজার ২০০ টাকা ছিল, এখন তা ১ হাজার ৯০০ টাকা। ৪০ কেজি মুগের ভুসি আগে ১ হাজার ৩০০ টাকা ছিল, এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮৫০ টাকায়।

পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ, ২ নম্বর ব্রিজ ও পাকার মাথা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শহরের অধিকাংশ খামার বন্ধ হয়ে পড়ছে। কিছু খামারে গরু থাকলেও খাবার কমিয়ে দিতে হচ্ছে।

সদর উপজেলার ২ নম্বর ব্রিজ এলাকার খামারি সুলতান মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় উন্নত জাতের ঘাস চাষ হয় না। তাই দানাদার খাবার ও খড়কুটো খাইয়ে গরুর খামার চালাই।’

শহরের সবুজবাগ এলাকার খামারি কামাল বলেন, ‘সরকারের তদারকি না থাকলে সামনের দিনে খামার ছেড়ে দিতে হবে।’

শহরের পুরান বাজার এলাকার গোখাদ্যের পাইকারি বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক হোসেন বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাতে গমের ভুসির দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া যখনই সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল, তখন থেকে সয়ামিলের ভুসির দামও বাড়ানো হয়েছে।’

জেলা ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফ বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। কোথাও তদারকি নেই। হঠাৎই দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে শত শত খামারিকে পথে বসতে হবে।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। তবে কীভাবে খামারিদের টিকিয়ে রাখা যায়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত