Ajker Patrika

স্টেডিয়াম যেন এক টুকরো বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৫১
স্টেডিয়াম যেন এক টুকরো বাংলাদেশ

হঠাৎ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী চারদিক ঘিরে ফেলল। বিশাল বাহিনীর সামনে গুটিকয়েক মুক্তিযোদ্ধা। চোখে প্রতিশোধের আগুন, বুকে পাহাড়সমান সাহস। জয় বাংলা বলে অস্ত্র উঁচিয়ে যুদ্ধ শুরু করলেন মুক্তিযোদ্ধারা। যুদ্ধে সেখানে পড়ে রইল কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ। তার আগেই মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বিশাল বাহিনীকে পরাজিত করলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রদর্শনীর মধ্যে এটি একটি। শুধু মুক্তিযুদ্ধের নয়, যেমন খুশি তেমন সেজে আর নাচে-গানে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরা হয়। নগরীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনীতে স্টেডিয়ামটি পরিণত হয় এক টুকরো বাংলাদেশ।

নগরীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ছাড়াও পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষীসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠান বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনী করে। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

কুচকাওয়াজে প্রথম হয়েছে হামজারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতীয় কাপাসগোলা বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তৃতীয় হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বড় দলের মধ্যে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দ্বিতীয় অঙ্কুর সোসাইটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, আর তৃতীয় হয়েছে খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চবিদ্যালয়। এ ছাড়া ছোট দলের মধ্যে প্রথম হয়েছে পাঠানটুলী খান সাহেব বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, দ্বিতীয় লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিশেষ দলের মধ্যে প্রথম হয়েছে সরকারি শিশু পরিষদ (বালিকা) রউফাবাদ, দ্বিতীয় হয়েছে উপলব্ধি-ফিরিঙ্গিবাজার।

এর আগে ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসা শুরু করে। বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

প্রথম সূর্যোদয়ের পর চট্টগ্রাম নগরীর কোর্ট হিলে তোপধ্বনি দেওয়া হয়। সকাল ৮টায় নগর পুলিশের একটি চৌকস দলের ‘গার্ড অব অনারের’ মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে চলে শ্রদ্ধা।

সকালে শহীদ বেদিতে প্রথম শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এরপর চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়া শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এরপর নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া শ্রদ্ধা জানায় নগর বিএনপিও। নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের করে দলটি। নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন ও সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

ছাত্র সংগঠনগুলো মধ্যে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শহীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত