Ajker Patrika

বল সুন্দরী চাষে সফল লিটন

নওগাঁ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১৪: ১১
বল সুন্দরী চাষে সফল লিটন

নওগাঁ সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক লিটন হোসেন বল সুন্দরী বরই চাষে সফলতা পেয়েছেন। ধান-চালের এই জেলায় বরই চাষে সফলতা পেয়ে আরও বড় পরিসরে শুরুর পরিকল্পনা করছেন তিনি। তাঁর সফলতা দেখে এখন স্থানীয় অনেক কৃষক আগ্রহী হচ্ছেন বরই চাষে।

জানা গেছে, উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের মকমলপুর নামক প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক আব্দুল করিমের ছেলে লিটন হোসেন। ছোট থেকেই কৃষিতে ভালোবাসা ছিল লিটনের। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক কৃষিতে মনোযোগী হন লিটন। এর ধারাবাহিকতায় উন্নত জাতের কাশ্মীরি ও বল সুন্দরী বরই চাষ শুরু করেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ান জাতের বল সুন্দরী গাছের প্রতিটিতে থোকায় থোকায় বরই ঝুলছে। আর এই সুস্বাদু বাহারি রঙের বরই তিনি গাছে থেকে পেড়েই বিক্রি করছেন। পোকা ও পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষায় বাগানের চারপাশে জালের বেড়া দিয়েছেন। বল সুন্দরী বরই চাষ করে তিনি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। এ বছর তাঁর বরই বিক্রি প্রায় শেষ। এই বরই এক বছরেই পাল্টে দিয়েছে কৃষক লিটনের ভাগ্য।

বাগানে কথা হয় কৃষক লিটন হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর নিজের কোনো জমি না থাকায় দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৩০০ কাশ্মীরি ও বল সুন্দরীর ১২৫টি চারা এনে রোপণ করেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ সঠিক পরিচর্যায় মাত্র ১১ মাসেই তাঁর সব কটি গাছেই বরই এসেছে। তিনি বলেন, এই পর্যন্ত তাঁর বরইবাগানে খরচ হয়েছে ৭০-৮০ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে ইতিমধ্যেই প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হয়েছে, সামনে আরও লাখখানেক টাকা বিক্রির আশা তাঁর।

লিটন বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে বরই চাষে খরচ ও রোগবালাই কম। তাই আগামী বছর আরও বেশি পরিমাণ জমিতে বরই চাষের পরিকল্পনা করছেন তিনি। ইতিমধ্যে তিনি চারা সংগ্রহ করে জমি প্রস্তুত করেছেন।

লিটনের এই বাগান দেখে এখন অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন বরই চাষে। প্রতিদিনই বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ আসছে তাঁর বল সুন্দরীর এই বাগান দেখতে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, এই অঞ্চলে মূলত ধান অথবা সবজি চাষ হয়। ধানের জন্য এই এলাকার নাম আছে। তবে কখনো বরই চাষ চোখে পড়েনি। কৃষক লিটন দুই বিঘা জমিতে বরইয়ের বাগান করেছেন। ভালো ফলন আর দাম পেয়ে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হয়েছেন লিটন। তাঁকে দেখে এখন অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন।

বাগান দেখতে আসা মল্লিকপুর গ্রামের বেলাল হোসেন জানান, বল সুন্দরীর এই বাগান দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। খরচ বাদ দিয়ে বেশ ভালো লাভ হয়েছে এই বাগানে। কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করলে তিনিও বরই চাষ করবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রতন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরই চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বরই চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি। কৃষক লিটনকেও কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ বছর তাঁর বরইয়ের বাগান থেকে অন্তত ৩ লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত