Ajker Patrika

কমলা হ্যারিস

সম্পাদকীয়
কমলা হ্যারিস

আসন্ন মার্কিন নির্বাচন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরে দাঁড়িয়েছেন। এ বছরের নভেম্বরে হবে নির্বাচন। ফলে ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য এই অল্প সময়ের মধ্যে নতুন নেতা বাছাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাইডেন নিজেও অবশ্য ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেই ডেমোক্রেটিক পার্টির উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে ভাবছেন। যেহেতু প্রাইমারিতে বাইডেনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে—এমন কোনো নাম দেখা যায়নি, তাই সম্ভবত এবার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসই হচ্ছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মোকাবিলা করার জন্য কমলা হ্যারিসই নির্বাচিত হচ্ছেন কি না, তা জানা যাবে আগামী মাসে ডেমোক্র্যাটদের সম্মেলনে। ইতিমধ্যে মার্কিন সংবাদমাধ্যমজুড়ে কমলা হ্যারিসকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এ সময়টায় নানা নাটকীয়তার জন্ম হয়েছে। গত ২৭ জুন সরাসরি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রিপাবলিকান প্রার্থী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বিতর্কে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হন ট্রাম্প। ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের পারফরম্যান্সে ডেমোক্র্যাটরা হতাশ হয়েছেন। অনেকে তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন; বিশেষ করে দাতাদের অনেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাইডেন প্রার্থী হলে তাঁরা নির্বাচন পরিচালনার জন্য অর্থ দেবেন না। কিন্তু জো বাইডেন নিজে মনে করেছেন, নির্বাচনী মাঠে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে তিনিই একমাত্র যোগ্য প্রার্থী। 
নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ দ্রুত পরিবর্তিত হয়ে যায় ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়া রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে থাকার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলিবর্ষণ করা হলে। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান।

১৫ জুলাই রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে কানে ব্যান্ডেজ নিয়েই হাজির হন ট্রাম্প। তাঁকেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হয়। রানিংমেট হিসেবে ট্রাম্প বেছে নেন ওহাইওর সিনেটর জে ডি ভ্যান্সকে।

বিভিন্ন দিক থেকে চাপ এলেও বাইডেন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তিনি যে খানিকটা ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন, এ রকমও দেখা যায়। কিন্তু নিজ ভাবনায় অনড় থাকা বাইডেন আগামী কয়েক বছরের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতা সামলাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি উঠতে থাকে। অবশেষে বাইডেনের দেহে করোনা শনাক্ত হলে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

মনে হচ্ছে, কমলা হ্যারিসই ডেমোক্র্যাটদের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত কোনো নারী প্রেসিডেন্ট পায়নি। হিলারি ক্লিনটন খুবই প্রতিশ্রুতিশীল একজন প্রার্থী হয়েও নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে সে সময় মার্কিন দেশে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ যে পরিস্থিতি ছিল, সেটাও তাঁর জয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কমলা হ্যারিসের পারিবারিক পরিচয়ে কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয়, শ্বেতাঙ্গ—সব ধরনের প্রতিনিধিত্ব আছে বলে অনেকে মনে করছেন, তিনি একজন শক্ত প্রার্থীই হবেন।

ট্রাম্প নাকি কমলা হ্যারিস—কে হচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট—নভেম্বরই বলে দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত