সম্পাদকীয়
ক্ষমতার পালাবদলের পর অনেক ক্ষেত্রেই অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে জনগণ। এর প্রকাশ দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ‘মব জাস্টিস’ বা জনতার বিচার এমন এক অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে যে তার লাগাম টেনে না ধরলে ভুগতে হবে গোটা জাতিকে। আজকের পত্রিকায় বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত যে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে, তার শিরোনাম ‘মবে মরছে মানুষ মামলা গ্রেপ্তার নেই।’ কেন মামলা-গ্রেপ্তার নেই, তার অন্তত একটি কারণ বর্ণিত হয়েছে প্রতিবেদনে। নিরাপত্তাহীনতার ভয়েই মামলা করতে সাহস পান না ভুক্তভোগীর স্বজনেরা।
মব জাস্টিসের ঘটনাগুলোকে দেখতে হবে সামাজিক অনাচার হিসেবে। এই অনাচার যেন না বাড়ে, তার জন্য নিতে হবে সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ। এর একটা দায় থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর, আরেকটা দায় থাকে সমাজে বসবাসকারী মানুষের ওপর। সরকার যদি এই অনাচার থামাতে চায়, তাহলে অনাচারের বিরুদ্ধে তারা কঠোর বার্তা দিতে পারে। সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় হলে মব জাস্টিস কমে যেতে বাধ্য।
শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটছে, তা নয়। অতীতেও ছিল। বিশেষ করে চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী, শিশু অপহরণকারী সন্দেহে উত্তেজিত জনতা নিজেরাই বিচারের ভার তুলে নিত নিজ হাতে। সেটাও অপরাধ। কিন্তু সরকার বদলের পর এই প্রবণতা ছড়িয়ে গেছে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার পন্থা হিসেবে। এটা ভয়ানক।
শিক্ষায়তনগুলোয় শিশু-কিশোরেরাও যেভাবে তাদের শিক্ষকদের অপমান করে পদত্যাগে বাধ্য করেছে, তা সমীচীন ছিল না। যদিও মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে, কিন্তু কেউই সে সতর্কবার্তায় কান দেয়নি। প্রতিবেদনটি বলছে, বিভিন্ন জায়গায় সংঘবদ্ধ মানুষের দ্বারা অপমানিত, অপদস্থ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অন্তত ১০০ মানুষ। আর সংঘবদ্ধ লুটতরাজের ঘটনার তো হিসাবই নেই।
এসব ঘটতে পারছে পুলিশের সাময়িক নিষ্ক্রিয়তার কারণে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের প্রতি রুষ্ট হয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিভিন্ন থানা আক্রমণ করলে পুলিশের নৈতিক মনোবল ভেঙে যায়। সেই মনোবল এখনো ফিরে আসেনি। সেই সুযোগটা নিচ্ছে সুযোগসন্ধানীরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে কাছাকাছি সময়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় জনমনে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্নটি আরও অনেক বড় হয়ে দেখা দেয়।
যারা মব জাস্টিসের সঙ্গে যুক্ত, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে জনগণ নিরাপদ বোধ করবে না। কেউ মব জাস্টিসের শিকার হলেও উচ্চকণ্ঠে বলতে পারবে না, অপরাধীকে পুলিশে দাও। কারণ তিনি জানেন না, এ কথা বলার কারণে তাঁকেও গণপিটুনির শিকার হতে হয় কি না।
মব জাস্টিস কমে আসবে পুলিশ সক্রিয় হলে, অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করালে এবং সবচেয়ে বড় কথা, সামাজিকভাবে মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে গণ-অবস্থান নিশ্চিত করলে। সরকারের সতর্কীকরণ তখনই কাজে লাগবে, যখন মব জাস্টিসকারীরা শাস্তি পাবে।
ক্ষমতার পালাবদলের পর অনেক ক্ষেত্রেই অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে জনগণ। এর প্রকাশ দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ‘মব জাস্টিস’ বা জনতার বিচার এমন এক অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে যে তার লাগাম টেনে না ধরলে ভুগতে হবে গোটা জাতিকে। আজকের পত্রিকায় বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত যে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে, তার শিরোনাম ‘মবে মরছে মানুষ মামলা গ্রেপ্তার নেই।’ কেন মামলা-গ্রেপ্তার নেই, তার অন্তত একটি কারণ বর্ণিত হয়েছে প্রতিবেদনে। নিরাপত্তাহীনতার ভয়েই মামলা করতে সাহস পান না ভুক্তভোগীর স্বজনেরা।
মব জাস্টিসের ঘটনাগুলোকে দেখতে হবে সামাজিক অনাচার হিসেবে। এই অনাচার যেন না বাড়ে, তার জন্য নিতে হবে সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ। এর একটা দায় থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর, আরেকটা দায় থাকে সমাজে বসবাসকারী মানুষের ওপর। সরকার যদি এই অনাচার থামাতে চায়, তাহলে অনাচারের বিরুদ্ধে তারা কঠোর বার্তা দিতে পারে। সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় হলে মব জাস্টিস কমে যেতে বাধ্য।
শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটছে, তা নয়। অতীতেও ছিল। বিশেষ করে চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী, শিশু অপহরণকারী সন্দেহে উত্তেজিত জনতা নিজেরাই বিচারের ভার তুলে নিত নিজ হাতে। সেটাও অপরাধ। কিন্তু সরকার বদলের পর এই প্রবণতা ছড়িয়ে গেছে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার পন্থা হিসেবে। এটা ভয়ানক।
শিক্ষায়তনগুলোয় শিশু-কিশোরেরাও যেভাবে তাদের শিক্ষকদের অপমান করে পদত্যাগে বাধ্য করেছে, তা সমীচীন ছিল না। যদিও মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে, কিন্তু কেউই সে সতর্কবার্তায় কান দেয়নি। প্রতিবেদনটি বলছে, বিভিন্ন জায়গায় সংঘবদ্ধ মানুষের দ্বারা অপমানিত, অপদস্থ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অন্তত ১০০ মানুষ। আর সংঘবদ্ধ লুটতরাজের ঘটনার তো হিসাবই নেই।
এসব ঘটতে পারছে পুলিশের সাময়িক নিষ্ক্রিয়তার কারণে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের প্রতি রুষ্ট হয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিভিন্ন থানা আক্রমণ করলে পুলিশের নৈতিক মনোবল ভেঙে যায়। সেই মনোবল এখনো ফিরে আসেনি। সেই সুযোগটা নিচ্ছে সুযোগসন্ধানীরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে কাছাকাছি সময়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় জনমনে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্নটি আরও অনেক বড় হয়ে দেখা দেয়।
যারা মব জাস্টিসের সঙ্গে যুক্ত, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে জনগণ নিরাপদ বোধ করবে না। কেউ মব জাস্টিসের শিকার হলেও উচ্চকণ্ঠে বলতে পারবে না, অপরাধীকে পুলিশে দাও। কারণ তিনি জানেন না, এ কথা বলার কারণে তাঁকেও গণপিটুনির শিকার হতে হয় কি না।
মব জাস্টিস কমে আসবে পুলিশ সক্রিয় হলে, অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করালে এবং সবচেয়ে বড় কথা, সামাজিকভাবে মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে গণ-অবস্থান নিশ্চিত করলে। সরকারের সতর্কীকরণ তখনই কাজে লাগবে, যখন মব জাস্টিসকারীরা শাস্তি পাবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪