Ajker Patrika

পলিথিন জঞ্জালে অতিষ্ঠ জীবন

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ১৩
পলিথিন জঞ্জালে অতিষ্ঠ জীবন

বৃহত্তর চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার আবারও বাড়তে শুরু করেছে। চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন ফেনী, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজারসহ চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরীতে প্রকাশ্যেই ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। যার ফলে নালা নর্দমায় পলিথিন আটকে জলবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। হুমকিতে পড়ছে পরিবেশ।

বিশেষ করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে পলিথিনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কুফল পড়ছে খাল-নালায়। ভরাট হয়ে প্রতি বছর সামান্য বর্ষণেই নগরীর বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়। এ নিয়ে চট্টগ্রামবাসীর দুঃখের শেষ নেই।

সম্প্রতি নগরীর তিনটি বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার রোধে তৎপরতা চালাতে দেখা যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতকে। এর বাইরে আর কোথাও তৎপরতা দেখা যায়নি। একাধিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ছয় মাসেও তাঁরা পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাননি।

চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকটি বাজারে পলিথিনের বদলে নিম্নমানের টিস্যু ব্যাগ ব্যবহার করতে দেখা যায়। ক্রেতাদের অভিযোগ, এতে বাজার-সদাই নিয়ে তাঁরা বিপাকে পড়েন। টিস্যু ব্যাগগুলো নিম্নমানের হওয়ায় দ্রুত ছিড়ে যায়।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে পরিচালক মো. মফিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিয়মিতই অভিযান চালাই। বেশি অভিযানের ফলে জব্দ করা পলিথিনের স্তূপ জমে গেছে।’

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আ স ম জোমশেদ খোন্দকার বলেন, অবৈধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী রেজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বিশ্বের ১০০ দেশ প্লাষ্টিকের ব্যবহান নিষিদ্ধ করেছে। আমাদের দেশ কেন পারবে না? হাইকোর্টের একটি নির্দেশনায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রামসহ দেশে ওয়ানটাইম প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ না হওয়ায় নালা-নর্দমা ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন গত ১ ডিসেম্বর থেকে নগরীর চকবাজার, কাজীর দেউড়ি ও কর্ণফুলী মার্কেটে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। গত ২৯ নভেম্বর এই ঘোষণা দিয়েছিলেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

এ বিষয়ে চসিকের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ব্যবহৃত পলিথিন যত্রতত্র ফেলার কারণে নালা-নদর্মা, খাল ও নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে বর্ষা মৌসুমে নগরীতে জলজট সৃষ্টি হচ্ছে। যা নাগরিক দুর্ভোগে পরিণত হচ্ছে।’

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাহিদুল ইসলাম অনেকদিন ধরে পলিথিনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাননি বলে স্বীকার করেন।

সন্দ্বীপের ইউএনও জেপি দেওয়ান বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরে পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাইনি। মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে, শিগগিরই অভিযান হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

ঢাবিতে পাঁচ প্যানেলে ভোটের যুদ্ধ

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এনসিপির মাহিন সরকারকে বহিষ্কার

যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে বহিষ্কারের কারণ জানাল এনসিপি

আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি—১০ লাখ টাকা লোন দেয়নি বলে ব্যাংকে চুরির সিদ্ধান্ত নিই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত